শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মালয়েশীয় শ্রমবাজার

অভিবাসন ব্যয় কমাতে হবে

মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে মালয়েশিয়া কাছের দেশ। সাংস্কৃতিক দিক থেকে মিল থাকায় বাংলাদেশি কর্মীরা এ দেশটিতে তুলনামূলকভাবে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। মালয়েশীয় নিয়োগদাতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশি কর্মীরা। তারপরও নানা কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এ শ্রমবাজারটি। অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন করে প্রায় ৫ লাখ কর্মী বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কুয়ালালামপুর সরকার। যাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে সে দেশে কাজ শুরু করেছেন। সুষ্ঠুভাবে অপেক্ষাকৃত কম খরচে মালয়েশিয়ায় কাজে যোগদানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আগ্রহীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া মালয়েশিয়া যাওয়া সব কর্মীর চাকরিতে যোগ দিতে পারা ও অনেক ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে বেতন বেশি হওয়ায় স্বস্তি বিরাজ করছে শ্রমবাজারে। তবে কর্মী চাহিদা বেশি হওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী ও এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলো সুযোগ নিচ্ছে বলে অভিযোগ জনশক্তি রপ্তানিকারকদের। তাদের মতে, সরকার এই দুই ইস্যুতে উদ্যোগী হলে অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিএমইটি, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং মালয়েশিয়া সরকারের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। প্রায় ২ লাখ কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা প্রক্রিয়াধীন। এসব কর্মীসহ মালয়েশিয়া সরকার ইতোমধ্যে সর্বমোট পৌনে ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর জন্য ডিমান্ড লেটার অনুমোদন করেছে। বর্তমান মাইগ্রেশন প্রক্রিয়াটি এফডব্লিউসিএমএস সিস্টেমের মাধ্যমে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়ায় মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদের মধ্যে দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত কাজ পেয়েছেন এবং নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। মালয়েশিয়ায় ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর নিয়োগ রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। রেমিট্যান্স আয় দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা। ফলে যারা কাজ নিয়ে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন তারা যাতে সংশ্লিষ্ট সে দেশের আইন মেনে চলেন সে ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর