ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও একধাপ অগ্রগতির আভাস পাওয়া গেল সে দেশের তথাকথিত সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দিবিনিময়ের ঘটনায়। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দখলে আছে রাজধানী সানাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। আর সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে বন্দরনগরী এডেন ও ধারেকাছের কিছু অঞ্চল। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে ইসলামের শিয়া সম্প্রদায়ের। তাদের প্রতি আছে ইরানের সমর্থন। আর সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের অর্থ ও অস্ত্রে পরিচালিত হচ্ছে সানা থেকে ক্ষমতাচ্যুত এবং এডেনে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সুন্নিপন্থি ইয়েমেন সরকার। বলা যায়, সৌদি আরব এবং পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনে টিকে আছে সে দেশের তথাকথিত এডেনভিত্তিক সরকার। কয়েক বছর ধরে চলা এই গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে অর্ধাহারে-অনাহারে। সৌদি সেনাবাহিনী এ যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েও এ যাবৎ কোনো সফলতাই অর্জন করতে পারেনি। চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথ ধরে ইয়েমেন যুদ্ধ থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হিসেবে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথমবারের মতো বন্দিবিনিময় হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের মাধ্যমে শুক্রবার উভয়পক্ষের প্রায় ৯০০ বন্দিকে মুক্তি ও বিনিময় করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রথম দুটি ফ্লাইট একযোগে সরকার-নিয়ন্ত্রিত শহর এডেনে ৩৫ জন এবং হুতি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় ১২৫ জনকে নিয়ে অবতরণ করে। রেডক্রস বলেছে, আগামী কয়েক দিন ইয়েমেন ও সৌদি আরবের ছয়টি শহরে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বিমানগুলো ব্যবহার করা হবে। ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষগুলো গত মাসে সুইজারল্যান্ডে এক বৈঠকে ৮৮৭ বন্দির মুক্তির বিষয়ে রাজি হয়। ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ দেশটির গৃহযুদ্ধ বন্ধ ও লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত করবে। অনাহার ও অর্ধাহারের ইতি ঘটাবে বলে আশা করা যায়।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে