মিয়ানমার বিশ্ব জনমতকে বিভ্রান্ত করতে হঠাৎ করে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের তোড়জোড় শুরু করলেও এ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতনের ভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সেনা অভিযানের মুখে। অনেক টালবাহানার পর মিয়ানমার প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে নেওয়ার পাইলট প্রকল্প নিয়েছে। বিশ্ব সমাজের চাপ কমাতে তারা যে লোক দেখানো প্রকল্প নিয়েছে তাতে আগামী ৫০ বছরেও সব রোহিঙ্গার স্বদেশে ফেরা সম্ভব হবে না। মনে করা হচ্ছে, চলতি এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক বিচার ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে সুবিধাজনক অবস্থান পেতেই ‘লোক দেখানো তৎপরতা’ শুরু করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। সামরিক সরকারপন্থি গণমাধ্যমগুলোর খবর, মিয়ানমার সরকার আগামী মাসে বাংলাদেশ থেকে ১৫০০ রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য ১৫টি নতুন গ্রাম তৈরি করতে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা। ৭৫০টি প্লটের ওপর গ্রামগুলো প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ-ফেরত রোহিঙ্গাদের প্রথমে দুই মাসের জন্য হ্লা ফো খাউং অন্তর্বর্তী শিবিরে রাখা হবে। এর আগে মংডু শহরের তাউং পিয়ো লেটওয়ে ও নাগার খু ইয়া শরণার্থী শিবিরে তাদের যাচাই করা হবে। পরে তাদের নতুন গ্রামে পাঠানো হবে। জান্তা সরকারের তথ্য উপমন্ত্রী মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেছেন, একটি পাইলট কর্মসূচির আওতায় প্রত্যাবাসন কাজ চলবে। এপ্রিলের মাঝামাঝিই এটি শুরু হতে পারে। পাইলট প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে আরও ৫ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের কোনো আগ্রহ আছে কি না তা একটি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। এ ব্যাপারে যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তা মোটেও সুনির্দিষ্ট নয়। সবচেয়ে বড় কথা, রোহিঙ্গারা এমন প্রত্যাবাসনে আস্থা রাখতে পারছে না। জাতিসংঘ এবং দাতা সংস্থাগুলোও মিয়ানমারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দিহান। আমাদের বিশ্বাস, সরকার মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন প্রকল্পে সায় দিলেও তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। অতি দ্রুত সব রোহিঙ্গা যাতে দেশে ফিরতে পারে সে ব্যাপারে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
শিরোনাম
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল
- রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
- ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর
- ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী
- মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক
- এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
- বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন
- বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ
- দেশ মহাসংকটের দিকে এগুচ্ছে: এম. এ. মতিন
- শিয়ালবাড়ির সেই গুদামে প্রাণঘাতী মাত্রায় হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস
- ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় শ্রমিকদের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে: শফিকুর রহমান
- জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি থাকলে ভালো লাগত : আসিফ নজরুল
- হজের নিবন্ধন : কিছু ব্যাংক খোলা থাকবে শনিবার
- দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় লেখক বেক সে-হি মারা গেলেন, কিন্তু বাঁচালেন পাঁচজনকে
- ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে কাজ করতে হবে : আমীর খসরু
- নতুন তারকার খোঁজে বসুন্ধরা কিংস একাডেমি
- কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে মহাসড়কে পাঁচ হাজার মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী হবে : সালাহউদ্দিন
- জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
মিয়ানমারের আন্তরিকতাই প্রশ্নবিদ্ধ
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
সর্বশেষ খবর

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম