শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ আপডেট:

মফস্বলের এক মায়ের কথা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মফস্বলের এক মায়ের কথা

১২ মে শুক্রবার মাকে দেখতে কুমিল্লায় যাচ্ছিলাম। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন খবর পড়ার ফাঁকে লক্ষ্য করলাম এক দিন পর অর্থাৎ ১৪ মে ২০২৩ রবিবার পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। যাদের মা জীবিত নেই এ দিনটি তারা কী করে অতিবাহিত করেন এ প্রশ্ন আমাকে তাড়িত করেছে বছরের পর বছর। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! এবার বিশ্ব মা দিবসের ঠিক আগের দিন ১৩ মে দুপুরে আমাদের ছেড়ে গেলেন আমাদের মমতাময়ী মা। যদিও ৮৪ বছর বয়সী শয্যাশায়ী মাকে যে কোনো সময় চলে যেতে হবে বলে ডাক্তাররা আগেই বলে রেখেছিলেন তবু কায়মনো বাক্যে চেয়েছিলাম আরও কটা দিন থাকুক না পরিবারের এ প্রাণভ্রমর! তাঁকে ঘিরেই পরিবারের মিলনমেলা হতো। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হলেও মাকে নেওয়া হতো নাতি-নাতনির বিয়েতে। আমরা পঞ্চাশোর্ধরা কেন জানি শরিয়ত-মারফত-বিদআতের ঊর্ধ্বে ওঠে পা ছুঁয়ে ময়-মুরুব্বিকে সালাম না করে তৃপ্তি পাই না। তবে পা ছুঁয়ে সালাম করা যায়, এমন মুরুব্বির সংখ্যা এখন হাতে গোনা কয়েকজন। তাই মাকে পাশে পেলে সালাম করার উৎসব শুরু হতো এসব অনুষ্ঠানে। না, তেমনটি আর হবে না। নাতি-নাতনিরা ঈদের সালামির জন্য বারবার আর ‘নানু- আমাকে!! দাদু আমাকে’ বলে হইচই বাধাবে না। কারণ সংসারের মধ্যমণি আর নেই। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নাতনিকে চাহিবামাত্র আইসক্রিম, আচার আর চিপস কেনার টাকা দেওয়া ‘ম্যাজিক নানু’ কোন জাদুবলে যেন আকাশে মিলিয়ে গেলেন।

আমার নানা তৎকালীন ব্রিটিশ রেলওয়েতে চাকরি করতেন। থাকতেন কলকাতায়। সেখানেই ইংরেজি কনভেন্ট স্কুলে পড়তেন মা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর নানা সপরিবারে চলে আসেন এপারে। যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নানা তাঁর পীরের আদেশে মা-এর বিয়ে দেন। বাবা কাজ করতেন তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানে, যা বর্তমানে সোনালী ব্যাংক নামে পরিচিত। বাবাও ছিলেন একই পীরের মুরিদ। মাইজভান্ডারি তরিকায় বিশ্বাসী এ পীরসাহেবের দীক্ষায় হয়তোবা একরকম সংসার বিরাগী হয়ে যান আমার বাবা। চাকরি করে মাস শেষে মায়ের হাতে যৎসামান্য বেতনের টাকা তুলে দেওয়া ছাড়া সাংসারিক কোনো দায়দায়িত্ব পালনে বাবা মোটেও আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর সব আগ্রহ ছিল প্রতি বৃহস্পতিবার তাঁর পীরভাই ও অন্য ফকির সন্ন্যাসীদের নিয়ে মোমের আলোতে আগরবাতি জ্বালিয়ে রাতভর জিকির করার দিকে। আর মায়ের কাজ ছিল বিশাল ডেকচিতে লাকড়ি পুড়িয়ে খিচুড়ি রান্না করা ও সবাইকে খাওয়ানো। এর বাইরে আরবি মাসের ১১ তারিখে ‘১১ শরিফ’, বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর জন্মদিন, মিলাদুন্নবী, শবেবরাত ইত্যাদি উপলক্ষে ওরসের নামেও সারা রাত জিকির-আসকার হতো বাড়িতে। বাজার-সদাই, রান্না, বণ্টন সবই সামাল দিতেন মা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মায়ের কোলজুড়ে আসে আমাদের বড় বোন। এরপর অল্প ব্যবধানে আরও তিন ভাই ও এক বোন। আমাদের বাসায় থেকে কলেজে পড়তেন আমাদের একমাত্র মামা। কদিন পর এক চাচাতো ভাইও যোগ দিলেন মামার সঙ্গে। আবার চিকিৎসা, চাকরির জন্য পরীক্ষা, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড অফিসে কাজ, ঢাকা-চট্টগ্রাম বা ঢাকা-নোয়াখালী যাওয়া-আসার পথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিশ্রাম কিংবা হাওয়া বদল এমন নানাবিধ উপলক্ষ দেখিয়ে বছরব্যাপী মেহমান থাকত আমাদের বাসায়। পীরসাহেব বছরে অন্তত একবার একদল মুরিদ নিয়ে আস্তানা গাড়তেন। থাকতেন ৮-১০ দিন। বাবার ছিল স্বল্প বেতন। বাড়ি ভর্তি এত মানুষের থাকা-খাওয়া ঠিকই চালিয়ে নিতেন মা। বাবা নির্বিকার। জগৎ-সংসারে কোনো অভাব-অভিযোগ আছে বলে তিনি কখনো ভাবতেই পারতেন না। আমরা ভাইবোনরা কৌতুক করে বাবাকে জিজ্ঞেস করতাম- আমরা কে কোন ক্লাসে পড়ি! বাবা স্বর্গীয় হাসি দিতেন- উত্তর দিতেন না। আমাদের ধারণা, বাবা নিশ্চিতভাবে জানতেন না আমরা কে কোন ক্লাসে পড়ি। অথচ পাঁচ সন্তানকে এক হাতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন মা। এর মধ্যে বড় বোনের বিষয়টি ছিল অবাক করার মতো। নাটকীয়ভাবে বড় বোনের বিয়ে হলো কলেজ সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে। মা তাঁর মেয়েকে তো সংসার করতে দিলেনই না, বরং জামাইকে নিয়ে এলেন বাড়িতে। মার একটাই কথা- মেয়েকে গ্র্যাজুয়েট হতে হবে, তারপর অন্য কথা। বড় বোন বিএসসি পড়া শুরু করলেন। চার বছর সময়ের মধ্যে তার কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান। আমার মায়ের সে কী আনন্দ! দুই কোলে দুই নাতি- নাতনি নিয়ে সংসারের সব দিক দেখছেন। এক হাতে নাতনি আর অন্য হাতে রান্না। নাতির পেছনে দৌড়ে ও তাকে ধরে এনে কি টিউবওয়েলের নিচে গোসল করানো, এমন দৃশ্য নাটকের মনে হলেও সবই আমার নিজের চোখে দেখা। কী যে কর্মঠ ছিলেন মা! কখনো কুড়াল দিয়ে লাকড়ি কাটছেন আবার কখনো দা দিয়ে নারিকেল ছিলছেন, মাঝে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি-কবুতরকে খাবার দিচ্ছেন- সে এক এলাহি কা-।

এর মধ্যে বড় বোনের দেবর উচ্চশিক্ষার জন্য উপযুক্ত হলেন। দুলাভাই এবার নতুন বাসায় যেতে চাইলেন ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার কথা বলে। বড় বোনের গ্র্যাজুয়েশন তখনো বাকি। মার একটাই কথা- আগে মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন। এ সমস্যার সমাধানও করলেন মা। এক দিন সেই বড় বোনের দেবর যোগ হলেন আমাদের সঙ্গে। এবার আমরা তিন ভাই, সঙ্গে আরেক বড় ভাই। এরই মধ্যে আচমকা বিয়ে ঠিক হলো বড় বোনের এক ননদের। তখন এত ডেকোরেটর সার্ভিস ছিল না। এ বাড়ি-ও বাড়ি থেকে চেয়ার, টেবিল, প্লেট, গ্লাস, জগ এনে বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান হতো আর কলাগাছ ও দেবদারু পাতা দিয়ে গেট সাজানো হতো। হঠাৎ করে কে কোথায় কী আয়োজন করবে ভেবে ব্যাকুল। মা বললেন, আমাদের বাসায় বিয়ে হবে। কাউকে কোথাও যেতে হবে না। দিব্যি একটি বিয়েও সামাল দিলেন।

সত্তরের দশকে একজন সৎ ব্যাংক কর্মকর্তার বেতনে এতগুলো মানুষের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব ছিল। অথচ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আমাদের মা। অভাব ছিল, তবে মা তা বুঝতে দেননি কাউকে। নিজের হাতে রান্না করা মাছ-গোস্ত সবই তুলে দিতেন অন্যের পাতে। ডেকচি বা কড়াইয়ের গায়ে লেগে থাকা ঝোলের ওপর ভাত ছিটিয়ে মেখে নিতেন আর পরম তৃপ্তিতে খেয়ে আল্লাহর শোকর গুজার করতেন। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের সময় মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে সবাইকে খাওয়াতেন ভাতের ওপর চাপ কমানোর জন্য, কিন্তু কাউকে বুঝতেও দিতেন না। কিস্তিতে হাতে ঘোরানো সিঙ্গার সেলাই মেশিন কিনলেন সবার জামা-কাপড় বানানোর জন্য। কিস্তির সেই ২০ টাকা শোধ করতেন ঘরে পালা মুরগির ডিম আর গাছের নারিকেল-সুপারি বিক্রি করে। একবার চুরি হলো বাড়িতে। অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে সেলাই মেশিনও নিয়ে যায় চোরের দল। মা সবচেয়ে দুঃখ করলেন তাঁর সেলাই মেশিনটির জন্য। কদিন পর এ মেশিন উদ্ধার হলো এবং আমাদের বাসায় চলে এলো। আবার আমাদের জামা-কাপড় এমনকি প্রতিবেশীদের কাপড়ও সেলাই করা শুরু করলেন বিনা পারিশ্রমিকে। প্রতিবেশীদের বাচ্চা প্রসবের আগে অবধারিতভাবে মাকে ডাকা হতো। তাঁর হাতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে এবং তাঁর যত্ন পেয়েছে এমন নবজাতক শিশুর সংখ্যা নিজেও জানতেন না তিনি। তাঁর হাতে বোনা সোয়েটার পেয়েছে তাঁর নাতি-নাতনিদের সবাই, এমনকি অনেক পাড়া-প্রতিবেশীও। ১৯৭১ সালে এই পাড়া-প্রতিবেশীদের অনেকেই বিশেষত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঝপথে রাজাকারদের হাতে লুটপাটের ভয়ে মার কাছে তাদের মূল্যবান গয়না, টাকা-পয়সা, জমির দলিল ও অন্যান্য দামি সম্পদ রেখে সীমান্ত পাড়ি দেয় এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযুদ্ধ শেষে মা যথারীতি যার যার কাছে তাদের গচ্ছিত সবকিছু ফিরিয়ে দেন। এ সময় আমাদের ছোট বোন পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় শেষ দিনগুলো গুনছিল। অন্যদিকে বড় বোন ছিলেন চোখে পড়ার মতো। যুদ্ধকালীন ৯ মাসে বড় বোনকে সব সময় লুকিয়ে রাখা আবার ছোট সন্তানের জন্মদান, এরই মধ্যে আমাদের সবার দেখভাল কেমন করে যে মা করেছেন তা আজ ভাবতেও অবাক লাগে।

এক ঈদের পর সবাই বেড়াতে গেলাম একমাত্র মামার বাড়ি। আমার নানি তখন প্যারালাইসিসের কারণে বিছানায় শয্যাশায়ী। তাঁর অবস্থা দেখে মার চোখে পানি। আমার বৈরাগী বাবা মনে হয় এই প্রথম আমার মায়ের মনের কথা পড়তে পারলেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বাবা নানিকে নিয়ে এলেন কুমিল্লার বাসায়। এবার শয্যাশায়ী আমাদের নানির সেবায় নিজেকে সঁপে দিলেন মা। প্রায় সাত বছর বিছানায় পড়ে থাকা ও নড়াচড়া করতে না পারা এ নানিকে পরিষ্কার রাখা, খাওয়ানো, নখ ও চুল কাটা, কাপড় বদলানো ও ধুয়ে দেওয়া সবই করেছেন আমাদের মা। এ বৃদ্ধা নানুর মৃত্যুর পর নিজের বাবাকেও অর্থাৎ আমাদের নানাকেও নিয়ে আসেন বাবার পরামর্শে। বাবা-মা হারানো আমাদের পিতৃ দেবতা হয়তো নানা-নানির মধ্যেই তাদের খুঁজে পেতেন। নানাও ছিলেন প্রায় অচল। মা তাঁকে সেবা করে গেছেন আরও ছয় বছর। নানার মৃত্যুর পর আমার বাবাও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে স্ট্রোকের কারণে তাঁরও শরীরের একটি অংশ অবশ হয়ে যায়। এ সময় তাঁকে প্লাস্টিকের নল দিয়ে খাওয়ানোসহ অকৃত্রিম সেবা করেছেন মা। বর্তমানে বহুল প্রচলিত ফিজিওথেরাপি তখন তেমন প্রসারিত হয়নি। কিন্তু মা কোন কবিরাজের কাছে কি শুনলেন জানি না, রসুন ও সরিষার তেল গরম করে অনবরত থেরাপি দিয়ে বাবাকে অনেকটাই সুস্থ করে তুললেন। এক সময় বাবা কথাও বলতে পারছিলেন না। অথচ বাবার ঠোঁট নাড়া দেখে এমনকি চোখ দেখেও মা ঠিকই বুঝে যেতেন বাবা কী চান। মাকে দেখলেই বাবা যেন সুস্থ হয়ে উঠতেন আর না দেখলে মৃতপ্রায়। ১-২-৩ অর্থাৎ ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে বাবা চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। এরপর মা মনের জোর হারিয়ে ফেললেন এবং দ্রুতই দুর্বল হতে থাকলেন। এক সময় পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে গেলে মা নিজেই শয্যাশায়ী হন। এ সময় তাঁর দুই পুত্রই জীবন-সংগ্রামে দূরের দুই শহরে আর এক পুত্র বিদেশে। দুই কন্যা স্বামী-সন্তান নিয়ে ঢাকায়। ইতিহাস যেন পুনরাবৃত্তি ঘটাল আমাদের পরিবারে। দেশে থাকা এক পুত্র নিজের ক্যারিয়ারের মায়া ত্যাগ করে মায়ের কাছে কুমিল্লায় চলে এলেন। পুত্রবধূ পরম মমতায় মায়ের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিলেন। সেবা করার মতো একটি গ্রামের মেয়ে ও তার মা জুটে গেল। যে যুগে আপন মা-বাবার ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে, সেই যুগে এক পুত্রবধূ হাতে গ্লাভস পরে নিজের শাশুড়িকে পরিষ্কার করেছেন বছরের পর বছর। এই বছরগুলোতে এ পুত্রবধূ শাশুড়িকে ছেড়ে দূরে থাকেননি এক রাতের বেশি। কোনো অভাব-অভিযোগ করেননি। স্রষ্টা এ জগতে কষ্ট দিয়েই হয়তো মায়ের পরবর্তী জীবনের সুখের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আর শয্যাশায়ী মা-বাবা ও স্বামীকে সেবার বিনিময়ে এমন পুত্রবধূ দান করেছেন।

নাতি-নাতনিদের কাছে তিনি ছিলেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের সেই দৈত্যতুল্য। তাঁর বিছানায় এখানে-সেখানে ভাংতি টাকার খনি ছিল। নাতি-নাতনির যে কোনো আবদার মেটাতে এ ভাংতি ভান্ডারের তুলনা ছিল না। তিনি যেন এক জাদুর তোশকে থাকতেন গায়ে স্বর্গীয় চাদর জড়িয়ে। চুম্বকের মতো আমাদের সবাইকে টানত সেই জাদুর তোশক। কদিন পর পরই পাঁচ ভাইবোন মাকে ঘিরে সেই তোশকে শুয়ে থাকতাম। আমাদের ঈদ হতো মূলত ঈদের পরের দিন মাকে ঘিরে। যে যেখানেই ঈদ অতিবাহিত করুক, পরদিন ঠিকই হাজির হতো মায়ের চারপাশে। স্মৃতিতে ভেসে উঠত সেই দিনগুলোর কথা, যখন আমাদের কোনো ফ্রিজ ছিল না। মা ঈদের রাতে বেঁচে যাওয়া সব মিষ্টান্ন একসঙ্গে করে ঘন দুধ দিয়ে আবারও জ্বাল দিতেন পাঁচমিশালি সেই মিষ্টান্ন। আর পরদিন আমরা অপেক্ষা করতাম সেই অপূর্ব স্বাদের মিষ্টান্নের জন্য। বেশি পোলাও নতুন মাত্রা পেত মার হাতে। কোরবানি ঈদের পর গরুর মাংস দিনের পর দিন জ্বাল দিয়ে যখন ঝুড়া আকারে আমাদের চালের রুটির সঙ্গে দেওয়া হতো, মনে হতো এই পৃথিবীতে এর চেয়ে সুস্বাদু খাবার আর কিছু নেই। পুত্র-কন্যা ও নাতি-নাতনির বাইরে নাতবউ ও নাতজামাইরাও নানু বা দাদু বলতে যেন অজ্ঞান ছিল। পাঁচ সন্তান এবং ১২ নাতি-নাতনি ও তাদের স্বামী সন্তানদের সবাই তাঁর অনুপ্রেরণায় উচ্চশিক্ষিত, কর্মজীবী ও দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তারা সবাই নানু বা দাদুকে উপহার এবং নগদ টাকা দিয়ে নিজেরা তৃপ্তি পেত। মা নিজের ইচ্ছামতো গরিবদের দান করতেন। বিছানায় শুয়েই তিনি এমন এক ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি করেছিলেন যেখানে কোনো সন্তান বা নাতি বিদেশে বরফে কষ্ট পাচ্ছে, কার শরীর ভালো যাচ্ছে না, কোন নাতির পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশিত হবে- সবই তাঁর জানা ছিল। দূরদূরান্ত ও বিদেশ থেকে আত্মীয়-স্বজন রোগী নয়, নিজেদের ভালোবাসার মানুষটিকে দেখতেই যেন বারবার ছুটে যেত সেই জাদুর বিছানায়।

১২ মে শুক্রবার ছিলাম মার সঙ্গে। ১৩ মে শনিবার সকালে মার ঘরে উঁকি দিয়ে দেখি মার চোখ বন্ধ। তাঁর পুত্রবধূ পায়ের কাছে বসা। ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে পুত্রবধূ (আমার ভাবি)-কে বললাম, আমার জরুরি কাজ আছে। আমি ঢাকা রওনা হচ্ছি। মার ঘুম ভাঙলে বলে দিও। ওমনি মা চোখ খুললেন। ইশারায় কাছে ডাকলেন। আমার মাথাটা নিজের বুকে চেপে ধরলেন। মাথা ও মুখে হাত বুলালেন। আমার মাথাটা তুলে নিজের গালের সঙ্গে আমার গাল লাগালেন। মৃদুস্বরে বললেন, আমার জন্য খাস দিলে দোয়া করো বাবা। সবাইকে বলো খাস দিলে দোয়া করতে আর মাফ করে দিতে। আমিও মাফ চাইলাম। দোয়া চাইলাম। উত্তরে শুধু আমার মাথায় হাত বুলালেন মা। বললেন, আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা করো। পথে ভাবছিলাম ফেলে আশা দিনগুলোর কথা। অভাবের মধ্যেও মা বই কিনে দিতেন। নিজেও বই পড়তেন। কোরআন পড়তেন। ইত্তেফাক পত্রিকা পড়তেন। আমাদের ‘কচিকাঁচার আসর’ পড়তে দিতেন। নিজের অজান্তে এভাবেই হয়তো মা আমার মধ্যে সৃজনশীল লেখার বীজ বুনেছিলেন।

আমি ঢাকার কাছাকাছি পৌঁছেই ফোন দিলাম। কারণ যে কেউ যাত্রাপথে থাকলে তার নিরাপদে বাসায় না পৌঁছানো পর্যন্ত মা টেনশনে থাকতেন। কিন্তু ফোনের ওপার থেকে ভাবি জানালেন, ভাই, তুমি চলে আসো, মা আর নেই। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে দেয়ালঘড়ির দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখে তাঁর চোখ স্থির হয়ে গেল। মুখে একটা স্বর্গীয় হাসিও ফুটে উঠল। কমতে থাকল তাঁর হৃদস্পন্দন। দৌড়ে এলো দুই ছেলে। কানের কাছে কলেমা পড়ে মুখে পানি দিল। পুত্রবধূরাও সুরা ইয়াসিন পড়তে থাকল। মা কলেমা পড়লেন। বলতে লাগলেন আল্লাহ...আল্লাহ...আল্লাহ...। এ স্বর ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে এক সময় মিলিয়ে গেল। চোখের পাতা দুটো বন্ধ হয়ে গেল।

বাবার কবরের কাছেই নতুন কবর খোঁড়া হলো। তিন ভাই কবরে নেমে নিজ হাতে মাকে মাটিতে শুইয়ে দিলাম। মাটি দিয়ে এবং দোয়া করে ফেরার পথে দেখি একটি কবরের ওপর ছোট্ট সাইনবোর্ডে লেখা- হে পথিক, একটু দাঁড়াও। একটু দোয়া করে যাও। আজ তোমরা যেখানে আছো, গতকালও আমরা সেখানে ছিলাম। আর আমরা আজ যেখানে আছি, আগামীকাল তোমরাও এখানে আসবে।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা