শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

‘জয় বাংলা’ লিখে জো বাইডেনের চিঠি এবং মোনালিসার হাসি

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
‘জয় বাংলা’ লিখে জো বাইডেনের চিঠি এবং মোনালিসার হাসি

২৭ মার্চ রাতে বন্ধু সম্পাদকের ফোন। ফোনে তিনি জানালেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ চিঠি। সম্পাদক বললেন, ‘নানা কারণে এ সময়ে এ চিঠি গুরুত্বপূর্ণ।’ ব্যস এটুকুই। আমি বিভিন্ন সংবাদপত্রের অনলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির বিবরণ পড়লাম।  চিঠিতে গুরুত্বপূর্ণ কী আছে তা খুঁজে বের করার আগেই একজন বিএনপিপন্থি শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীর ফোন। তিনি বললেন, বাইডেনের চিঠি দেখেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার আলটিমেটাম দিয়েছে। এবার আর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না। এ কথা বলতেই তিনি বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ঘটালেন। পরদিন সকালে কেবল অফিসে কাজ শুরু করেছি। এরকম সময় আওয়ামী লীগের এক নেতার উচ্ছ্বসিত ফোন। বাইডেনের চিঠি দেখছেন? শেষে দেখেন ‘জয় বাংলা’ বলছে। আর নেত্রীর কী প্রশংসা। ভালো করে পড়েন। এরপর হাসির ফোয়ারার সঙ্গে তার কণ্ঠস্বর মিলে এক কলতান হলো। বললেন, ‘এখন তো আমেরিকাও লাইনে। বিএনপির কী হবে?’ বলেই আবারও বেমক্কা হাসির দমকা হাওয়া। রমজান মাসে এত উচ্চৈঃস্বরে না হাসাই ভালো-এমনটা আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফোন রাখলাম। মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি তো একটাই। এই একই চিঠি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই পক্ষকেই খুশি করেছে। দুই পক্ষই মনে করছে এ চিঠির বার্তা তাদের পক্ষে। চিঠির কী ক্যারিশমা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলই এ চিঠিকে তাদের বিজয় মনে করছে। এ যেন ৫০০ বছর আগের মোনালিসার ছবির হাসির রহস্যের মতো। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৫০৩ ও ১৫০৪ সালে এ বিখ্যাত ছবি আঁকা শুরু করেন। এক ধনী ফ্লোরেনটাইন ব্যবসায়ীর অনুরোধে তিনি এ শিল্পকর্মটির কাজ শুরু করেছিলেন। সে ব্যবসায়ী তার স্ত্রী লিসা দেল গেরাদিনির একটি প্রতিকৃতি চেয়েছিলেন। নামকরণের সময় সেকালে ইতালিতে ‘মোনা’ অর্থাৎ ম্যাডোনা নারীর সম্বোধন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন যেমন মিস বা মিসেস ব্যবহার করা হয়। মোনাকে লিসার সঙ্গে যুক্ত করেই ছবির নামকরণ ‘মোনালিসা’ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। লিওনার্দো ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চিত্রকল্পটি নির্মাণ করেন। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’ বিশ্বব্যাপী আলোচিত, আকর্ষণীয় হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রহস্যময় ‘হাসি’। ভিঞ্চি দৃষ্টিকোণ এবং ছায়ার কাজের মাধ্যমে এমন একটি অনন্য হাসি তৈরি করেন, যা এক ধরনের অপটিক্যাল ইলিউশন তৈরি করে। দর্শক যখনই মোনালিসার চোখের দিকে তাকান, মুখ হাসির মতো দেখায়। কিন্তু যখন দর্শকের দৃষ্টি হাসির ওপর স্থির হয়, এটি অদৃশ্য হয়ে যায়। আবার মোনালিসার হাসির দু’রকমের ব্যাখ্যা আছে। কেউ মনে করেন এটি একটি সুখী হাসি। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন মোনালিসার হাসি দুঃখের। ৫০০ বছর ধরে এই অমীমাংসিত বিতর্ক চলছে। জো বাইডেনের চিঠিও যেন তেমনি। এই চিঠির বার্তা এবং উদ্দেশ্য এক রহস্য তৈরি করেছে। এই চিঠির মর্মার্থ কী ছিল, তা নিয়ে বিতর্ক চলবে বহুদিন। অন্তত আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তো বটেই।

প্রথমেই আমার মধ্যে যে জিজ্ঞাসা বুদবুদ করে উঠল, তা হলো এই যুগে চিঠি কেন? স্বাধীনতা দিবসে জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করতে পারতেন। বাইডেনের পক্ষ থেকে ‘হোয়াইট হাউস’ বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিতে পারত। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউস সচরাচর এরকম বিবৃতি দিয়ে থাকে। কদিন আগেই বাংলাদেশের বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছাসংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এ ধরনের উৎসবে শুভেচ্ছা কার্ড বা স্মারকও প্রেরণ করেন। কিন্তু তা না করে বাইডেন সরাসরি চিঠি লিখলেন কেন? রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘প্রামাণ্যকরণ’ বা ‘ডকুমেন্টেশন’ বলে একটি শব্দ বহুল প্রচলিত। ডকুমেন্টেড করে রাখা বা ভবিষ্যতের জন্য রেকর্ড রাখা একটি রাজনৈতিক কৌশল। হোয়াইট হাউস কি এটি ভবিষ্যতের রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে চায়? এ জন্য তাদের ইচ্ছার কথা লিখিত চিঠির আকারে পাঠানো হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে বা যার পক্ষেই এই চিঠি লেখা হোক যুক্তরাষ্ট্র এটিকে প্রামাণ্যকরণ করতে চেয়েছে। এই চিঠিকে ঘিরে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন প্রটোকল সংক্রান্ত। প্রেসিডেন্ট সাধারণ শুভেচ্ছা, শোকবার্তা বা অন্য কোনো বার্তা পাঠাবেন তার কাউন্টার পার্টকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যদি নিখাদ শুভেচ্ছা বার্তাই পাঠানো হয়, সেটি তো পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতিকে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। এক্ষেত্রে যুক্তি অবশ্য আছে। যেহেতু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেদেশে প্রধান নির্বাহী আবার বাংলাদেশে নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তাই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেশের প্রধান নির্বাহীকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বার্তা দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই এই চিঠি নিছক, নির্ভেজাল শুভেচ্ছা নয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এ জন্যই বাইডেন মহাশয়, রাষ্ট্রপতিকে না দিয়ে চিঠিটি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

চিঠিসংক্রান্ত আমার আরও এক বিভ্রম আছে। ২১ মার্চ বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। শুভেচ্ছা বার্তাটি পাঠানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সাধারণত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালে বা টেলিফোন করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রকাশ করে, প্রচার করে। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ফোনের কথা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই প্রকাশ করা হয়েছিল। বিভিন্ন দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন, শুভেচ্ছা বাণী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। আবার জাতিসংঘ মহাসচিবের শুভেচ্ছা বাণী কিংবা আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের যোগাযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তথ্য দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু ২১ মার্চে জো বাইডেনের চিঠির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কেউ। না প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি মনে করেছে, এটি গুরুত্বহীন বিষয়, তাই গণমাধ্যমে এটা জানানোর প্রয়োজন নেই। অথবা এই চিঠি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্বস্তি রয়েছে। তারা এর প্রচার চায়নি। ধারণা করা যায়, মার্কিন দূতাবাস ২৭ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। বাইডেনের চিঠিটি যেহেতু ২৬ মার্চ উপলক্ষে। তাই উপলক্ষ লগ্ন শেষ হওয়ার পর মার্কিন দূতাবাস আর বিলম্ব করেনি। তারা পুরো চিঠিটা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ এই চিঠিটি সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেতাদুরস্ত কর্মকর্তাদের কাছে গুরুত্বহীন হলেও বারিধারায় মার্কিন কূটনীতিকদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই বার্তাটি জনগণের কাছেও পৌঁছে দিতে চেয়েছে। এ জন্য চিঠিটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে মার্কিন দূতাবাস।

এই চিঠি নিয়ে আমার আরেকটি জিজ্ঞাসা হলো, চিঠিটি কেন ২১ মার্চে পাঠান হলো? কেন ২৬ মার্চ নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। বলা হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতেই এই চিঠি। তাহলে পাঁচ দিন আগে কেন শুভেচ্ছা বার্তাসংবলিত চিঠি। এর একটি কারণ আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। ২০ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পরদিনই বাইডেন এই চিঠি পাঠান। মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশ সম্পর্কে অতিরঞ্জন করা হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত এবং যুক্তিহীনভাবে বেশ কিছু বিষয়ে দোষারোপ করা হয়েছে সরকারকে। ওই রিপোর্টে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি। এটি কি সম্পূরক? স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা আসলে স্রেফ ‘উসিলা’। আসলে মানবাধিকার রিপোর্টের আলোকে মার্কিন প্রত্যাশা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন জো বাইডেন। সে জন্যই এই চিঠি। এরকম ধারণার পক্ষে আরও যুক্তি আছে। ২১ মার্চ এই চিঠির পরদিন ২২ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। স্যুট কোট পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছয় নেতা মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হন। সেখানেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন। নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় সে প্রত্যাশা ও মার্কিন আকাক্সক্ষার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তাহলে জো বাইডেনের চিঠি কি এক ধরনের চাপ? আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায় আনুষ্ঠানিক জানিয়ে দেওয়া। স্বাধীনতা দিবসকে আসলে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া বা অভিমত জানানোর জন্য একটি দিবস হিসেবে কেবল বেছে নেওয়া হয়েছে?

এবার এই চিঠির মর্মার্থ বা ভাবার্থ খুঁজে দেখার চেষ্টা করা যেতে পারে। চিঠির তাৎপর্য এবং এর উদ্দেশ খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক চিঠিতে কী আছে। জো বাইডেনের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার মূল্য গভীরভাবে বোঝে। কারণ তারা ১৯৭১ সালে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণে এবং নিজেদের ভাষায় কথা বলার অধিকার পেতে সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিল।’ চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ উভয়ই গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখায় এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমন সময় দাঁড়িয়ে দুই দেশের জনগণের গণতন্ত্র, সমতা, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।’ বাইডেনের চিঠিতে, শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রী পর্যায়ে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের যৌথ আয়োজনের জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তা বৈশ্বিক মহামারি নির্মূলে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করেছে।’ চিঠিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রশংসা করা হয়েছে। চিঠির শেষাংশে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের বেশি সময়জুড়ে কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দুই দেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলা, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অংশীদারিত্ব ও সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি অঙ্গীকার। উদযাপনের এই দিনটিতে আপনার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভ কামনা। জয় বাংলা।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশের জনগণ, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাক্সক্ষার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেই প্রত্যাশা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠিতে খোলামেলাভাবে বলা হয়েছে। তবে এটি প্রত্যাশা না আদেশ তা মোনালিসার হাসির মতোই রহস্যময়।

দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব এবং সাফল্য চিঠিতে খানিকটা তুলে ধরা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নেতৃত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে চিঠিতে।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে চিঠির দুটো বিষয় বাংলাদেশের রাজনীতির আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। একটি হলো, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু আগামী নির্বাচন।’ আর চিঠির শেষে ‘জয় বাংলা’। বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের বিশ্বাস, এবার নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত সিরিয়াস। তারা যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক অবাধ, সুষ্ঠু দেখতে চায়। বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া সেটি সম্ভব নয়। বিএনপি নেতা-কর্মীদের এরকম বক্তব্যের পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাগাতারভাবে নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান এখন স্পষ্ট। সর্বশেষ মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই নির্বাচনে ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগামী নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটালেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ভোটের এই লড়াই পরিচালনা করে বা রেফারির দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন। তাই সব পক্ষের ক্রিয়াশীল এবং দায়িত্বশীল আচরণের ওপর নির্ভর করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বিএনপি বলছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এই দাবিতে অনড় থেকে তারা যদি আগামী নির্বাচন থেকে দূরে থাকে, তাহলে সেটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একটি রাজনৈতিক দল এরকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। প্রশ্ন হলো, বিএনপি এবং কয়েকটি দল যদি নির্বাচন বর্জন করে তাহলে সেই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হবে না? আবার একইভাবে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী দলগুলো যদি ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। তাহলে এই অচলাবস্থায় নির্বাচন কীভাবে হবে? আওয়ামী লীগ বা বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না, তাই দেশের জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে দূরে রাখা কি গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত হবে? নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনিচ্ছুক দলগুলোকে বাদ দিয়ে যদি নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। জনগণ যদি শান্তিপূর্ণভাবে এবং বাধাহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেয় তাহলে সেই নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হবে না? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পরিষ্কার হওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে মার্কিন ব্যাখ্যা জানাটাও প্রয়োজন। তা না হলে গণতন্ত্রকে যে কেউ জিম্মি করতেই পারে। যে চেষ্টা এখন দৃশ্যমান। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বাংলাদেশে ভোটের হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্যই বিএনপি। তাই বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে নির্বাচনের আমেজ এবং আকর্ষণ অনেক কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের ফলাফল কী হতে যাচ্ছে, তা বুঝতে পেরে অনেক ভোটার ভোট দিতে উৎসাহ হারাবেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সহজ। আর এই সহজ কৌশলেই ভরসা রেখেছে ১৬ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। বিএনপি মনে করছে, আগামী নির্বাচন যদি তারা বয়কট করে তাহলেই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি নির্বাচনের আগেই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। তাহলে আগামী নির্বাচন যেন না হয় সে জন্য কি একটি মহল সক্রিয়? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের পেছন থেকে সমর্থন দিচ্ছে? এ জন্যই কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি দিয়ে ইঙ্গিত দিলেন যে, সব দল অংশ না নিলে সেই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র মানবে না। এখন বিএনপি হাত-পা গুটিয়ে থাকলেই অনির্বাচিত সরকার এবং অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা দখলের পথ তৈরি হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, তাদের উচিত বিএনপির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বর্তমান সংবিধান এবং নির্বাচনসংক্রান্ত আইনে কী ধরনের ব্যবস্থা আছে। কোথায় কোথায় নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা আছে। কীভাবে নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করা দরকার। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র কথা বলতে পারে। কিন্তু সেসব কিছুই না করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব একা ক্ষমতাসীন দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে আমি মনে করি।  বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করতে হবে, এরকম বক্তব্যের আড়ালে আসলে নির্বাচন বানচাল করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনার কোনো ষড়যন্ত্র চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাঁকডাকের আসল উদ্দেশ কি নির্বাচন বানচাল করা? নাকি এই অঞ্চলে হারানো আধিপত্য পুনরুদ্ধার। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচনের আওয়াজ তুলে যুক্তরাষ্ট্র আবার বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই গুরুত্ব অব্যাহত রাখতেই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তাতেও নির্বাচন প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। আর চিঠির শেষে ‘জয় বাংলা’ লিখে মোনালিসার হাসির মতোই রহস্যের আবহ তৈরি করা হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ না, আওয়ামী লীগকে হটাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামেনি। তাদের বাংলাদেশে কোনো এজেন্ডা নেই। এটি প্রমাণের জন্যই ‘জয় বাংলা’র আবেগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই চিঠি আসলে মার্কিন প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষার প্রকাশ।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

১৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১২ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
পিপিআর লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডে কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই
আইপিও রুলস করার আগে আলোচনা চায় ডিএসই

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর
গাজা থেকে হামাসকে বের করে দেওয়ার আহ্বান নেতানিয়াহুর

পূর্ব-পশ্চিম

অপ্রতিরোধ্য দীপিকা
অপ্রতিরোধ্য দীপিকা

শোবিজ

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন
কিলিং মিশন বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের
জাপানের সিফুডে ফের নিষেধাজ্ঞা চীনের

পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল
খায়রুনকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ফজল

শোবিজ