শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

অতি সম্প্রতি বঙ্গবাজারের বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে মন ক্ষতবিক্ষত। কিছুই ভালো লাগছে না। আসলে ভারাক্রান্ত বিক্ষুব্ধ মন নিয়ে সুস্থভাবে কোনো কিছুই করা যায় না। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল আমাদের মায়ের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইফতার করতে গ্রামের বাড়ি মায়ের কবরে গিয়েছিলাম। পবিত্র মিলাদ শরিফ পাঠ করে ইফতারে বসেছিলাম। ইদানীং আমি মাটিতে বসতে পারি না, পায়ে লাগে। চেয়ারে বসেই নামাজ আদায় করি। ছাতিহাটিতেও তাই করেছি। আমরা চার-পাঁচ শ রোজাদারের ইফতারির কথা ভেবেছিলাম। যা ভেবেছিলাম সে রকম রোজাদার উপস্থিত হয়েছিলেন। বাচ্চা রোজাদাররা হাজির হয়েছিল সব থেকে বেশি। মসজিদের আশপাশের বাড়ি থেকে আমার জন্য এত ইফতারি এসেছিল যা মোটেই বলার মতো নয়। মায়ের মৃত্যুদিনে ছাতিহাটিতে সুন্দরভাবে ইফতারি হওয়ায় মনটা বেশ হালকা ফুরফুরে লাগছিল। ৭ তারিখ ১৫ রমজান ছিল সখিপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইফতার। অসাধারণ লোকসমাগম হয়েছিল। ব্যবস্থাপনাও ছিল চমৎকার। সবুর, লাল মিয়া, সানোয়ার অসম্ভব খাটাখাটি করেছে। তার ফলও পেয়েছে। গত কয়েক বছর অত সুন্দর ইফতার হয়নি। সখিপুরে যেন প্রতিযোগিতা লেগেছিল কয়েক বাড়ি থেকে ইফতারি আনার। আমার সামনে অনেকটা জায়গা ভরে গিয়েছিল। যে ইফতারি দল থেকে দেওয়া হয়েছিল তিনজনকে বিলিয়ে বাকিটুকু খাবার চেষ্টা করেছি। আমার জন্য আনা ইফতারি সবই ঢাকায় নিয়ে এসেছিলাম। এসে দেখি এলাহি কারবার! বেশ কদিন আগে মৃণালকান্তি দাসের মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে মালপোয়া আর লুচি ছিল প্রধান খাবার। বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার টেবিলে বসেছিলাম। তারা বেশ যতœ করে খাইয়ে ছিল। বাড়ি এসে যখনই বলছিলাম মালপোয়া আর লুচি খেয়ে এলাম। আমার স্ত্রীর মালপোয়ার প্রতি দারুণ ঝোঁক। খুব ভালোবাসেন মালপোয়া। কীভাবে যেন মৃণালকে বলেছিলাম, তোমার ভাবি মালপোয়া খেতে চেয়েছেন। এসে দেখি মালপোয়া, লুচি, সবজি, ডাল টেবিল ভর্তি। কম করে ১০০ জনের খাবার তো হবেই। এত কিছুর পরও বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা কেন জানি কোনোমতেই ভুলতে পারছিলাম না। আল্লাহর দুনিয়ায় এমনই হয়। ‘সকালবেলার আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা’ বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান শুনেছিলাম। এবার চোখের সামনে দেখলাম। যারা সন্ধ্যাবেলায় কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক তারাও রাত পোহালেই ফকির হয়ে গেছে। এটাই আল্লাহর বিচার। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা আমির বানাতে পারেন, যাকে ইচ্ছা ফকির বানাতে পারেন- এটা তারই প্রমাণ। এই যে হাজার হাজার ব্যবসায়ী এক মুহূর্তে আমির থেকে ফকির হয়ে গেল এর প্রতিকার কী? বাংলাদেশে কখনো ৫০টি আগুন নেভানোর গাড়ি একত্রে কাজ করেনি। প্রথম বলা হয়েছে আগুন নেভাতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা লেগেছে। নির্বিবাদে সাড়ে ছয় ঘণ্টা কোনো আগুন জ্বলতে পারলে সে তো সারা দেশ ছারখার করে দিতে পারে। এ আগুন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না, কেন অত সময় লাগল? ফায়ার সার্ভিসওয়ালারা বলেছেন, মানুষের ভিড় ও পানির অভাব। এত বড় শহর, হাজার হাজার কোটি টাকা রাতদিন খরচ হচ্ছে, কেন ফায়ার সার্ভিসের জন্য পানির লাইন করা হলো না? পৃথিবীর বহু দেশে নাগালের মধ্যে পানির ব্যবস্থা থাকে, আমাদের কেন নেই? কিছু লোক আবার ক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে মারধর করেছে। জানি আমাদের দেশে কিছু লোক আছে ভালো কিছুতে হাত লাগাবে না, অকামে তেজ দেখাবে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। এসবের কোনো মানে হয় না। এখন প্রশ্ন আসে, আগুন কীভাবে লাগল? এ কি শুধু একটি দুর্ঘটনা? দুর্ঘটনা হলে আগুন এতটা ছড়াল কী করে? যদি দুর্ঘটনা না হয় তাহলে কীভাবে আগুন লাগল? কেউ কি আগুন লাগিয়েছে? পত্রপত্রিকায় দেখলাম মোটরসাইকেলে এসে কে না কে আগুন দিয়ে গেছে। আবার অনেকে বলছেন, বিরোধী দল সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য করেছে। কোনটা সত্য? যারা আগের রাতেও হাসিখুশি সম্পদশালী ছিল তারা সবাই শেষ হয়ে গেছে। কতদিন লাগবে উঠে দাঁড়াতে সে শুধু দয়াময় আল্লাহই জানেন। অন্য কারও পক্ষে জানার কথা নয়। এর মধ্যে আবার কতজন উঠে দাঁড়াতে পারবে বলা মুশকিল। কিছু লোক নিশ্চয়ই দাঁড়াবে। কিন্তু সবাই না। তবে আমার জীবনের দেখা থেকে বলতে পারি, যে জায়গায়ই আগুন জ্বলেছে সে জায়গায় ছনের ঘর টিনের হয়েছে, টিনের ঘর দালান হয়েছে। বঙ্গবাজার আবার আগের চাইতে অনেক বেশি পূর্ণতা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে। কিন্তু যারা সর্বস্বান্ত হয়েছে তাদের কী হবে? সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিরোধীরা যদি এ কাজ করে থাকে তাহলে তা যেমন জঘন্য, তেমনি বিরোধী দলকে চাপে ফেলবার জন্য সরকার বা সরকারি দল যদি এমনটা করে থাকে তাহলে সেটাও মারাত্মক ঘৃণার কাজ। তাই ব্যাপারটা খুব সতর্কভাবে তলিয়ে দেখা দরকার। তা না হলে যদি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অগ্নিকান্ড হয়ে থাকে তাহলে বড় মারাত্মক ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর সময়ও এমনটা হয়েছিল। একের পর এক ঘরদুয়ার জ্বালাও-পোড়াও, পাটের গুদামে আগুন, কলকারখানা পুড়ে ফেলা, আরও অনেক কিছু। একইভাবে বিস্ফোরণ সেখান থেকে আগুন জ্বলা এর যদি শিকড় খুঁজে বের করা না হয় তাহলে দেশের জন্য বড় মারাত্মক চিন্তার কারণ। এ রকম দুশ্চিন্তা নিয়ে দেশের মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে না। তাই ব্যাপারটা ফয়সালা হওয়া দরকার। সরকার মাঝেমধ্যেই বলে, তাদের কাছে সব খবর আছে। তা যদি সত্য হয় তাহলে এর শেষ কোথায় এটা বের করা দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ হতেই থাকবে এবং দেশে এক মারাত্মক অরাজকতা দেখা দেবে। তাই এ ঘটনাকে হেলাফেলা করা যাবে না। এটার একটা প্রতিকার অবশ্যই করতে হবে। তা না হলে সুদূর ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।

এই জগৎসংসারে হাজারো রকমের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষ বিপর্যস্ত হয়। ঝড়-তুফান-বন্যা নানা রকমের বিপর্যয় হতে পারে। ’৮৮ সালের বন্যায় মিরপুরে দোতলা পর্যন্ত পানি উঠেছিল। এরশাদের সময় টঙ্গী থেকে মিরপুর হয়ে একটি বেড়িবাঁধ হওয়ায় টঙ্গী-উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত লাখো মানুষ বন্যার হাত থেকে অনেকটাই বেঁচে গেছে। গত বন্যায়ও দেখেছি, বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে পানি ছুঁইছুঁই করছে, অথচ ভিতরের দিকে ১৫-২০ ফুট নিচেও কোনো পানি নেই। তাই যে কোনো দুর্ঘটনা, যে কোনো বিপর্যয় ঘটার পরও কিছু না কিছু খুঁজে পাওয়া যায়। বন্যা হলে অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পড়ে থাকে, জিনিসপত্র থাকে। কিন্তু আগুনে ধরলে কিছুই থাকে না। সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই আগুন থেকে বাঁচার জন্য আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা উচিত। আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করা উচিত। বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে মনে হয় প্রথম হেলিকপ্টার থেকে পানি ছড়ানো হয়েছে। যেভাবে যে পরিমাণ পানি হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হয়েছে তা হয়তো পর্যাপ্ত হয়নি। পরিমাণে আরও বেশি এবং নিরন্তর ছিটাতে পারলে তবেই কিছুটা কার্যকর ফল পাওয়া যেত। আর আগুনের লেলিহান শিখা যতটা উপর পর্যন্ত উঠেছিল তাতে হেলিকপ্টারগুলো খুব একটা নিচে নেমে আসতে পারেনি। বেশ দূর থেকে পানি ছড়াতে হয়েছে। এটা যদি আরও কাছ থেকে ছড়ানো যেত তাহলে আরও বেশি ফল হতো। যে ট্যাংকগুলো দিয়ে পানি ছিটানো হয়েছে সেই ট্যাংকগুলোর রশি আরও লম্বা করে দিলেই নিচে থেকে পানি ছিটানো যেত। হেলিকপ্টার থেকে আরও বেশি পানি ছিটাতে পারলে এবং হেলিকপ্টারের সংখ্যা আরও বেশি হলে একটার পর একটা হেলিকপ্টার যদি পানি ছড়াতে পারত তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসত। এক হেলিকপ্টারের পানি ছেড়ে যাওয়ার পর আরেক হেলিকপ্টার এসে যখন পানি ছেড়েছে উভয় হেলিকপ্টারের মাঝে যে সময়ের দূরত্ব তাতে সে পানি কোনো কাজই করতে পারেনি। আরও ঘন ঘন আরও লম্বা তার থেকে পানি ছড়াতে পারলে অবশ্যই এর চাইতে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যেত। কিছুদিন আগে প্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগুন নেভানো নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সেটা ছিল ১০-১৫ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন তা অনেকটাই সংগ্রহ করা গেছে। বঙ্গবাজারে আগুনের সময় দেখলামও অনেক যন্ত্রপাতি। কিন্তু পানির জন্য অনেক যন্ত্রপাতিই তেমন কাজে দেয়নি। ফায়ার ফাইটারদের যেসব আধুনিক জিনিসপত্র থাকা দরকার তারও অনেক অভাব দেখা গেছে। আর সেদিন সকালের দিকটায় এত বাতাস ছিল যা অভাবনীয়। সব সময় বাতাসের কারণে আগুনের শক্তি বৃদ্ধি হয়। ভবিষ্যতে যাতে আমরা এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত না হই তার জন্য ঘরদুয়ার দালানকোঠা তৈরিতে যেমন সতর্ক হওয়া উচিত তেমনি শত সতর্কতার পরও যদি কোথাও অগ্নিকান্ড ঘটে তাহলে যেন সহজেই তা নিভিয়ে ফেলা যায় সে রকম প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষিত আরও লোকজন তৈরি করা দরকার। আগুনের সঙ্গে লড়াই করবার মতো জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ থাকলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আমাদের দেশ যতদিন থাকবে আগুন নেভানো বা অন্য কোনো কাজকর্মে আমাদের দেশে উৎসুক জনতার কোনো দিন অভাব হবে না। পৃথিবীর দু-তিনটি মহাদেশের সম্মিলিত জনসংখ্যার চাইতেও আমাদের দেশের লোকসংখ্যা বেশি। তাই উৎসুক জনতার ওপর বিরক্ত হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। আমাদের সব সময় এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই অগ্রসর হতে হবে।  এ দুর্যোগ দুর্বিপাকে বেদনাহত মন নিয়েই অন্য একটি বিষয় পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে চাই। আজ বেশ কয়েক বছর যাবৎ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এর জন্য আন্দোলন চলছে। ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা খুব একটা সুসংগঠিত নয়। তাই তারা তাদের ন্যায্য দাবিও আদায় করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করছে, মিছিল করছে, ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না। অনেক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। সেটা ’৯০-এর দিকে ৩০ বছর করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছরের নিচে। এখন সেটা ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। যেহেতু বয়সসীমা বেড়েছে চাকরিতে বয়স বাড়ানো হয়েছে সেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়বে না? তা ছাড়া আমাদের দেশে অনেক দিন থেকেই সুস্থভাবে লেখাপড়া হয় না। এটাওটা জট লেগেই থাকে। নিয়মিতভাবে সেশনজট ছাড়া পাস করলে চাকরিতে প্রবেশের যে সময় শিক্ষার্থীরা পেতে পারে বা পারত তার কিছুই তারা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করতেই অনেকের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায়। এই তো কিছুদিন হলো করোনার জন্য সবকিছুতে ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লেখাপড়ায় যে কত ক্ষতি হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। কীভাবে এক শুভংকরের ফাঁকি দেখানো হয়েছে। ৩৯ মাস করোনার জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। আদতে এটা একটা শুভংকরের ফাঁকি। ৩৯ মাস নয়, নিখুঁতভাবে হিসাবকিতাব করলে দেখা যাবে আট-নয় মাস শিক্ষার্থীরা পেতে পারে। এ রকম ভানুমতীর খেল দেখে দেখে আমাদের সন্তানরা হতাশ হয়ে পড়ছে। জীবনের শুরুতেই যদি আমাদের সন্তানরা এ রকম চরম হতাশায় ভোগে তাহলে সারা জীবন তো পড়েই থাকল। তারা বাকি জীবনে কী করবে? কীভাবে করবে? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয় গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারকেও ভেবে দেখতে বলছি। গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের মূল্য সবার ওপরে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর দৃষ্টি দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে কোনো উপনিবেশের মতো মানুষের প্রতি আচরণ করলে তার ফল কখনো ভালো হতে পারে না। তাই সরকারকেও বলছি শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে। আজকের শিশু কাল জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সঙ্গে দরদি ব্যবহার না করলে শেষ পর্যন্ত আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তাদের সঙ্গে মর্যাদার আচরণ করা উচিত। তারা যদি শিক্ষাজীবনে মর্যাদা আর অমর্যাদা বুঝতে না পারে তাহলে বড় হয়ে কী করবে? তারাও তো দুর্ব্যবহার পেয়ে বড় হয়ে অন্যের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করবে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তাদের কষ্ট তাদের অসুবিধা মুখ ফুটে বলার আগেই অভিভাবকদের বোঝা উচিত।

মাঝেমধ্যেই সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো অ্যাপ্লিকেশন করতে বা আবেদন করতে হাজার-দুই হাজার ফি দিতে হয়। কেন ১০০, ২০০, ২০, ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয় না বা যায় না। সরকার কি চাকরির আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বা করবে? আবার ঘ্যাগের ওপর তারাবাতির মতো একই দিনে ১০-১৫-২০টা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন উচ্চশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে চাকরির দরখাস্ত করেন। তারা কিন্তু এক দিনে একটি বা দুটির বেশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। তাই তারা বাদ পড়ে যান। কর্তৃপক্ষের এ বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত। একজন আবেদনকারী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে আবেদন করেছেন। একই দিনে পরীক্ষা হওয়ায় হয়তো তিনি দুটির বেশিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বা পারেননি। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ করার আছে। তা হলো, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার আন্দোলন যারা করছে তারা খুব বেশি কেউ কোনো দলের নয়। কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা করেছে এমনও খুব একটা নজির নেই। অথচ মাঝেমধ্যেই তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হচ্ছে এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই কদিন আগে আন্দোলনকারী ছেলেমেয়েরা প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার পথে মুক্তা সুলতানা নামে একটি মেয়ের পিঠে পুলিশ এমনভাবে লাথি মেরেছে যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এটা তো কোনো সভ্য সমাজের রীতিনীতি হতে পারে না। আর মেয়ের পিঠে লাথি মানে মায়ের পিঠে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। আমাদের প্রিয় রসুল (সা.) সাহাবাদের বলেছিলেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ তিনবার একইভাবে বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ চতুর্থবার বলেছেন, ‘বাবার পায়ের নিচেও।’ একটি মেয়ে একটি নারীই তো মা। সেই মায়ের গায়ে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। তাই সরকারকেও সহনশীল হতে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীতকরণের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে অনুরোধ করছি। ৩৫ বছর চাকরি প্রবেশের বয়সসীমা এটা মোটেই কোনো অন্যায় নয়, অন্যায় দাবিও নয়। পৃথিবীর বহু দেশে চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা নেই। দু-চারটি দেশে বয়সসীমা আছে তাদেরও অনেকের ৪০-৪৫, কিন্তু ৩০ বছর কোনো দেশে নেই। এমনকি ভারতেও না। হ্যাঁ একমাত্র পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। আমরা কি তাহলে পাকিস্তানকে অনুসরণ করব বা করছি? পাকিস্তান আমাদের পথপ্রদর্শক হতে পারে না। অন্যায়কারী জুলুমকারী নির্যাতক পাকিস্তানকে আমরা কখনো অনুসরণ করতে পারি না। যদি তা করি তাহলে লাখ লাখ শহীদের তপ্ত রক্তের সঙ্গে বেইমানি বা বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই এমন নিন্দনীয় কাজ করব না।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা