শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড ও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

অতি সম্প্রতি বঙ্গবাজারের বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে মন ক্ষতবিক্ষত। কিছুই ভালো লাগছে না। আসলে ভারাক্রান্ত বিক্ষুব্ধ মন নিয়ে সুস্থভাবে কোনো কিছুই করা যায় না। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ছিল আমাদের মায়ের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ইফতার করতে গ্রামের বাড়ি মায়ের কবরে গিয়েছিলাম। পবিত্র মিলাদ শরিফ পাঠ করে ইফতারে বসেছিলাম। ইদানীং আমি মাটিতে বসতে পারি না, পায়ে লাগে। চেয়ারে বসেই নামাজ আদায় করি। ছাতিহাটিতেও তাই করেছি। আমরা চার-পাঁচ শ রোজাদারের ইফতারির কথা ভেবেছিলাম। যা ভেবেছিলাম সে রকম রোজাদার উপস্থিত হয়েছিলেন। বাচ্চা রোজাদাররা হাজির হয়েছিল সব থেকে বেশি। মসজিদের আশপাশের বাড়ি থেকে আমার জন্য এত ইফতারি এসেছিল যা মোটেই বলার মতো নয়। মায়ের মৃত্যুদিনে ছাতিহাটিতে সুন্দরভাবে ইফতারি হওয়ায় মনটা বেশ হালকা ফুরফুরে লাগছিল। ৭ তারিখ ১৫ রমজান ছিল সখিপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইফতার। অসাধারণ লোকসমাগম হয়েছিল। ব্যবস্থাপনাও ছিল চমৎকার। সবুর, লাল মিয়া, সানোয়ার অসম্ভব খাটাখাটি করেছে। তার ফলও পেয়েছে। গত কয়েক বছর অত সুন্দর ইফতার হয়নি। সখিপুরে যেন প্রতিযোগিতা লেগেছিল কয়েক বাড়ি থেকে ইফতারি আনার। আমার সামনে অনেকটা জায়গা ভরে গিয়েছিল। যে ইফতারি দল থেকে দেওয়া হয়েছিল তিনজনকে বিলিয়ে বাকিটুকু খাবার চেষ্টা করেছি। আমার জন্য আনা ইফতারি সবই ঢাকায় নিয়ে এসেছিলাম। এসে দেখি এলাহি কারবার! বেশ কদিন আগে মৃণালকান্তি দাসের মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে মালপোয়া আর লুচি ছিল প্রধান খাবার। বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার টেবিলে বসেছিলাম। তারা বেশ যতœ করে খাইয়ে ছিল। বাড়ি এসে যখনই বলছিলাম মালপোয়া আর লুচি খেয়ে এলাম। আমার স্ত্রীর মালপোয়ার প্রতি দারুণ ঝোঁক। খুব ভালোবাসেন মালপোয়া। কীভাবে যেন মৃণালকে বলেছিলাম, তোমার ভাবি মালপোয়া খেতে চেয়েছেন। এসে দেখি মালপোয়া, লুচি, সবজি, ডাল টেবিল ভর্তি। কম করে ১০০ জনের খাবার তো হবেই। এত কিছুর পরও বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা কেন জানি কোনোমতেই ভুলতে পারছিলাম না। আল্লাহর দুনিয়ায় এমনই হয়। ‘সকালবেলার আমির রে ভাই, ফকির সন্ধ্যাবেলা’ বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান শুনেছিলাম। এবার চোখের সামনে দেখলাম। যারা সন্ধ্যাবেলায় কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক তারাও রাত পোহালেই ফকির হয়ে গেছে। এটাই আল্লাহর বিচার। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা আমির বানাতে পারেন, যাকে ইচ্ছা ফকির বানাতে পারেন- এটা তারই প্রমাণ। এই যে হাজার হাজার ব্যবসায়ী এক মুহূর্তে আমির থেকে ফকির হয়ে গেল এর প্রতিকার কী? বাংলাদেশে কখনো ৫০টি আগুন নেভানোর গাড়ি একত্রে কাজ করেনি। প্রথম বলা হয়েছে আগুন নেভাতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা লেগেছে। নির্বিবাদে সাড়ে ছয় ঘণ্টা কোনো আগুন জ্বলতে পারলে সে তো সারা দেশ ছারখার করে দিতে পারে। এ আগুন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না, কেন অত সময় লাগল? ফায়ার সার্ভিসওয়ালারা বলেছেন, মানুষের ভিড় ও পানির অভাব। এত বড় শহর, হাজার হাজার কোটি টাকা রাতদিন খরচ হচ্ছে, কেন ফায়ার সার্ভিসের জন্য পানির লাইন করা হলো না? পৃথিবীর বহু দেশে নাগালের মধ্যে পানির ব্যবস্থা থাকে, আমাদের কেন নেই? কিছু লোক আবার ক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ভাঙচুর করেছে, লোকজনকে মারধর করেছে। জানি আমাদের দেশে কিছু লোক আছে ভালো কিছুতে হাত লাগাবে না, অকামে তেজ দেখাবে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। এসবের কোনো মানে হয় না। এখন প্রশ্ন আসে, আগুন কীভাবে লাগল? এ কি শুধু একটি দুর্ঘটনা? দুর্ঘটনা হলে আগুন এতটা ছড়াল কী করে? যদি দুর্ঘটনা না হয় তাহলে কীভাবে আগুন লাগল? কেউ কি আগুন লাগিয়েছে? পত্রপত্রিকায় দেখলাম মোটরসাইকেলে এসে কে না কে আগুন দিয়ে গেছে। আবার অনেকে বলছেন, বিরোধী দল সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য করেছে। কোনটা সত্য? যারা আগের রাতেও হাসিখুশি সম্পদশালী ছিল তারা সবাই শেষ হয়ে গেছে। কতদিন লাগবে উঠে দাঁড়াতে সে শুধু দয়াময় আল্লাহই জানেন। অন্য কারও পক্ষে জানার কথা নয়। এর মধ্যে আবার কতজন উঠে দাঁড়াতে পারবে বলা মুশকিল। কিছু লোক নিশ্চয়ই দাঁড়াবে। কিন্তু সবাই না। তবে আমার জীবনের দেখা থেকে বলতে পারি, যে জায়গায়ই আগুন জ্বলেছে সে জায়গায় ছনের ঘর টিনের হয়েছে, টিনের ঘর দালান হয়েছে। বঙ্গবাজার আবার আগের চাইতে অনেক বেশি পূর্ণতা নিয়ে উঠে দাঁড়াবে। কিন্তু যারা সর্বস্বান্ত হয়েছে তাদের কী হবে? সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিরোধীরা যদি এ কাজ করে থাকে তাহলে তা যেমন জঘন্য, তেমনি বিরোধী দলকে চাপে ফেলবার জন্য সরকার বা সরকারি দল যদি এমনটা করে থাকে তাহলে সেটাও মারাত্মক ঘৃণার কাজ। তাই ব্যাপারটা খুব সতর্কভাবে তলিয়ে দেখা দরকার। তা না হলে যদি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অগ্নিকান্ড হয়ে থাকে তাহলে বড় মারাত্মক ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর সময়ও এমনটা হয়েছিল। একের পর এক ঘরদুয়ার জ্বালাও-পোড়াও, পাটের গুদামে আগুন, কলকারখানা পুড়ে ফেলা, আরও অনেক কিছু। একইভাবে বিস্ফোরণ সেখান থেকে আগুন জ্বলা এর যদি শিকড় খুঁজে বের করা না হয় তাহলে দেশের জন্য বড় মারাত্মক চিন্তার কারণ। এ রকম দুশ্চিন্তা নিয়ে দেশের মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে না। তাই ব্যাপারটা ফয়সালা হওয়া দরকার। সরকার মাঝেমধ্যেই বলে, তাদের কাছে সব খবর আছে। তা যদি সত্য হয় তাহলে এর শেষ কোথায় এটা বের করা দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ হতেই থাকবে এবং দেশে এক মারাত্মক অরাজকতা দেখা দেবে। তাই এ ঘটনাকে হেলাফেলা করা যাবে না। এটার একটা প্রতিকার অবশ্যই করতে হবে। তা না হলে সুদূর ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।

এই জগৎসংসারে হাজারো রকমের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্যোগ দুর্বিপাকে মানুষ বিপর্যস্ত হয়। ঝড়-তুফান-বন্যা নানা রকমের বিপর্যয় হতে পারে। ’৮৮ সালের বন্যায় মিরপুরে দোতলা পর্যন্ত পানি উঠেছিল। এরশাদের সময় টঙ্গী থেকে মিরপুর হয়ে একটি বেড়িবাঁধ হওয়ায় টঙ্গী-উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত লাখো মানুষ বন্যার হাত থেকে অনেকটাই বেঁচে গেছে। গত বন্যায়ও দেখেছি, বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে পানি ছুঁইছুঁই করছে, অথচ ভিতরের দিকে ১৫-২০ ফুট নিচেও কোনো পানি নেই। তাই যে কোনো দুর্ঘটনা, যে কোনো বিপর্যয় ঘটার পরও কিছু না কিছু খুঁজে পাওয়া যায়। বন্যা হলে অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পড়ে থাকে, জিনিসপত্র থাকে। কিন্তু আগুনে ধরলে কিছুই থাকে না। সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই আগুন থেকে বাঁচার জন্য আগুনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা উচিত। আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করা উচিত। বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে মনে হয় প্রথম হেলিকপ্টার থেকে পানি ছড়ানো হয়েছে। যেভাবে যে পরিমাণ পানি হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হয়েছে তা হয়তো পর্যাপ্ত হয়নি। পরিমাণে আরও বেশি এবং নিরন্তর ছিটাতে পারলে তবেই কিছুটা কার্যকর ফল পাওয়া যেত। আর আগুনের লেলিহান শিখা যতটা উপর পর্যন্ত উঠেছিল তাতে হেলিকপ্টারগুলো খুব একটা নিচে নেমে আসতে পারেনি। বেশ দূর থেকে পানি ছড়াতে হয়েছে। এটা যদি আরও কাছ থেকে ছড়ানো যেত তাহলে আরও বেশি ফল হতো। যে ট্যাংকগুলো দিয়ে পানি ছিটানো হয়েছে সেই ট্যাংকগুলোর রশি আরও লম্বা করে দিলেই নিচে থেকে পানি ছিটানো যেত। হেলিকপ্টার থেকে আরও বেশি পানি ছিটাতে পারলে এবং হেলিকপ্টারের সংখ্যা আরও বেশি হলে একটার পর একটা হেলিকপ্টার যদি পানি ছড়াতে পারত তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসত। এক হেলিকপ্টারের পানি ছেড়ে যাওয়ার পর আরেক হেলিকপ্টার এসে যখন পানি ছেড়েছে উভয় হেলিকপ্টারের মাঝে যে সময়ের দূরত্ব তাতে সে পানি কোনো কাজই করতে পারেনি। আরও ঘন ঘন আরও লম্বা তার থেকে পানি ছড়াতে পারলে অবশ্যই এর চাইতে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যেত। কিছুদিন আগে প্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগুন নেভানো নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সেটা ছিল ১০-১৫ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন তা অনেকটাই সংগ্রহ করা গেছে। বঙ্গবাজারে আগুনের সময় দেখলামও অনেক যন্ত্রপাতি। কিন্তু পানির জন্য অনেক যন্ত্রপাতিই তেমন কাজে দেয়নি। ফায়ার ফাইটারদের যেসব আধুনিক জিনিসপত্র থাকা দরকার তারও অনেক অভাব দেখা গেছে। আর সেদিন সকালের দিকটায় এত বাতাস ছিল যা অভাবনীয়। সব সময় বাতাসের কারণে আগুনের শক্তি বৃদ্ধি হয়। ভবিষ্যতে যাতে আমরা এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত না হই তার জন্য ঘরদুয়ার দালানকোঠা তৈরিতে যেমন সতর্ক হওয়া উচিত তেমনি শত সতর্কতার পরও যদি কোথাও অগ্নিকান্ড ঘটে তাহলে যেন সহজেই তা নিভিয়ে ফেলা যায় সে রকম প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষিত আরও লোকজন তৈরি করা দরকার। আগুনের সঙ্গে লড়াই করবার মতো জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ থাকলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আমাদের দেশ যতদিন থাকবে আগুন নেভানো বা অন্য কোনো কাজকর্মে আমাদের দেশে উৎসুক জনতার কোনো দিন অভাব হবে না। পৃথিবীর দু-তিনটি মহাদেশের সম্মিলিত জনসংখ্যার চাইতেও আমাদের দেশের লোকসংখ্যা বেশি। তাই উৎসুক জনতার ওপর বিরক্ত হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যাবে না। আমাদের সব সময় এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই অগ্রসর হতে হবে।  এ দুর্যোগ দুর্বিপাকে বেদনাহত মন নিয়েই অন্য একটি বিষয় পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে চাই। আজ বেশ কয়েক বছর যাবৎ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এর জন্য আন্দোলন চলছে। ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা খুব একটা সুসংগঠিত নয়। তাই তারা তাদের ন্যায্য দাবিও আদায় করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করছে, মিছিল করছে, ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না। অনেক বছর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর। সেটা ’৯০-এর দিকে ৩০ বছর করা হয়েছিল। তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছরের নিচে। এখন সেটা ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। যেহেতু বয়সসীমা বেড়েছে চাকরিতে বয়স বাড়ানো হয়েছে সেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়বে না? তা ছাড়া আমাদের দেশে অনেক দিন থেকেই সুস্থভাবে লেখাপড়া হয় না। এটাওটা জট লেগেই থাকে। নিয়মিতভাবে সেশনজট ছাড়া পাস করলে চাকরিতে প্রবেশের যে সময় শিক্ষার্থীরা পেতে পারে বা পারত তার কিছুই তারা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করতেই অনেকের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায়। এই তো কিছুদিন হলো করোনার জন্য সবকিছুতে ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লেখাপড়ায় যে কত ক্ষতি হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। কীভাবে এক শুভংকরের ফাঁকি দেখানো হয়েছে। ৩৯ মাস করোনার জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। আদতে এটা একটা শুভংকরের ফাঁকি। ৩৯ মাস নয়, নিখুঁতভাবে হিসাবকিতাব করলে দেখা যাবে আট-নয় মাস শিক্ষার্থীরা পেতে পারে। এ রকম ভানুমতীর খেল দেখে দেখে আমাদের সন্তানরা হতাশ হয়ে পড়ছে। জীবনের শুরুতেই যদি আমাদের সন্তানরা এ রকম চরম হতাশায় ভোগে তাহলে সারা জীবন তো পড়েই থাকল। তারা বাকি জীবনে কী করবে? কীভাবে করবে? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয় গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারকেও ভেবে দেখতে বলছি। গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের মূল্য সবার ওপরে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর দৃষ্টি দেওয়া বাঞ্ছনীয়। তা না করে কোনো উপনিবেশের মতো মানুষের প্রতি আচরণ করলে তার ফল কখনো ভালো হতে পারে না। তাই সরকারকেও বলছি শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় দৃষ্টি দিতে। আজকের শিশু কাল জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সঙ্গে দরদি ব্যবহার না করলে শেষ পর্যন্ত আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তাদের সঙ্গে মর্যাদার আচরণ করা উচিত। তারা যদি শিক্ষাজীবনে মর্যাদা আর অমর্যাদা বুঝতে না পারে তাহলে বড় হয়ে কী করবে? তারাও তো দুর্ব্যবহার পেয়ে বড় হয়ে অন্যের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করবে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তাদের কষ্ট তাদের অসুবিধা মুখ ফুটে বলার আগেই অভিভাবকদের বোঝা উচিত।

মাঝেমধ্যেই সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো অ্যাপ্লিকেশন করতে বা আবেদন করতে হাজার-দুই হাজার ফি দিতে হয়। কেন ১০০, ২০০, ২০, ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয় না বা যায় না। সরকার কি চাকরির আবেদনকারীদের কাছ থেকে ফি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বা করবে? আবার ঘ্যাগের ওপর তারাবাতির মতো একই দিনে ১০-১৫-২০টা বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। একজন উচ্চশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে চাকরির দরখাস্ত করেন। তারা কিন্তু এক দিনে একটি বা দুটির বেশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। তাই তারা বাদ পড়ে যান। কর্তৃপক্ষের এ বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত। একজন আবেদনকারী হয়তো পাঁচ-সাতটি বিভাগে আবেদন করেছেন। একই দিনে পরীক্ষা হওয়ায় হয়তো তিনি দুটির বেশিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বা পারেননি। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ করার আছে। তা হলো, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীত করার আন্দোলন যারা করছে তারা খুব বেশি কেউ কোনো দলের নয়। কোনো উচ্ছৃঙ্খলতা করেছে এমনও খুব একটা নজির নেই। অথচ মাঝেমধ্যেই তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হচ্ছে এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই কদিন আগে আন্দোলনকারী ছেলেমেয়েরা প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার পথে মুক্তা সুলতানা নামে একটি মেয়ের পিঠে পুলিশ এমনভাবে লাথি মেরেছে যে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এটা তো কোনো সভ্য সমাজের রীতিনীতি হতে পারে না। আর মেয়ের পিঠে লাথি মানে মায়ের পিঠে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। আমাদের প্রিয় রসুল (সা.) সাহাবাদের বলেছিলেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ তিনবার একইভাবে বলেছেন, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ চতুর্থবার বলেছেন, ‘বাবার পায়ের নিচেও।’ একটি মেয়ে একটি নারীই তো মা। সেই মায়ের গায়ে লাথি এ তো স্রষ্টা সহ্য করবেন না। তাই সরকারকেও সহনশীল হতে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫-এ উন্নীতকরণের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে অনুরোধ করছি। ৩৫ বছর চাকরি প্রবেশের বয়সসীমা এটা মোটেই কোনো অন্যায় নয়, অন্যায় দাবিও নয়। পৃথিবীর বহু দেশে চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা নেই। দু-চারটি দেশে বয়সসীমা আছে তাদেরও অনেকের ৪০-৪৫, কিন্তু ৩০ বছর কোনো দেশে নেই। এমনকি ভারতেও না। হ্যাঁ একমাত্র পাকিস্তানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। আমরা কি তাহলে পাকিস্তানকে অনুসরণ করব বা করছি? পাকিস্তান আমাদের পথপ্রদর্শক হতে পারে না। অন্যায়কারী জুলুমকারী নির্যাতক পাকিস্তানকে আমরা কখনো অনুসরণ করতে পারি না। যদি তা করি তাহলে লাখ লাখ শহীদের তপ্ত রক্তের সঙ্গে বেইমানি বা বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। নিশ্চয়ই আমরা কোনোমতেই এমন নিন্দনীয় কাজ করব না।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
ফাহাদ-নীড়দের জন্য গ্রান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট
ফাহাদ-নীড়দের জন্য গ্রান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ডেভিস কাপ টেনিসে ভালো ফলের প্রত্যাশা বাংলাদেশের
ডেভিস কাপ টেনিসে ভালো ফলের প্রত্যাশা বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পরীক্ষার্থীদের জন্য নীরব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখল দক্ষিণ কোরিয়া
পরীক্ষার্থীদের জন্য নীরব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখল দক্ষিণ কোরিয়া

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি
সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার
অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা
পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত
রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১২ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা
হামজা-জায়ানের চোটের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ কাবরেরা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার
যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাদের
সেই কাদের

শোবিজ

আমন খেতে ইঁদুরের হানা
আমন খেতে ইঁদুরের হানা

দেশগ্রাম

মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ
মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ

পেছনের পৃষ্ঠা