বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডলার সংকট

হুন্ডি বন্ধের উদ্যোগ নিন

ডলার সংকটে ভুগছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে গম, ভুট্টা, ডাল, চিনি ভোজ্য তেলের বেশির ভাগ আসে বিদেশ থেকে। চালের আমদানিও কম নয়। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়ায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। আমদানির তুলনায় রপ্তানি এবং প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্য হারে না বাড়ায় গত বছর দেশে ডলারের যে সংকট দেখা দেয় তা এখনো দাপট দেখিয়ে চলছে। সংকটের সুযোগে অনেক ব্যাংক বাড়তি দামে ডলার কেনাবেচা করছে। ডলার সংকট নিরসনে আগামী বাজেটে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার পক্ষের দাবি, ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এমন ভাষ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের। খাদ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, সারসহ প্রয়োজনীয় জরুরি পণ্য আমদানির জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে ৫ হাজার ৩৮৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় দুই উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আমদানি ব্যয়ের চেয়ে কম। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দায় পশ্চিমা দেশগুলোর বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় মার্চে রপ্তানি আয় ২.৪৯ শতাংশ কমে ৪.৬৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি হলেও আমদানি ব্যয় বেড়েছে আরও বেশি। ফলে ডলার সংকট অনিবার্য হয়ে উঠছে। ডলার সংকটে নিত্যপণ্য আমদানিতে এলসি খুলতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।  এ জন্য অনেকাংশে দায়ী হুন্ডির রমরমা অবস্থা। ব্যাংক থেকে ডলার সংগ্রহ কঠিন হলেও যে কারও পক্ষে টাকা দিলেই বিপুল পরিমাণ ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিছু ব্যাংকের কারসাজি রয়েছে এমন অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। সংকট মোচনে রপ্তানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। রেমিট্যান্সের অর্থ যাতে বৈধ পথে আসে তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর