শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

অতি সম্প্রতি বঙ্গবাজারের বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে মন ক্ষতবিক্ষত। কিছুই ভালো লাগছে না। আসলে ভারাক্রান্ত বিক্ষুব্ধ মন নিয়ে সুস্থভাবে কোনো কিছুই করা যায় না। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল আমাদের মায়ের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইফতার করতে গ্রামের বাড়ি মায়ের কবরে গিয়েছিলাম। পবিত্র মিলাদ শরিফ পাঠ করে ইফতারে বসেছিলাম। ইদানীং আমি মাটিতে বসতে পারি না, পায়ে লাগে। চেয়ারে বসেই নামাজ আদায় করি। ছাতিহাটিতেও তাই করেছি। আমরা চার-পাঁচ শ রোজাদারের ইফতারির কথা ভেবেছিলাম। যা ভেবেছিলাম সে রকম রোজাদার উপস্থিত হয়েছিলেন। বাচ্চা রোজাদাররা হাজির হয়েছিল সব থেকে বেশি। মসজিদের আশপাশের বাড়ি থেকে আমার জন্য এত ইফতারি এসেছিল যা মোটেই বলার মতো নয়। মায়ের মৃত্যুদিনে ছাতিহাটিতে সুন্দরভাবে ইফতারি হওয়ায় মনটা বেশ হালকা ফুরফুরে লাগছিল। ৭ তারিখ ১৫ রমজান ছিল সখিপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইফতার। অসাধারণ লোকসমাগম হয়েছিল। ব্যবস্থাপনাও ছিল চমৎকার। সবুর, লাল মিয়া, সানোয়ার অসম্ভব খাটাখাটি করেছে। তার ফলও পেয়েছে। গত কয়েক বছর অত সুন্দর ইফতার হয়নি। সখিপুরে যেন প্রতিযোগিতা লেগেছিল কয়েক বাড়ি থেকে ইফতারি আনার। আমার সামনে অনেকটা জায়গা ভরে গিয়েছিল। যে ইফতারি দল থেকে দেওয়া হয়েছিল তিনজনকে বিলিয়ে বাকিটুকু খাবার চেষ্টা করেছি। আমার জন্য আনা ইফতারি সবই ঢাকায় নিয়ে এসেছিলাম। এসে দেখি এলাহি কারবার! বেশ কদিন আগে মৃণালকান্তি দাসের মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে মালপোয়া আর লুচি ছিল প্রধান খাবার। বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার টেবিলে বসেছিলাম। তারা বেশ যতœ করে খাইয়ে ছিল। বাড়ি এসে যখনই বলছিলাম মালপোয়া আর লুচি খেয়ে এলাম। আমার স্ত্রীর মালপোয়ার প্রতি দারুণ ঝোঁক। খুব ভালোবাসেন মালপোয়া। কীভাবে যেন মৃণালকে বলেছিলাম, তোমার ভাবি মালপোয়া খেতে চেয়েছেন। এসে দেখি মালপোয়া, লুচি, সবজি, ডাল টেবিল ভর্তি। কম করে ১০০ জনের খাবার তো হবেই। এত কিছুর পরও বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা কেন জানি কোনোমতেই ভুলতে পারছিলাম না। আল্লাহর দুনিয়ায় এমনই হয়। ‘সকালবেলার আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা’ বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান শুনেছিলাম। এবার চোখের সামনে দেখলাম। যারা সন্ধ্যাবেলায় কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক তারাও রাত পোহালেই ফকির হয়ে গেছে। এটাই আল্লাহর বিচার। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা আমির বানাতে পারেন, যাকে ইচ্ছা ফকির বানাতে পারেন- এটা তারই প্রমাণ। এই যে হাজার হাজার ব্যবসায়ী এক মুহূর্তে আমির থেকে ফকির হয়ে গেল এর প্রতিকার কী? বাংলাদেশে কখনো ৫০টি আগুন নেভানোর গাড়ি একত্রে কাজ করেনি। প্রথম বলা হয়েছে আগুন নেভাতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা লেগেছে। নির্বিবাদে সাড়ে ছয় ঘণ্টা কোনো আগুন জ্বলতে পারলে সে তো সারা দেশ ছারখার করে দিতে পারে। এ আগুন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না, কেন অত সময় লাগল? ফায়ার সার্ভিসওয়ালারা বলেছেন, মানুষের ভিড় ও পানির অভাব। এত বড় শহর, হাজার হাজার কোটি টাকা রাতদিন খরচ হচ্ছে, কেন ফায়ার সার্ভিসের জন্য পানির লাইন করা হলো না? পৃথিবীর বহু দেশে নাগালের মধ্যে পানির ব্যবস্থা থাকে, আমাদের কেন নেই? কিছু লোক আবার ক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে মারধর করেছে। জানি আমাদের দেশে কিছু লোক আছে ভালো কিছুতে হাত লাগাবে না, অকামে তেজ দেখাবে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। এসবের কোনো মানে হয় না। এখন প্রশ্ন আসে, আগুন কীভাবে লাগল? এ কি শুধু একটি দুর্ঘটনা? দুর্ঘটনা হলে আগুন এতটা ছড়াল কী করে? যদি দুর্ঘটনা না হয় তাহলে কীভাবে আগুন লাগল? কেউ কি আগুন লাগিয়েছে? পত্রপত্রিকায় দেখলাম মোটরসাইকেলে এসে কে না কে আগুন দিয়ে গেছে। আবার অনেকে বলছেন, বিরোধী দল সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য করেছে। কোনটা সত্য? যারা আগের রাতেও হাসিখুশি সম্পদশালী ছিল তারা সবাই শেষ হয়ে গেছে। কতদিন লাগবে উঠে দাঁড়াতে সে শুধু দয়াময় আল্লাহই জানেন। অন্য কারও পক্ষে জানার কথা নয়। এর মধ্যে আবার কতজন উঠে দাঁড়াতে পারবে বলা মুশকিল। কিছু লোক নিশ্চয়ই দাঁড়াবে। কিন্তু সবাই না। তবে আমার জীবনের দেখা থেকে বলতে পারি, যে জায়গায়ই আগুন জ্বলেছে সে জায়গায় ছনের ঘর টিনের হয়েছে, টিনের ঘর দালান হয়েছে। বঙ্গবাজার আবার আগের চাইতে অনেক বেশি পূর্ণতা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে। কিন্তু যারা সর্বস্বান্ত হয়েছে তাদের কী হবে? সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিরোধীরা যদি এ কাজ করে থাকে তাহলে তা যেমন জঘন্য, তেমনি বিরোধী দলকে চাপে ফেলবার জন্য সরকার বা সরকারি দল যদি এমনটা করে থাকে তাহলে সেটাও মারাত্মক ঘৃণার কাজ। তাই ব্যাপারটা খুব সতর্কভাবে তলিয়ে দেখা দরকার। তা না হলে যদি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অগ্নিকান্ড হয়ে থাকে তাহলে বড় মারাত্মক ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর সময়ও এমনটা হয়েছিল। একের পর এক ঘরদুয়ার জ্বালাও-পোড়াও, পাটের গুদামে আগুন, কলকারখানা পুড়ে ফেলা, আরও অনেক কিছু। একইভাবে বিস্ফোরণ সেখান থেকে আগুন জ্বলা এর যদি শিকড় খুঁজে বের করা না হয় তাহলে দেশের জন্য বড় মারাত্মক চিন্তার কারণ। এ রকম দুশ্চিন্তা নিয়ে দেশের মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে না। তাই ব্যাপারটা ফয়সালা হওয়া দরকার। সরকার মাঝেমধ্যেই বলে, তাদের কাছে সব খবর আছে। তা যদি সত্য হয় তাহলে এর শেষ কোথায় এটা বের করা দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ হতেই থাকবে এবং দেশে এক মারাত্মক অরাজকতা দেখা দেবে। তাই এ ঘটনাকে হেলাফেলা করা যাবে না। এটার একটা প্রতিকার অবশ্যই করতে হবে। তা না হলে সুদূর ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।

এই জগৎসংসারে হাজারো রকমের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষ বিপর্যস্ত হয়। ঝড়-তুফান-বন্যা নানা রকমের বিপর্যয় হতে পারে। ’৮৮ সালের বন্যায় মিরপুরে দোতলা পর্যন্ত পানি উঠেছিল। এরশাদের সময় টঙ্গী থেকে মিরপুর হয়ে একটি বেড়িবাঁধ হওয়ায় টঙ্গী-উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত লাখো মানুষ বন্যার হাত থেকে অনেকটাই বেঁচে গেছে। গত বন্যায়ও দেখেছি, বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে পানি ছুঁইছুঁই করছে, অথচ ভিতরের দিকে ১৫-২০ ফুট নিচেও কোনো পানি নেই। তাই যে কোনো দুর্ঘটনা, যে কোনো বিপর্যয় ঘটার পরও কিছু না কিছু খুঁজে পাওয়া যায়। বন্যা হলে অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পড়ে থাকে, জিনিসপত্র থাকে। কিন্তু আগুনে ধরলে কিছুই থাকে না। সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই আগুন থেকে বাঁচার জন্য আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা উচিত। আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করা উচিত। বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে মনে হয় প্রথম হেলিকপ্টার থেকে পানি ছড়ানো হয়েছে। যেভাবে যে পরিমাণ পানি হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হয়েছে তা হয়তো পর্যাপ্ত হয়নি। পরিমাণে আরও বেশি এবং নিরন্তর ছিটাতে পারলে তবেই কিছুটা কার্যকর ফল পাওয়া যেত। আর আগুনের লেলিহান শিখা যতটা উপর পর্যন্ত উঠেছিল তাতে হেলিকপ্টারগুলো খুব একটা নিচে নেমে আসতে পারেনি। বেশ দূর থেকে পানি ছড়াতে হয়েছে। এটা যদি আরও কাছ থেকে ছড়ানো যেত তাহলে আরও বেশি ফল হতো। যে ট্যাংকগুলো দিয়ে পানি ছিটানো হয়েছে সেই ট্যাংকগুলোর রশি আরও লম্বা করে দিলেই নিচে থেকে পানি ছিটানো যেত। হেলিকপ্টার থেকে আরও বেশি পানি ছিটাতে পারলে এবং হেলিকপ্টারের সংখ্যা আরও বেশি হলে একটার পর একটা হেলিকপ্টার যদি পানি ছড়াতে পারত তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসত। এক হেলিকপ্টারের পানি ছেড়ে যাওয়ার পর আরেক হেলিকপ্টার এসে যখন পানি ছেড়েছে উভয় হেলিকপ্টারের মাঝে যে সময়ের দূরত্ব তাতে সে পানি কোনো কাজই করতে পারেনি। আরও ঘন ঘন আরও লম্বা তার থেকে পানি ছড়াতে পারলে অবশ্যই এর চাইতে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যেত। কিছুদিন আগে প্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগুন নেভানো নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সেটা ছিল ১০-১৫ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন তা অনেকটাই সংগ্রহ করা গেছে। বঙ্গবাজারে আগুনের সময় দেখলামও অনেক যন্ত্রপাতি। কিন্তু পানির জন্য অনেক যন্ত্রপাতিই তেমন কাজে দেয়নি। ফায়ার ফাইটারদের যেসব আধুনিক জিনিসপত্র থাকা দরকার তারও অনেক অভাব দেখা গেছে। আর সেদিন সকালের দিকটায় এত বাতাস ছিল যা অভাবনীয়। সব সময় বাতাসের কারণে আগুনের শক্তি বৃদ্ধি হয়। ভবিষ্যতে যাতে আমরা এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত না হই তার জন্য ঘরদুয়ার দালানকোঠা তৈরিতে যেমন সতর্ক হওয়া উচিত তেমনি শত সতর্কতার পরও যদি কোথাও অগ্নিকান্ড ঘটে তাহলে যেন সহজেই তা নিভিয়ে ফেলা যায় সে রকম প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষিত আরও লোকজন তৈরি করা দরকার। আগুনের সঙ্গে লড়াই করবার মতো জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ থাকলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আমাদের দেশ যতদিন থাকবে আগুন নেভানো বা অন্য কোনো কাজকর্মে আমাদের দেশে উৎসুক জনতার কোনো দিন অভাব হবে না। পৃথিবীর দু-তিনটি মহাদেশের সম্মিলিত জনসংখ্যার চাইতেও আমাদের দেশের লোকসংখ্যা বেশি। তাই উৎসুক জনতার ওপর বিরক্ত হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। আমাদের সব সময় এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই অগ্রসর হতে হবে।  এ দুর্যোগ দুর্বিপাকে বেদনাহত মন নিয়েই অন্য একটি বিষয় পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে চাই। আজ বেশ কয়েক বছর যাবৎ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এর জন্য আন্দোলন চলছে। ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা খুব একটা সুসংগঠিত নয়। তাই তারা তাদের ন্যায্য দাবিও আদায় করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করছে, মিছিল করছে, ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না। অনেক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। সেটা ’৯০-এর দিকে ৩০ বছর করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছরের নিচে। এখন সেটা ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। যেহেতু বয়সসীমা বেড়েছে চাকরিতে বয়স বাড়ানো হয়েছে সেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়বে না? তা ছাড়া আমাদের দেশে অনেক দিন থেকেই সুস্থভাবে লেখাপড়া হয় না। এটাওটা জট লেগেই থাকে। নিয়মিতভাবে সেশনজট ছাড়া পাস করলে চাকরিতে প্রবেশের যে সময় শিক্ষার্থীরা পেতে পারে বা পারত তার কিছুই তারা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করতেই অনেকের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায়। এই তো কিছুদিন হলো করোনার জন্য সবকিছুতে ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লেখাপড়ায় যে কত ক্ষতি হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। কীভাবে এক শুভংকরের ফাঁকি দেখানো হয়েছে। ৩৯ মাস করোনার জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। আদতে এটা একটা শুভংকরের ফাঁকি। ৩৯ মাস নয়, নিখুঁতভাবে হিসাবকিতাব করলে দেখা যাবে আট-নয় মাস শিক্ষার্থীরা পেতে পারে। এ রকম ভানুমতীর খেল দেখে দেখে আমাদের সন্তানরা হতাশ হয়ে পড়ছে। জীবনের শুরুতেই যদি আমাদের সন্তানরা এ রকম চরম হতাশায় ভোগে তাহলে সারা জীবন তো পড়েই থাকল। তারা বাকি জীবনে কী করবে? কীভাবে করবে? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয় গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারকেও ভেবে দেখতে বলছি। গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের মূল্য সবার ওপরে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর দৃষ্টি দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে কোনো উপনিবেশের মতো মানুষের প্রতি আচরণ করলে তার ফল কখনো ভালো হতে পারে না। তাই সরকারকেও বলছি শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে। আজকের শিশু কাল জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সঙ্গে দরদি ব্যবহার না করলে শেষ পর্যন্ত আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তাদের সঙ্গে মর্যাদার আচরণ করা উচিত। তারা যদি শিক্ষাজীবনে মর্যাদা আর অমর্যাদা বুঝতে না পারে তাহলে বড় হয়ে কী করবে? তারাও তো দুর্ব্যবহার পেয়ে বড় হয়ে অন্যের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করবে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তাদের কষ্ট তাদের অসুবিধা মুখ ফুটে বলার আগেই অভিভাবকদের বোঝা উচিত।

মাঝেমধ্যেই সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো অ্যাপ্লিকেশন করতে বা আবেদন করতে হাজার-দুই হাজার ফি দিতে হয়। কেন ১০০, ২০০, ২০, ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয় না বা যায় না। সরকার কি চাকরির আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বা করবে? আবার ঘ্যাগের ওপর তারাবাতির মতো একই দিনে ১০-১৫-২০টা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন উচ্চশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে চাকরির দরখাস্ত করেন। তারা কিন্তু এক দিনে একটি বা দুটির বেশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। তাই তারা বাদ পড়ে যান। কর্তৃপক্ষের এ বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত। একজন আবেদনকারী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে আবেদন করেছেন। একই দিনে পরীক্ষা হওয়ায় হয়তো তিনি দুটির বেশিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বা পারেননি। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ করার আছে। তা হলো, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার আন্দোলন যারা করছে তারা খুব বেশি কেউ কোনো দলের নয়। কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা করেছে এমনও খুব একটা নজির নেই। অথচ মাঝেমধ্যেই তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হচ্ছে এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই কদিন আগে আন্দোলনকারী ছেলেমেয়েরা প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার পথে মুক্তা সুলতানা নামে একটি মেয়ের পিঠে পুলিশ এমনভাবে লাথি মেরেছে যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এটা তো কোনো সভ্য সমাজের রীতিনীতি হতে পারে না। আর মেয়ের পিঠে লাথি মানে মায়ের পিঠে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। আমাদের প্রিয় রসুল (সা.) সাহাবাদের বলেছিলেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ তিনবার একইভাবে বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ চতুর্থবার বলেছেন, ‘বাবার পায়ের নিচেও।’ একটি মেয়ে একটি নারীই তো মা। সেই মায়ের গায়ে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। তাই সরকারকেও সহনশীল হতে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীতকরণের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে অনুরোধ করছি। ৩৫ বছর চাকরি প্রবেশের বয়সসীমা এটা মোটেই কোনো অন্যায় নয়, অন্যায় দাবিও নয়। পৃথিবীর বহু দেশে চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা নেই। দু-চারটি দেশে বয়সসীমা আছে তাদেরও অনেকের ৪০-৪৫, কিন্তু ৩০ বছর কোনো দেশে নেই। এমনকি ভারতেও না। হ্যাঁ একমাত্র পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। আমরা কি তাহলে পাকিস্তানকে অনুসরণ করব বা করছি? পাকিস্তান আমাদের পথপ্রদর্শক হতে পারে না। অন্যায়কারী জুলুমকারী নির্যাতক পাকিস্তানকে আমরা কখনো অনুসরণ করতে পারি না। যদি তা করি তাহলে লাখ লাখ শহীদের তপ্ত রক্তের সঙ্গে বেইমানি বা বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই এমন নিন্দনীয় কাজ করব না।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কৃষকের ৫ গরু চুরি
কৃষকের ৫ গরু চুরি

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা
পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা

৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য

৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু
গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি
তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে
রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল
ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম
সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!
সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!

৫০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ
জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

৫২ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম
নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য
বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত
বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত
পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি