বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা

অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী

নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা

টানা দুই মেয়াদে পুরো ১০ বছর মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবনে ২৪ এপ্রিল সোমবার নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন কতটুকু অবদান রাখবেন কিংবা তাঁর কৌশল কী হবে সেটি মূল্যায়ন করার সময় এখনো হয়নি।  এটি সময় সাপেক্ষ এবং কাজের মাধ্যমেই মূল্যায়ন করা সম্ভব।

তবে রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু বিচার-বিশ্লেষণ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব খুবই সীমিত। বলা হয়ে থাকে, রাষ্ট্রপতি আলংকারিক পদ। কিন্তু যেকোনো সংকটে, দুর্যোগে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন রাষ্ট্রপতির অন্তর্নিহিত ক্ষমতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও অনেক বেশি। সে কারণেই নির্বাচনের আগে নতুন রাষ্ট্রপতির অবস্থান ও ভূমিকার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। কারণ, না বললে অনেকের কাছে বিষয়গুলো অজানাই থেকে যাবে। যে আদর্শ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, সেই স্বাধীনতা-সংগ্রামে বর্তমান রাষ্ট্রপতি একজন সহযোদ্ধা ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পেছনে কিন্তু তাঁরও অবদান রয়েছে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। শুধু তাই নয়, যার নেতৃত্বে তিনি এবং আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম সেই বঙ্গবন্ধুকে যখন ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করে, তখন অনেক বড় বড় নেতা চুপ থাকলেও তিনি চুপ থাকেননি। ঢাকার বাইরে একটি জেলায় বসে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেন এবং এ জন্য তাঁকে অনেক অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল এবং তিনি কারাবরণও করেছিলেন। কিন্তু এসব কোনো কিছুই তাঁকে তাঁর আদর্শ থেকে একবিন্দু নড়াতে পারেনি। জেলে বসে পড়ালেখা করে তিনি ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে মো. সাহাবুদ্দিন বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। তাঁর দীর্ঘ এবং ঘটনাবহুল কর্মজীবন পর্যালোচনা করলে এটুকু নিশ্চিত বলা যায়, নিজের জীবন চলে গেলেও আইনের শাসন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান নেবেন না। মো. সাহাবুদ্দিন এমন একজন মানুষ যিনি মাটি ও মানুষের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আমাদের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মতো বর্তমান রাষ্ট্রপতিও ঢাকার কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আগ্রহী না হয়ে নিজ এলাকার রাজনীতি করেছেন। দুজনের মধ্যে অনেক মিল লক্ষ্য করা যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই রাষ্ট্রপতি নিয়ে নানা রকম আলোচনা করছেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই, বাংলাদেশে বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল এবং তারা ঘোষণা দিয়েছে, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তবে তাদের এই চাওয়া সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী এবং রাষ্ট্রপতি যেকোনো মূল্যে সংবিধানকে রক্ষা করবেন। সুতরাং, পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে, বর্তমান রাষ্ট্রপতির অধীনে সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না। কেউ যদি স্বপ্ন দেখে যে, অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করবে কিংবা সরকার পরিবর্তন করবে তাহলে আমি বলব, তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে। অনেকে প্রশ্ন করেন, নতুন রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলকে ডাকবেন কি না। সাহাবুদ্দিন সাহেবকে আমি যতটুকু চিনি তাতে আমার মনে হয় না তিনি ঢালাওভাবে সব রাজনৈতিক দলকে ডাকবেন যে আসুন চা খেয়ে যান। কিন্তু যাদের ডাকলে এই সমস্যার সমাধান হবে এবং যারা আসতে আগ্রহী তাদের সঙ্গে তিনি অবশ্যই বসবেন এবং আলাপ-আলোচনা করবেন।

নির্বাচন যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু আমার বিশ্বাস নির্বাচন সঠিকভাবেই হবে এবং তিনি এটি করতে পুরোপুরি সক্ষম হবেন। মো. সাহাবুদ্দিন এখন শুধু দেশের অভিভাবকই নন, তিনি দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং নির্বাচন কমিশনেরও প্রধান। তাই রাষ্ট্রপতির অধীনস্থ যারা আছেন, তারা যাতে তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারেন সেটি তাঁকে নিশ্চিত করতে হবে। যদি তিনি মনে করেন, নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা লাগবে, তিনি সেটি করতে পারেন। যদি নির্বাচন কমিশনকে তাঁর কোনো নির্দেশনা দিতে হয়, আপনাদের নির্বাচন পরিচালনার যে আইন আছে তার দাঁড়ি-কমার বাইরে যাবেন না, তাহলে নির্বাচন কমিশন সেটিই করতে বাধ্য। দেশে স্বচ্ছ-সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রতিষ্ঠানই গড়ে তোলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা হয়েছে এবং তাদের বাজেটও স্বাধীন। তারা যাতে তাদের ক্ষমতা ১০০ ভাগ ব্যবহার করতে পারে, একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারেন সেটি নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রপতির প্রধান দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। সুতরাং একটি সঠিক নির্বাচন যেখানে, যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে- এ ব্যাপারটি রাষ্ট্রপতি অবশ্যই নিশ্চিত করবেন এবং এটি তিনি করতে সক্ষম বলে আমি বিশ্বাস করি। যদিও বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সুশীল সমাজ বলতে যেটি বোঝায় সেটি গড়ে ওঠেনি। অনেকে আছেন যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী ও সুশীল বলে দাবি করেন তারা আসলে দলীয় বুদ্ধিজীবী। তবুও রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন তাদের সঙ্গে আলাপ করা দরকার তিনি আলাপ করবেন। তাঁর দরজা কারও জন্য বন্ধ হবে না। দেশের স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে যা যা করার তিনি সেটি করবেন। কিন্তু তাঁর নিজস্ব একটি রেডলাইন আছে যেটি তিনি পার করবেন না। সেই রেডলাইনের ভিতরে যত রকম সুযোগ-সুবিধা আছে সেটি তিনি দেবেন। যেটি তাঁর রেডলাইনের বাইরে সেটি হলো বিদেশিদের হস্তক্ষেপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহী এবং এই নির্বাচনে শুধু পর্যবেক্ষক পাঠানো নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখন থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ করছে, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে। তাদের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থাকতে পারে, কিন্তু একটি দেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ রাষ্ট্রপতি কখনো মেনে নেবেন না।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের নাম ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাঁর রাষ্ট্রপতি হওয়ার বৈধতা থেকে শুরু করে নানা বাধা এবং তিনি যাতে সফল না হন সে প্রচেষ্টা এখনো চলমান। কিছুদিন আগে বিএনপি মহাসচিব মন্তব্য করে বসলেন, জাতির কাছে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে। তাহলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যিনি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় এবং সবাই চেনে- তাঁকে রাষ্ট্রপতি করলে কী আপনারা খুশি হতেন? এগুলো আসলে রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কিত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।

নির্বাচনের আগে ভোট পাওয়ার জন্য বিরোধীরা সরকারের বিপক্ষে কথা বলবেই। দেশে পর্যাপ্ত খাবার থাকলেও তারা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে এসব বলবেই। এসব না বললে তারা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবে কী নিয়ে? কিন্তু রাষ্ট্রপতি যিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক, যাঁর সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই, যিনি দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে, তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহ হতে না হতেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সমান বলে আমি মনে করি।

বর্তমান অবস্থায় সবার যেটি প্রশ্ন, তা হলো, বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নিতে পারেন। এর উত্তর আমার কাছে খুবই সহজ। বিএনপি যদি নির্বাচনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির সহায়তা চায়, তাহলে তিনি কী কী করতে পারেন সেটি অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেই আলোচনা অফ মিডিয়া হতে পারে, অন মিডিয়াও হতে পারে। এটি পুরোপুরি বিএনপির চাওয়ার ওপর নির্ভর করবে। তারা যদি প্রথমেই বলেন, এই রাষ্ট্রপতির প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই তাহলে কোনো সমাধানেই আসা যাবে না। তারা যতই বিদেশিদের কাছে ধরনা দিক কোনো লাভ হবে না। এ ছাড়াও বিএনপি এখন নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে। শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বেই শুধু নয়, তৃণমূলের নেতৃত্বেও কোন্দল রয়েছে। বিশেষ করে কমিটি বাণিজ্যের মাধ্যমে অযোগ্য এবং লুটেরা বিতর্কিতদের কমিটিতে আনা বিএনপির মধ্যে অনেকেই পছন্দ করছেন না। এর ফলে দলের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। এ ছাড়া গত বছরের শেষের দিকে তাদের আন্দোলন কিছুটা হলেও বেগ পেয়েছিল এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনাও তৈরি হয়েছিল কিন্তু সে আন্দোলনেও এখন ভাটার টান পড়েছে। কোনোভাবে যদি তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং জয়ীও হয়, তারা কতটুকু দেশ চালাতে পারবে সেটি নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সমস্ত বিশ্বে তাঁর সমান অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো দলীয় প্রধানও নেই, কোনো সরকারপ্রধানও নেই। তাঁর সঙ্গে যখন আপনি টক্কর দিতে যাবেন তখন অনেক চিন্তাভাবনা করেই নামতে হবে। এটা এত সহজ না যে, এলাম আর জয় করলাম। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়। তাঁর পিতা-মাতার কাছ থেকে তিনি রাজনীতি শিখেছেন। তাঁর বেড়ে ওঠাই ছিল একটি রাজনৈতিক পরিবেশের ভিতর। সবচেয়ে কম বয়সে তিনি সবচেয়ে বড় একটি দলের প্রধান হয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। ২১ বছর পর প্রতিবিপ্লবীদের পরাজিত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার ইতিহাস সমস্ত বিশ্বে বিরল। বাংলাদেশকে তিনি বিশ্বে উন্নয়নের রোল-মডেল পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সব ক্ষেত্রেই তিনি সফল। আগামী নির্বাচনেও তিনি সফল হবেন সেটি মাথায় রেখেই বিরোধী দলগুলোকে তাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে আমি করি। তাদের প্রথম পরিকল্পনা হওয়া উচিত আওয়ামী লীগকে যত কম সিট দেওয়া যায় ও দলকে সুসংগঠিত করা এবং দ্বিতীয়ত পরবর্তী নির্বাচনকে টার্গেট করা।

আরেকটি জিনিস মনে রাখতে হবে সেটি হচ্ছে রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। তাঁকে সামনে রেখেই দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন, পরামর্শ করেন, রাষ্ট্রপতির দরজা আপনাদের সবার জন্যই খোলা। কারও অধিকারই তিনি ক্ষুণœ হতে দেবেন না। নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে এবং সঠিকভাবেই হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন থাকতে এই নির্বাচনে কোনো প্রশ্নবোধক চিহ্ন তিনি হতে দেবেন না। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই যারা রাজনীতি করেন তাদের এগোতে হবে।

এর বিকল্প কোনো পথ নেই। নাগরিক হিসেবে আমাদের আকাক্সক্ষা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের যে অধিকার সেই অধিকার সম্পূর্ণ সমুন্নত রাখবেন।  সেই অধিকার হচ্ছে যারা সরকার চালান তারা যেন আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে না পারে এবং নির্বাচন এমন সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে হয় যাতে আমরা যাকে চাই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারি।  মহামান্য রাষ্ট্রপতি অবশ্যই আমাদের এই আকাক্সক্ষা পূরণ করবেন- এটাই তাঁর কাছ থেকে আমাদের চাওয়া এবং আমাদের বিশ্বাস তিনি আমাদের এই আকাক্সক্ষা পূরণ করবেন।

 

                লেখক : প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা

সর্বশেষ খবর