শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ আপডেট:

মফস্বলের এক মায়ের কথা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মফস্বলের এক মায়ের কথা

১২ মে শুক্রবার মাকে দেখতে কুমিল্লায় যাচ্ছিলাম। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন খবর পড়ার ফাঁকে লক্ষ্য করলাম এক দিন পর অর্থাৎ ১৪ মে ২০২৩ রবিবার পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। যাদের মা জীবিত নেই এ দিনটি তারা কী করে অতিবাহিত করেন এ প্রশ্ন আমাকে তাড়িত করেছে বছরের পর বছর। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! এবার বিশ্ব মা দিবসের ঠিক আগের দিন ১৩ মে দুপুরে আমাদের ছেড়ে গেলেন আমাদের মমতাময়ী মা। যদিও ৮৪ বছর বয়সী শয্যাশায়ী মাকে যে কোনো সময় চলে যেতে হবে বলে ডাক্তাররা আগেই বলে রেখেছিলেন তবু কায়মনো বাক্যে চেয়েছিলাম আরও কটা দিন থাকুক না পরিবারের এ প্রাণভ্রমর! তাঁকে ঘিরেই পরিবারের মিলনমেলা হতো। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হলেও মাকে নেওয়া হতো নাতি-নাতনির বিয়েতে। আমরা পঞ্চাশোর্ধরা কেন জানি শরিয়ত-মারফত-বিদআতের ঊর্ধ্বে ওঠে পা ছুঁয়ে ময়-মুরুব্বিকে সালাম না করে তৃপ্তি পাই না। তবে পা ছুঁয়ে সালাম করা যায়, এমন মুরুব্বির সংখ্যা এখন হাতে গোনা কয়েকজন। তাই মাকে পাশে পেলে সালাম করার উৎসব শুরু হতো এসব অনুষ্ঠানে। না, তেমনটি আর হবে না। নাতি-নাতনিরা ঈদের সালামির জন্য বারবার আর ‘নানু- আমাকে!! দাদু আমাকে’ বলে হইচই বাধাবে না। কারণ সংসারের মধ্যমণি আর নেই। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নাতনিকে চাহিবামাত্র আইসক্রিম, আচার আর চিপস কেনার টাকা দেওয়া ‘ম্যাজিক নানু’ কোন জাদুবলে যেন আকাশে মিলিয়ে গেলেন।

আমার নানা তৎকালীন ব্রিটিশ রেলওয়েতে চাকরি করতেন। থাকতেন কলকাতায়। সেখানেই ইংরেজি কনভেন্ট স্কুলে পড়তেন মা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর নানা সপরিবারে চলে আসেন এপারে। যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নানা তাঁর পীরের আদেশে মা-এর বিয়ে দেন। বাবা কাজ করতেন তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানে, যা বর্তমানে সোনালী ব্যাংক নামে পরিচিত। বাবাও ছিলেন একই পীরের মুরিদ। মাইজভান্ডারি তরিকায় বিশ্বাসী এ পীরসাহেবের দীক্ষায় হয়তোবা একরকম সংসার বিরাগী হয়ে যান আমার বাবা। চাকরি করে মাস শেষে মায়ের হাতে যৎসামান্য বেতনের টাকা তুলে দেওয়া ছাড়া সাংসারিক কোনো দায়দায়িত্ব পালনে বাবা মোটেও আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর সব আগ্রহ ছিল প্রতি বৃহস্পতিবার তাঁর পীরভাই ও অন্য ফকির সন্ন্যাসীদের নিয়ে মোমের আলোতে আগরবাতি জ্বালিয়ে রাতভর জিকির করার দিকে। আর মায়ের কাজ ছিল বিশাল ডেকচিতে লাকড়ি পুড়িয়ে খিচুড়ি রান্না করা ও সবাইকে খাওয়ানো। এর বাইরে আরবি মাসের ১১ তারিখে ‘১১ শরিফ’, বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর জন্মদিন, মিলাদুন্নবী, শবেবরাত ইত্যাদি উপলক্ষে ওরসের নামেও সারা রাত জিকির-আসকার হতো বাড়িতে। বাজার-সদাই, রান্না, বণ্টন সবই সামাল দিতেন মা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মায়ের কোলজুড়ে আসে আমাদের বড় বোন। এরপর অল্প ব্যবধানে আরও তিন ভাই ও এক বোন। আমাদের বাসায় থেকে কলেজে পড়তেন আমাদের একমাত্র মামা। কদিন পর এক চাচাতো ভাইও যোগ দিলেন মামার সঙ্গে। আবার চিকিৎসা, চাকরির জন্য পরীক্ষা, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড অফিসে কাজ, ঢাকা-চট্টগ্রাম বা ঢাকা-নোয়াখালী যাওয়া-আসার পথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিশ্রাম কিংবা হাওয়া বদল এমন নানাবিধ উপলক্ষ দেখিয়ে বছরব্যাপী মেহমান থাকত আমাদের বাসায়। পীরসাহেব বছরে অন্তত একবার একদল মুরিদ নিয়ে আস্তানা গাড়তেন। থাকতেন ৮-১০ দিন। বাবার ছিল স্বল্প বেতন। বাড়ি ভর্তি এত মানুষের থাকা-খাওয়া ঠিকই চালিয়ে নিতেন মা। বাবা নির্বিকার। জগৎ-সংসারে কোনো অভাব-অভিযোগ আছে বলে তিনি কখনো ভাবতেই পারতেন না। আমরা ভাইবোনরা কৌতুক করে বাবাকে জিজ্ঞেস করতাম- আমরা কে কোন ক্লাসে পড়ি! বাবা স্বর্গীয় হাসি দিতেন- উত্তর দিতেন না। আমাদের ধারণা, বাবা নিশ্চিতভাবে জানতেন না আমরা কে কোন ক্লাসে পড়ি। অথচ পাঁচ সন্তানকে এক হাতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন মা। এর মধ্যে বড় বোনের বিষয়টি ছিল অবাক করার মতো। নাটকীয়ভাবে বড় বোনের বিয়ে হলো কলেজ সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে। মা তাঁর মেয়েকে তো সংসার করতে দিলেনই না, বরং জামাইকে নিয়ে এলেন বাড়িতে। মার একটাই কথা- মেয়েকে গ্র্যাজুয়েট হতে হবে, তারপর অন্য কথা। বড় বোন বিএসসি পড়া শুরু করলেন। চার বছর সময়ের মধ্যে তার কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান। আমার মায়ের সে কী আনন্দ! দুই কোলে দুই নাতি- নাতনি নিয়ে সংসারের সব দিক দেখছেন। এক হাতে নাতনি আর অন্য হাতে রান্না। নাতির পেছনে দৌড়ে ও তাকে ধরে এনে কি টিউবওয়েলের নিচে গোসল করানো, এমন দৃশ্য নাটকের মনে হলেও সবই আমার নিজের চোখে দেখা। কী যে কর্মঠ ছিলেন মা! কখনো কুড়াল দিয়ে লাকড়ি কাটছেন আবার কখনো দা দিয়ে নারিকেল ছিলছেন, মাঝে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি-কবুতরকে খাবার দিচ্ছেন- সে এক এলাহি কা-।

এর মধ্যে বড় বোনের দেবর উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত হলেন। দুলাভাই এবার নতুন বাসায় যেতে চাইলেন ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার কথা বলে। বড় বোনের গ্র্যাজুয়েশন তখনো বাকি। মার একটাই কথা- আগে মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন। এ সমস্যার সমাধানও করলেন মা। এক দিন সেই বড় বোনের দেবর যোগ হলেন আমাদের সঙ্গে। এবার আমরা তিন ভাই, সঙ্গে আরেক বড় ভাই। এরই মধ্যে আচমকা বিয়ে ঠিক হলো বড় বোনের এক ননদের। তখন এত ডেকোরেটর সার্ভিস ছিল না। এ বাড়ি-ও বাড়ি থেকে চেয়ার, টেবিল, প্লেট, গ্লাস, জগ এনে বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান হতো আর কলাগাছ ও দেবদারু পাতা দিয়ে গেট সাজানো হতো। হঠাৎ করে কে কোথায় কী আয়োজন করবে ভেবে ব্যাকুল। মা বললেন, আমাদের বাসায় বিয়ে হবে। কাউকে কোথাও যেতে হবে না। দিব্যি একটি বিয়েও সামাল দিলেন।

সত্তরের দশকে একজন সৎ ব্যাংক কর্মকর্তার বেতনে এতগুলো মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব ছিল। অথচ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আমাদের মা। অভাব ছিল, তবে মা তা বুঝতে দেননি কাউকে। নিজের হাতে রান্না করা মাছ-গোস্ত সবই তুলে দিতেন অন্যের পাতে। ডেকচি বা কড়াইয়ের গায়ে লেগে থাকা ঝোলের ওপর ভাত ছিটিয়ে মেখে নিতেন আর পরম তৃপ্তিতে খেয়ে আল্লাহর শোকর গুজার করতেন। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের সময় মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে সবাইকে খাওয়াতেন ভাতের ওপর চাপ কমানোর জন্য, কিন্তু কাউকে বুঝতেও দিতেন না। কিস্তিতে হাতে ঘোরানো সিঙ্গার সেলাই মেশিন কিনলেন সবার জামা-কাপড় বানানোর জন্য। কিস্তির সেই ২০ টাকা শোধ করতেন ঘরে পালা মুরগির ডিম আর গাছের নারিকেল-সুপারি বিক্রি করে। একবার চুরি হলো বাড়িতে। অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে সেলাই মেশিনও নিয়ে যায় চোরের দল। মা সবচেয়ে দুঃখ করলেন তাঁর সেলাই মেশিনটির জন্য। কদিন পর এ মেশিন উদ্ধার হলো এবং আমাদের বাসায় চলে এলো। আবার আমাদের জামা-কাপড় এমনকি প্রতিবেশীদের কাপড়ও সেলাই করা শুরু করলেন বিনা পারিশ্রমিকে। প্রতিবেশীদের বাচ্চা প্রসবের আগে অবধারিতভাবে মাকে ডাকা হতো। তাঁর হাতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে এবং তাঁর যত্ন পেয়েছে এমন নবজাতক শিশুর সংখ্যা নিজেও জানতেন না তিনি। তাঁর হাতে বোনা সোয়েটার পেয়েছে তাঁর নাতি-নাতনিদের সবাই, এমনকি অনেক পাড়া-প্রতিবেশীও। ১৯৭১ সালে এই পাড়া-প্রতিবেশীদের অনেকেই বিশেষত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঝপথে রাজাকারদের হাতে লুটপাটের ভয়ে মার কাছে তাদের মূল্যবান গয়না, টাকা-পয়সা, জমির দলিল ও অন্যান্য দামি সম্পদ রেখে সীমান্ত পাড়ি দেয় এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষে মা যথারীতি যার যার কাছে তাদের গচ্ছিত সবকিছু ফিরিয়ে দেন। এ সময় আমাদের ছোট বোন পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় শেষ দিনগুলো গুনছিল। অন্যদিকে বড় বোন ছিলেন চোখে পড়ার মতো। যুদ্ধকালীন ৯ মাসে বড় বোনকে সব সময় লুকিয়ে রাখা আবার ছোট সন্তানের জন্মদান, এরই মধ্যে আমাদের সবার দেখভাল কেমন করে যে মা করেছেন তা আজ ভাবতেও অবাক লাগে।

এক ঈদের পর সবাই বেড়াতে গেলাম একমাত্র মামার বাড়ি। আমার নানি তখন প্যারালাইসিসের কারণে বিছানায় শয্যাশায়ী। তাঁর অবস্থা দেখে মার চোখে পানি। আমার বৈরাগী বাবা মনে হয় এই প্রথম আমার মায়ের মনের কথা পড়তে পারলেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বাবা নানিকে নিয়ে এলেন কুমিল্লার বাসায়। এবার শয্যাশায়ী আমাদের নানির সেবায় নিজেকে সঁপে দিলেন মা। প্রায় সাত বছর বিছানায় পড়ে থাকা ও নড়াচড়া করতে না পারা এ নানিকে পরিষ্কার রাখা, খাওয়ানো, নখ ও চুল কাটা, কাপড় বদলানো ও ধুয়ে দেওয়া সবই করেছেন আমাদের মা। এ বৃদ্ধা নানুর মৃত্যুর পর নিজের বাবাকেও অর্থাৎ আমাদের নানাকেও নিয়ে আসেন বাবার পরামর্শে। বাবা-মা হারানো আমাদের পিতৃ দেবতা হয়তো নানা-নানির মধ্যেই তাদের খুঁজে পেতেন। নানাও ছিলেন প্রায় অচল। মা তাঁকে সেবা করে গেছেন আরও ছয় বছর। নানার মৃত্যুর পর আমার বাবাও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে স্ট্রোকের কারণে তাঁরও শরীরের একটি অংশ অবশ হয়ে যায়। এ সময় তাঁকে প্লাস্টিকের নল দিয়ে খাওয়ানোসহ অকৃত্রিম সেবা করেছেন মা। বর্তমানে বহুল প্রচলিত ফিজিওথেরাপি তখন তেমন প্রসারিত হয়নি। কিন্তু মা কোন কবিরাজের কাছে কি শুনলেন জানি না, রসুন ও সরিষার তেল গরম করে অনবরত থেরাপি দিয়ে বাবাকে অনেকটাই সুস্থ করে তুললেন। এক সময় বাবা কথাও বলতে পারছিলেন না। অথচ বাবার ঠোঁট নাড়া দেখে এমনকি চোখ দেখেও মা ঠিকই বুঝে যেতেন বাবা কী চান। মাকে দেখলেই বাবা যেন সুস্থ হয়ে উঠতেন আর না দেখলে মৃতপ্রায়। ১-২-৩ অর্থাৎ ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে বাবা চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। এরপর মা মনের জোর হারিয়ে ফেললেন এবং দ্রুতই দুর্বল হতে থাকলেন। এক সময় পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে গেলে মা নিজেই শয্যাশায়ী হন। এ সময় তাঁর দুই পুত্রই জীবন-সংগ্রামে দূরের দুই শহরে আর এক পুত্র বিদেশে। দুই কন্যা স্বামী-সন্তান নিয়ে ঢাকায়। ইতিহাস যেন পুনরাবৃত্তি ঘটাল আমাদের পরিবারে। দেশে থাকা এক পুত্র নিজের ক্যারিয়ারের মায়া ত্যাগ করে মায়ের কাছে কুমিল্লায় চলে এলেন। পুত্রবধূ পরম মমতায় মায়ের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিলেন। সেবা করার মতো একটি গ্রামের মেয়ে ও তার মা জুটে গেল। যে যুগে আপন মা-বাবার ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে, সেই যুগে এক পুত্রবধূ হাতে গ্লাভস পরে নিজের শাশুড়িকে পরিষ্কার করেছেন বছরের পর বছর। এই বছরগুলোতে এ পুত্রবধূ শাশুড়িকে ছেড়ে দূরে থাকেননি এক রাতের বেশি। কোনো অভাব-অভিযোগ করেননি। স্রষ্টা এ জগতে কষ্ট দিয়েই হয়তো মায়ের পরবর্তী জীবনের সুখের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আর শয্যাশায়ী মা-বাবা ও স্বামীকে সেবার বিনিময়ে এমন পুত্রবধূ দান করেছেন।

নাতি-নাতনিদের কাছে তিনি ছিলেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের সেই দৈত্যতুল্য। তাঁর বিছানায় এখানে-সেখানে ভাংতি টাকার খনি ছিল। নাতি-নাতনির যে কোনো আবদার মেটাতে এ ভাংতি ভান্ডারের তুলনা ছিল না। তিনি যেন এক জাদুর তোশকে থাকতেন গায়ে স্বর্গীয় চাদর জড়িয়ে। চুম্বকের মতো আমাদের সবাইকে টানত সেই জাদুর তোশক। কদিন পর পরই পাঁচ ভাইবোন মাকে ঘিরে সেই তোশকে শুয়ে থাকতাম। আমাদের ঈদ হতো মূলত ঈদের পরের দিন মাকে ঘিরে। যে যেখানেই ঈদ অতিবাহিত করুক, পরদিন ঠিকই হাজির হতো মায়ের চারপাশে। স্মৃতিতে ভেসে উঠত সেই দিনগুলোর কথা, যখন আমাদের কোনো ফ্রিজ ছিল না। মা ঈদের রাতে বেঁচে যাওয়া সব মিষ্টান্ন একসঙ্গে করে ঘন দুধ দিয়ে আবারও জ্বাল দিতেন পাঁচমিশালি সেই মিষ্টান্ন। আর পরদিন আমরা অপেক্ষা করতাম সেই অপূর্ব স্বাদের মিষ্টান্নের জন্য। বেশি পোলাও নতুন মাত্রা পেত মার হাতে। কোরবানি ঈদের পর গরুর মাংস দিনের পর দিন জ্বাল দিয়ে যখন ঝুড়া আকারে আমাদের চালের রুটির সঙ্গে দেওয়া হতো, মনে হতো এই পৃথিবীতে এর চেয়ে সুস্বাদু খাবার আর কিছু নেই। পুত্র-কন্যা ও নাতি-নাতনির বাইরে নাতবউ ও নাতজামাইরাও নানু বা দাদু বলতে যেন অজ্ঞান ছিল। পাঁচ সন্তান এবং ১২ নাতি-নাতনি ও তাদের স্বামী সন্তানদের সবাই তাঁর অনুপ্রেরণায় উচ্চশিক্ষিত, কর্মজীবী ও দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তারা সবাই নানু বা দাদুকে উপহার এবং নগদ টাকা দিয়ে নিজেরা তৃপ্তি পেত। মা নিজের ইচ্ছামতো গরিবদের দান করতেন। বিছানায় শুয়েই তিনি এমন এক ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি করেছিলেন যেখানে কোনো সন্তান বা নাতি বিদেশে বরফে কষ্ট পাচ্ছে, কার শরীর ভালো যাচ্ছে না, কোন নাতির পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশিত হবে- সবই তাঁর জানা ছিল। দূরদূরান্ত ও বিদেশ থেকে আত্মীয়-স্বজন রোগী নয়, নিজেদের ভালোবাসার মানুষটিকে দেখতেই যেন বারবার ছুটে যেত সেই জাদুর বিছানায়।

১২ মে শুক্রবার ছিলাম মার সঙ্গে। ১৩ মে শনিবার সকালে মার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখি মার চোখ বন্ধ। তাঁর পুত্রবধূ পায়ের কাছে বসা। ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে পুত্রবধূ (আমার ভাবি)-কে বললাম, আমার জরুরি কাজ আছে। আমি ঢাকা রওনা হচ্ছি। মার ঘুম ভাঙলে বলে দিও। ওমনি মা চোখ খুললেন। ইশারায় কাছে ডাকলেন। আমার মাথাটা নিজের বুকে চেপে ধরলেন। মাথা ও মুখে হাত বুলালেন। আমার মাথাটা তুলে নিজের গালের সঙ্গে আমার গাল লাগালেন। মৃদুস্বরে বললেন, আমার জন্য খাস দিলে দোয়া করো বাবা। সবাইকে বলো খাস দিলে দোয়া করতে আর মাফ করে দিতে। আমিও মাফ চাইলাম। দোয়া চাইলাম। উত্তরে শুধু আমার মাথায় হাত বুলালেন মা। বললেন, আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা করো। পথে ভাবছিলাম ফেলে আশা দিনগুলোর কথা। অভাবের মধ্যেও মা বই কিনে দিতেন। নিজেও বই পড়তেন। কোরআন পড়তেন। ইত্তেফাক পত্রিকা পড়তেন। আমাদের ‘কচিকাঁচার আসর’ পড়তে দিতেন। নিজের অজান্তে এভাবেই হয়তো মা আমার মধ্যে সৃজনশীল লেখার বীজ বুনেছিলেন।

আমি ঢাকার কাছাকাছি পৌঁছেই ফোন দিলাম। কারণ যে কেউ যাত্রাপথে থাকলে তার নিরাপদে বাসায় না পৌঁছানো পর্যন্ত মা টেনশনে থাকতেন। কিন্তু ফোনের ওপার থেকে ভাবি জানালেন, ভাই, তুমি চলে আসো, মা আর নেই। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে দেয়ালঘড়ির দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখে তাঁর চোখ স্থির হয়ে গেল। মুখে একটা স্বর্গীয় হাসিও ফুটে উঠল। কমতে থাকল তাঁর হৃদস্পন্দন। দৌড়ে এলো দুই ছেলে। কানের কাছে কলেমা পড়ে মুখে পানি দিল। পুত্রবধূরাও সুরা ইয়াসিন পড়তে থাকল। মা কলেমা পড়লেন। বলতে লাগলেন আল্লাহ...আল্লাহ...আল্লাহ...। এ স্বর ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে এক সময় মিলিয়ে গেল। চোখের পাতা দুটো বন্ধ হয়ে গেল।

বাবার কবরের কাছেই নতুন কবর খোঁড়া হলো। তিন ভাই কবরে নেমে নিজ হাতে মাকে মাটিতে শুইয়ে দিলাম। মাটি দিয়ে এবং দোয়া করে ফেরার পথে দেখি একটি কবরের ওপর ছোট্ট সাইনবোর্ডে লেখা- হে পথিক, একটু দাঁড়াও। একটু দোয়া করে যাও। আজ তোমরা যেখানে আছো, গতকালও আমরা সেখানে ছিলাম। আর আমরা আজ যেখানে আছি, আগামীকাল তোমরাও এখানে আসবে।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

৮ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ
ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত
চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত
লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত
এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল
পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস
কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম
অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ
রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা
আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী
হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩
পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ বিশ্ব গাধা দিবস: যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন
আজ বিশ্ব গাধা দিবস: যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন

২৩ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল
ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট
চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট

খবর

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে