শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

অতি সম্প্রতি বঙ্গবাজারের বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে মন ক্ষতবিক্ষত। কিছুই ভালো লাগছে না। আসলে ভারাক্রান্ত বিক্ষুব্ধ মন নিয়ে সুস্থভাবে কোনো কিছুই করা যায় না। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল আমাদের মায়ের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইফতার করতে গ্রামের বাড়ি মায়ের কবরে গিয়েছিলাম। পবিত্র মিলাদ শরিফ পাঠ করে ইফতারে বসেছিলাম। ইদানীং আমি মাটিতে বসতে পারি না, পায়ে লাগে। চেয়ারে বসেই নামাজ আদায় করি। ছাতিহাটিতেও তাই করেছি। আমরা চার-পাঁচ শ রোজাদারের ইফতারির কথা ভেবেছিলাম। যা ভেবেছিলাম সে রকম রোজাদার উপস্থিত হয়েছিলেন। বাচ্চা রোজাদাররা হাজির হয়েছিল সব থেকে বেশি। মসজিদের আশপাশের বাড়ি থেকে আমার জন্য এত ইফতারি এসেছিল যা মোটেই বলার মতো নয়। মায়ের মৃত্যুদিনে ছাতিহাটিতে সুন্দরভাবে ইফতারি হওয়ায় মনটা বেশ হালকা ফুরফুরে লাগছিল। ৭ তারিখ ১৫ রমজান ছিল সখিপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইফতার। অসাধারণ লোকসমাগম হয়েছিল। ব্যবস্থাপনাও ছিল চমৎকার। সবুর, লাল মিয়া, সানোয়ার অসম্ভব খাটাখাটি করেছে। তার ফলও পেয়েছে। গত কয়েক বছর অত সুন্দর ইফতার হয়নি। সখিপুরে যেন প্রতিযোগিতা লেগেছিল কয়েক বাড়ি থেকে ইফতারি আনার। আমার সামনে অনেকটা জায়গা ভরে গিয়েছিল। যে ইফতারি দল থেকে দেওয়া হয়েছিল তিনজনকে বিলিয়ে বাকিটুকু খাবার চেষ্টা করেছি। আমার জন্য আনা ইফতারি সবই ঢাকায় নিয়ে এসেছিলাম। এসে দেখি এলাহি কারবার! বেশ কদিন আগে মৃণালকান্তি দাসের মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে মালপোয়া আর লুচি ছিল প্রধান খাবার। বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার টেবিলে বসেছিলাম। তারা বেশ যতœ করে খাইয়ে ছিল। বাড়ি এসে যখনই বলছিলাম মালপোয়া আর লুচি খেয়ে এলাম। আমার স্ত্রীর মালপোয়ার প্রতি দারুণ ঝোঁক। খুব ভালোবাসেন মালপোয়া। কীভাবে যেন মৃণালকে বলেছিলাম, তোমার ভাবি মালপোয়া খেতে চেয়েছেন। এসে দেখি মালপোয়া, লুচি, সবজি, ডাল টেবিল ভর্তি। কম করে ১০০ জনের খাবার তো হবেই। এত কিছুর পরও বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা কেন জানি কোনোমতেই ভুলতে পারছিলাম না। আল্লাহর দুনিয়ায় এমনই হয়। ‘সকালবেলার আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা’ বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান শুনেছিলাম। এবার চোখের সামনে দেখলাম। যারা সন্ধ্যাবেলায় কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক তারাও রাত পোহালেই ফকির হয়ে গেছে। এটাই আল্লাহর বিচার। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা আমির বানাতে পারেন, যাকে ইচ্ছা ফকির বানাতে পারেন- এটা তারই প্রমাণ। এই যে হাজার হাজার ব্যবসায়ী এক মুহূর্তে আমির থেকে ফকির হয়ে গেল এর প্রতিকার কী? বাংলাদেশে কখনো ৫০টি আগুন নেভানোর গাড়ি একত্রে কাজ করেনি। প্রথম বলা হয়েছে আগুন নেভাতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা লেগেছে। নির্বিবাদে সাড়ে ছয় ঘণ্টা কোনো আগুন জ্বলতে পারলে সে তো সারা দেশ ছারখার করে দিতে পারে। এ আগুন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না, কেন অত সময় লাগল? ফায়ার সার্ভিসওয়ালারা বলেছেন, মানুষের ভিড় ও পানির অভাব। এত বড় শহর, হাজার হাজার কোটি টাকা রাতদিন খরচ হচ্ছে, কেন ফায়ার সার্ভিসের জন্য পানির লাইন করা হলো না? পৃথিবীর বহু দেশে নাগালের মধ্যে পানির ব্যবস্থা থাকে, আমাদের কেন নেই? কিছু লোক আবার ক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে মারধর করেছে। জানি আমাদের দেশে কিছু লোক আছে ভালো কিছুতে হাত লাগাবে না, অকামে তেজ দেখাবে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। এসবের কোনো মানে হয় না। এখন প্রশ্ন আসে, আগুন কীভাবে লাগল? এ কি শুধু একটি দুর্ঘটনা? দুর্ঘটনা হলে আগুন এতটা ছড়াল কী করে? যদি দুর্ঘটনা না হয় তাহলে কীভাবে আগুন লাগল? কেউ কি আগুন লাগিয়েছে? পত্রপত্রিকায় দেখলাম মোটরসাইকেলে এসে কে না কে আগুন দিয়ে গেছে। আবার অনেকে বলছেন, বিরোধী দল সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য করেছে। কোনটা সত্য? যারা আগের রাতেও হাসিখুশি সম্পদশালী ছিল তারা সবাই শেষ হয়ে গেছে। কতদিন লাগবে উঠে দাঁড়াতে সে শুধু দয়াময় আল্লাহই জানেন। অন্য কারও পক্ষে জানার কথা নয়। এর মধ্যে আবার কতজন উঠে দাঁড়াতে পারবে বলা মুশকিল। কিছু লোক নিশ্চয়ই দাঁড়াবে। কিন্তু সবাই না। তবে আমার জীবনের দেখা থেকে বলতে পারি, যে জায়গায়ই আগুন জ্বলেছে সে জায়গায় ছনের ঘর টিনের হয়েছে, টিনের ঘর দালান হয়েছে। বঙ্গবাজার আবার আগের চাইতে অনেক বেশি পূর্ণতা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে। কিন্তু যারা সর্বস্বান্ত হয়েছে তাদের কী হবে? সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিরোধীরা যদি এ কাজ করে থাকে তাহলে তা যেমন জঘন্য, তেমনি বিরোধী দলকে চাপে ফেলবার জন্য সরকার বা সরকারি দল যদি এমনটা করে থাকে তাহলে সেটাও মারাত্মক ঘৃণার কাজ। তাই ব্যাপারটা খুব সতর্কভাবে তলিয়ে দেখা দরকার। তা না হলে যদি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অগ্নিকান্ড হয়ে থাকে তাহলে বড় মারাত্মক ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর সময়ও এমনটা হয়েছিল। একের পর এক ঘরদুয়ার জ্বালাও-পোড়াও, পাটের গুদামে আগুন, কলকারখানা পুড়ে ফেলা, আরও অনেক কিছু। একইভাবে বিস্ফোরণ সেখান থেকে আগুন জ্বলা এর যদি শিকড় খুঁজে বের করা না হয় তাহলে দেশের জন্য বড় মারাত্মক চিন্তার কারণ। এ রকম দুশ্চিন্তা নিয়ে দেশের মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে না। তাই ব্যাপারটা ফয়সালা হওয়া দরকার। সরকার মাঝেমধ্যেই বলে, তাদের কাছে সব খবর আছে। তা যদি সত্য হয় তাহলে এর শেষ কোথায় এটা বের করা দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ হতেই থাকবে এবং দেশে এক মারাত্মক অরাজকতা দেখা দেবে। তাই এ ঘটনাকে হেলাফেলা করা যাবে না। এটার একটা প্রতিকার অবশ্যই করতে হবে। তা না হলে সুদূর ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।

এই জগৎসংসারে হাজারো রকমের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষ বিপর্যস্ত হয়। ঝড়-তুফান-বন্যা নানা রকমের বিপর্যয় হতে পারে। ’৮৮ সালের বন্যায় মিরপুরে দোতলা পর্যন্ত পানি উঠেছিল। এরশাদের সময় টঙ্গী থেকে মিরপুর হয়ে একটি বেড়িবাঁধ হওয়ায় টঙ্গী-উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত লাখো মানুষ বন্যার হাত থেকে অনেকটাই বেঁচে গেছে। গত বন্যায়ও দেখেছি, বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে পানি ছুঁইছুঁই করছে, অথচ ভিতরের দিকে ১৫-২০ ফুট নিচেও কোনো পানি নেই। তাই যে কোনো দুর্ঘটনা, যে কোনো বিপর্যয় ঘটার পরও কিছু না কিছু খুঁজে পাওয়া যায়। বন্যা হলে অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পড়ে থাকে, জিনিসপত্র থাকে। কিন্তু আগুনে ধরলে কিছুই থাকে না। সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই আগুন থেকে বাঁচার জন্য আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা উচিত। আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করা উচিত। বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে মনে হয় প্রথম হেলিকপ্টার থেকে পানি ছড়ানো হয়েছে। যেভাবে যে পরিমাণ পানি হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হয়েছে তা হয়তো পর্যাপ্ত হয়নি। পরিমাণে আরও বেশি এবং নিরন্তর ছিটাতে পারলে তবেই কিছুটা কার্যকর ফল পাওয়া যেত। আর আগুনের লেলিহান শিখা যতটা উপর পর্যন্ত উঠেছিল তাতে হেলিকপ্টারগুলো খুব একটা নিচে নেমে আসতে পারেনি। বেশ দূর থেকে পানি ছড়াতে হয়েছে। এটা যদি আরও কাছ থেকে ছড়ানো যেত তাহলে আরও বেশি ফল হতো। যে ট্যাংকগুলো দিয়ে পানি ছিটানো হয়েছে সেই ট্যাংকগুলোর রশি আরও লম্বা করে দিলেই নিচে থেকে পানি ছিটানো যেত। হেলিকপ্টার থেকে আরও বেশি পানি ছিটাতে পারলে এবং হেলিকপ্টারের সংখ্যা আরও বেশি হলে একটার পর একটা হেলিকপ্টার যদি পানি ছড়াতে পারত তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসত। এক হেলিকপ্টারের পানি ছেড়ে যাওয়ার পর আরেক হেলিকপ্টার এসে যখন পানি ছেড়েছে উভয় হেলিকপ্টারের মাঝে যে সময়ের দূরত্ব তাতে সে পানি কোনো কাজই করতে পারেনি। আরও ঘন ঘন আরও লম্বা তার থেকে পানি ছড়াতে পারলে অবশ্যই এর চাইতে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যেত। কিছুদিন আগে প্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগুন নেভানো নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সেটা ছিল ১০-১৫ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন তা অনেকটাই সংগ্রহ করা গেছে। বঙ্গবাজারে আগুনের সময় দেখলামও অনেক যন্ত্রপাতি। কিন্তু পানির জন্য অনেক যন্ত্রপাতিই তেমন কাজে দেয়নি। ফায়ার ফাইটারদের যেসব আধুনিক জিনিসপত্র থাকা দরকার তারও অনেক অভাব দেখা গেছে। আর সেদিন সকালের দিকটায় এত বাতাস ছিল যা অভাবনীয়। সব সময় বাতাসের কারণে আগুনের শক্তি বৃদ্ধি হয়। ভবিষ্যতে যাতে আমরা এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত না হই তার জন্য ঘরদুয়ার দালানকোঠা তৈরিতে যেমন সতর্ক হওয়া উচিত তেমনি শত সতর্কতার পরও যদি কোথাও অগ্নিকান্ড ঘটে তাহলে যেন সহজেই তা নিভিয়ে ফেলা যায় সে রকম প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষিত আরও লোকজন তৈরি করা দরকার। আগুনের সঙ্গে লড়াই করবার মতো জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ থাকলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আমাদের দেশ যতদিন থাকবে আগুন নেভানো বা অন্য কোনো কাজকর্মে আমাদের দেশে উৎসুক জনতার কোনো দিন অভাব হবে না। পৃথিবীর দু-তিনটি মহাদেশের সম্মিলিত জনসংখ্যার চাইতেও আমাদের দেশের লোকসংখ্যা বেশি। তাই উৎসুক জনতার ওপর বিরক্ত হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। আমাদের সব সময় এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই অগ্রসর হতে হবে।  এ দুর্যোগ দুর্বিপাকে বেদনাহত মন নিয়েই অন্য একটি বিষয় পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে চাই। আজ বেশ কয়েক বছর যাবৎ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এর জন্য আন্দোলন চলছে। ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা খুব একটা সুসংগঠিত নয়। তাই তারা তাদের ন্যায্য দাবিও আদায় করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করছে, মিছিল করছে, ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না। অনেক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। সেটা ’৯০-এর দিকে ৩০ বছর করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছরের নিচে। এখন সেটা ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। যেহেতু বয়সসীমা বেড়েছে চাকরিতে বয়স বাড়ানো হয়েছে সেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়বে না? তা ছাড়া আমাদের দেশে অনেক দিন থেকেই সুস্থভাবে লেখাপড়া হয় না। এটাওটা জট লেগেই থাকে। নিয়মিতভাবে সেশনজট ছাড়া পাস করলে চাকরিতে প্রবেশের যে সময় শিক্ষার্থীরা পেতে পারে বা পারত তার কিছুই তারা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করতেই অনেকের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায়। এই তো কিছুদিন হলো করোনার জন্য সবকিছুতে ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লেখাপড়ায় যে কত ক্ষতি হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। কীভাবে এক শুভংকরের ফাঁকি দেখানো হয়েছে। ৩৯ মাস করোনার জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। আদতে এটা একটা শুভংকরের ফাঁকি। ৩৯ মাস নয়, নিখুঁতভাবে হিসাবকিতাব করলে দেখা যাবে আট-নয় মাস শিক্ষার্থীরা পেতে পারে। এ রকম ভানুমতীর খেল দেখে দেখে আমাদের সন্তানরা হতাশ হয়ে পড়ছে। জীবনের শুরুতেই যদি আমাদের সন্তানরা এ রকম চরম হতাশায় ভোগে তাহলে সারা জীবন তো পড়েই থাকল। তারা বাকি জীবনে কী করবে? কীভাবে করবে? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয় গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারকেও ভেবে দেখতে বলছি। গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের মূল্য সবার ওপরে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর দৃষ্টি দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে কোনো উপনিবেশের মতো মানুষের প্রতি আচরণ করলে তার ফল কখনো ভালো হতে পারে না। তাই সরকারকেও বলছি শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে। আজকের শিশু কাল জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সঙ্গে দরদি ব্যবহার না করলে শেষ পর্যন্ত আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তাদের সঙ্গে মর্যাদার আচরণ করা উচিত। তারা যদি শিক্ষাজীবনে মর্যাদা আর অমর্যাদা বুঝতে না পারে তাহলে বড় হয়ে কী করবে? তারাও তো দুর্ব্যবহার পেয়ে বড় হয়ে অন্যের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করবে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তাদের কষ্ট তাদের অসুবিধা মুখ ফুটে বলার আগেই অভিভাবকদের বোঝা উচিত।

মাঝেমধ্যেই সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো অ্যাপ্লিকেশন করতে বা আবেদন করতে হাজার-দুই হাজার ফি দিতে হয়। কেন ১০০, ২০০, ২০, ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয় না বা যায় না। সরকার কি চাকরির আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বা করবে? আবার ঘ্যাগের ওপর তারাবাতির মতো একই দিনে ১০-১৫-২০টা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন উচ্চশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে চাকরির দরখাস্ত করেন। তারা কিন্তু এক দিনে একটি বা দুটির বেশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। তাই তারা বাদ পড়ে যান। কর্তৃপক্ষের এ বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত। একজন আবেদনকারী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে আবেদন করেছেন। একই দিনে পরীক্ষা হওয়ায় হয়তো তিনি দুটির বেশিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বা পারেননি। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ করার আছে। তা হলো, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার আন্দোলন যারা করছে তারা খুব বেশি কেউ কোনো দলের নয়। কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা করেছে এমনও খুব একটা নজির নেই। অথচ মাঝেমধ্যেই তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হচ্ছে এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই কদিন আগে আন্দোলনকারী ছেলেমেয়েরা প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার পথে মুক্তা সুলতানা নামে একটি মেয়ের পিঠে পুলিশ এমনভাবে লাথি মেরেছে যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এটা তো কোনো সভ্য সমাজের রীতিনীতি হতে পারে না। আর মেয়ের পিঠে লাথি মানে মায়ের পিঠে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। আমাদের প্রিয় রসুল (সা.) সাহাবাদের বলেছিলেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ তিনবার একইভাবে বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ চতুর্থবার বলেছেন, ‘বাবার পায়ের নিচেও।’ একটি মেয়ে একটি নারীই তো মা। সেই মায়ের গায়ে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। তাই সরকারকেও সহনশীল হতে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীতকরণের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে অনুরোধ করছি। ৩৫ বছর চাকরি প্রবেশের বয়সসীমা এটা মোটেই কোনো অন্যায় নয়, অন্যায় দাবিও নয়। পৃথিবীর বহু দেশে চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা নেই। দু-চারটি দেশে বয়সসীমা আছে তাদেরও অনেকের ৪০-৪৫, কিন্তু ৩০ বছর কোনো দেশে নেই। এমনকি ভারতেও না। হ্যাঁ একমাত্র পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। আমরা কি তাহলে পাকিস্তানকে অনুসরণ করব বা করছি? পাকিস্তান আমাদের পথপ্রদর্শক হতে পারে না। অন্যায়কারী জুলুমকারী নির্যাতক পাকিস্তানকে আমরা কখনো অনুসরণ করতে পারি না। যদি তা করি তাহলে লাখ লাখ শহীদের তপ্ত রক্তের সঙ্গে বেইমানি বা বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই এমন নিন্দনীয় কাজ করব না।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

এই মাত্র | রাজনীতি

নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করছেন তারেক রহমান: নিপুন রায়
নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করছেন তারেক রহমান: নিপুন রায়

২৪ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

চুয়াডাঙ্গায় মহিলা দলের নির্বাচনী সমাবেশ
চুয়াডাঙ্গায় মহিলা দলের নির্বাচনী সমাবেশ

৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক
সমুদ্রপথে ইয়াবা আনতে গিয়ে মাদক কারবারি আটক

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স
বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি ও পরিবহন সহযোগিতা বাড়াবে ফ্রান্স

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক
বান্দরবানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আটক

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স
জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : প্রিন্স

৩১ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রাহুল

৩৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

৪৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা
চমক রেখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা

৪৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
রাবির দুই শিক্ষককে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

৫৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৬ টন আলু জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৬ টন আলু জব্দ

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৫ মামলার আসামি গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ১৫ মামলার আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযানে আটক ৫
মুন্সীগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযানে আটক ৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতীয় নাগরিক সখিনার জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
ভারতীয় নাগরিক সখিনার জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর নতুন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর নতুন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা