শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তা আইন জরুরি

ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তা আইন জরুরি

সমাজের বিভিন্ন স্তরে অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতা, মূল্যবোধের অবক্ষয় আমাদের ধীরে ধীরে গ্রাস করছে, যুক্তি আর বিবেচনাবোধ লোপ পেয়ে আবেগতাড়িত আগ্রাসী আচরণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তুচ্ছ অপরাধে বিচার হাতে তুলে নিয়ে মানব হচ্ছে দানব। ছেলেধরা সন্দেহে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা আর চুরি-ছিনতাই-পকেটমারার অভিযোগে গণপিটুনি তো অহরহ হচ্ছে।  কেউ মারছে, কেউ পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিচ্ছে, প্রহারকারী বা উৎসুক জনতার হৃদয়ে দয়ার উদ্রেক হয় না। কেউ মোবাইলে ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউবা করছে ভিডিও। এখানে সত্য মিথ্যা যাচাই তো পরের কথা, আইন নিজের হাতে তুলে কাউকে প্রহার করা যায় কি না তা ভাবার অবকাশ কারও নেই। আজকাল আবার “সোশ্যাল মিডিয়াতে” সত্য বা কাল্পনিক “স্ট্যাটাসের” জেরে ভাঙচুর আর মারধরের ঘটনা ঘটছে।  মনমতো কাজ না হলেই অফিস ভবন আর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চলছে। নির্মম এই আচরণের অন্যতম লক্ষ্য আমাদের স্বাস্থ্য খাত।

স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলাজনিত ঘটনা নানা কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় হাসপাতালে লোকবল, অর্থবল আর অন্যান্য সুবিধাদির অভাবের দায়ভার ডাক্তারের ঘাড়ে চাপিয়ে তাকে হেনস্থা করা হয়। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা বোধ করি, ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার অভিযোগ তুলে তাদের লাঞ্ছনা।

তথাকথিত ‘ভুল চিকিৎসা’ আর ‘চিকিৎসায় অবহেলার’ অভিযোগ এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগীর মৃত্যু হলেই স্বজনরা আবেগাপ্লুত আর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন, চিকিৎসককে ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। সবাই নয়, কিন্তু অনেকেই। ডাক্তারদের সীমাবদ্ধতা, রোগীকে বাঁচানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা আর সদিচ্ছা তাদের চোখে পড়ে না। অভিযোগ একটাই, ভুল চিকিৎসা, না হলে রোগী মরবে কেন? ফলশ্রুতিতে শুরু হয়

ডাক্তার আর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ। আরও ভয়ংকর হচ্ছে, মারা গেলেই অবহেলার অভিযোগে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি ভাঙচুর, কর্মরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর আক্রমণ, এমনকি মামলা দায়ের করে হয়রানি করা। অনেক সময় তদন্ত ছাড়াই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কিছু গণমাধ্যমে যথাযথ অনুসন্ধান না করেই ‘ভুল চিকিৎসা’ বা ‘ভুল ওষুধ দেওয়ার’ অভিযোগ এনে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে’ চিকিৎসক বা চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চলছে কোনো প্রমাণ ছাড়াই। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই যুক্তিহীন এসব কর্মকা- কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

আস্থাহীন উত্তেজিত জনতা, কিছু গণমাধ্যমের দায়িত্বহীনতা ও ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারের ভয়-এ ত্রিমুখী চাপে চিকিৎসকরা অনেকটাই বিপর্যস্ত। অধিকাংশ চিকিৎসকের মাঝে চাপা ক্ষোভ এবং নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বড় বড় শহরসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এ অবস্থা উদ্বেগজনক, শুধু চিকিৎসকদের জন্যই নয়, রোগীদের জন্যও। এতে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে আস্থার অভাব দেখা দিচ্ছে।

একদিকে রোগী চিকিৎসা নিয়ে সন্দিহান হচ্ছেন, যে চিকিৎসা দেশে সুলভে সম্ভব তার জন্য বিপুল খরচ করে বিদেশমুখী হচ্ছেন।

বর্তমানে এ অবস্থা ভয়াবহ, সুষ্ঠু চিকিৎসার পরিবেশের অন্তরায়। সামান্য ঘটনার জের ধরে অযথা ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। ফলে যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা চিকিৎসা দেওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জটিল ও মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে গিয়ে ডাক্তাররা ভয়ভীতির মধ্যে কাজ করছেন।

একটু সমস্যা মনে হলেই ভয়াবহ পরিণতির মধ্যে পড়তে হবে, তা ভেবে চিকিৎসা না দিয়ে এবং নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দায়িত্ব এড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। ফলে জরুরি চিকিৎসাসেবাও অনেকাংশে হুমকির সম্মুখীন।

এটা গল্পসাহিত্য বা সিনেমার কোনো অনুষঙ্গ নয়, বরং হরহামেশাই ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ চিত্র। এসব ঘটনা আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে যে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তা আমরা খোলা চোখে দেখি না। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্য খাতে যে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তা শিগগিরই মুখ থুবড়ে পড়বে-তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আবেগবর্জিত দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকে চোখ রাখি, তাহলে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং রোগের ধরন বিবেচনা করলে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু অস্বাভাবিক ছিল না, রোগটির কারণেই মৃত্যু অবধারিত ছিল। অনেক জটিল রোগেই রোগীকে বাঁচানো যায় না। যেমন- ম্যাসিভ স্ট্রোক, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক, ছড়িয়ে যাওয়া ক্যান্সার, সেপসিস, সেপটিক শক, কিডনি বা লিভার বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অনেক রোগ সব সময় নিরাময়যোগ্য নয়। মুমূর্ষু রোগীদের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়, সেখানেও মৃত্যুর হার বেশি। শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে চিকিৎসা কখনই সম্ভব নয়। মৃত্যু অমোঘ, চিরন্তন। চিকিৎসকরা শুধু রোগের উপশম ও রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারে মাত্র, জীবন-মৃত্যুর ফয়সালা তাদের হাতে নেই। কবি বলেন, ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?’ পবিত্র কোরআন শরিফে আছে ‘কুল্লু নাফসেন যায়েকাতুল মাওত’ (সুরা আল ইমরান : ১৮৫)। নিশ্চয়ই প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। কোনো রোগী মারা যাক, তা কোনো চিকিৎসকেরই কাম্য নয়। তবু শোকার্ত হৃদয়ে তাকে অনেকের মৃত্যুই মেনে নিতে হয়। মানুষ তো মারা যাবেই, চিকিৎসক নিজেও অমর নন। এটাই নির্মম বাস্তবতা, জগতের নিয়ম। চিকিৎসক হিসেবে এ আমাদের করুণ সীমাবদ্ধতা।

কেবল বাংলাদেশেই নয়, অনেক দেশেই এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে দেওয়া ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এক যুগান্তকারী রায় অনুযায়ী “কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলা হলে তার প্রাথমিক সত্যতা ছাড়া ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রথমে কোনো যোগ্য বিশেষজ্ঞ বা বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত নিতে হবে। এরপরই শুধু সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা যাবে।” আদালত মনে করে, “চিকিৎসা পেশাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করায় অত্যন্ত তুচ্ছ ঘটনায়ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তদন্ত প্রক্রিয়ায় যারা শেষ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হবেন না, তারা যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা দরকার বলে আদালত মতপ্রকাশ করে।” এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক করে বলা হয়, “আনীত অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের যেন গ্রেফতার বা হয়রানি না করা হয়, অন্যথায় তাদেরও আইনগত ব্যবস্থা মোকাবেলা করতে হবে।” ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, “প্রকৃত অর্থে যেসব চিকিৎসক চিকিৎসায় অবহেলার সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রতি আদালতের কোনো সহানুভূতি নেই।” ২০১০ সালে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের ওপর হামলা বন্ধে আইন পাস করে। এ আইনে কেউ চিকিৎসকদের ওপর হামলা করলে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড দেওয়ার বিধান করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং হাসপাতালে হামলা ‘ফেলোনি’ বা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্টেট ভেদে সর্বোচ্চ শাস্তি বিভিন্ন মাত্রায় হয়ে থাকে।

২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ‘সেফ নাইট আউট স্ট্র্যাটেজি’র আওতায় চিকিৎসক এবং হাসপাতালে হামলার ঘটনায় দোষীদের ১৪ বছরের জেল দেওয়ার বিধান করা হয়।

চীনে চিকিৎসক এবং হাসপাতালে হামলা এতটাই প্রচলিত যে, অভিধানে নতুন একটি চাইনিজ শব্দ ‘ইয়েনাও, যার অর্থ চিকিৎসায় অরাজকতা’ যুক্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে ‘নিরাপদ হাসপাতাল ক্যাম্পেইন’ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে চীনের ১১টি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ হাসপাতালের প্রতি ২০ বেডের বিপরীতে একজন নিরাপত্তারক্ষী, স্বাস্থ্যকর্মীর অন্তত ৩% এর বেশি সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ, সিকিউরিটি অ্যালার্ম এবং সিসিটিভি স্থাপনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করে। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট, বিচার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কমিশন নতুন গাইডলাইন প্রণয়ন করে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখা হয়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ১৯৯৯ সালে স্বাস্থ্য খাতে হামলা রোধে ‘জিরো টলারেন্স জোন ক্যাম্পেইন’ চালু করে। স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এনএইচএস ‘সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস’ নামে পৃথক বিভাগ খোলে। এর আওতায় যে কোনো সহিংসতা কর্তৃপক্ষকে জানানো, তদন্ত, পুলিশ এবং বিচারিক কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন, স্বাস্থ্য কর্মীদের সব ধরনের সহায়তা এবং সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার নিশ্চিত করা হয়। প্রয়োজনে রোগীকে লিখিত সতর্কতা বা ইয়েলো কার্ড, গুরুতর ব্যবস্থা হিসেবে রেড কার্ড এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট, ২০০৮’-এর আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা প্রদানে ১০০০ পাউন্ড জরিমানার পাশাপাশি রোগীর আত্মীয়স্বজন যারা চিকিৎসা প্রদানে বিঘ্ন ঘটায়, তাদের হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য করার ক্ষমতা এনএইচএসকে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বেশ কিছু আইন ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি এট ওয়ার্ক ইটিসি অ্যাক্ট ১৯৭৪, ‘হেলথ অ্যাক্ট ১৯৯৯’ “ম্যানেজমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাট ওয়ার্ক রেগুলেশন, ১৯৯৯” কার্যকর আছে। স্কটল্যান্ডে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘দ্য ইমার্জেন্সি ওয়ার্কার অ্যাক্ট ২০০৫’ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ৯ মাসের জেল এবং ৫ হাজার পাউন্ড জরিমানার বিধান আছে।

নেপাল স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য ২০১০ সালে আইন পাস করে এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা সমন্বয় কমিটি প্রবর্তন করে। আইন ভঙ্গকারীর সর্বোচ্চ এক বছরের জেল এবং ৩ লাখ রুপি জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল রিভিউ অব রেডক্রসের ২০১৩ সালে প্রকাশিত ‘ভায়োলেন্স এগেইন্সট হেলথ কেয়ার : পার্ট ওয়ান’-এ যে পদক্ষেপ আবশ্যক বলা হয়েছে তা হলো- যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত একটি পরিপূর্ণ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ আইনগত কাঠামো। যদি চিকিৎসকদের জন্য নিরাপত্তা এবং নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা না যায়, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ এবং জটিলতর হয়ে উঠবে। তাই জনস্বার্থেই চিকিৎসক এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে হামলা বন্ধে স্থায়ী সমাধান এখন সময়ের দাবি। চিকিৎসকের পেশাগত দক্ষতা, আন্তরিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব হলো নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় নির্দিষ্ট আইনের এখনো ঘাটতি আছে। সরকারের উচিত অন্যান্য দেশে নেওয়া প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে, বাংলাদেশেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মী ও হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ আইন প্রণয়ন এবং তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

ভয়াবহ এই সমস্যার মূলে রয়েছে বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর রোগীদের আস্থার অভাব। এর স্থায়ী সমাধান করতে হলে আস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। শুধু আইন দিয়ে আস্থা অর্জন সম্ভব নয়। এর জন্য চাই সব পক্ষের সদিচ্ছা আর প্রয়াস। নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। দক্ষ চিকিৎসক তৈরির সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে, হাসপাতালগুলোকে সক্ষম করে তুলতে হবে, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ সহজ এবং দ্রুত করতে হবে, স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন স্তর বা কোথায় কেমন সেবা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে হবে। ডাক্তারদেরও মনে রাখতে হবে রোগীর আস্থা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতা ও পেশাগত আচরণের মাধ্যমে রোগীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হলে অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সংবাদ মাধ্যমের দায় আছে ডাক্তারকে দায়ী করে একতরফা ভিত্তিহীন রিপোর্ট না করা। রোগী ও তার আত্মীয়স্বজনদেরও দায়িত্ব রয়েছে চিকিৎসকের ওপর আস্থা রাখা, সেবাসংক্রান্ত প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করা এবং সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ আর ভাঙচুর পরিহার করা। তাদের বোঝা উচিত, যেহেতু ডাক্তারের কাছে কোনো না কোনো সময় চিকিৎসার জন্য যেতেই হবে, তাই তাদের সঙ্গেও ভদ্র, মার্জিত, সহনশীল আচরণ করা উচিত। একতরফা শুধু ডাক্তারকে দোষ দেওয়াটাও অন্যায়।

ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে করা উচিত। শুধু আবেগের বশে ভাঙচুর বা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ যেন না হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশের ডাক্তারেরও ভুল হয়। প্রয়োজনে মামলা হতেই পারে। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই যেন গ্রেফতার ও হয়রানি না করা হয় এবং তাদের সঙ্গে খুনের মামলার আসামির মতো আচরণ কোনোক্রমেই কাম্য নয়। কারও বিরুদ্ধে চিকিৎসা সংক্রান্ত মামলা হলে গ্রেফতারের আগে বিএমডিসির অনুমতি নেওয়া উচিত। ডাক্তারদের ওপর হামলায় দায়ী ব্যক্তিদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে, এ বিষয়টি সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে।

রোগী, তার আত্মীয়স্বজন, ডাক্তার এবং চিকিৎসাকর্মী সবার মাঝে পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই। প্রশাসনের উচিত ডাক্তার এবং চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট অন্যদের নিরাপত্তায় যথাযথ আইন প্রণয়ন এবং তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা।  স্বাস্থ্যকর্মী, সন্ত্রাসী, ভাঙচুরকারী যিনিই দোষী সাব্যস্ত হবেন, তার যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর তা না হলে ডাক্তাররা স্বাধীনভাবে চিকিৎসা দিতে ভয় পাবে, জনগণের আস্থা আরও হারাবে, জনগণ আরও বিদেশমুখী হবে, স্বাস্থ্য খাতে যে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা মুখ থুবড়ে পড়বে।

                লেখক : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

২৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৪৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৫৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা