শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ আপডেট:

মফস্বলের এক মায়ের কথা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মফস্বলের এক মায়ের কথা

১২ মে শুক্রবার মাকে দেখতে কুমিল্লায় যাচ্ছিলাম। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন খবর পড়ার ফাঁকে লক্ষ্য করলাম এক দিন পর অর্থাৎ ১৪ মে ২০২৩ রবিবার পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। যাদের মা জীবিত নেই এ দিনটি তারা কী করে অতিবাহিত করেন এ প্রশ্ন আমাকে তাড়িত করেছে বছরের পর বছর। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! এবার বিশ্ব মা দিবসের ঠিক আগের দিন ১৩ মে দুপুরে আমাদের ছেড়ে গেলেন আমাদের মমতাময়ী মা। যদিও ৮৪ বছর বয়সী শয্যাশায়ী মাকে যে কোনো সময় চলে যেতে হবে বলে ডাক্তাররা আগেই বলে রেখেছিলেন তবু কায়মনো বাক্যে চেয়েছিলাম আরও কটা দিন থাকুক না পরিবারের এ প্রাণভ্রমর! তাঁকে ঘিরেই পরিবারের মিলনমেলা হতো। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হলেও মাকে নেওয়া হতো নাতি-নাতনির বিয়েতে। আমরা পঞ্চাশোর্ধরা কেন জানি শরিয়ত-মারফত-বিদআতের ঊর্ধ্বে ওঠে পা ছুঁয়ে ময়-মুরুব্বিকে সালাম না করে তৃপ্তি পাই না। তবে পা ছুঁয়ে সালাম করা যায়, এমন মুরুব্বির সংখ্যা এখন হাতে গোনা কয়েকজন। তাই মাকে পাশে পেলে সালাম করার উৎসব শুরু হতো এসব অনুষ্ঠানে। না, তেমনটি আর হবে না। নাতি-নাতনিরা ঈদের সালামির জন্য বারবার আর ‘নানু- আমাকে!! দাদু আমাকে’ বলে হইচই বাধাবে না। কারণ সংসারের মধ্যমণি আর নেই। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নাতনিকে চাহিবামাত্র আইসক্রিম, আচার আর চিপস কেনার টাকা দেওয়া ‘ম্যাজিক নানু’ কোন জাদুবলে যেন আকাশে মিলিয়ে গেলেন।

আমার নানা তৎকালীন ব্রিটিশ রেলওয়েতে চাকরি করতেন। থাকতেন কলকাতায়। সেখানেই ইংরেজি কনভেন্ট স্কুলে পড়তেন মা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর নানা সপরিবারে চলে আসেন এপারে। যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নানা তাঁর পীরের আদেশে মা-এর বিয়ে দেন। বাবা কাজ করতেন তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানে, যা বর্তমানে সোনালী ব্যাংক নামে পরিচিত। বাবাও ছিলেন একই পীরের মুরিদ। মাইজভান্ডারি তরিকায় বিশ্বাসী এ পীরসাহেবের দীক্ষায় হয়তোবা একরকম সংসার বিরাগী হয়ে যান আমার বাবা। চাকরি করে মাস শেষে মায়ের হাতে যৎসামান্য বেতনের টাকা তুলে দেওয়া ছাড়া সাংসারিক কোনো দায়দায়িত্ব পালনে বাবা মোটেও আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর সব আগ্রহ ছিল প্রতি বৃহস্পতিবার তাঁর পীরভাই ও অন্য ফকির সন্ন্যাসীদের নিয়ে মোমের আলোতে আগরবাতি জ্বালিয়ে রাতভর জিকির করার দিকে। আর মায়ের কাজ ছিল বিশাল ডেকচিতে লাকড়ি পুড়িয়ে খিচুড়ি রান্না করা ও সবাইকে খাওয়ানো। এর বাইরে আরবি মাসের ১১ তারিখে ‘১১ শরিফ’, বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর জন্মদিন, মিলাদুন্নবী, শবেবরাত ইত্যাদি উপলক্ষে ওরসের নামেও সারা রাত জিকির-আসকার হতো বাড়িতে। বাজার-সদাই, রান্না, বণ্টন সবই সামাল দিতেন মা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মায়ের কোলজুড়ে আসে আমাদের বড় বোন। এরপর অল্প ব্যবধানে আরও তিন ভাই ও এক বোন। আমাদের বাসায় থেকে কলেজে পড়তেন আমাদের একমাত্র মামা। কদিন পর এক চাচাতো ভাইও যোগ দিলেন মামার সঙ্গে। আবার চিকিৎসা, চাকরির জন্য পরীক্ষা, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড অফিসে কাজ, ঢাকা-চট্টগ্রাম বা ঢাকা-নোয়াখালী যাওয়া-আসার পথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিশ্রাম কিংবা হাওয়া বদল এমন নানাবিধ উপলক্ষ দেখিয়ে বছরব্যাপী মেহমান থাকত আমাদের বাসায়। পীরসাহেব বছরে অন্তত একবার একদল মুরিদ নিয়ে আস্তানা গাড়তেন। থাকতেন ৮-১০ দিন। বাবার ছিল স্বল্প বেতন। বাড়ি ভর্তি এত মানুষের থাকা-খাওয়া ঠিকই চালিয়ে নিতেন মা। বাবা নির্বিকার। জগৎ-সংসারে কোনো অভাব-অভিযোগ আছে বলে তিনি কখনো ভাবতেই পারতেন না। আমরা ভাইবোনরা কৌতুক করে বাবাকে জিজ্ঞেস করতাম- আমরা কে কোন ক্লাসে পড়ি! বাবা স্বর্গীয় হাসি দিতেন- উত্তর দিতেন না। আমাদের ধারণা, বাবা নিশ্চিতভাবে জানতেন না আমরা কে কোন ক্লাসে পড়ি। অথচ পাঁচ সন্তানকে এক হাতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন মা। এর মধ্যে বড় বোনের বিষয়টি ছিল অবাক করার মতো। নাটকীয়ভাবে বড় বোনের বিয়ে হলো কলেজ সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে। মা তাঁর মেয়েকে তো সংসার করতে দিলেনই না, বরং জামাইকে নিয়ে এলেন বাড়িতে। মার একটাই কথা- মেয়েকে গ্র্যাজুয়েট হতে হবে, তারপর অন্য কথা। বড় বোন বিএসসি পড়া শুরু করলেন। চার বছর সময়ের মধ্যে তার কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান। আমার মায়ের সে কী আনন্দ! দুই কোলে দুই নাতি- নাতনি নিয়ে সংসারের সব দিক দেখছেন। এক হাতে নাতনি আর অন্য হাতে রান্না। নাতির পেছনে দৌড়ে ও তাকে ধরে এনে কি টিউবওয়েলের নিচে গোসল করানো, এমন দৃশ্য নাটকের মনে হলেও সবই আমার নিজের চোখে দেখা। কী যে কর্মঠ ছিলেন মা! কখনো কুড়াল দিয়ে লাকড়ি কাটছেন আবার কখনো দা দিয়ে নারিকেল ছিলছেন, মাঝে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি-কবুতরকে খাবার দিচ্ছেন- সে এক এলাহি কা-।

এর মধ্যে বড় বোনের দেবর উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত হলেন। দুলাভাই এবার নতুন বাসায় যেতে চাইলেন ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার কথা বলে। বড় বোনের গ্র্যাজুয়েশন তখনো বাকি। মার একটাই কথা- আগে মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন। এ সমস্যার সমাধানও করলেন মা। এক দিন সেই বড় বোনের দেবর যোগ হলেন আমাদের সঙ্গে। এবার আমরা তিন ভাই, সঙ্গে আরেক বড় ভাই। এরই মধ্যে আচমকা বিয়ে ঠিক হলো বড় বোনের এক ননদের। তখন এত ডেকোরেটর সার্ভিস ছিল না। এ বাড়ি-ও বাড়ি থেকে চেয়ার, টেবিল, প্লেট, গ্লাস, জগ এনে বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান হতো আর কলাগাছ ও দেবদারু পাতা দিয়ে গেট সাজানো হতো। হঠাৎ করে কে কোথায় কী আয়োজন করবে ভেবে ব্যাকুল। মা বললেন, আমাদের বাসায় বিয়ে হবে। কাউকে কোথাও যেতে হবে না। দিব্যি একটি বিয়েও সামাল দিলেন।

সত্তরের দশকে একজন সৎ ব্যাংক কর্মকর্তার বেতনে এতগুলো মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব ছিল। অথচ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আমাদের মা। অভাব ছিল, তবে মা তা বুঝতে দেননি কাউকে। নিজের হাতে রান্না করা মাছ-গোস্ত সবই তুলে দিতেন অন্যের পাতে। ডেকচি বা কড়াইয়ের গায়ে লেগে থাকা ঝোলের ওপর ভাত ছিটিয়ে মেখে নিতেন আর পরম তৃপ্তিতে খেয়ে আল্লাহর শোকর গুজার করতেন। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের সময় মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে সবাইকে খাওয়াতেন ভাতের ওপর চাপ কমানোর জন্য, কিন্তু কাউকে বুঝতেও দিতেন না। কিস্তিতে হাতে ঘোরানো সিঙ্গার সেলাই মেশিন কিনলেন সবার জামা-কাপড় বানানোর জন্য। কিস্তির সেই ২০ টাকা শোধ করতেন ঘরে পালা মুরগির ডিম আর গাছের নারিকেল-সুপারি বিক্রি করে। একবার চুরি হলো বাড়িতে। অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে সেলাই মেশিনও নিয়ে যায় চোরের দল। মা সবচেয়ে দুঃখ করলেন তাঁর সেলাই মেশিনটির জন্য। কদিন পর এ মেশিন উদ্ধার হলো এবং আমাদের বাসায় চলে এলো। আবার আমাদের জামা-কাপড় এমনকি প্রতিবেশীদের কাপড়ও সেলাই করা শুরু করলেন বিনা পারিশ্রমিকে। প্রতিবেশীদের বাচ্চা প্রসবের আগে অবধারিতভাবে মাকে ডাকা হতো। তাঁর হাতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে এবং তাঁর যত্ন পেয়েছে এমন নবজাতক শিশুর সংখ্যা নিজেও জানতেন না তিনি। তাঁর হাতে বোনা সোয়েটার পেয়েছে তাঁর নাতি-নাতনিদের সবাই, এমনকি অনেক পাড়া-প্রতিবেশীও। ১৯৭১ সালে এই পাড়া-প্রতিবেশীদের অনেকেই বিশেষত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঝপথে রাজাকারদের হাতে লুটপাটের ভয়ে মার কাছে তাদের মূল্যবান গয়না, টাকা-পয়সা, জমির দলিল ও অন্যান্য দামি সম্পদ রেখে সীমান্ত পাড়ি দেয় এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষে মা যথারীতি যার যার কাছে তাদের গচ্ছিত সবকিছু ফিরিয়ে দেন। এ সময় আমাদের ছোট বোন পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় শেষ দিনগুলো গুনছিল। অন্যদিকে বড় বোন ছিলেন চোখে পড়ার মতো। যুদ্ধকালীন ৯ মাসে বড় বোনকে সব সময় লুকিয়ে রাখা আবার ছোট সন্তানের জন্মদান, এরই মধ্যে আমাদের সবার দেখভাল কেমন করে যে মা করেছেন তা আজ ভাবতেও অবাক লাগে।

এক ঈদের পর সবাই বেড়াতে গেলাম একমাত্র মামার বাড়ি। আমার নানি তখন প্যারালাইসিসের কারণে বিছানায় শয্যাশায়ী। তাঁর অবস্থা দেখে মার চোখে পানি। আমার বৈরাগী বাবা মনে হয় এই প্রথম আমার মায়ের মনের কথা পড়তে পারলেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বাবা নানিকে নিয়ে এলেন কুমিল্লার বাসায়। এবার শয্যাশায়ী আমাদের নানির সেবায় নিজেকে সঁপে দিলেন মা। প্রায় সাত বছর বিছানায় পড়ে থাকা ও নড়াচড়া করতে না পারা এ নানিকে পরিষ্কার রাখা, খাওয়ানো, নখ ও চুল কাটা, কাপড় বদলানো ও ধুয়ে দেওয়া সবই করেছেন আমাদের মা। এ বৃদ্ধা নানুর মৃত্যুর পর নিজের বাবাকেও অর্থাৎ আমাদের নানাকেও নিয়ে আসেন বাবার পরামর্শে। বাবা-মা হারানো আমাদের পিতৃ দেবতা হয়তো নানা-নানির মধ্যেই তাদের খুঁজে পেতেন। নানাও ছিলেন প্রায় অচল। মা তাঁকে সেবা করে গেছেন আরও ছয় বছর। নানার মৃত্যুর পর আমার বাবাও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে স্ট্রোকের কারণে তাঁরও শরীরের একটি অংশ অবশ হয়ে যায়। এ সময় তাঁকে প্লাস্টিকের নল দিয়ে খাওয়ানোসহ অকৃত্রিম সেবা করেছেন মা। বর্তমানে বহুল প্রচলিত ফিজিওথেরাপি তখন তেমন প্রসারিত হয়নি। কিন্তু মা কোন কবিরাজের কাছে কি শুনলেন জানি না, রসুন ও সরিষার তেল গরম করে অনবরত থেরাপি দিয়ে বাবাকে অনেকটাই সুস্থ করে তুললেন। এক সময় বাবা কথাও বলতে পারছিলেন না। অথচ বাবার ঠোঁট নাড়া দেখে এমনকি চোখ দেখেও মা ঠিকই বুঝে যেতেন বাবা কী চান। মাকে দেখলেই বাবা যেন সুস্থ হয়ে উঠতেন আর না দেখলে মৃতপ্রায়। ১-২-৩ অর্থাৎ ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে বাবা চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। এরপর মা মনের জোর হারিয়ে ফেললেন এবং দ্রুতই দুর্বল হতে থাকলেন। এক সময় পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে গেলে মা নিজেই শয্যাশায়ী হন। এ সময় তাঁর দুই পুত্রই জীবন-সংগ্রামে দূরের দুই শহরে আর এক পুত্র বিদেশে। দুই কন্যা স্বামী-সন্তান নিয়ে ঢাকায়। ইতিহাস যেন পুনরাবৃত্তি ঘটাল আমাদের পরিবারে। দেশে থাকা এক পুত্র নিজের ক্যারিয়ারের মায়া ত্যাগ করে মায়ের কাছে কুমিল্লায় চলে এলেন। পুত্রবধূ পরম মমতায় মায়ের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিলেন। সেবা করার মতো একটি গ্রামের মেয়ে ও তার মা জুটে গেল। যে যুগে আপন মা-বাবার ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে, সেই যুগে এক পুত্রবধূ হাতে গ্লাভস পরে নিজের শাশুড়িকে পরিষ্কার করেছেন বছরের পর বছর। এই বছরগুলোতে এ পুত্রবধূ শাশুড়িকে ছেড়ে দূরে থাকেননি এক রাতের বেশি। কোনো অভাব-অভিযোগ করেননি। স্রষ্টা এ জগতে কষ্ট দিয়েই হয়তো মায়ের পরবর্তী জীবনের সুখের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আর শয্যাশায়ী মা-বাবা ও স্বামীকে সেবার বিনিময়ে এমন পুত্রবধূ দান করেছেন।

নাতি-নাতনিদের কাছে তিনি ছিলেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের সেই দৈত্যতুল্য। তাঁর বিছানায় এখানে-সেখানে ভাংতি টাকার খনি ছিল। নাতি-নাতনির যে কোনো আবদার মেটাতে এ ভাংতি ভান্ডারের তুলনা ছিল না। তিনি যেন এক জাদুর তোশকে থাকতেন গায়ে স্বর্গীয় চাদর জড়িয়ে। চুম্বকের মতো আমাদের সবাইকে টানত সেই জাদুর তোশক। কদিন পর পরই পাঁচ ভাইবোন মাকে ঘিরে সেই তোশকে শুয়ে থাকতাম। আমাদের ঈদ হতো মূলত ঈদের পরের দিন মাকে ঘিরে। যে যেখানেই ঈদ অতিবাহিত করুক, পরদিন ঠিকই হাজির হতো মায়ের চারপাশে। স্মৃতিতে ভেসে উঠত সেই দিনগুলোর কথা, যখন আমাদের কোনো ফ্রিজ ছিল না। মা ঈদের রাতে বেঁচে যাওয়া সব মিষ্টান্ন একসঙ্গে করে ঘন দুধ দিয়ে আবারও জ্বাল দিতেন পাঁচমিশালি সেই মিষ্টান্ন। আর পরদিন আমরা অপেক্ষা করতাম সেই অপূর্ব স্বাদের মিষ্টান্নের জন্য। বেশি পোলাও নতুন মাত্রা পেত মার হাতে। কোরবানি ঈদের পর গরুর মাংস দিনের পর দিন জ্বাল দিয়ে যখন ঝুড়া আকারে আমাদের চালের রুটির সঙ্গে দেওয়া হতো, মনে হতো এই পৃথিবীতে এর চেয়ে সুস্বাদু খাবার আর কিছু নেই। পুত্র-কন্যা ও নাতি-নাতনির বাইরে নাতবউ ও নাতজামাইরাও নানু বা দাদু বলতে যেন অজ্ঞান ছিল। পাঁচ সন্তান এবং ১২ নাতি-নাতনি ও তাদের স্বামী সন্তানদের সবাই তাঁর অনুপ্রেরণায় উচ্চশিক্ষিত, কর্মজীবী ও দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তারা সবাই নানু বা দাদুকে উপহার এবং নগদ টাকা দিয়ে নিজেরা তৃপ্তি পেত। মা নিজের ইচ্ছামতো গরিবদের দান করতেন। বিছানায় শুয়েই তিনি এমন এক ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি করেছিলেন যেখানে কোনো সন্তান বা নাতি বিদেশে বরফে কষ্ট পাচ্ছে, কার শরীর ভালো যাচ্ছে না, কোন নাতির পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশিত হবে- সবই তাঁর জানা ছিল। দূরদূরান্ত ও বিদেশ থেকে আত্মীয়-স্বজন রোগী নয়, নিজেদের ভালোবাসার মানুষটিকে দেখতেই যেন বারবার ছুটে যেত সেই জাদুর বিছানায়।

১২ মে শুক্রবার ছিলাম মার সঙ্গে। ১৩ মে শনিবার সকালে মার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখি মার চোখ বন্ধ। তাঁর পুত্রবধূ পায়ের কাছে বসা। ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে পুত্রবধূ (আমার ভাবি)-কে বললাম, আমার জরুরি কাজ আছে। আমি ঢাকা রওনা হচ্ছি। মার ঘুম ভাঙলে বলে দিও। ওমনি মা চোখ খুললেন। ইশারায় কাছে ডাকলেন। আমার মাথাটা নিজের বুকে চেপে ধরলেন। মাথা ও মুখে হাত বুলালেন। আমার মাথাটা তুলে নিজের গালের সঙ্গে আমার গাল লাগালেন। মৃদুস্বরে বললেন, আমার জন্য খাস দিলে দোয়া করো বাবা। সবাইকে বলো খাস দিলে দোয়া করতে আর মাফ করে দিতে। আমিও মাফ চাইলাম। দোয়া চাইলাম। উত্তরে শুধু আমার মাথায় হাত বুলালেন মা। বললেন, আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা করো। পথে ভাবছিলাম ফেলে আশা দিনগুলোর কথা। অভাবের মধ্যেও মা বই কিনে দিতেন। নিজেও বই পড়তেন। কোরআন পড়তেন। ইত্তেফাক পত্রিকা পড়তেন। আমাদের ‘কচিকাঁচার আসর’ পড়তে দিতেন। নিজের অজান্তে এভাবেই হয়তো মা আমার মধ্যে সৃজনশীল লেখার বীজ বুনেছিলেন।

আমি ঢাকার কাছাকাছি পৌঁছেই ফোন দিলাম। কারণ যে কেউ যাত্রাপথে থাকলে তার নিরাপদে বাসায় না পৌঁছানো পর্যন্ত মা টেনশনে থাকতেন। কিন্তু ফোনের ওপার থেকে ভাবি জানালেন, ভাই, তুমি চলে আসো, মা আর নেই। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে দেয়ালঘড়ির দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখে তাঁর চোখ স্থির হয়ে গেল। মুখে একটা স্বর্গীয় হাসিও ফুটে উঠল। কমতে থাকল তাঁর হৃদস্পন্দন। দৌড়ে এলো দুই ছেলে। কানের কাছে কলেমা পড়ে মুখে পানি দিল। পুত্রবধূরাও সুরা ইয়াসিন পড়তে থাকল। মা কলেমা পড়লেন। বলতে লাগলেন আল্লাহ...আল্লাহ...আল্লাহ...। এ স্বর ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে এক সময় মিলিয়ে গেল। চোখের পাতা দুটো বন্ধ হয়ে গেল।

বাবার কবরের কাছেই নতুন কবর খোঁড়া হলো। তিন ভাই কবরে নেমে নিজ হাতে মাকে মাটিতে শুইয়ে দিলাম। মাটি দিয়ে এবং দোয়া করে ফেরার পথে দেখি একটি কবরের ওপর ছোট্ট সাইনবোর্ডে লেখা- হে পথিক, একটু দাঁড়াও। একটু দোয়া করে যাও। আজ তোমরা যেখানে আছো, গতকালও আমরা সেখানে ছিলাম। আর আমরা আজ যেখানে আছি, আগামীকাল তোমরাও এখানে আসবে।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
সর্বশেষ খবর
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার

১৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত
রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন

৪২ মিনিট আগে | শোবিজ

ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’

৪৮ মিনিট আগে | শোবিজ

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৯ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল
প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা