শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

অতি সম্প্রতি বঙ্গবাজারের বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে মন ক্ষতবিক্ষত। কিছুই ভালো লাগছে না। আসলে ভারাক্রান্ত বিক্ষুব্ধ মন নিয়ে সুস্থভাবে কোনো কিছুই করা যায় না। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল আমাদের মায়ের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইফতার করতে গ্রামের বাড়ি মায়ের কবরে গিয়েছিলাম। পবিত্র মিলাদ শরিফ পাঠ করে ইফতারে বসেছিলাম। ইদানীং আমি মাটিতে বসতে পারি না, পায়ে লাগে। চেয়ারে বসেই নামাজ আদায় করি। ছাতিহাটিতেও তাই করেছি। আমরা চার-পাঁচ শ রোজাদারের ইফতারির কথা ভেবেছিলাম। যা ভেবেছিলাম সে রকম রোজাদার উপস্থিত হয়েছিলেন। বাচ্চা রোজাদাররা হাজির হয়েছিল সব থেকে বেশি। মসজিদের আশপাশের বাড়ি থেকে আমার জন্য এত ইফতারি এসেছিল যা মোটেই বলার মতো নয়। মায়ের মৃত্যুদিনে ছাতিহাটিতে সুন্দরভাবে ইফতারি হওয়ায় মনটা বেশ হালকা ফুরফুরে লাগছিল। ৭ তারিখ ১৫ রমজান ছিল সখিপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইফতার। অসাধারণ লোকসমাগম হয়েছিল। ব্যবস্থাপনাও ছিল চমৎকার। সবুর, লাল মিয়া, সানোয়ার অসম্ভব খাটাখাটি করেছে। তার ফলও পেয়েছে। গত কয়েক বছর অত সুন্দর ইফতার হয়নি। সখিপুরে যেন প্রতিযোগিতা লেগেছিল কয়েক বাড়ি থেকে ইফতারি আনার। আমার সামনে অনেকটা জায়গা ভরে গিয়েছিল। যে ইফতারি দল থেকে দেওয়া হয়েছিল তিনজনকে বিলিয়ে বাকিটুকু খাবার চেষ্টা করেছি। আমার জন্য আনা ইফতারি সবই ঢাকায় নিয়ে এসেছিলাম। এসে দেখি এলাহি কারবার! বেশ কদিন আগে মৃণালকান্তি দাসের মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে মালপোয়া আর লুচি ছিল প্রধান খাবার। বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার টেবিলে বসেছিলাম। তারা বেশ যতœ করে খাইয়ে ছিল। বাড়ি এসে যখনই বলছিলাম মালপোয়া আর লুচি খেয়ে এলাম। আমার স্ত্রীর মালপোয়ার প্রতি দারুণ ঝোঁক। খুব ভালোবাসেন মালপোয়া। কীভাবে যেন মৃণালকে বলেছিলাম, তোমার ভাবি মালপোয়া খেতে চেয়েছেন। এসে দেখি মালপোয়া, লুচি, সবজি, ডাল টেবিল ভর্তি। কম করে ১০০ জনের খাবার তো হবেই। এত কিছুর পরও বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা কেন জানি কোনোমতেই ভুলতে পারছিলাম না। আল্লাহর দুনিয়ায় এমনই হয়। ‘সকালবেলার আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা’ বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান শুনেছিলাম। এবার চোখের সামনে দেখলাম। যারা সন্ধ্যাবেলায় কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক তারাও রাত পোহালেই ফকির হয়ে গেছে। এটাই আল্লাহর বিচার। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা আমির বানাতে পারেন, যাকে ইচ্ছা ফকির বানাতে পারেন- এটা তারই প্রমাণ। এই যে হাজার হাজার ব্যবসায়ী এক মুহূর্তে আমির থেকে ফকির হয়ে গেল এর প্রতিকার কী? বাংলাদেশে কখনো ৫০টি আগুন নেভানোর গাড়ি একত্রে কাজ করেনি। প্রথম বলা হয়েছে আগুন নেভাতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা লেগেছে। নির্বিবাদে সাড়ে ছয় ঘণ্টা কোনো আগুন জ্বলতে পারলে সে তো সারা দেশ ছারখার করে দিতে পারে। এ আগুন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না, কেন অত সময় লাগল? ফায়ার সার্ভিসওয়ালারা বলেছেন, মানুষের ভিড় ও পানির অভাব। এত বড় শহর, হাজার হাজার কোটি টাকা রাতদিন খরচ হচ্ছে, কেন ফায়ার সার্ভিসের জন্য পানির লাইন করা হলো না? পৃথিবীর বহু দেশে নাগালের মধ্যে পানির ব্যবস্থা থাকে, আমাদের কেন নেই? কিছু লোক আবার ক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে মারধর করেছে। জানি আমাদের দেশে কিছু লোক আছে ভালো কিছুতে হাত লাগাবে না, অকামে তেজ দেখাবে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। এসবের কোনো মানে হয় না। এখন প্রশ্ন আসে, আগুন কীভাবে লাগল? এ কি শুধু একটি দুর্ঘটনা? দুর্ঘটনা হলে আগুন এতটা ছড়াল কী করে? যদি দুর্ঘটনা না হয় তাহলে কীভাবে আগুন লাগল? কেউ কি আগুন লাগিয়েছে? পত্রপত্রিকায় দেখলাম মোটরসাইকেলে এসে কে না কে আগুন দিয়ে গেছে। আবার অনেকে বলছেন, বিরোধী দল সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য করেছে। কোনটা সত্য? যারা আগের রাতেও হাসিখুশি সম্পদশালী ছিল তারা সবাই শেষ হয়ে গেছে। কতদিন লাগবে উঠে দাঁড়াতে সে শুধু দয়াময় আল্লাহই জানেন। অন্য কারও পক্ষে জানার কথা নয়। এর মধ্যে আবার কতজন উঠে দাঁড়াতে পারবে বলা মুশকিল। কিছু লোক নিশ্চয়ই দাঁড়াবে। কিন্তু সবাই না। তবে আমার জীবনের দেখা থেকে বলতে পারি, যে জায়গায়ই আগুন জ্বলেছে সে জায়গায় ছনের ঘর টিনের হয়েছে, টিনের ঘর দালান হয়েছে। বঙ্গবাজার আবার আগের চাইতে অনেক বেশি পূর্ণতা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে। কিন্তু যারা সর্বস্বান্ত হয়েছে তাদের কী হবে? সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিরোধীরা যদি এ কাজ করে থাকে তাহলে তা যেমন জঘন্য, তেমনি বিরোধী দলকে চাপে ফেলবার জন্য সরকার বা সরকারি দল যদি এমনটা করে থাকে তাহলে সেটাও মারাত্মক ঘৃণার কাজ। তাই ব্যাপারটা খুব সতর্কভাবে তলিয়ে দেখা দরকার। তা না হলে যদি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অগ্নিকান্ড হয়ে থাকে তাহলে বড় মারাত্মক ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর সময়ও এমনটা হয়েছিল। একের পর এক ঘরদুয়ার জ্বালাও-পোড়াও, পাটের গুদামে আগুন, কলকারখানা পুড়ে ফেলা, আরও অনেক কিছু। একইভাবে বিস্ফোরণ সেখান থেকে আগুন জ্বলা এর যদি শিকড় খুঁজে বের করা না হয় তাহলে দেশের জন্য বড় মারাত্মক চিন্তার কারণ। এ রকম দুশ্চিন্তা নিয়ে দেশের মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে না। তাই ব্যাপারটা ফয়সালা হওয়া দরকার। সরকার মাঝেমধ্যেই বলে, তাদের কাছে সব খবর আছে। তা যদি সত্য হয় তাহলে এর শেষ কোথায় এটা বের করা দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ হতেই থাকবে এবং দেশে এক মারাত্মক অরাজকতা দেখা দেবে। তাই এ ঘটনাকে হেলাফেলা করা যাবে না। এটার একটা প্রতিকার অবশ্যই করতে হবে। তা না হলে সুদূর ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।

এই জগৎসংসারে হাজারো রকমের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষ বিপর্যস্ত হয়। ঝড়-তুফান-বন্যা নানা রকমের বিপর্যয় হতে পারে। ’৮৮ সালের বন্যায় মিরপুরে দোতলা পর্যন্ত পানি উঠেছিল। এরশাদের সময় টঙ্গী থেকে মিরপুর হয়ে একটি বেড়িবাঁধ হওয়ায় টঙ্গী-উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত লাখো মানুষ বন্যার হাত থেকে অনেকটাই বেঁচে গেছে। গত বন্যায়ও দেখেছি, বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে পানি ছুঁইছুঁই করছে, অথচ ভিতরের দিকে ১৫-২০ ফুট নিচেও কোনো পানি নেই। তাই যে কোনো দুর্ঘটনা, যে কোনো বিপর্যয় ঘটার পরও কিছু না কিছু খুঁজে পাওয়া যায়। বন্যা হলে অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পড়ে থাকে, জিনিসপত্র থাকে। কিন্তু আগুনে ধরলে কিছুই থাকে না। সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই আগুন থেকে বাঁচার জন্য আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা উচিত। আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করা উচিত। বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে মনে হয় প্রথম হেলিকপ্টার থেকে পানি ছড়ানো হয়েছে। যেভাবে যে পরিমাণ পানি হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হয়েছে তা হয়তো পর্যাপ্ত হয়নি। পরিমাণে আরও বেশি এবং নিরন্তর ছিটাতে পারলে তবেই কিছুটা কার্যকর ফল পাওয়া যেত। আর আগুনের লেলিহান শিখা যতটা উপর পর্যন্ত উঠেছিল তাতে হেলিকপ্টারগুলো খুব একটা নিচে নেমে আসতে পারেনি। বেশ দূর থেকে পানি ছড়াতে হয়েছে। এটা যদি আরও কাছ থেকে ছড়ানো যেত তাহলে আরও বেশি ফল হতো। যে ট্যাংকগুলো দিয়ে পানি ছিটানো হয়েছে সেই ট্যাংকগুলোর রশি আরও লম্বা করে দিলেই নিচে থেকে পানি ছিটানো যেত। হেলিকপ্টার থেকে আরও বেশি পানি ছিটাতে পারলে এবং হেলিকপ্টারের সংখ্যা আরও বেশি হলে একটার পর একটা হেলিকপ্টার যদি পানি ছড়াতে পারত তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসত। এক হেলিকপ্টারের পানি ছেড়ে যাওয়ার পর আরেক হেলিকপ্টার এসে যখন পানি ছেড়েছে উভয় হেলিকপ্টারের মাঝে যে সময়ের দূরত্ব তাতে সে পানি কোনো কাজই করতে পারেনি। আরও ঘন ঘন আরও লম্বা তার থেকে পানি ছড়াতে পারলে অবশ্যই এর চাইতে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যেত। কিছুদিন আগে প্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগুন নেভানো নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সেটা ছিল ১০-১৫ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন তা অনেকটাই সংগ্রহ করা গেছে। বঙ্গবাজারে আগুনের সময় দেখলামও অনেক যন্ত্রপাতি। কিন্তু পানির জন্য অনেক যন্ত্রপাতিই তেমন কাজে দেয়নি। ফায়ার ফাইটারদের যেসব আধুনিক জিনিসপত্র থাকা দরকার তারও অনেক অভাব দেখা গেছে। আর সেদিন সকালের দিকটায় এত বাতাস ছিল যা অভাবনীয়। সব সময় বাতাসের কারণে আগুনের শক্তি বৃদ্ধি হয়। ভবিষ্যতে যাতে আমরা এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত না হই তার জন্য ঘরদুয়ার দালানকোঠা তৈরিতে যেমন সতর্ক হওয়া উচিত তেমনি শত সতর্কতার পরও যদি কোথাও অগ্নিকান্ড ঘটে তাহলে যেন সহজেই তা নিভিয়ে ফেলা যায় সে রকম প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষিত আরও লোকজন তৈরি করা দরকার। আগুনের সঙ্গে লড়াই করবার মতো জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ থাকলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আমাদের দেশ যতদিন থাকবে আগুন নেভানো বা অন্য কোনো কাজকর্মে আমাদের দেশে উৎসুক জনতার কোনো দিন অভাব হবে না। পৃথিবীর দু-তিনটি মহাদেশের সম্মিলিত জনসংখ্যার চাইতেও আমাদের দেশের লোকসংখ্যা বেশি। তাই উৎসুক জনতার ওপর বিরক্ত হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। আমাদের সব সময় এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই অগ্রসর হতে হবে।  এ দুর্যোগ দুর্বিপাকে বেদনাহত মন নিয়েই অন্য একটি বিষয় পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে চাই। আজ বেশ কয়েক বছর যাবৎ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এর জন্য আন্দোলন চলছে। ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা খুব একটা সুসংগঠিত নয়। তাই তারা তাদের ন্যায্য দাবিও আদায় করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করছে, মিছিল করছে, ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না। অনেক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। সেটা ’৯০-এর দিকে ৩০ বছর করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছরের নিচে। এখন সেটা ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। যেহেতু বয়সসীমা বেড়েছে চাকরিতে বয়স বাড়ানো হয়েছে সেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়বে না? তা ছাড়া আমাদের দেশে অনেক দিন থেকেই সুস্থভাবে লেখাপড়া হয় না। এটাওটা জট লেগেই থাকে। নিয়মিতভাবে সেশনজট ছাড়া পাস করলে চাকরিতে প্রবেশের যে সময় শিক্ষার্থীরা পেতে পারে বা পারত তার কিছুই তারা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করতেই অনেকের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায়। এই তো কিছুদিন হলো করোনার জন্য সবকিছুতে ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লেখাপড়ায় যে কত ক্ষতি হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। কীভাবে এক শুভংকরের ফাঁকি দেখানো হয়েছে। ৩৯ মাস করোনার জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। আদতে এটা একটা শুভংকরের ফাঁকি। ৩৯ মাস নয়, নিখুঁতভাবে হিসাবকিতাব করলে দেখা যাবে আট-নয় মাস শিক্ষার্থীরা পেতে পারে। এ রকম ভানুমতীর খেল দেখে দেখে আমাদের সন্তানরা হতাশ হয়ে পড়ছে। জীবনের শুরুতেই যদি আমাদের সন্তানরা এ রকম চরম হতাশায় ভোগে তাহলে সারা জীবন তো পড়েই থাকল। তারা বাকি জীবনে কী করবে? কীভাবে করবে? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয় গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারকেও ভেবে দেখতে বলছি। গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের মূল্য সবার ওপরে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর দৃষ্টি দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে কোনো উপনিবেশের মতো মানুষের প্রতি আচরণ করলে তার ফল কখনো ভালো হতে পারে না। তাই সরকারকেও বলছি শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে। আজকের শিশু কাল জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সঙ্গে দরদি ব্যবহার না করলে শেষ পর্যন্ত আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তাদের সঙ্গে মর্যাদার আচরণ করা উচিত। তারা যদি শিক্ষাজীবনে মর্যাদা আর অমর্যাদা বুঝতে না পারে তাহলে বড় হয়ে কী করবে? তারাও তো দুর্ব্যবহার পেয়ে বড় হয়ে অন্যের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করবে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তাদের কষ্ট তাদের অসুবিধা মুখ ফুটে বলার আগেই অভিভাবকদের বোঝা উচিত।

মাঝেমধ্যেই সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো অ্যাপ্লিকেশন করতে বা আবেদন করতে হাজার-দুই হাজার ফি দিতে হয়। কেন ১০০, ২০০, ২০, ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয় না বা যায় না। সরকার কি চাকরির আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বা করবে? আবার ঘ্যাগের ওপর তারাবাতির মতো একই দিনে ১০-১৫-২০টা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন উচ্চশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে চাকরির দরখাস্ত করেন। তারা কিন্তু এক দিনে একটি বা দুটির বেশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। তাই তারা বাদ পড়ে যান। কর্তৃপক্ষের এ বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত। একজন আবেদনকারী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে আবেদন করেছেন। একই দিনে পরীক্ষা হওয়ায় হয়তো তিনি দুটির বেশিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বা পারেননি। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ করার আছে। তা হলো, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার আন্দোলন যারা করছে তারা খুব বেশি কেউ কোনো দলের নয়। কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা করেছে এমনও খুব একটা নজির নেই। অথচ মাঝেমধ্যেই তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হচ্ছে এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই কদিন আগে আন্দোলনকারী ছেলেমেয়েরা প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার পথে মুক্তা সুলতানা নামে একটি মেয়ের পিঠে পুলিশ এমনভাবে লাথি মেরেছে যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এটা তো কোনো সভ্য সমাজের রীতিনীতি হতে পারে না। আর মেয়ের পিঠে লাথি মানে মায়ের পিঠে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। আমাদের প্রিয় রসুল (সা.) সাহাবাদের বলেছিলেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ তিনবার একইভাবে বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ চতুর্থবার বলেছেন, ‘বাবার পায়ের নিচেও।’ একটি মেয়ে একটি নারীই তো মা। সেই মায়ের গায়ে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। তাই সরকারকেও সহনশীল হতে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীতকরণের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে অনুরোধ করছি। ৩৫ বছর চাকরি প্রবেশের বয়সসীমা এটা মোটেই কোনো অন্যায় নয়, অন্যায় দাবিও নয়। পৃথিবীর বহু দেশে চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা নেই। দু-চারটি দেশে বয়সসীমা আছে তাদেরও অনেকের ৪০-৪৫, কিন্তু ৩০ বছর কোনো দেশে নেই। এমনকি ভারতেও না। হ্যাঁ একমাত্র পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। আমরা কি তাহলে পাকিস্তানকে অনুসরণ করব বা করছি? পাকিস্তান আমাদের পথপ্রদর্শক হতে পারে না। অন্যায়কারী জুলুমকারী নির্যাতক পাকিস্তানকে আমরা কখনো অনুসরণ করতে পারি না। যদি তা করি তাহলে লাখ লাখ শহীদের তপ্ত রক্তের সঙ্গে বেইমানি বা বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই এমন নিন্দনীয় কাজ করব না।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা