রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইয়েমেনে বন্দিবিনিময়

গৃহযুদ্ধ বন্ধে পথ দেখাবে

ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও একধাপ অগ্রগতির আভাস পাওয়া গেল সে দেশের তথাকথিত সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দিবিনিময়ের ঘটনায়। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দখলে আছে রাজধানী সানাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। আর সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে বন্দরনগরী এডেন ও ধারেকাছের কিছু অঞ্চল। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে ইসলামের শিয়া সম্প্রদায়ের। তাদের প্রতি আছে ইরানের সমর্থন। আর সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের অর্থ ও অস্ত্রে পরিচালিত হচ্ছে সানা থেকে ক্ষমতাচ্যুত এবং এডেনে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সুন্নিপন্থি ইয়েমেন সরকার। বলা যায়, সৌদি আরব এবং পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনে টিকে আছে সে দেশের তথাকথিত এডেনভিত্তিক সরকার। কয়েক বছর ধরে চলা এই গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে অর্ধাহারে-অনাহারে। সৌদি সেনাবাহিনী এ যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েও এ যাবৎ কোনো সফলতাই অর্জন করতে পারেনি। চীনের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথ ধরে ইয়েমেন যুদ্ধ থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি হিসেবে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথমবারের মতো বন্দিবিনিময় হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের মাধ্যমে শুক্রবার উভয়পক্ষের প্রায় ৯০০ বন্দিকে মুক্তি ও বিনিময় করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রথম দুটি ফ্লাইট একযোগে সরকার-নিয়ন্ত্রিত শহর এডেনে ৩৫ জন এবং হুতি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় ১২৫ জনকে নিয়ে অবতরণ করে। রেডক্রস বলেছে, আগামী কয়েক দিন ইয়েমেন ও সৌদি আরবের ছয়টি শহরে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বিমানগুলো ব্যবহার করা হবে। ইয়েমেনে যুদ্ধরত পক্ষগুলো গত মাসে সুইজারল্যান্ডে এক বৈঠকে ৮৮৭ বন্দির মুক্তির বিষয়ে রাজি হয়।  ইয়েমেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ দেশটির গৃহযুদ্ধ বন্ধ ও লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত করবে। অনাহার ও অর্ধাহারের ইতি ঘটাবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর