শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তা আইন জরুরি

ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তা আইন জরুরি

সমাজের বিভিন্ন স্তরে অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতা, মূল্যবোধের অবক্ষয় আমাদের ধীরে ধীরে গ্রাস করছে, যুক্তি আর বিবেচনাবোধ লোপ পেয়ে আবেগতাড়িত আগ্রাসী আচরণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তুচ্ছ অপরাধে বিচার হাতে তুলে নিয়ে মানব হচ্ছে দানব। ছেলেধরা সন্দেহে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা আর চুরি-ছিনতাই-পকেটমারার অভিযোগে গণপিটুনি তো অহরহ হচ্ছে।  কেউ মারছে, কেউ পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিচ্ছে, প্রহারকারী বা উৎসুক জনতার হৃদয়ে দয়ার উদ্রেক হয় না। কেউ মোবাইলে ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউবা করছে ভিডিও। এখানে সত্য মিথ্যা যাচাই তো পরের কথা, আইন নিজের হাতে তুলে কাউকে প্রহার করা যায় কি না তা ভাবার অবকাশ কারও নেই। আজকাল আবার “সোশ্যাল মিডিয়াতে” সত্য বা কাল্পনিক “স্ট্যাটাসের” জেরে ভাঙচুর আর মারধরের ঘটনা ঘটছে।  মনমতো কাজ না হলেই অফিস ভবন আর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চলছে। নির্মম এই আচরণের অন্যতম লক্ষ্য আমাদের স্বাস্থ্য খাত।

স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলাজনিত ঘটনা নানা কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় হাসপাতালে লোকবল, অর্থবল আর অন্যান্য সুবিধাদির অভাবের দায়ভার ডাক্তারের ঘাড়ে চাপিয়ে তাকে হেনস্থা করা হয়। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা বোধ করি, ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার অভিযোগ তুলে তাদের লাঞ্ছনা।

তথাকথিত ‘ভুল চিকিৎসা’ আর ‘চিকিৎসায় অবহেলার’ অভিযোগ এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগীর মৃত্যু হলেই স্বজনরা আবেগাপ্লুত আর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন, চিকিৎসককে ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। সবাই নয়, কিন্তু অনেকেই। ডাক্তারদের সীমাবদ্ধতা, রোগীকে বাঁচানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা আর সদিচ্ছা তাদের চোখে পড়ে না। অভিযোগ একটাই, ভুল চিকিৎসা, না হলে রোগী মরবে কেন? ফলশ্রুতিতে শুরু হয়

ডাক্তার আর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ। আরও ভয়ংকর হচ্ছে, মারা গেলেই অবহেলার অভিযোগে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি ভাঙচুর, কর্মরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর আক্রমণ, এমনকি মামলা দায়ের করে হয়রানি করা। অনেক সময় তদন্ত ছাড়াই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কিছু গণমাধ্যমে যথাযথ অনুসন্ধান না করেই ‘ভুল চিকিৎসা’ বা ‘ভুল ওষুধ দেওয়ার’ অভিযোগ এনে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে’ চিকিৎসক বা চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চলছে কোনো প্রমাণ ছাড়াই। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই যুক্তিহীন এসব কর্মকা- কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

আস্থাহীন উত্তেজিত জনতা, কিছু গণমাধ্যমের দায়িত্বহীনতা ও ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারের ভয়-এ ত্রিমুখী চাপে চিকিৎসকরা অনেকটাই বিপর্যস্ত। অধিকাংশ চিকিৎসকের মাঝে চাপা ক্ষোভ এবং নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বড় বড় শহরসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এ অবস্থা উদ্বেগজনক, শুধু চিকিৎসকদের জন্যই নয়, রোগীদের জন্যও। এতে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে আস্থার অভাব দেখা দিচ্ছে।

একদিকে রোগী চিকিৎসা নিয়ে সন্দিহান হচ্ছেন, যে চিকিৎসা দেশে সুলভে সম্ভব তার জন্য বিপুল খরচ করে বিদেশমুখী হচ্ছেন।

বর্তমানে এ অবস্থা ভয়াবহ, সুষ্ঠু চিকিৎসার পরিবেশের অন্তরায়। সামান্য ঘটনার জের ধরে অযথা ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। ফলে যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা চিকিৎসা দেওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জটিল ও মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে গিয়ে ডাক্তাররা ভয়ভীতির মধ্যে কাজ করছেন।

একটু সমস্যা মনে হলেই ভয়াবহ পরিণতির মধ্যে পড়তে হবে, তা ভেবে চিকিৎসা না দিয়ে এবং নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দায়িত্ব এড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। ফলে জরুরি চিকিৎসাসেবাও অনেকাংশে হুমকির সম্মুখীন।

এটা গল্পসাহিত্য বা সিনেমার কোনো অনুষঙ্গ নয়, বরং হরহামেশাই ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ চিত্র। এসব ঘটনা আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে যে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তা আমরা খোলা চোখে দেখি না। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্য খাতে যে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তা শিগগিরই মুখ থুবড়ে পড়বে-তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আবেগবর্জিত দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকে চোখ রাখি, তাহলে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং রোগের ধরন বিবেচনা করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু অস্বাভাবিক ছিল না, রোগটির কারণেই মৃত্যু অবধারিত ছিল। অনেক জটিল রোগেই রোগীকে বাঁচানো যায় না। যেমন- ম্যাসিভ স্ট্রোক, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক, ছড়িয়ে যাওয়া ক্যান্সার, সেপসিস, সেপটিক শক, কিডনি বা লিভার বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অনেক রোগ সব সময় নিরাময়যোগ্য নয়। মুমূর্ষু রোগীদের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়, সেখানেও মৃত্যুর হার বেশি। শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে চিকিৎসা কখনই সম্ভব নয়। মৃত্যু অমোঘ, চিরন্তন। চিকিৎসকরা শুধু রোগের উপশম ও রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারে মাত্র, জীবন-মৃত্যুর ফয়সালা তাদের হাতে নেই। কবি বলেন, ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?’ পবিত্র কোরআন শরিফে আছে ‘কুল্লু নাফসেন যায়েকাতুল মাওত’ (সুরা আল ইমরান : ১৮৫)। নিশ্চয়ই প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। কোনো রোগী মারা যাক, তা কোনো চিকিৎসকেরই কাম্য নয়। তবু শোকার্ত হৃদয়ে তাকে অনেকের মৃত্যুই মেনে নিতে হয়। মানুষ তো মারা যাবেই, চিকিৎসক নিজেও অমর নন। এটাই নির্মম বাস্তবতা, জগতের নিয়ম। চিকিৎসক হিসেবে এ আমাদের করুণ সীমাবদ্ধতা।

কেবল বাংলাদেশেই নয়, অনেক দেশেই এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে দেওয়া ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এক যুগান্তকারী রায় অনুযায়ী “কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলা হলে তার প্রাথমিক সত্যতা ছাড়া ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রথমে কোনো যোগ্য বিশেষজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত নিতে হবে। এরপরই শুধু সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা যাবে।” আদালত মনে করে, “চিকিৎসা পেশাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করায় অত্যন্ত তুচ্ছ ঘটনায়ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তদন্ত প্রক্রিয়ায় যারা শেষ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হবেন না, তারা যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা দরকার বলে আদালত মতপ্রকাশ করে।” এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে বলা হয়, “আনীত অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের যেন গ্রেফতার বা হয়রানি না করা হয়, অন্যথায় তাদেরও আইনগত ব্যবস্থা মোকাবেলা করতে হবে।” ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, “প্রকৃত অর্থে যেসব চিকিৎসক চিকিৎসায় অবহেলার সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রতি আদালতের কোনো সহানুভূতি নেই।” ২০১০ সালে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের ওপর হামলা বন্ধে আইন পাস করে। এ আইনে কেউ চিকিৎসকদের ওপর হামলা করলে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড দেওয়ার বিধান করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং হাসপাতালে হামলা ‘ফেলোনি’ বা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্টেট ভেদে সর্বোচ্চ শাস্তি বিভিন্ন মাত্রায় হয়ে থাকে।

২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ‘সেফ নাইট আউট স্ট্র্যাটেজি’র আওতায় চিকিৎসক এবং হাসপাতালে হামলার ঘটনায় দোষীদের ১৪ বছরের জেল দেওয়ার বিধান করা হয়।

চীনে চিকিৎসক এবং হাসপাতালে হামলা এতটাই প্রচলিত যে, অভিধানে নতুন একটি চাইনিজ শব্দ ‘ইয়েনাও, যার অর্থ চিকিৎসায় অরাজকতা’ যুক্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে ‘নিরাপদ হাসপাতাল ক্যাম্পেইন’ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে চীনের ১১টি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ হাসপাতালের প্রতি ২০ বেডের বিপরীতে একজন নিরাপত্তারক্ষী, স্বাস্থ্যকর্মীর অন্তত ৩% এর বেশি সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ, সিকিউরিটি অ্যালার্ম এবং সিসিটিভি স্থাপনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট, বিচার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কমিশন নতুন গাইডলাইন প্রণয়ন করে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখা হয়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ১৯৯৯ সালে স্বাস্থ্য খাতে হামলা রোধে ‘জিরো টলারেন্স জোন ক্যাম্পেইন’ চালু করে। স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এনএইচএস ‘সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস’ নামে পৃথক বিভাগ খোলে। এর আওতায় যে কোনো সহিংসতা কর্তৃপক্ষকে জানানো, তদন্ত, পুলিশ এবং বিচারিক কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন, স্বাস্থ্য কর্মীদের সব ধরনের সহায়তা এবং সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার নিশ্চিত করা হয়। প্রয়োজনে রোগীকে লিখিত সতর্কতা বা ইয়েলো কার্ড, গুরুতর ব্যবস্থা হিসেবে রেড কার্ড এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট, ২০০৮’-এর আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা প্রদানে ১০০০ পাউন্ড জরিমানার পাশাপাশি রোগীর আত্মীয়স্বজন যারা চিকিৎসা প্রদানে বিঘ্ন ঘটায়, তাদের হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য করার ক্ষমতা এনএইচএসকে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বেশ কিছু আইন ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি এট ওয়ার্ক ইটিসি অ্যাক্ট ১৯৭৪, ‘হেলথ অ্যাক্ট ১৯৯৯’ “ম্যানেজমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাট ওয়ার্ক রেগুলেশন, ১৯৯৯” কার্যকর আছে। স্কটল্যান্ডে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘দ্য ইমার্জেন্সি ওয়ার্কার অ্যাক্ট ২০০৫’ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ৯ মাসের জেল এবং ৫ হাজার পাউন্ড জরিমানার বিধান আছে।

নেপাল স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য ২০১০ সালে আইন পাস করে এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা সমন্বয় কমিটি প্রবর্তন করে। আইন ভঙ্গকারীর সর্বোচ্চ এক বছরের জেল এবং ৩ লাখ রুপি জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল রিভিউ অব রেডক্রসের ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘ভায়োলেন্স এগেইন্সট হেলথ কেয়ার : পার্ট ওয়ান’-এ যে পদক্ষেপ আবশ্যক বলা হয়েছে তা হলো- যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত একটি পরিপূর্ণ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ আইনগত কাঠামো। যদি চিকিৎসকদের জন্য নিরাপত্তা এবং নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা না যায়, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ এবং জটিলতর হয়ে উঠবে। তাই জনস্বার্থেই চিকিৎসক এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে হামলা বন্ধে স্থায়ী সমাধান এখন সময়ের দাবি। চিকিৎসকের পেশাগত দক্ষতা, আন্তরিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব হলো নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় নির্দিষ্ট আইনের এখনো ঘাটতি আছে। সরকারের উচিত অন্যান্য দেশে নেওয়া প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে, বাংলাদেশেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মী ও হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ আইন প্রণয়ন এবং তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

ভয়াবহ এই সমস্যার মূলে রয়েছে বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর রোগীদের আস্থার অভাব। এর স্থায়ী সমাধান করতে হলে আস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। শুধু আইন দিয়ে আস্থা অর্জন সম্ভব নয়। এর জন্য চাই সব পক্ষের সদিচ্ছা আর প্রয়াস। নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। দক্ষ চিকিৎসক তৈরির সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে, হাসপাতালগুলোকে সক্ষম করে তুলতে হবে, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ সহজ এবং দ্রুত করতে হবে, স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন স্তর বা কোথায় কেমন সেবা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে হবে। ডাক্তারদেরও মনে রাখতে হবে রোগীর আস্থা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতা ও পেশাগত আচরণের মাধ্যমে রোগীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হলে অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সংবাদ মাধ্যমের দায় আছে ডাক্তারকে দায়ী করে একতরফা ভিত্তিহীন রিপোর্ট না করা। রোগী ও তার আত্মীয়স্বজনদেরও দায়িত্ব রয়েছে চিকিৎসকের ওপর আস্থা রাখা, সেবাসংক্রান্ত প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করা এবং সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ আর ভাঙচুর পরিহার করা। তাদের বোঝা উচিত, যেহেতু ডাক্তারের কাছে কোনো না কোনো সময় চিকিৎসার জন্য যেতেই হবে, তাই তাদের সঙ্গেও ভদ্র, মার্জিত, সহনশীল আচরণ করা উচিত। একতরফা শুধু ডাক্তারকে দোষ দেওয়াটাও অন্যায়।

ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে করা উচিত। শুধু আবেগের বশে ভাঙচুর বা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ যেন না হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশের ডাক্তারেরও ভুল হয়। প্রয়োজনে মামলা হতেই পারে। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই যেন গ্রেফতার ও হয়রানি না করা হয় এবং তাদের সঙ্গে খুনের মামলার আসামির মতো আচরণ কোনোক্রমেই কাম্য নয়। কারও বিরুদ্ধে চিকিৎসা সংক্রান্ত মামলা হলে গ্রেফতারের আগে বিএমডিসির অনুমতি নেওয়া উচিত। ডাক্তারদের ওপর হামলায় দায়ী ব্যক্তিদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে, এ বিষয়টি সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে।

রোগী, তার আত্মীয়স্বজন, ডাক্তার এবং চিকিৎসাকর্মী সবার মাঝে পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই। প্রশাসনের উচিত ডাক্তার এবং চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিরাপত্তায় যথাযথ আইন প্রণয়ন এবং তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা।  স্বাস্থ্যকর্মী, সন্ত্রাসী, ভাঙচুরকারী যিনিই দোষী সাব্যস্ত হবেন, তার যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর তা না হলে ডাক্তাররা স্বাধীনভাবে চিকিৎসা দিতে ভয় পাবে, জনগণের আস্থা আরও হারাবে, জনগণ আরও বিদেশমুখী হবে, স্বাস্থ্য খাতে যে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা মুখ থুবড়ে পড়বে।

                লেখক : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল

দেশগ্রাম