শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘোড়া কেমন হবে নির্ভর করে সওয়ারির ওপর

আলম রায়হান

ঘোড়া কেমন হবে নির্ভর করে সওয়ারির ওপর

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যারা তিলে তিলে গড়ে উঠেছেন তাদের একজন আমির হোসেন আমু। তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা এই নেতা যখন বিএম কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি তখন একই সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন আর এক কিংবদন্তি নেতা তোফায়েল আহমেদ। অনেকেই জানেন, স্বাধিকার আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে বরিশাল অঞ্চলে মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতো, আমু-বারেক। মানে আমির হোসেন আমু ও আবদুল বারেক।  তৃণমূল থেকে নানান ঘাত-প্রতিঘাতে গড়ে ওঠা রাজনীতিক আমির হোসেন আমু ১৯৬৪ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে রাজনীতির নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেন। রাজনীতিতে গড়ে ওঠার ধারায় কখনো রাজনীতিককে যুদ্ধও করতে হয় পেশাদার সৈনিকের মতো। আমির হোসেন আমুর বেলায়ও এমনটি ঘটেছে। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রয়াসে যারা সম্মুখ সমরে ছিলেন তাদের মধ্যে আমির হোসেন আমু অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার এক মাসের মাথায় বরিশাল দখল অভিযানে স্থল, নৌ ও বিমানপথে হামলা চালায় পাকবাহিনী। সেদিন যুদ্ধবিমানে যারা গুলি ছুড়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন আমির হোসেন আমুও। এমনকি রিভলবারের গুলিতে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হচ্ছে ভেবে তিনি বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে উল্লাসও করেছেন। তবে তাঁর এই বিভ্রম দূর হতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। আবার ভারত যাওয়ার পথে পাকবাহিনীর গানবোটের কবলে পড়ে লঞ্চের দরজার আড়ালে লুকানো অবস্থায়ও শক্ত হাতে রিভলবার ধরে রেখেছেন। সংকল্প ছিল, ‘মরার আগে মারার!’ এভাবে নানান বাঁকে হেঁটে রাজনীতিতে গড়ে উঠেছেন আমির হোসেন আমু।

এসব কথা বলার উদ্দেশ্য আমু বন্দনা নয়! বরং সম্প্রতি তাঁর একটি উক্তি গভীরভাবে বিবেচনায় নেওয়ার গুরুত্ব অনুধাবনে এ একপ্রকার গৌরিচন্দ্রিকা। গত ২ মার্চ ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘আন্দোলনের তীব্রতা যত বেশি বৃদ্ধি পাবে প্রশাসন তত বেশি নিরপেক্ষ হবে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’ আমির হোসেন আমু যে বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন সেটিই আসলে আমলা চরিত। এই শ্রেণি প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাবেক মুখ্যসচিব আইএএস কর্মকর্তা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন- ‘আমলা আসলে কে বা কী? সে কি ঈশ্বরপ্রতিম বা দেবদূত, প্রায় যেন বিধাতাপুরুষ? নাকি সে নেপথ্যে মৃত সৈনিক, অসহায় দাস? পুংলিঙ্গ, না স্ত্রীলিঙ্গ, না ক্লীবলিঙ্গ? সে কি গৌরবে বাঁচে, না অগৌরবে মরে? তার স্বাধীনতার সীমানা কোথায়, অস্তিত্বের সীমাবদ্ধতা কী।’ আইএএস কর্মকর্তা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘আমলার মন’ গ্রন্থে বাংলা ও ভারতবর্ষের শত বছরের ইতিহাস সেঁচে তুলে ধরেছেন প্রশাসনিক ক্ষমতার আশ্চর্য সব গাঢ়, নির্মোহ ও গভীর বিশ্লেষণ। আমলা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আমলা শব্দের আভিধানিক অর্থে হীনতাবোধ আছে। এই হীনতাকে সঙ্গী রেখে কোনো কর্মের পরিচয় নির্দিষ্ট হওয়া উচিত নয়। কর্মাচরণে কোনো অন্তর্নিহিত দৈন্য নেই।’ এদিকে ইংরেজি ‘ব্যুরোক্র্যাসি’ শব্দটিও ধোয়া তুলসীপত্র হিসেবে বিবেচিত হয় না। বরং এই পেশাটিকে নিয়ে অনেক জ্ঞানীজন উপহাস করেছেন। পরিহাস-উপহাস আর অনিবার্যতার ভিত্তিতেই চলছে সব দেশের আমলাতন্ত্র, তথা সরকারের প্রশাসন যন্ত্র। তবে আর যাই হোক, ব্যুরোক্র্যাসির মূল্যায়ন একরেখায় দাঁড় করানো কঠিন। এ প্রসঙ্গে কোনো শেষ কথা নেই। এ জন্য হয়তো শেষ কথা হতে পারে রবীন্দ্রনাথের বাণী ‘শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে?’ এর পরও আমলা নিয়ে আলোচনা চলবে, চলছে।

আইএএস কর্মকর্তা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গ্রন্থে যেভাবে আমলা চরিত্র চিত্রিত করেছেন তা হচ্ছে সনাতনী বাস্তবতা। ঔপনিবেশিক শাসনযন্ত্র-শাসন-শোষণ-নিপীড়নই আমলার প্রধান চালিকাশক্তি। কিন্তু এই আমলাই যে মানুষের উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবেও কাজ করতে পারে তার উদাহরণও কিন্তু কম নেই। এ ক্ষেত্রে ভারতে গুরুসদয় দত্ত এবং বাংলাদেশে এইচ টি ইমামকে আইকন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাদের মতো অনেকেই প্রমাণ করেছেন, ঔপনিবেশিক শাসনযন্ত্রের আদলে থেকেও দেশের কল্যাণে ব্রতী হওয়া সম্ভব। স্বীকার করতেই হবে, স্বাধীনতা-উত্তর উন্নয়নে দেশি প্রশাসনের অবদান রয়েছে; বিশেষ করে করোনাকাল এবং বর্তমান বিশ্ব সংকটে। গত দুই-তিন বছরে এই প্রশাসনের সদস্যরা যদি আনুগত্য আর সর্বোচ্চ দায়িত্বের সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলায় আত্মনিয়োগ না করতেন তাহলে দেশটাই এলোমেলো হয়ে যেত হয়তো। সব মিলিয়ে আমলাতন্ত্রের গৌরবের ইতিহাসও বেশ গৌরবের। কিন্তু অনেকেই অনুভব করেন, প্রশাসনের সেই গৌরব প্রতিনিয়ত নিচের দিকে বহমান। পাখির খসে যাওয়া পালকের মতো। সবাই দেখে, কিন্তু ঠেকায় না কেউ। শুধু তাই নয়, অবসরের পর প্রশাসনের অনেকের যে বৈশিষ্ট্য উন্মোচিত হয় তা যে কোনো বিচারেই অগ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে অবসরে যাওয়ার পর অনেক সাবেক সচিব সচিবালয়ের বারান্দায় যেভাবে ছোটাছুটি করেন, তা অনেকের বিবেচনায়ই চরম লজ্জার। অথচ এই প্রবণতা আগে ছিল না। ‘কাল সচিবের চেয়ারে আর আজ সচিবালয়ের বারান্দা’-এ ঘটনা থেকে নিজেকে দূরে রাখার ব্যাপারে অনেক কর্মকর্তাই এখনো সচেতন রয়েছেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীর ব্যতীত সাবেক কোনো সিএসপি অফিসারকে সচিবালয়ের বারান্দায় দেখা যায়নি কখনো। আর এ ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের মধ্যে আত্মসম্মান বোধের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। মন্ত্রী না থাকা অবস্থায় সচিবালয়ের বারান্দায় তো দূরের কথা, সচিবালয়ের ধারেকাছেও তোফায়েল আহমেদকে কেউ দেখেছে বলে শোনা যায়নি। কিন্তু এ ধরনের আত্মসম্মান বোধের বিষয়টি অনেক রাজনীতিকের মতো আমলা শ্রেণি হারিয়ে ফেলেছেন বলে মনে করা হয়। কিন্তু সময় মতো ‘কেবলা বদলের’ বৈশিষ্ট্য আমলারা হারিয়েছেন বলে মনে হয় না। যে কথা পুনরায় বলেছেন আমির হোসেন আমু। সবাই জানেন, আমির হোসেন আমু যা বলেছেন তা নতুন কোনো কথা নয়। বরং এটি বাংলাদেশে বারবার প্রমাণিত বাস্তবতা এবং এটি প্রতিটি সরকারের আমলেই প্রমাণিত হয়েছে। অনেকের মতে, আগামী নির্বাচন বিবেচনায় এর মধ্যেই প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার অনেকেই ‘রাডার’ বেশ সক্রিয় করেছেন। এরা পরিস্থিতির গতিবিধি অনুধাবন করার চেষ্টা করছেন। তবে প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা চক্রটি অতীতের মতো স্বরূপে আত্মপ্রকাশের বিষয়ে এখনো তেমন ভরসা পাচ্ছেন না বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। কারণ, ‘মানি না মানব না’ এই প্রবণতা এবং অন্ধের হাতি দেখার অবস্থায় দেশের মানুষ আর নেই। ফলে রাজনীতিতে খন্ডিত কোনো কিছু গেলানো কঠিন হয়ে গেছে। এ কারণে সরকারবিরোধী রাজনীতি সেই অর্থে দানা বাঁধছে না। ফলে তাসের ঘরের মতো সরকার ধসে পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। ফলে আত্মরক্ষার কৌশল ও পরবর্তী ‘সুবিধার ট্রেনে’ ওঠার সুযোগ আগের মতো আর অবারিত নয়। এ কারণে এখনই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে ভরসা পাচ্ছেন না সুযোগসন্ধানীরা। এদিকে কারও কারও মতে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের নানান তৎপরতা একরকম সূক্ষ্ম সিগন্যাল দিচ্ছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনা বিশেষ ইঙ্গিত দেয়। অনেকের ধারণা, সীমান্তে বিএসএফের সাম্প্রতিক তৎপরতার সঙ্গে কোথায় যেন ২০০১ সালের সাজুজ্য রয়েছে। অনেকের এই ধারণা এবং আমির হোসেন আমুর উচ্চারণ যদি এক সমান্তরালে চলে তাহলে আগামী নির্বাচনের প্রাক্কালে পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে তা নিয়ে নানান আশঙ্কা আছে পর্যবেক্ষক মহলে। তারা আরও বলছেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের থিংকট্যাঙ্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক সক্রিয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং দেশ চালানোর দক্ষতার প্রভাবকে অতিক্রম করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বারবার হোঁচট খেলেও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মরিয়া হয়েই মাঠে নেমেছে সম্প্রতি। এমনটাই মনে করেন অনেকে। আর সরকারবিরোধীদের পালে হাওয়া লাগার আলামত অনেকেই দেখছেন বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার অগ্রহণযোগ্য তৎপরতায়। এর সঙ্গে সীমান্তে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগের ঘটনাবলির পুনরাবৃত্তি হলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। আর সবাই জানেন, বিরূপ কোনো আলামত দেখা দিলে, বিভিন্ন নামের প্রশাসন গোপনে-প্রকাশ্যে অন্যরকম তৎপরতায় লিপ্ত হয়। আপ্তবাক্যই তো আছে, ‘হাওয়া বুঝে পাল তোলে বুদ্ধিমানরা।’ এ আপ্তবাক্য থেকে যে কথা উচ্চারণ করেছেন আমির হোসেন আমু। মোদ্দা কথা হচ্ছে, প্রশাসন কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকার ভরসার ভিত্তি নয়। তা সে যে ধরন অথবা যে পোশাকেরই হোক না কেন। চূড়ান্ত বিচারে ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়ার মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ এবং কান্ডারির প্রজ্ঞা ও কৌশল। প্রশাসন হচ্ছে, দেশ চালানোর এক ধরনের উপকরণ এবং এই প্রশাসনকে হতে হয় সৎ, দক্ষ ও জনমুখী। কিন্তু ‘আমাদের প্রশাসন সৎ, দক্ষ ও জনমুখী’ সামগ্রিক বিবেচনায় এ কথা কি হলফ করে একবাক্যে বলা যাবে? এ নিয়ে নানান মত আছে। আবার এমন অভিযোগ আছে কারও কারও, ‘আমলারা কথা শোনে না!’ এ প্রসঙ্গটি ড্রয়িংরুম থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য বল্লভভাই প্যাটেলের একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, ‘ডু নট কোয়েরল উইথ দ্য ইনস্ট্রুমেন্ট উইথ হুইচ ইউ ওয়ান্ট টু ওয়ার্ক। ইট ইজ এ ব্যাড ওয়ার্কম্যান হু কোয়ারলস উইথ হিজ ইনস্ট্রুমেন্টস। ‘আর সাধারণভাবেই তো বলা হয়, ঘোড়া কীভাবে আচরণ করবে তা অনেকটাই নির্ভর করে সওয়ারির ওপর। এটি কেবল ঘোড়া নয়, গাধার ক্ষেত্রেও সত্য। আসলে ঘোড়া-গাধা মিলিয়েই তো জগৎ-সংসার!  

প্রশাসনে নানান আশঙ্কার ও হতাশার মধ্যেও অনেক দৃষ্টান্ত আছে, যা গর্ব করার মতো। অনেকের দক্ষতা ও আনুগত্য প্রশ্নাতীত। বিশেষ করে সরকারের অনেক কর্মকর্তা আছেন যাদের জনসম্পৃক্ততা, দক্ষতা ও আনুগত্য খুবই উচ্চমানের। চলতি বছরে এ ধরনের কয়েকজনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। তাঁরা পিরামিডের শিখর। ফলে সংগত কারণেই সংখ্যায় খুব বেশি নয়। আর তারা খুব বেশি দৃশ্যমান নন সাধারণের দৃষ্টিতে। বরং প্রশাসনে সাধারণের দৃষ্টিতে যা দৃশ্যমান তা অনেকের বিবেচনায়ই অনেকটা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত মানুষের হাত-পায়ের মতো। এ অবস্থায় জরুরি হচ্ছে, প্রশাসনের ওপরের শুদ্ধতার ধারা নিচের দিকে দ্রুত সম্প্রসারিত করা। স্পষ্টতই মাঠপ্রশাসনে পূর্ণ শুদ্ধতা প্রয়োজন। যার চালিকাশক্তি ডিসি-এসপি। বিশেষ করে জেলায় ডিসির এত ক্ষমতা ও এখতিয়ার যা আর কোনো পর্যায়ে আছে কি না তা নিয়ে গভীর সংশয় থাকা মোটেই অমূলক নয়। বরং এটিই বাস্তবতা। এ ক্ষেত্রে আরও বাস্তবতা হচ্ছে, মাঠপ্রশাসন আসলে ইউএনও এবং ওসিকেন্দ্রিক। এ প্রসঙ্গে প্রয়াত বিএনপি নেতা কর্নেল আকবর হোসেনের একটি উচ্চারণ প্রণিধানযোগ্য।  প্রশাসনের গুরুত্ব বোঝাতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ইউএনও-ওসি হলেই চলবে। ডিসি-এসপিও লাগবে না।’ মনে রাখা প্রয়োজন, রাষ্ট্রের সেবা ও শাসন ইউএনও-ওসির মাধ্যমেই জনগণ পর্যায়ে পৌঁছায়। মানুষ এদের দেখেই সরকার ও সরকারপ্রধানকে পরিমাপ করে।  এ বাস্তবতায় বাংলাদেশের ইউএনও-ওসিদের কী অবস্থা? এ প্রশ্নের উত্তর ভাবা প্রয়োজন!  এটা সুশাসন নিশ্চিত করা এবং জনগণকে আস্থায় নেওয়ার অনিবার্য প্রয়োজন। এর কোনো বিকল্প অনুসন্ধান সাপের গর্তে হাত ঢুকানোর নামান্তর।

                লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

সর্বশেষ খবর