শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩

কোন পথে হাঁটছে বিএনপি

আলম রায়হান
প্রিন্ট ভার্সন
কোন পথে হাঁটছে বিএনপি

দৈনিক কালের কণ্ঠে ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি প্রকাশিত আমার একটি কলামের শিরোনাম ছিল, ‘গল্পের বোকা কুমির এবং বিএনপি’। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে বিএনপির অবস্থান এবং চৌদ্দের নির্বাচনে বর্জনে বিএনপির অর্জনের প্রসঙ্গ ছিল এ লেখার উপজীব্য। সে সময় মনে হয়েছে, পরপর দুটি নির্বাচনেই বিএনপির পরিণতি হয়েছে শিশুতোষ গল্পের বোকা কুমিরের মতো। যে গল্পে যৌথভাবে প্রথমবার ধান এবং পরেরবার আলু চাষ করে কুমিরের প্রাপ্তি ছিল কেবলই বঞ্চনার। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপির কী হবে? গল্পে কুমিরের তৃতীয়বারের প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তির বিষয় কিছু বলা নেই। ফলে শিশুতোষ গল্পের আলোকে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রাপ্তির বিষয়টি মেলানো যাবে না। তবে কী হতে পারে সে বিষয়ে মোটামুটি ধারণা করা চলে। আর এ জন্য চলমান ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন মোটেই পুরনো দিনের গান নয়। সুখের স্মৃতি জাগানিয়া সোনালি দিন তো নয়ই, বলতে গেলে এই তো সেই দিনের ঘটনা। ফলে মোটামুটি সবারই জানা, ২০১৪ সালের নির্বাচন প্রতিহত করার খেলায় মেতেছিল বিএনপি। সঙ্গে ছিল তারেক রহমানের ভাষায় ‘যমজ ভাই’ জামায়াত। বলা হয়, চৌদ্দের সংসদ নির্বাচন ঠেকাবার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত প্রায় দুই বছর যে তান্ডব ও অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে তার পুরোধা কুশীলব ছিল জামায়াত। আর রাজনীতির এই নিষ্ঠুর খেলায় তৃতীয় পক্ষ থাকাও বিচিত্র কিছু নয়। তবে তৃতীয় পক্ষ ছিল কী ছিল না, তা নিয়ে সংশয় থাকতেই পারে। কিন্তু এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বর্জনের রাজনীতিতে বিএনপির কোনো অর্জন হয়নি। যার প্রমাণ সংসদ ও সরকারের পুরো মেয়াদ পূরণ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। এই সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ধরা খেয়েছে বিএনপি অন্য রকম খেলায়। এ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনকে বানানো হয়েছিল জোটের কান্ডারি। যাকে ক্রেন দিয়ে টানার মতো করে রাজনীতির মহাসড়কে স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনীতিতে ওই টুকুই তাঁর প্রতিষ্ঠা ও সাফল্য। আন্তর্জাতিক মানের এই আইনজীবীর রাজনীতিতে আর কোনো অর্জন নেই। পরে অবশ্য বিএনপি প্রকাশ্যেই বলেছে, নির্বাচনী লড়াইতে ড. কামাল হোসেনকে নেতা বানানো ভুল ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে ভুলের ফল ভোগ না করে কি কোনো উপায় থাকে? নাকি ক্ষমা আছে? নেই। শুধু তাই নয়, রাজনীতিতে ভুলের কারণে প্রাণ যাওয়ার উদাহরণও কিন্তু কম নয়। দেশে-বিদেশে এবং সেকাল, এ কালে এর অনেক দৃষ্টান্ত আছে। আর আঠারোর নির্বাচনে প্রার্র্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির এলোমেলো ব্যবস্থাপনা হোক, আওয়ামী লীগের অপকৌশলের তীব্রতায় হোক অথবা বিএনপির অভিযোগ অনুসারে রাতে ভোট গ্রহণ করার কারণেই হয়ে থাক- বিএনপি পরাজিত হয়েছে। এবং সেই সংসদও কিন্তু মেয়াদ পার করতে যাচ্ছে। আর এই পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে তাতে বিএনপি বললেই পঙ্গপালের মতো ভোটাররা আগামী নির্বাচনে দলে দলে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেবে- তা মনে করার কি বাস্তবসম্মত কোনো কারণ আছে! আর নির্বাচনের ফলাফল তো কেবল ভোটারের মাইন্ড সেটের ওপর নির্ভর করে না।

ভোটের রাজনীতিতে অনেক কলাকৌশল এবং খেলাধুলা আছে। ভোটের রাজনীতিতে খেলা আসলে খেলারামরাই খেলে। সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস আছে না, ‘খেলারাম খেলে যা’। উপন্যাসের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে বাস্তবে রাজনীতি প্রসঙ্গে আসা যাক। রাজনীতি সহজ-সরল জনগণের নামে চললেও এর সামনে-পেছনে-ভিতরে-বাইরে মোটেই সহজ নয়। রাজনীতি অনেক জটিল ও কুটিল। খেলা আছে অনেক প্রকার। এই খেলায় মেধা-মনন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বাস্তবতায় বিএনপির রাজনৈতিক-মেধা মননের প্রসঙ্গ বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি যে মেধার পরিচয় দিয়েছে তার এক-দশমাংশও কিন্তু হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনে দেখাতে পারেনি দলটি। এরশাদের বিরুদ্ধে সেই সময় কেবল আন্দোলন প্রশ্নে সাফল্য নয়, পুরো শক্তি কেন্দ্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বেশ কৌঁসুলি খেলা খেলেছিল বিএনপি এবং এর নেপথ্য শক্তি কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ঐক্য ধরে রাখার ক্ষেত্রেও অভাবনীয় বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন খালেদা জিয়া। ১৯৮৭ সালে নূর হোসেন এবং ’৯০ সালের ১০ অক্টোবর জেয়াদসহ অসংখ্য মৃত্যুর প্রভাবে এরশাদ সরকার অথৈপাথারে ডুবুডুবু জাহাজের মতো হয়ে যায়। এ অবস্থায় জেয়াদের মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় ১৩ অক্টোবর পুলিশের গুলিতে মারা যায় পলিটেকনিকের ছাত্র মনির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগ কর্মী মনিরের লাশের সামনে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বক্তৃতা শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদলের মধ্যে গোলাম ফারুক অভিসহ এরশাদীয় এজেন্টরা হট্টগোল শুরু করে দেয়। এতে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। এমনকি এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ঐক্য টিকে থাকার বিষয়টিই সংকটে পড়ে যায়। এ সময় সর্বোচ্চ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। তিনি বলেছিলেন, ‘কে কোন স্লোগান দিয়েছে তাতে আন্দোলনে কোনো প্রভাব পড়বে না, ঐক্য থাকবে।’ তাঁর এ প্রতিক্রিয়া নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন সাংবাদিক আলী মামুদ। আর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল তা সামলানো যে কতটা কঠিন ছিল তার সাক্ষী হয়ে আছেন সেই সময়ের সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতা শফি আহমেদ। এরা দুজন এখনো নিজ নিজ পেশায় সক্রিয়।

এরপর বিএনপির সাফল্যের ঘটনা সবারই জানা। এরশাদ সরকারের পতনের পর ’৯১-এর সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতাসীন হয়। অথচ জনপ্রিয় ধারণা ছিল, ক্ষমতায় যাবে আওয়ামী লীগ। এমনকি নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মন্ত্রী হিসেবে কে কোন বাড়িতে থাকবেন তা বাছাই করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা গেল, নৌকা ডুবেছে! বিষয়টি হয়ে গেল, একসময়ের জনপ্রিয় বাংলা সিনেমার নামের মতো, ‘কার হাসি কে হাসে’।

’৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের পেছনে কেবল ভোটারদের ভোট নয়, ছিল অনেক খেলাধুলা। এমনকি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নিচে অনেকটা নৌকার আদলে জাহাজ প্রতীক থাকার বিষয়টিও ছিল চৌকশ এক খেলা। জাহাজ প্রতীককে বড় নৌকা মনে করে অনেক ভোটার জাহাজে সিল মেরেছেন। মোদ্দা কথা হচ্ছে, নির্বাচনের ফলাফল কেবল ভোটারের মাইন্ড সেটের বিষয় নয়। আর ভোটের রাজনীতি থেকে লাগাতারভাবে দূরে থাকার বিরূপ প্রভাব থেকে বিএনপি আগামী নির্বাচনের সময় কতটা মুক্ত হতে পারবে তা এক বিরাট প্রশ্ন হয়েই আছে। নানান ঘটনাপ্রবাহ বলছে, সামনে জটিলতম এক নির্বাচন, চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে। এটি যেন বিএনপির জন্য সীতার অগ্নিপরীক্ষা! আমাদের দেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে সাফল্যের একটি প্রধান ইন্ডিকেটর হচ্ছে নির্বাচনের আগেই প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা। যেটি বিরোধী পক্ষ যৌথভাবে সফলভাবে করতে পেরেছে ১৯৯০ সালে। ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারকে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য করা না গেলে আর যাই হোক, ভোটে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে পরাজিত করতে পারত না বিরোধী দল। একই রকমের বিজয় অর্জনের দৃষ্টান্ত আছে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ১৭৩ দিনের হরতালসহ নানান ঘটনায়। এর ফলে সারা রাত সংসদ চালিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আইন পাস করে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় ’৯৬-এর সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ। এ ঘটনাবলি আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকেই। এবং এর সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছরে আওয়ামী বিরোধী রাজনীতির শিখ-ী বিএনপির সাফল্য-ব্যর্থতা প্রসঙ্গ সূক্ষ্ম বিচার-বিশ্লেষণের দাবি রাখে। এতে দেখা যাবে, ২০০৮ সালের নির্বাচনী খেলায় ক্ষমতাকেন্দ্রের নেপথ্য কুশীলবদের কাছে এনেও ধরে রাখতে পারেনি বিএনপি। ফলে ৩০ আসন পেয়ে ‘শক্তিশালী বিরোধী দলের’ তকমায়ই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিএনপিকে। আর পরের দুটি নির্বাচনের ভোটের আগে সরকারকে পরাজিত করার খেলায় ছিটকে পড়েছে বিএনপি। বিধ্বস্ত হয়েছে। সে অবস্থা এখনো বিরাজমান। এরপরও আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে দলটি। তারা মনে করে, রাজ প্রায় হাতের কাছে। আর আলাদিনের প্রদীপ আমেরিকাসহ ইউরোপিয়ান শক্তি। কিন্তু রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে পড়া বিএনপির মুক্তি মিলবে? এ প্রশ্নের উত্তর কিন্তু খুব বেশি গোলমেলে নয়। এদিকে কারও কারও বিবেচনায় অন্যরকম ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে শুরু থেকেই। আর ৩ আগস্ট প্রায় খোলাসা হয়েছে আমজনতার কাছেও। এই দিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। আর গোলাপির নীরবতা ভঙ্গ করে মুখ খুলেছে ভারত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে, সেটি নিয়ে ৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘এটি রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়। আমাদের আগ্রহ শুধু সহিংসতামুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার, মিডিয়া, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনীসহ অবশ্যই ভোটারদের ভূমিকা আছে। আওয়ামী লীগসহ সবাইকে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি, যা বাংলাদেশের জনগণকে তাদের পরবর্তী সরকার বেছে নিতে সাহায্য করবে।’

আমেরিকার এই সুশীল উচ্চারণ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে একক এখতিয়ার প্রাপ্তির গ্রিন সিগন্যালের ফল কি না তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে এ রকমই ধারণা করছেন অনেকে। আর এ নিয়ে অন্যরকম নেরেটিভও আছে কারও কারও। তারা মনে করেন, কূটনীতিতে ‘বলিবে উত্তরে, যাইবে দক্ষিণে, পূর্বেতে করিবে ঘোরাফেরা...’। এই কৌশল বেশ প্রচলিত। এদিকে একই দিন অর্থাৎ ৩ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, বাংলাদেশে কী ঘটে- এর প্রভাব তাদের ওপর পড়ে। সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে চাইবে তার ভিত্তিতে নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করতে হবে। আমার মনে হয় নির্বাচন ঘিরে ওই দেশে বহু ধরনের তৎপরতা চলছে। অনেকেই অনেক মন্তব্য করছেন। অবশ্যই ভারত এ পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’ তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি নিয়ে অরিন্দম বাগচী কোনো মন্তব্য করতে চাননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, সেখানে নির্বাচন পরিকল্পনা মাফিক হোক। সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট হোক।’

এ ব্যাপারে ৪ আগস্ট প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কী বলল, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। জনগণ যা চায়, বিএনপি তাই করে।’ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কেবল মাথা ঘামানো নয়, একদিনে দুই পরাশক্তির কথায় বিএনপির মাথা কাঁপার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এমনটাই মনে করেন কেউ কেউ। এদিকে রাজনীতির প্রচলিত ধারায় গতি বাড়িয়ে আবার বিএনপি ধীরে চলো কৌশল অবলম্বন করেছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে করা হচ্ছে। তবে এটি মনে করা ঠিক হবে না, বিদেশিদের কারণে মাঠের আন্দোলনে পিছটান দিয়েছে বিএনপি। বরং প্রচলিত ধারায় আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জীবনানন্দ দাশের কবিতার ‘ক্লান্ত প্রাণ এক’ অবস্থায় পড়েছিল। তখন দেবদূতের মতো বাংলাদেশের রাজনীতির বলয়ে বিদেশিদের অনুপ্রবেশ ঘটে। এদের আবাবিল পাখি ভেবে উজ্জীবিত হয় সরকারবিরোধী পক্ষগুলো। যেমন- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন সপ্তম নৌবহর আসার খবরে উজ্জীবিত হয়েছিল পাকিস্তানপন্থিরা। তখন বিধ্বস্ত পাকবাহিনী বলত ‘আতা হায়!’ কিন্তু হায়, শেষতক আসেনি আবাবিল পাখিসম মার্কিন সপ্তম নৌবহর। আবার সুনীলের কবিতা, কেউ কথা রাখে না।

ঘটনার গতিপ্রবাহ সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন তাদের কাছে ৩ আগস্ট একটি বিশেষ দিন হিসেবে ধরা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ার সুযোগ নিয়ে লেনা-দেনার ইকোয়েশনে বিদেশি শক্তিগুলো তাদের প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে ধারণা করা হয়। এ প্রসঙ্গ বিবেচনার বাইরে রাখা হলেও শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার হাসিল আর হবে না। ফলে নির্বাচনের আগে সরকারকে পরাজিত করার কোনো সুযোগ বিএনপি আর পাচ্ছে না। বরং এই লক্ষ্যে যে ডিমে তা দেওয়া হয়েছে তা সবই ‘বাওয়া’ গেছে বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে অনেকের বিবেচনায়ই। আর বিদেশিদের ঝুড়িতে রাখা ডিমগুলো নিকট ভবিষ্যতে ফুটুক আর নাই ফুটুক, এখনো সরকার বিরোধীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, বিদেশিদের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে অথবা ক্ষমতা বিএনপির পায়ের কাছে গুটিসুটি হয়ে বসবে বিড়াল ছানার মতো। এ রকম আশা করলে তা ‘মিছে আশা কুহকিনী’ হতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে, ক্ষমতা প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভাগ্য নির্ধারিত হবে আগামী নির্বাচনে। এর আগে রাজপথে জয়-পরাজয় নির্ধারণে মরিয়া খেলা হলে দুই পক্ষেরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এমনকি কোনো না কোনো ফরমেটে ‘গেটিস সরকার’ জেঁকে বসতেও পারে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনেও অনেক খেলা ক্লাইমেক্সে পৌঁছাবে। তবে বিএনপি-জামায়াত আর আগুনসন্ত্রাস করতে পারবে না, চৌদ্দ সালের মতো ১৫৩ আসনে বিনা ভোটে পাস করার পথে হাঁটার সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগ সরকার। খন্ডিতভাবে হোক অথবা অখন্ডভাবেই হোক, আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি আঠারো সালের মতো ছয়টি আসন পাবে, তা মনে করার কোনো কারণ নেই।  তবে কে সরকার গঠন করবে তা অনেক ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভরশীল। যে বিষয় এখনই ধারণা করা রামের জন্মের আগে রামায়ণ রচনার মতো হয়ে যেতে পারে। ফলে বিষয়টি নিকট ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাকুক আপাতত।

 

                লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
‘আরব আমিরাত নয়, পিএসএল হোক বাংলাদেশে’—বাসিত আলীর পরামর্শ
‘আরব আমিরাত নয়, পিএসএল হোক বাংলাদেশে’—বাসিত আলীর পরামর্শ

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগ দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল: মঞ্জু
আওয়ামী লীগ দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল: মঞ্জু

১৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম’
‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম’

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজারহাটে চর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত
রাজারহাটে চর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৩৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, সন্তান আহত
ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, সন্তান আহত

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা
মুন্সিগঞ্জে লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ে ধরা পড়লো আহত নীলগাই
পঞ্চগড়ে ধরা পড়লো আহত নীলগাই

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন
গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাস্তা যেন ধান-খড় শুকানোর চাতাল!
রাস্তা যেন ধান-খড় শুকানোর চাতাল!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত
কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করায় হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করায় হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পঞ্চগড়ে জামায়াতের শোকরানা মিছিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পঞ্চগড়ে জামায়াতের শোকরানা মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোসলে নেমে কিশোরের মৃত্যু
গোসলে নেমে কিশোরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার
কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী
বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট দূর করার আহ্বান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট দূর করার আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ড্রেন নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট ভবন ধ্বসের শংকা
ড্রেন নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট ভবন ধ্বসের শংকা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুমারখালীতে কিশোরের লাশ উদ্ধার
কুমারখালীতে কিশোরের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রসাধনী ব্যবহারের আগে যা যা জানা জরুরি
প্রসাধনী ব্যবহারের আগে যা যা জানা জরুরি

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা