শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩

বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ

লিখতে চেয়েছিলাম ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস আর মাঝে মাঝেই যত্রতত্র অগ্নিকান্ডের ঘটনা-না দুর্ঘটনা নিয়ে। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের কারণে এসবের কিছুই হলো না। গতকাল ছিল নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গভবনের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১। ১৮ ডিসেম্বর ’৭১ নারী হরণকারী লুটেরা চারজনকে জনগণের রায়ে পল্টন ময়দানে কাদেরিয়া বাহিনী মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। আমি এখনো জানি না তারা বাঙালি, না নন-বাঙালি। ১৪-১৫ বছরের যে দুটি মেয়েকে হরণকারীরা নিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের বাবাকে গাড়ির পেছনের বনাটে আটকে রেখেছিল তাদের আমি ’৭১ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর ১৬ বছর নির্বাসনে থেকে দেশে ফিরে আর দেখিনি। আমরা যাদের জনগণের রায়ে বিচার করেছিলাম বাংলাদেশ সরকার তাকে হত্যা বলে ধরে নিয়ে আমার নামে প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এ নিয়ে ইল্লি দিল্লি অনেক হয়েছিল। লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরা ২০ ডিসেম্বর শুধু পল্টনের ঘটনায় টাঙ্গাইল এসেছিলেন। প্রথমে ক্ষুব্ধ ছিলেন। মিলিটারি মানুষ ডিসিপ্লিন দেখতেই অভ্যস্ত। বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে যখন তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তিনি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এরা কারা? এরা কি সেনাবাহিনীর লোক?’ বলেছিলাম, না, দু-চার জন হতে পারে। তবে আর সবাই ছাত্র-যুবক-কৃষক-শ্রমিক। বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন। মিত্রবাহিনীর প্রধান লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরা সেদিনই দিল্লি গিয়েছিলেন। ভারতের মহান প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে আমার সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের কথা বলেছিলেন। অরোরার কথা শুনে ইন্দিরা বলেছিলেন, ‘তুমি ঠিক করেছ। ওদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমাদের হাত না দেওয়াই ভালো।’ চলছিল উত্তেজনা। ২৮ ডিসেম্বর ’৭১ ভারতীয় কয়েকজন জেনারেল হেলিকপ্টারে টাঙ্গাইল আসেন। সেখানে যারা আমরা পায়ে হেঁটে ঢাকা জয় করেছিলাম সেই তিন মহাবীর মে. জে. নাগরা, ব্রি. সানসিং, ব্রি. ক্লের এবং মেজর জেনারেল বি এন সরকার ছিলেন। তাঁরা টাঙ্গাইল গিয়েই আমাকে পাকড়াও করেন, ‘টাইগার তোমাকে ঢাকা যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তোমার মন কষাকষি বা ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে হবে। চল যাই।’ আমি তখনই বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদকে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম। মনে হয় ১৩-১৪ মিনিটের বেশি লাগেনি। যে হেলিকপ্টারে ঢাকা এসেছিলাম সেই হেলিকপ্টারে অনেকবার এদিকওদিক ছোটাছুটি করেছি। হেলিকপ্টারের পাইলটসহ সবাই ছিল চেনাজানা। মুক্তিবাহিনীর নেতা হিসেবে তারা অসম্ভব সম্মান করতেন। প্রথমেই উঠেছিলাম সেন্ট্রাল সার্কিট হাউসে আমাদের মহান নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ঢাকায় এলে যেখানে উঠতেন। দুপুরের পর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সচিবালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীনের ঘরে। তার ঘরে গিয়ে পাঁচজন একসঙ্গে স্যালুট করেছিলাম। কিন্তু তিনি চেয়ার থেকে ওঠেননি, হাত নাড়িয়ে আমাদের স্যালুটেরও জবাব দেননি। সে এক বিব্রতকর অবস্থা। একটু পর ভারতীয় জেনারেলদের বাইরে দাঁড়াতে বললেন। আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হয়। প্রথমেই তিনি বললেন, ‘পল্টনে ওইভাবে গুলি চালানো বা হত্যা করা ঠিক হয়নি।’ উত্তরে বলেছিলাম, সভায় উপস্থিত আড়াই-তিন লাখ মানুষের নির্দেশে আমরা চারজনকে শাস্তি দিয়েছি। এটা না করলে ঢাকা লুটের শহর হতো। দুটো মেয়েকে হরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল। দুটোর জায়গায় ২ হাজার অথবা ২০ হাজার কিংবা ২ লাখ নারী হরণ হতো, চারজনের জায়গায় ৪০ হাজার গোলাগুলি করে মারা যেত। আপনি এই যে শান্ত শীতল দেশের রাজধানীর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসেছেন হয়তো এখনো আপনাকে মুজিবনগরেই থাকতে হতো। বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন দারুণ মেধাবী পোড় খাওয়া মানুষ। তাঁর আমার কথা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, ‘যা হবার হয়ে গেছে। এখন থেকে তোমার শতভাগ সমর্থন চাই। তোমার কথা ছাড়া ভারতীয় সেনারা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ-মানিকগঞ্জ এবং ঢাকার দিকে গাজীপুর পর্যন্ত কোনো পা ফেলবে না। তুমি আমার রূঢ় ব্যবহার, তোমার প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এসব ভুলে যেও।’ আমিও ভুলে গিয়েছিলাম। এর পরও ছোট্ট একটি ঘটনা আছে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীনকে নিয়ে। ’৭৩ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর চিঠি নিয়ে খাদ্য সাহায্য চাইতে। ভারতে যেতে কী হবে, কত খরচ লাগবে কিছুই জানতাম না। মুক্তিযুদ্ধের কারণে লোকজন আমাকে সাহসী জানলেও আমি ছিলাম চরম ভীতু। ১ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে যেতে সাহস পাইনি যদি কাস্টমস ধরে কী জবাব দেব। তাই বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলাম টাকা দিতে। তখন প্রতি জনের জন্য বরাদ্দ ২০০ ডলার। নিয়মমতো পাই ৬০০ ডলার। তখন ডলারের দাম ভারতে সাড়ে ৬ টাকা, বাংলাদেশে সাড়ে ৪ টাকা। বঙ্গবন্ধু বলে দিলেন, ‘ঠিক আছে তোরা প্রতি জন ২ হাজার করে নিয়ে যা।’ খুব সম্ভবত অর্থ সচিবকে ডেকে বলে দিয়েছিলেন। টাকা আনতে গিয়ে ব্যাংকওয়ালা প্রতি জনকে ২০০ ডলার দিতে চান। মাথায় আগুন ধরে যায়। পরদিন দিল্লির ফ্লাইট। এয়ার ইন্ডিয়ায় আমরা যাব। তিনজন শামসুদ্দিন আহমেদ বালু মোক্তার, বাবুল হক ও আমি। ডলার হবে ৬ হাজার, সেখানে ৬০০! শামসুদ্দিন আহমেদ বালু মোক্তার ডলার না নিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন। শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। শামসুদ্দিন আহমেদ বালু মোক্তার ডলারের কথা বলতে বলতেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফোন, ‘তাজউদ্দীন সাহেব কথা বলতে চান।’ ফোন ধরতেই বললেন, ‘কাদের, তুমি খুব বিরক্ত হয়েছো? রাগ করেছো? একটু কি আসতে পারবে।’ বড়দের অস্বীকার করা আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যে বাজত। তাই গিয়েছিলাম। এখনকার মতো তখন যানজট ছিল না। রাস্তা থাকত ফাঁকা। ১২-১৫ মিনিট লেগেছিল। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম সাক্ষাতে যেমন নিজের চেয়ার ছেড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন অনেকটা তেমনি আমাকে বসতে বলে আমার পাশে এসে বলেছিলেন, ‘কাদের, মনে হয় তুমি রাগ করেছ।’ বলেছিলাম, রাগ করব না? জাতির পিতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু যেখানে প্রতি জনকে ২ হাজার ডলার করে দিতে বলেছেন আপনি সেটাকে ২০০ করে দিয়েছেন। আপনি তো আরেক প্রধানমন্ত্রী। তাজউদ্দীন সাহেব বললেন, ‘না কাদের, তেমন নয়। তোমার বন্ধু যেমন আছে শত্রুরও অভাব নেই। তোমাকে ২ হাজার ডলার দিলে ভবিষ্যতে শত্রুরা শক্তি পাবে। আর ভারতে তোমার কীসের টাকার দরকার? মুক্তিযুদ্ধে তুমি আর বঙ্গবন্ধুই তো ভারত জয় করেছ। ফিরে এসে আমাকে বোলো তোমার টাকার কোনো অভাব হয়েছে কি না। আমার বিশ্বাস এবার ভারত সফরে তোমার টাকা রাখার জায়গা হবে না।’ সত্যিই ওভাবেই গিয়েছিলাম প্রতি জন ২০০ ডলার নিয়ে। ফিরে আসার পথে অনেক টাকা। মনে হয় ৪৬ হাজার। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাধারণ এক কর্মচারী মজনুকে দিয়ে এসেছিলাম। টাকা পকেটে ভরে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন। যখন বিমানে ওঠার জন্য ভিআইপি লাউঞ্জের গেট পার হচ্ছিলাম তখন আমার দিকে তাকিয়ে মজনু বলেছিলেন, ‘ছোট ভাই, আমাকে তো এত টাকার জন্য একটু পরই গ্রেফতার করবে। ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারীর হাতে ৪৬ হাজার কী জবাব দেব?’ সঙ্গে সঙ্গে উপরাষ্ট্রদূতকে বলেছিলাম, মজনু আমার ভাই। আমি তার কাছে টাকা রেখে গেলাম। এই ছিলেন বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন। সেদিন ২৮ ডিসেম্বর ’৭১ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বঙ্গভবনে গিয়েছিলাম। একেবারে প্রথম ’৬৬-তে বঙ্গভবনে ঢুকেছিলাম। তখন ভবনটার নাম ছিল গভর্নর হাউস। আর এই দ্বিতীয়বার। গিয়ে দেখি কর্নেল ফিরোজ সালাউদ্দিন রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সচিব। যিনি গভর্নর ভবনে অনেকদিন ছিলেন। গভর্নর ডা. মালেকেরও মিলিটারি সচিব ছিলেন। টিক্কা খানেরও কিছুদিন সার্ভিস দিয়েছেন। গভর্নর মালেক হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় নেওয়ার আগ পর্যন্ত ডা. মালেকের কাজ করেছেন। বাকি সময় বঙ্গভবন আগলে রেখেছেন। ২২ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকার ঢাকায় এলে বঙ্গভবনে সেই পাকিস্তানি কর্নেল স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। মিলিটারি সচিব যেভাবে সার্ভিস দিতে পারেন সেভাবেই দিয়েছিলেন। এই হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, এই হলো আমাদের দেশ। যার সুফল অথবা কুফল আমরা আজ ভোগ করছি।

সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতৃবৃন্দ

সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলাম সেদিন স্বাধীনতা দিবসে ২৬ মার্চ। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিতদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করে যেখানে বসেন সেখানে যাইনি। তাই দুজনের কারও সঙ্গেই সেদিন দেখা হয়নি। কিন্তু তার আগে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে গত বছরের ৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে বঙ্গভবনে গিয়েছিলাম। শরীর ছিল খুবই নাজুক। আবার যাওয়ার পথে মোহাম্মদপুরের বাড়িতে সিঁড়ির শেষ ধাপে পড়ে গিয়েছিলাম। জীবনে সেই ছিল একবার সিঁড়ি থেকে পড়া। কিন্তু খুব একটা ব্যথা পাইনি। ফরিদ আর কে কে যেন টেনে তুলেছিল। পায়ে প্রচন্ড ব্যথা, তেমন চলতে পারতাম না। তাই নিচে ১০ মিনিট বসে থাকতেই কষ্ট চলে গিয়েছিল। গিয়েছিলাম বঙ্গভবনে। সেখানে হুইলচেয়ার খুঁজে ছিলাম। কিন্তু পাইনি। সামনে ড্রয়িং রুম থেকে দরবার হল কত আর হবে বড়জোর ৩০-৪০ গজ। হেঁটে গিয়ে দরবার হলে বসেছিলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ একজন আগাগোড়া রাজনৈতিক মানুষ। বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ। আমরা এখনো এক আত্মা এক প্রাণ। তিনি এসে হাত চেপে ধরে খোলামেলা বলেছিলেন, ‘আর বেশিদিন থাকব না ভাই। এপ্রিলে চলে যাব। দোয়া করবেন যাতে সম্মান নিয়ে যেতে পারি।’ সেই মানুষটা গতকাল বিদায় হলেন। তাঁর বিদায় অনুষ্ঠানে হাজির হতে পেরে নিজেকে বড় সৌভাগ্যবান মনে করেছি। মনে পড়ছে বিপ্লবী কবি কাজী নজরুলের অমর কবিতা-

বিদায়, হে মোর বাতায়ন-পাশে নিশীথ জাগার সাথী!

ওগো বন্ধুরা, পান্ডুর হ’য়ে এল বিদায়ের রাতি!

আজ হ’তে হ’ল বন্ধ আমাদের জানালার ঝিলিমিলি,

আজ হ’তে হ’ল বন্ধ মোদের আলাপন নিরিবিলি। ...

অস্ত-আকাশ-অলিন্দে তার শীর্ণ কপোল রাখি,

কাঁদিতেছে চাঁদ, মুসাফির জাগো, নিশি আর নাই বাকী!

নিশীথিনী যায় দূর বন-ছায়, তন্দ্রায় ঢুলুঢুল্,

ফিরে ফিরে চায়, দু’-হাতে জড়ায় আঁধারের এলোচুল।-

নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান মাত্র চার-সাড়ে চার মিনিটের। সময় খরচ হলো আড়াই ঘণ্টা। মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম ৯টা ৩০ মিনিটে। রাস্তা ছিল একেবারে ফাঁকা। তবু রাষ্ট্রপতি ভবনের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ১০টা ১০-১২ মিনিট লেগেছিল। বসতে দিয়েছিল একেবারে সামনের কাতারে দরজার পাশে এক রো পরে। কিন্তু আমার সামনে দুই সিট খালি ছিল। একেবারে সামনে বসেছিলেন জি এম কাদের। আমার বাঁ পাশে রাশেদ খান মেনন, ডান পাশে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। অনেক মন্ত্রীও পেছনে ছিলেন। ১০টা ২৫-৩০ মিনিটে শেখ রেহানাকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরবার হলে প্রবেশ করেন। তাঁদের আগে আগে এসেছিলেন আমির হোসেন আমু। তারও আগে মতিয়া চৌধুরী। মাঝে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একেবারে কাঁটায় কাঁটায় ১১টায় শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তাঁর কণ্ঠ সুদৃঢ়। শপথ শেষে আপ্যায়নের ব্যবস্থা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিদায়ী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি যে ঘরে বসেছিলেন আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখেই বোন বলছিলেন, ‘ও তুমি এসেছ?’ বলেছিলাম, হ্যাঁ। সঙ্গে বলেছিলাম পবিত্র ঈদের জন্য সালাম করতে চাই। বোন বললেন, ‘না না এখানে না।’ শেখ রেহানা সহজাতভাবে বলে বসল, ‘আপা না করলে কি হলো আপনি জোর করে করবেন। আপনাকে আবার ঠেকায় কে?’ জোর করে করেছি কি না জানি না। কিন্তু আমি সালাম করে এসেছি। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে ভালো লেগেছে। কিন্তু ব্যাপারটা কেমন যেন একতরফা শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। বাইরের হয়তো দু-চার জন ছিলেন। কিন্তু চোখে পড়েনি। বঙ্গভবনে ঢুকেই টাঙ্গাইলের ছোট মণিকে পেয়েছিলাম। ওকে অনেক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দেখি। ঢাকা উত্তরের মেয়র জোরজবরদস্তি করে এক টেবিলে নিয়ে বসিয়েছিলেন। ডানে দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাঁয়ে উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বসেছিলেন। অনুষ্ঠান থেকে বেরোতে অনেক সময় লেগেছে। মূল কারণ প্রথম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পরেরটুকু বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রতিক্রিয়া জানতে অনেক টেলিভিশন ক্যামেরা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল। তাই কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে সর্বোপরি একটি চমৎকার শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে। এর আগে কেউ একটানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকেননি।

আসা-যাওয়াই পৃথিবী, আসা-যাওয়াই জীবন। ‘জন্মিলে মরিতে হইবে অমর কোথা কে কবে?’ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ১০ বছর আগে, কাল ছেড়ে গেলেন। সত্যিই তাঁকে অসম্মান হতে হয়নি। তেমন বড়সড় সংকট পার করতেও হয়নি। আল্লাহ তাঁকে অসম্ভব মেহেরবানি করেছেন। বাকি জীবন যাতে ভালো যায় আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে সেই কামনাই করি। ‘ঐ নূতনের কেতন ওড়ে তোরা সব জয়ধ্বনি কর, তোরা সব জয়ধ্বনি কর।’ গৃহপ্রবেশ ঘটেছে নতুন রাষ্ট্রপতি জনাব মো. সাহাবুদ্দিনের। আরেকজন সাহাবুদ্দীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনায়। তারপর ছিলেন জিল্লুর রহমান। তাঁর বাড়িও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ভৈরবে। এবার একজন পাবনার লোক এলেন। তাঁকে নিয়ে ভালোমন্দ কোনো কিছুই বলতে চাই না। তবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে নিয়ে আমরা খুব শান্তি পাইনি। খুব গর্ব করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের সময় ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। পুরো নয় মাসই চাকরি করেছেন পাকিস্তান সরকারের, বেতন তুলেছেন। তারপর একসময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। সেখান থেকে তাঁকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করা হয়। প্রধান বিচারপতির কার্যকাল বাকি ছিল। তিনি আবার রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধান বিচারপতির যে কার্যকাল বাকি ছিল তা পুরো করেছিলেন। তারপর তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রপতি করা হয়। সেখানেও রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ করে তবে বনানীর সরকারি বাড়িতে অনেকদিন কাটিয়েছিলেন। এবার বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে পদটি পাবনায় চলে গেল। জানাজানি পরিচয় না থাকলেও আমি খুশি। তাঁকে রাষ্ট্রপতি বানানো হয়েছে মাননীয় সংসদ সদস্যদের সম্মতিতে। সংসদীয় দলের সদস্যরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর দলের এবং সংসদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছেন। দেখা যাক এক সাহাবুদ্দীন আমাদের অনেকটাই হতাশ করেছিলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কতটা আশান্বিত করতে পারেন। আল্লাহ রব্বুল আলামিন নতুন মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দীর্ঘায়ু দান ও সফলকাম করুন।

♦ লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

 

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

৪৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে