শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন, ২০২৩

রানি ক্যাথেরিন ব্রাগানজা ও চা পানের ইতিহাস

সাইফুর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রানি ক্যাথেরিন ব্রাগানজা ও চা পানের ইতিহাস

১৬৬২ সালের ১৪ মে ঝকঝকে রৌদ্রের পড়ন্ত এক বিকাল। ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন একজন রমণীর জন্য-যিনি শিগগিরই হতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রানি বা কুইন। তিনি বিশেষ দূত মারফত আগেভাগেই খবর পেয়েছেন, আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজদরবারে পদার্পণ করবেন পর্তুগালের রাজকুমারী ক্যাথেরিন ব্রাগানজা। রাজা চার্লস ক্যাথেরিনকে দেখতে এতটাই ব্যাকুল হয়ে আছেন যে, তিনি যেন নিজেকে আর কিছুতেই ধরে রাখতে পারছেন না। যদিও লোকমুখে তিনি জানতে পেরেছেন যে, ক্যাথেরিন দেখতে অতীব সুন্দরী ও একজন বিদূষী নারী। তার পরও তিনি মুখিয়ে আছেন রাজকুমারীর মুখ দর্শনের জন্য। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাজকুমারীর শুভাগমনে রাজদরবার প্রাঙ্গণ বাদ্য-বাজনার ঐশ্বরিক সুর মূর্ছনার ঝঙ্কারে চারপাশ আমোদিত হয়ে উঠল। রাজা বিলক্ষণ বুঝলেন এই সুর মূর্ছনার যথার্থ কারণ। রাজদরবারের অন্যান্য সভাসদ ও রাজ আমর্ত্যরাও সচেতন ও সটান দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ রইলেন আগত রাজকুমারীর জন্য। ক্যাথেরিন রাজদরবারে প্রবেশ করেই মাথাটি ঈষৎ ন্যুব্জ করে রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও অভিবাদন জানালেন। রাজা চার্লসও দাঁড়িয়ে রাজকুমারীর উদ্দেশে তার শুভেচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করলেন। চার্লস এবার রানিকে জিজ্ঞেস করলেন যাত্রাপথের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে তিনি কী ধরনের পানীয় পান করতে ইচ্ছুক? রানি কিছুটা লাজুক কিন্তু সপ্রতিভ ভঙ্গিতে রাজাকে বললেন, আমার আপাতত এক গেলাস (কারণ তখনো পর্যন্ত পেয়ালায় চা পানের সংস্কৃতি চালু হয়নি) চা হলেই চলবে।

শুধু রাজা চার্লসই নয়, রাজদরবারে সব উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিরা অবাক হলেন। কারণ চা পানীয়টি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত তারা যৎসামান্যই অবগত। বিশেষ করে রাজা চার্লস মনেও করতে পারলেন না চা বস্তুটি তিনি জীবনে আদৌ দেখেছেন কি না? ইতোমধ্যে একজন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী রাজার কানে ফিসফিস করে কী যেন বললেন। রাজা এবার রাজকুমারী ক্যাথেরিনকে বললেন-আমরা দুঃখিত সম্রাজ্ঞী। আমাদের এখানে চা পানীয়টির একেবারেই প্রচলন নেই। আপনি আপনার ক্লান্তি দূর করতে এক গেলাস উৎকৃষ্ট বিয়ার পান করতে পারেন। এই হলো ইংল্যান্ডে প্রথম চা প্রচলন কাহিনি। সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিন ব্রাগানজা ইংল্যান্ডে অনেক ভালো ভালো জিনিস প্রবর্তন করেছিলেন। ইংল্যান্ডে চায়ের প্রচলন তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যদিও জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা আমাদের জানিয়েছেন, ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিই প্রথম প্রতিষ্ঠান যে কি না ইউরোপে চা প্রচলন করেছিল।

তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তথ্যকে সমর্থন করি না। আমি মনে করি, পর্তুগিজরাই প্রথম ভারত, চীন ও জাপানে এসেছিলেন। তারাই সম্ভবত প্রথম ভারত কিংবা চীন থেকে চা আমদানি করেছিলেন ইউরোপে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামাই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারত থেকে চা ইউরোপে নিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ দার্জিলিং ও আসামে চা উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে কেরালাতেও সেই প্রাচীন যুগেও চায়ের বাগান ছিল। আর ভারতে অতি প্রাচীনকালেই যে চা জন্মাত আমার তার প্রমাণ পাই রামায়ণে। রামায়ণে চা গাছের উল্লেখ আছে, তবে তখন হয়তো এভাবে চা পান করা হতো না। চা গাছ ব্যবহৃত হতো ঔষধি গাছ হিসেবে। চা ফরাসিরা চিনেছিল ১৬৩৫ সালে। চা রাশিয়ায় পৌঁছল ১৬৩৮ সালে। ইংরেজরা চাকে স্বাগত জানাল ১৬৫০ সালে। আর তার প্রশস্তি গাইল এই বলে, ‘সকল চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়া এই সেই অপূর্ব চৈনিক নির্যাস। চীনারা যাকে বলে চা, আর পর্তুগিজ ভাষায় সেটিকে বলে তে এবং ইংরেজরা বলে টি।’

পৃথিবীতে চা পানের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছিল সে বিষয়ে চীন দেশটিতে এমটি মিথ ও কিংবদন্তি চালু আছে। খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালের দিকে চীনের বিখ্যাত সম্রাট শেনং যিনি চীনা ওষুধ ও কৃষিক্ষেত্রে বিপুল বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তিনি একবার জনগণের উদ্দেশে একটি ফরমান জারি করলেন যে, শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে তার রাজ্যের প্রজারা দিনে অন্তত এক পেয়ালা করে গরম পানি পান করবেন। সন্দেহ নেই রাজা শেনং নিজেও সেই অনুশাসন মেনে চলতেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। এক দিন ঝড়ো বাতাসে দূরের চা গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে পড়ল রাজার গরম পানির পেয়ালায়। অমনি সেই পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ গেল সম্পূর্ণ বদলে। রাজা শেনং অভিভূত হলেন সেই পানীয় পান করে। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত পান করতে শুরু করলেন সেই চায়ের পাতাযুক্ত পানীয়। পরে অবশ্য চা নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। দুধ সহযোগে হালকা তামাটে রঙের চায়ের প্রচলন সম্ভবত ইউরোপিয়ানদের হাতেই হয়েছিল ১৬০০ শতকের দিকে। পাঠকবৃন্দের মনে হয়তো একটি প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে যে, এত গুরুগম্ভীর বিষয় থাকতে চায়ের মতো এমন একটি তরল ও লঘু বিষয় নিয়ে লিখতে কেন আগ্রহী হলাম সেটা একটু বলি- প্রথমত, মাঝেমধ্যেই নোয়াম নমস্কি, মিশেল ফুকো, জ্যাক দেরিদা প্রমুখ ব্যক্তির গুরুগম্ভীর ও খটমটে লেখাগুলো পড়তে পড়তে, মাথাটি যখন একেবারে ধরে ও এলোমেলো হয়ে যায় (আমি একজন বহুযুগের গ্রন্থ ভক্ষণকারী উইপোকা। তারপরও বেশির ভাগ সময়ই এসব বইয়ের বিষয়বস্তুর অনেক কিছুতেই দন্তস্ফুট করতে পারি না) তখনই হাতে তুলে নিই কিছু লঘু ধরনের বই, যেমন- ‘কী খাবেন, কেন খাবেন?’ ‘রঙ্গপ্রিয় বিদ্যাসাগর’ ইত্যাদি টাইপের বই। ঠিক এমনিভাবে একবার হাতে তুলে নিলাম জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা প্রণীত ‘চা চরিত’ বইটি। কিন্তু বইটির কয়েকটি পাতা উল্টোনোর পর মাথাটা যেন পুনরায় ধরে গেল। বইটি ছুড়ে ফেলে দিলাম সেলফের এক কোণায়। মনে মনে ভাবলাম এতদিন বিভিন্ন বইপত্র পড়তে গিয়ে চা সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি এবং স্মৃতিতে যতটুকু ধরে রেখেছি সেখান থেকেই লিখব চায়ের ওপর একটি নিবন্ধ। এ ছাড়াও লেখাটি লিখতে প্রলুব্ধ হলাম আরও একটি কারণে। গত ২১ মে ছিল আন্তর্জাতিক চা দিবস, তো সেই দিবস উপলক্ষে আমার এক ব্যারিস্টার মেয়ে বন্ধু তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন- আজরাইল যদি মৃত্যুর আগে জিজ্ঞেস করে জীবনের শেষ ইচ্ছে কী? তখন অম্লান বদনে বলব- এক কাপ কড়া লিকারের দুধ চা খেয়ে মরতে চাই। আমার সেই বন্ধুটির বসবাস যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু লেখালেখির শুরুতে তিনি আমাকে বিস্তর উৎসাহ জোগাতেন। এ লেখাটি তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্যরে-ই নিদর্শন।

মনে পড়ছে, ফরাসি বিশ্ববিখ্যাত লেখক মার্সেল প্রস্তের কথা। আত্মস্মৃতিমূলক কালজয়ী ফরাসি উপন্যাস ‘হারানো সময়ের খোঁজে’-এর প্রথম খণ্ডে এক জায়গায় প্রস্ত বলেছেন, কীভাবে এক দিন তিনি চায়ে এক টুকরো কেক ডুবিয়ে খেতে গিয়ে তার মন অপ্রত্যাশিতভাবে বাল্যকালে গ্রামের জীবনের অনুরূপ স্মৃতিতে আবিষ্ট হলো এবং কালক্রমে তিনি লিখে ফেললেন পাঁচ খণ্ডের ঢাউস সাইজের এক কালজয়ী উপন্যাস।

আরেক শ্রুতকীর্ত ফরাসি লেখক বালজাক ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রমাণ সাইজের মগে কফি পান না করে কোনো লেখা শুরুই করতে পারতেন না। সূর্য অস্তমিত যেতে না যেতেই ঘুমিয়ে পড়তেন বালজাক। রাত ১১টা কিংবা ১২টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেই একটি বৃহৎ পেয়ালায় ল্যাটিন আমেরিকান থেকে আমদানিকৃত অতি উৎকৃষ্ট জাতের কফি পান করতেন। তারপর শুরু করতেন লেখালেখি। ইংরেজ লেখক অস্কার ওয়াইল্ড যেমন অতি দামি ও দুষ্প্রাপ্য সব পোশাক-পরিচ্ছদ কিনে দেউলিয়া হয়েছিলেন-ঠিক তেমনি বালজাকও অনেকটাই ফতুর হয়েছিলেন দামি কফি পান করতে গিয়ে। আর সেসব কথাই তিনি লিখেছেন তার- ‘দ্য প্লেজার অ্যান্ড পেইনস অব কফি’ অর্থাৎ ‘কফি পানের আনন্দ ও বেদনা’ নামক নিবন্ধে। পাঠকবৃন্দ শুনে অবাক হবেন যে, আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে চা। ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটেন থেকে চায়ের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তাদের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র আমেরিকাতে কিন্তু চায়ের ওপর শুল্ক ঠিকই বহাল থাকে। যেহেতু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আমেরিকার কোনো সংসদ সদস্য থাকার সুযোগ ছিল না- তাই তারা পার্লামেন্টে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদও করতে পারলেন না। বরং তারা প্রতিবাদ করলেন অন্য একটি উপায়ে। বিষয়টি কাকতালীয় হলেও সত্যি যে, আমাদের যেদিন বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর সালটি যদিও ১৭৭০-বস্টন নৌবন্দরে তিনটি চা-বোঝাই জাহাজ থেকে আমেরিকার মুক্তিকামী মানুষ সমস্ত চায়ের পেটি ছুড়ে ফেলে দিলেন সাগরে। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল আমেরিকার স্বাধীন অর্জনের সংগ্রাম। অন্যদিকে এক আরব পর্যটকের বর্ণনা- ৮৭৯ সালের দিকে চীনের ক্যান্টন শহরের প্রধান আয়ের উৎস ছিল লবণ এবং চায়ের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক। মার্কো পোলো তার বইতে লিখেছেন ১২৮৫ সালে বেপরোয়াভাবে চায়ের শুল্ক বাড়ানোর অপরাধে এক চৈনিক অর্থমন্ত্রীর পদচ্যুতির কথা। চা সংস্কৃতির প্রথমদিকে চায়ের দাম ছিল বেশ বেশি। পাউন্ডপ্রতি প্রায় ১৫-১৬ শিলিং, তাই সবার নাগালের মধ্যে ছিল না এই মহার্ঘ পদটি; এ হয়ে দাঁড়িয়েছিল যেন আমিরি চালের প্রতীক হোমড়া চোমড়া আর রাজকন্যাদের জন্য কোনো দামি উপঢৌকন। তবু এত সব বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও চা খাওয়া বেশ চমৎকার বেগেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল। আঠারো শতকের প্রথমার্ধে লন্ডনের কফি হাউসগুলো যেন হয়ে উঠল আসলে চায়ের আড্ডা। এডিসন আর স্টিলের মতোন বিদগ্ধ রসিকদের আখড়া। লেখক-সাহিত্যিক কবিরাও জড়ো হতেন সেই কফি শপে। তাদের মধ্যে কে নেই জর্জ বার্নার্ড শ, ওয়েলস, চার্লসল্যাম। তারা যেন চায়ের পত্তরে রসদ পেতেন লেখার উপকরণ কিংবা চিত্তবিনোদনের। অন্যদিকে প্যারিসের ক্যাফেগুলোতেও বসত লেখক-সাহিত্যিকদের আসর। বিখ্যাত ফরাসি লেখক জ্যাঁ পল সার্ত্র অনেকটা সময় ব্যয় করতেন ক্যাফেতে বসে লিখে। অন্যদিকে ‘ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে শত সহস্র ঘণ্টা ব্যয় করেছেন কফি শপে। প্রচণ্ড শীতে কফি ও গরমের সময় ঠান্ডা বিয়ার পান করে লিখতেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের কফি হাউসের কথাও বিখ্যাত ও সুবেদিত- আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও শরৎ উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সাহিত্য আন্দোলনটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার কফি হাউস। কে নেই সেই আড্ডায়। বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, সৈয়দ মুজতবা আলী, কমলকুমার মজুমদার, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শিবরাম চক্রবর্তী আরও কত শত নাম। তবে সবচেয়ে কনিষ্ঠ লেখক হিসেবে সেখানে থাকতেন আমার অতি প্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বাঙালিদের মধ্যে সর্বপ্রথম চা পান করেছিলেন জ্ঞান তাপস অতীশ দীপঙ্কর। সম্ভবত ১০২০ সালে তিনি তিব্বত ভ্রমণ করার সময় চা পান করেছিলেন। এ তথ্যটি আমাকে জানিয়েছেন আমার এক অগ্রজ ও একনিষ্ঠ পাঠক খাজা ওয়াল্লিউল্লাহ মাসুদ। আঠারো শ শতকের দিকে ব্রিটিশরা আমাদের চা পানে উৎসাহ জোগাতে বিনা পয়সায় চা খাওয়াতেন। সে উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে একটি বিজ্ঞাপন এই তো বেশ কিছুদিন আগেও আমি দেখেছি- ‘চা পানে নাহি দোষ, চা করে চিত্ত পরিতোষ।’ এবার একটু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চা পানের প্রসঙ্গে আসি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকালে উঠে তার বিশ্বস্ত বনমালীর হাতে তৈরি এক কাপ চা পান না করে লিখতে পারতেন না। এই প্রিয় ভৃত্য বনমালীকে নিয়েই তিনি লিখেছেন ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতাখানি। কবি রবীন্দ্রনাথ মারা গিয়েছিলেন ৭ আগস্ট, ১৯৪১, ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ মৃত্যুর দুই দিন আগে অর্থাৎ ৪ আগস্ট কবি ফিডিং কাপ থেকে সামান্য কফি খেয়েছিলেন। এই কফিটুকুই তার শেষ খাওয়া। এরপর তিনি আর কিছুই খাননি। এই মুহূর্তে আমার আরেক বিখ্যাত কবির কথা মনে পড়ছে- তার নাম বুদ্ধদেব বসু। ১৯৭৪ সালের কোনো এক রবিবার সন্ধ্যায় তিনি চা পান করছিলেন তার খানিক পরেই স্ট্রোক, সঙ্গে সঙ্গেই সংজ্ঞালুপ্তি। মৃত্যুর কারণ সেরিব্রেল থ্রমবোসিস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের ক্যালকাটা হাসপাতালে। সেখানে রাত পৌনে ৩টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবি নজরুলের চা খাওয়ার একটি কাহিনি দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। এ ঘটনাটি আমি পড়েছিলাম কবি জসীমউদ্দীনের ‘ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়’ নামক বইটিতে।

“রাত্রিবেলা এক মুশকিলে পড়া গেল। চা না পাইয়া কবি অস্থির হইয়া উঠিলেন। এই পাড়াগাঁয়ে চা কোথায় পাইব? নদীর ওপারে গিয়া যে চা লইয়া আসিব, তাহারও উপায় নাই। রাত্রিকালে কে সাহস করিয়া এত বড়ো পদ্মা নদী পাড়ি দিবে? তখন তিন-চার গ্রামে লোক পাঠানো হইল চায়ের অনুসন্ধানে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আলিম মাতব্বরের বাড়ি হইতে কয়েকটা চায়ের পাতা বাহির হইল। তিনি একবার কলিকাতা গিয়া চা খাওয়া শিখিয়া আসিয়াছিলেন।গ্রামের লোকদের খাওয়াইয়া তাজ্জব বানাইয়া দিবার জন্য কলিকাতা হইতে তিনি কিছু চা-পাতা লইয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওয়াইয়া চা-পাতা যখন কম হইয়া আসিত, তখন তাহার সহিত কিছু শুকনা ঘাসপাতা মিশাইয়া চায়ের ভাণ্ডার তিনি অফুরন্ত রাখিতেন। তিনি অতি গর্বের সহিত তাহার কলিকাতা-ভ্রমণের আশ্চর্য কাহিনী বলিতে বলিতে সেই চা-পাতা আনিয়া কবিকে উপঢৌকন দিলেন। চা-পাতা দেখিয়া কবির তখন কী আনন্দ। এই মহামূল্য চা এখন কে জ্বাল দিবে? এ বাড়ির বড় বউ ও বাড়ির ছোট বউ সকলে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া যাহার যত রন্ধনবিদ্যা জানা ছিল সমস্ত উজাড় করিয়া সেই অপূর্ব চা-রন্ধন-পর্ব সমাধা করিল।”

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

১১ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

৪০ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে