শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

‘জয় বাংলা’ লিখে জো বাইডেনের চিঠি এবং মোনালিসার হাসি

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
‘জয় বাংলা’ লিখে জো বাইডেনের চিঠি এবং মোনালিসার হাসি

২৭ মার্চ রাতে বন্ধু সম্পাদকের ফোন। ফোনে তিনি জানালেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ চিঠি। সম্পাদক বললেন, ‘নানা কারণে এ সময়ে এ চিঠি গুরুত্বপূর্ণ।’ ব্যস এটুকুই। আমি বিভিন্ন সংবাদপত্রের অনলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির বিবরণ পড়লাম।  চিঠিতে গুরুত্বপূর্ণ কী আছে তা খুঁজে বের করার আগেই একজন বিএনপিপন্থি শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীর ফোন। তিনি বললেন, বাইডেনের চিঠি দেখেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার আলটিমেটাম দিয়েছে। এবার আর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না। এ কথা বলতেই তিনি বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ঘটালেন। পরদিন সকালে কেবল অফিসে কাজ শুরু করেছি। এরকম সময় আওয়ামী লীগের এক নেতার উচ্ছ্বসিত ফোন। বাইডেনের চিঠি দেখছেন? শেষে দেখেন ‘জয় বাংলা’ বলছে। আর নেত্রীর কী প্রশংসা। ভালো করে পড়েন। এরপর হাসির ফোয়ারার সঙ্গে তার কণ্ঠস্বর মিলে এক কলতান হলো। বললেন, ‘এখন তো আমেরিকাও লাইনে। বিএনপির কী হবে?’ বলেই আবারও বেমক্কা হাসির দমকা হাওয়া। রমজান মাসে এত উচ্চৈঃস্বরে না হাসাই ভালো-এমনটা আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফোন রাখলাম। মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি তো একটাই। এই একই চিঠি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই পক্ষকেই খুশি করেছে। দুই পক্ষই মনে করছে এ চিঠির বার্তা তাদের পক্ষে। চিঠির কী ক্যারিশমা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলই এ চিঠিকে তাদের বিজয় মনে করছে। এ যেন ৫০০ বছর আগের মোনালিসার ছবির হাসির রহস্যের মতো। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৫০৩ ও ১৫০৪ সালে এ বিখ্যাত ছবি আঁকা শুরু করেন। এক ধনী ফ্লোরেনটাইন ব্যবসায়ীর অনুরোধে তিনি এ শিল্পকর্মটির কাজ শুরু করেছিলেন। সে ব্যবসায়ী তার স্ত্রী লিসা দেল গেরাদিনির একটি প্রতিকৃতি চেয়েছিলেন। নামকরণের সময় সেকালে ইতালিতে ‘মোনা’ অর্থাৎ ম্যাডোনা নারীর সম্বোধন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন যেমন মিস বা মিসেস ব্যবহার করা হয়। মোনাকে লিসার সঙ্গে যুক্ত করেই ছবির নামকরণ ‘মোনালিসা’ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। লিওনার্দো ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চিত্রকল্পটি নির্মাণ করেন। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’ বিশ্বব্যাপী আলোচিত, আকর্ষণীয় হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রহস্যময় ‘হাসি’। ভিঞ্চি দৃষ্টিকোণ এবং ছায়ার কাজের মাধ্যমে এমন একটি অনন্য হাসি তৈরি করেন, যা এক ধরনের অপটিক্যাল ইলিউশন তৈরি করে। দর্শক যখনই মোনালিসার চোখের দিকে তাকান, মুখ হাসির মতো দেখায়। কিন্তু যখন দর্শকের দৃষ্টি হাসির ওপর স্থির হয়, এটি অদৃশ্য হয়ে যায়। আবার মোনালিসার হাসির দু’রকমের ব্যাখ্যা আছে। কেউ মনে করেন এটি একটি সুখী হাসি। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন মোনালিসার হাসি দুঃখের। ৫০০ বছর ধরে এই অমীমাংসিত বিতর্ক চলছে। জো বাইডেনের চিঠিও যেন তেমনি। এই চিঠির বার্তা এবং উদ্দেশ্য এক রহস্য তৈরি করেছে। এই চিঠির মর্মার্থ কী ছিল, তা নিয়ে বিতর্ক চলবে বহুদিন। অন্তত আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তো বটেই।

প্রথমেই আমার মধ্যে যে জিজ্ঞাসা বুদবুদ করে উঠল, তা হলো এই যুগে চিঠি কেন? স্বাধীনতা দিবসে জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করতে পারতেন। বাইডেনের পক্ষ থেকে ‘হোয়াইট হাউস’ বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিতে পারত। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউস সচরাচর এরকম বিবৃতি দিয়ে থাকে। কদিন আগেই বাংলাদেশের বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছাসংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এ ধরনের উৎসবে শুভেচ্ছা কার্ড বা স্মারকও প্রেরণ করেন। কিন্তু তা না করে বাইডেন সরাসরি চিঠি লিখলেন কেন? রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘প্রামাণ্যকরণ’ বা ‘ডকুমেন্টেশন’ বলে একটি শব্দ বহুল প্রচলিত। ডকুমেন্টেড করে রাখা বা ভবিষ্যতের জন্য রেকর্ড রাখা একটি রাজনৈতিক কৌশল। হোয়াইট হাউস কি এটি ভবিষ্যতের রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে চায়? এ জন্য তাদের ইচ্ছার কথা লিখিত চিঠির আকারে পাঠানো হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে বা যার পক্ষেই এই চিঠি লেখা হোক যুক্তরাষ্ট্র এটিকে প্রামাণ্যকরণ করতে চেয়েছে। এই চিঠিকে ঘিরে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন প্রটোকল সংক্রান্ত। প্রেসিডেন্ট সাধারণ শুভেচ্ছা, শোকবার্তা বা অন্য কোনো বার্তা পাঠাবেন তার কাউন্টার পার্টকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যদি নিখাদ শুভেচ্ছা বার্তাই পাঠানো হয়, সেটি তো পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতিকে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এক্ষেত্রে যুক্তি অবশ্য আছে। যেহেতু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেদেশে প্রধান নির্বাহী আবার বাংলাদেশে নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তাই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেশের প্রধান নির্বাহীকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বার্তা দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই এই চিঠি নিছক, নির্ভেজাল শুভেচ্ছা নয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এ জন্যই বাইডেন মহাশয়, রাষ্ট্রপতিকে না দিয়ে চিঠিটি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

চিঠিসংক্রান্ত আমার আরও এক বিভ্রম আছে। ২১ মার্চ বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। শুভেচ্ছা বার্তাটি পাঠানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সাধারণত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালে বা টেলিফোন করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রকাশ করে, প্রচার করে। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ফোনের কথা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই প্রকাশ করা হয়েছিল। বিভিন্ন দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন, শুভেচ্ছা বাণী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। আবার জাতিসংঘ মহাসচিবের শুভেচ্ছা বাণী কিংবা আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের যোগাযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তথ্য দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু ২১ মার্চে জো বাইডেনের চিঠির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কেউ। না প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি মনে করেছে, এটি গুরুত্বহীন বিষয়, তাই গণমাধ্যমে এটা জানানোর প্রয়োজন নেই। অথবা এই চিঠি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্বস্তি রয়েছে। তারা এর প্রচার চায়নি। ধারণা করা যায়, মার্কিন দূতাবাস ২৭ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। বাইডেনের চিঠিটি যেহেতু ২৬ মার্চ উপলক্ষে। তাই উপলক্ষ লগ্ন শেষ হওয়ার পর মার্কিন দূতাবাস আর বিলম্ব করেনি। তারা পুরো চিঠিটা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ এই চিঠিটি সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেতাদুরস্ত কর্মকর্তাদের কাছে গুরুত্বহীন হলেও বারিধারায় মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই বার্তাটি জনগণের কাছেও পৌঁছে দিতে চেয়েছে। এ জন্য চিঠিটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে মার্কিন দূতাবাস।

এই চিঠি নিয়ে আমার আরেকটি জিজ্ঞাসা হলো, চিঠিটি কেন ২১ মার্চে পাঠান হলো? কেন ২৬ মার্চ নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। বলা হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতেই এই চিঠি। তাহলে পাঁচ দিন আগে কেন শুভেচ্ছা বার্তাসংবলিত চিঠি। এর একটি কারণ আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। ২০ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পরদিনই বাইডেন এই চিঠি পাঠান। মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশ সম্পর্কে অতিরঞ্জন করা হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত এবং যুক্তিহীনভাবে বেশ কিছু বিষয়ে দোষারোপ করা হয়েছে সরকারকে। ওই রিপোর্টে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি। এটি কি সম্পূরক? স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা আসলে স্রেফ ‘উসিলা’। আসলে মানবাধিকার রিপোর্টের আলোকে মার্কিন প্রত্যাশা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন জো বাইডেন। সে জন্যই এই চিঠি। এরকম ধারণার পক্ষে আরও যুক্তি আছে। ২১ মার্চ এই চিঠির পরদিন ২২ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। স্যুট কোট পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছয় নেতা মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হন। সেখানেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন। নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় সে প্রত্যাশা ও মার্কিন আকাক্সক্ষার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তাহলে জো বাইডেনের চিঠি কি এক ধরনের চাপ? আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায় আনুষ্ঠানিক জানিয়ে দেওয়া। স্বাধীনতা দিবসকে আসলে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া বা অভিমত জানানোর জন্য একটি দিবস হিসেবে কেবল বেছে নেওয়া হয়েছে?

এবার এই চিঠির মর্মার্থ বা ভাবার্থ খুঁজে দেখার চেষ্টা করা যেতে পারে। চিঠির তাৎপর্য এবং এর উদ্দেশ খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক চিঠিতে কী আছে। জো বাইডেনের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে বোঝে। কারণ তারা ১৯৭১ সালে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে এবং নিজেদের ভাষায় কথা বলার অধিকার পেতে সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিল।’ চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ উভয়ই গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখায় এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমন সময় দাঁড়িয়ে দুই দেশের জনগণের গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’ বাইডেনের চিঠিতে, শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রী পর্যায়ে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের যৌথ আয়োজনের জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তা বৈশ্বিক মহামারি নির্মূলে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করেছে।’ চিঠিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রশংসা করা হয়েছে। চিঠির শেষাংশে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের বেশি সময়জুড়ে কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দুই দেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদারিত্ব ও সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি অঙ্গীকার। উদযাপনের এই দিনটিতে আপনার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভ কামনা। জয় বাংলা।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশের জনগণ, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাক্সক্ষার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেই প্রত্যাশা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠিতে খোলামেলাভাবে বলা হয়েছে। তবে এটি প্রত্যাশা না আদেশ তা মোনালিসার হাসির মতোই রহস্যময়।

দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব এবং সাফল্য চিঠিতে খানিকটা তুলে ধরা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নেতৃত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে চিঠিতে।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে চিঠির দুটো বিষয় বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। একটি হলো, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু আগামী নির্বাচন।’ আর চিঠির শেষে ‘জয় বাংলা’। বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের বিশ্বাস, এবার নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত সিরিয়াস। তারা যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু দেখতে চায়। বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া সেটি সম্ভব নয়। বিএনপি নেতা-কর্মীদের এরকম বক্তব্যের পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাগাতারভাবে নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান এখন স্পষ্ট। সর্বশেষ মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই নির্বাচনে ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগামী নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটালেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ভোটের এই লড়াই পরিচালনা করে বা রেফারির দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন। তাই সব পক্ষের ক্রিয়াশীল এবং দায়িত্বশীল আচরণের ওপর নির্ভর করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বিএনপি বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এই দাবিতে অনড় থেকে তারা যদি আগামী নির্বাচন থেকে দূরে থাকে, তাহলে সেটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একটি রাজনৈতিক দল এরকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। প্রশ্ন হলো, বিএনপি এবং কয়েকটি দল যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে সেই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হবে না? আবার একইভাবে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী দলগুলো যদি ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। তাহলে এই অচলাবস্থায় নির্বাচন কীভাবে হবে? আওয়ামী লীগ বা বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না, তাই দেশের জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে দূরে রাখা কি গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত হবে? নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিচ্ছুক দলগুলোকে বাদ দিয়ে যদি নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। জনগণ যদি শান্তিপূর্ণভাবে এবং বাধাহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেয় তাহলে সেই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হবে না? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পরিষ্কার হওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে মার্কিন ব্যাখ্যা জানাটাও প্রয়োজন। তা না হলে গণতন্ত্রকে যে কেউ জিম্মি করতেই পারে। যে চেষ্টা এখন দৃশ্যমান। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বাংলাদেশে ভোটের হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্যই বিএনপি। তাই বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে নির্বাচনের আমেজ এবং আকর্ষণ অনেক কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের ফলাফল কী হতে যাচ্ছে, তা বুঝতে পেরে অনেক ভোটার ভোট দিতে উৎসাহ হারাবেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সহজ। আর এই সহজ কৌশলেই ভরসা রেখেছে ১৬ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, আগামী নির্বাচন যদি তারা বয়কট করে তাহলেই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি নির্বাচনের আগেই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। তাহলে আগামী নির্বাচন যেন না হয় সে জন্য কি একটি মহল সক্রিয়? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের পেছন থেকে সমর্থন দিচ্ছে? এ জন্যই কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি দিয়ে ইঙ্গিত দিলেন যে, সব দল অংশ না নিলে সেই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র মানবে না। এখন বিএনপি হাত-পা গুটিয়ে থাকলেই অনির্বাচিত সরকার এবং অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা দখলের পথ তৈরি হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, তাদের উচিত বিএনপির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বর্তমান সংবিধান এবং নির্বাচনসংক্রান্ত আইনে কী ধরনের ব্যবস্থা আছে। কোথায় কোথায় নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা আছে। কীভাবে নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করা দরকার। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র কথা বলতে পারে। কিন্তু সেসব কিছুই না করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব একা ক্ষমতাসীন দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে আমি মনে করি।  বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করতে হবে, এরকম বক্তব্যের আড়ালে আসলে নির্বাচন বানচাল করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনার কোনো ষড়যন্ত্র চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাঁকডাকের আসল উদ্দেশ কি নির্বাচন বানচাল করা? নাকি এই অঞ্চলে হারানো আধিপত্য পুনরুদ্ধার। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচনের আওয়াজ তুলে যুক্তরাষ্ট্র আবার বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই গুরুত্ব অব্যাহত রাখতেই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তাতেও নির্বাচন প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। আর চিঠির শেষে ‘জয় বাংলা’ লিখে মোনালিসার হাসির মতোই রহস্যের আবহ তৈরি করা হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ না, আওয়ামী লীগকে হটাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামেনি। তাদের বাংলাদেশে কোনো এজেন্ডা নেই। এটি প্রমাণের জন্যই ‘জয় বাংলা’র আবেগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই চিঠি আসলে মার্কিন প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষার প্রকাশ।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
রাজধানীর যানজট
রাজধানীর যানজট
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.)
নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.)
আমার বন্ধু হাসান হাফিজ
আমার বন্ধু হাসান হাফিজ
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
সর্বশেষ খবর
রংপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
রংপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

১ মিনিট আগে | জাতীয়

জয়ী দাবি করলেও হামাসের কাছে পরাজিত নেতানিয়াহু: ইসরায়েলি পত্রিকা
জয়ী দাবি করলেও হামাসের কাছে পরাজিত নেতানিয়াহু: ইসরায়েলি পত্রিকা

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নগদ অর্থ লেনদেনে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের
নগদ অর্থ লেনদেনে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নীলফামারীতে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত
নীলফামারীতে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৬৭
সিলেটে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৬৭

১৮ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করতে চায় অস্ট্রেলিয়া
জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করতে চায় অস্ট্রেলিয়া

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

‌‘খাদ্য, পানি ও জমিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’
‌‘খাদ্য, পানি ও জমিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন, রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন, রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৩
অস্ত্র প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৩

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

৩৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

৩৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৩
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ৩

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে : দুদু
নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে : দুদু

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষকরা
যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষকরা

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘অর্থনীতি শুধু ধনীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবহৃত হলে সত্যিকারের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না’
‘অর্থনীতি শুধু ধনীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্যবহৃত হলে সত্যিকারের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না’

৪২ মিনিট আগে | নগর জীবন

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

৪৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চম্পকনগর কলেজে নবীণবরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চম্পকনগর কলেজে নবীণবরণ

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসান আর নেই
তিন গোয়েন্দার স্রষ্টা রকিব হাসান আর নেই

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

মানসিক রোগও মানুষ পেয়েছে পূর্ব পুরুষ থেকে!
মানসিক রোগও মানুষ পেয়েছে পূর্ব পুরুষ থেকে!

৫২ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, মাহী বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, মাহী বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

কাঁচা সড়কে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
কাঁচা সড়কে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নারী ও শিশুবান্ধব দল: সেলিমা রহমান
বিএনপি নারী ও শিশুবান্ধব দল: সেলিমা রহমান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়ানডের শীর্ষ অলরাউন্ডার এখন ওমরজাই, বোলার রশিদ
ওয়ানডের শীর্ষ অলরাউন্ডার এখন ওমরজাই, বোলার রশিদ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় হাত ধোয়া দিবস পালিত
গাইবান্ধায় হাত ধোয়া দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাগুরায় শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
মাগুরায় শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আলঝেইমার কি আদৌ মস্তিষ্কের রোগ?
আলঝেইমার কি আদৌ মস্তিষ্কের রোগ?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে কারণে ৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ করল চীন
যে কারণে ৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ করল চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গোপন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের গোপন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কাল এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
কাল এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে চলন্ত বাসে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল ২০ যাত্রীর
ভারতে চলন্ত বাসে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল ২০ যাত্রীর

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের
মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ গেল বাংলাদেশি শ্রমিকের

১৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন
মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

অসহায় জনগণ কষ্টে আছে
অসহায় জনগণ কষ্টে আছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা