রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিশ্বব্যাংকের ঋণ

উচ্চমধ্যম আয়ের লক্ষ্য পূরণে মদদ জোগাবে

বাংলাদেশকে ১.২৫ বিলিয়ন বা প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। যে ঋণের প্রথম কিস্তি অতি দ্রুত সরবরাহও করেছে তারা। বাংলাদেশের অর্থনীতি সুস্থ পথে আনতে আইএমএফের কিছু বেঁধে দেওয়া শর্তে নেওয়া হয়েছে ওই ঋণ। নির্বাচনের প্রাক্কালে ভর্তুকি কমানো সরকারের জন্য কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা। সরকার আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে বিশ্বমন্দার দুঃসময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিরাপদ অবস্থানে রাখতে। বাংলাদেশ কখনো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি এমন কথাও বলেছে দাতা সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার প্রয়াসে সহযোগিতার অংশ হিসেবে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ গঠন, সবুজ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশকে ১.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে আগামী ১২ বছরে বাংলাদেশকে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণের বেশি করতে হবে। ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ওই শ্রেণির দেশ হতে চায়। বর্তমানে ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হতে মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ৩ হাজার ৯৯৬ মার্কিন ডলার হতে হবে। এ ঋণ সহায়তা সব বাধা মোকাবিলা করে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশকে মদদ জোগাবে। উচ্চ ও টেকসই প্রবৃদ্ধিতে এ ঋণ বৈচিত্র্যময় এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে সাহায্যই শুধু করবে না, দেশের অর্থনীতি যে ঠিক পথে চলছে সে ধারণাকেই জোরদার করবে। বিশ্বমন্দার বিরুদ্ধে ১৮ কোটি মানুষের সংগ্রামে সাহস জোগাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর