শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ আপডেট:

খসড়া সংবিধান প্রণয়ন ভিতর-বাহির

অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ
প্রিন্ট ভার্সন
খসড়া সংবিধান প্রণয়ন ভিতর-বাহির

পাকিস্তানের মৃত্যুগুহা থেকে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির পরিবর্তে সংসদীয় গণতন্ত্রের ঘোষণা দিলেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু হলেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ মার্চ ১৯৭২ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১০ এপ্রিল সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ে গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। ৯ এপ্রিল পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক বসে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপনেতা নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টারি পার্টিতে বঙ্গবন্ধুকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বময় ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তিনি জাতিকে একটি গণমুখী শাসনতন্ত্র প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের আলোকে সংবিধান রচিত হবে। ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ১৭ এপ্রিল সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম বৈঠক বসে। আমরা ছিলাম আবেগাপ্লুত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মহৎ আদর্শগুলো সংবিধানে কীভাবে শব্দ, বাক্যে, অনুচ্ছেদে লিপিবদ্ধ করা যায় তা ছিল বিরাট চ্যালেঞ্জ। খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করতে গিয়ে আমাদের সামনে কতিপয় বহুবিধ প্রস্তাব চলে আসে। সেসব অপ্রকাশিত প্রস্তাব-বিতর্ক নিয়ে এ সংক্ষিপ্ত লেখা।

১. রাষ্ট্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা : সংবিধানের প্রস্তাবনার শীর্ষে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ স্থাপনে খন্দকার মোশতাক আহমেদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাজউদ্দীন আহমদ বিরোধিতা করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়ে আমরা যে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি তার অন্যতম মূল স্তম্ভ হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে বিশেষ রাজনৈতিক মর্যাদা দেবে না। মাননীয় সদস্য এ এইচ এম কামারুজ্জামান (হেনা ভাই) বলেন, পাকিস্তান আমলেও কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, নবাবজাদা লিয়াকত আলী খান, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ কোনো রাজনৈতিক নেতা বক্তৃতার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ উচ্চারণ করতেন না। এটি লিখিত হলে ধর্মনিরপেক্ষতার চরিত্র বিনষ্ট হবে। এ সময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, তাহলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের স্তোত্র লিখিত হোক। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ঘোরতর আপত্তি করেন। তিনি বলেন, ১০ এপ্রিল ’৭১ সালে স্বাধীনতা সনদে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার আমরা গ্রহণ করেছি। ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রকে কবর দিয়েই জন্ম হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, সংবিধানে প্রস্তাবনার ওপরে এসব থাকা ‘অনাবশ্যক’ ও ‘অবান্তর’। এম আবদুর রহিম পবিত্র কোরআনের সুরা ও হাদিস উল্লেখ করে বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ইসলামবিরোধী নয়। কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ২৩ নভেম্বর ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বীকৃতি চেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বরাবর যে কূটনৈতিক পত্র প্রেরণ করা হয়, সেখানেই ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। ভারতের এসব মূলনীতির ভিত্তিতে ৬ ডিসেম্বর স্বীকৃতি পায়। ধর্মনিরপেক্ষতা একটি মূল স্তম্ভ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার। ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ ধর্মহীনতা নয়। অনেক সদস্যই বক্তব্য দেন, যার মর্মকথা সংবিধানে একটি বিশেষ ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়া সাম্প্রদায়িক ভাবধারা। ’৭২-এর সংবিধানে প্রস্তাবনার ওপরে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ ছিল না। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জাতির উদ্দেশে প্রথম যে ভাষণ দেন সেই ভাষণের শুরুতেই ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ দিয়ে তিনি শুরু করেন। তার ধারাবাহিকতায় আজ পর্যন্ত সংবিধানের প্রস্তাবনার ওপরে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বহাল আছে।

২. গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র : সমাজতন্ত্র সম্পর্কে কথা উঠতেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, কার্ল মার্কস-লেনিনের সমাজতন্ত্র হলো প্রকৃত সমাজতন্ত্র। অর্থাৎ সবকিছু রাষ্ট্রের মালিকানায় থাকবে। আবদুর রহিম সাহেব প্রশ্ন তোলেন সবকিছুকেই বলতে ব্যক্তি, ঘরবাড়ি, সম্পত্তির অধিকার, জমিজমার মালিকানা এগুলোও কি জাতীয়করণ করতে চান? সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বললেন, সমাজতন্ত্রের সঙ্গে গণতন্ত্রের গোঁজামিল দেওয়া যাবে না। গণতান্ত্রিক অধিকার থাকলে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাশভারী মানুষ। কথা কম বলেন। তিনি দেখলেন পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে, যে কোনো সময় তিক্ত বিতর্ক শুরু হবে। পরিবেশকে হালকা করার জন্য তিনি হাসতে হাসতে বললেন, সুরঞ্জিত বাবু কি চান আমাদের বউদের জাতীয়করণ করা হবে? আমরা সবাই হেসে উঠলাম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মালিকানার ক্ষেত্র হবে রাষ্ট্র খাত। সোভিয়েত রাশিয়াতেও সমবায় খাতের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আর ব্যক্তিমালিকানা থাকবে, ভূমির অধিকার থাকবে। শোষণ বৈষম্য থাকবে না, মানবাধিকার থাকবে। বঙ্গবন্ধু ৪ নভেম্বর গণপরিষদ অধিবেশনে বললেন, ‘যে দেশে গণতন্ত্র পুঁজিপতিদের প্রটেকশনের জন্য কাজ করে, সেখানে শোষকদের রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্র ব্যবহার করা হয়। সে গণতন্ত্রে আমি বিশ্বাস করি না। আমি চাই শোষিতের গণতন্ত্র। যেখানে শোষিতদের সর্বপ্রকার প্রটেকশন ও সুবিধা দেওয়া হবে।’

৩. সদস্য পদ থাকা না থাকা : কমিটির সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে আসে- একটি হলো দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোট দিলে সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না? এটা হলো সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের একটি দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচন হলো। পূর্ববঙ্গের সংসদের আসন সংখ্যা ছিল ৩০৯। যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হয়। কিন্তু কেন্দ্রে যুক্তফ্রন্ট সদস্য ও দলসুদ্ধ কেনাবেচা হয়। প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান নিহত হলে খাজা নাজিমউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী হন। তাকে হটিয়ে মোহাম্মদ আলী, তাকে সরিয়ে চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, তাকে বাদ দিয়ে সোহরাওয়ার্দী, সোহরাওয়ার্দীকে হটিয়ে আইআই চূন্ডীগড়। আওয়ামী লীগের সমর্থনে ফিরোজ খান নুন প্রধানমন্ত্রী হন। সাতজন প্রধানমন্ত্রীর সময়কাল ছিল মাত্র ১৪ বছর। জেনারেল মির্জাকে হটিয়ে প্রধান সেনাপতি আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করেন। সামরিক শাসন জারি হলো। সংসদ ভেঙে গেল। নেতাদের গ্রেফতার করা হলো। রাজনীতি নিষিদ্ধ। তারপর চলল আইয়ুব খানের লৌহ শাসন। চালু করলেন মৌলিক গণতন্ত্র। সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকার চালু হলো। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রস্তাব করেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি কোনো পরিষদ সদস্যকে বহিষ্কার করতে চায় তাহলে সেটা তার ওয়ার্কিং কমিটি করতে পারে এবং একমাত্র ওয়ার্কিং কমিটিরই তা করা উচিত।’ ড. কামাল হোসেন জবাবে বলেন, ‘গণতন্ত্র চর্চা এবং গণতন্ত্র ধারাবাহিকতার জন্য এটা করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের পার্লামেন্টের সদস্যরা পার্টি থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর সেই পার্টির বিরুদ্ধে ভোট দিলে তিনি পদত্যাগ করেন। এটি না থাকলে সংসদ হবে সদস্যদের কেনাবেচার হাট। সিরাজুল হক বলেন, আবু হোসেন সরকারের আমলে সকালে এক সরকার, বিকালে ফ্লোর ক্রসিং করে অন্য সরকার। এক সপ্তাহে তিনবার সরকার গঠন ও সরকার পতন। আবদুল মুক্তাকীম চৌধুরী, আসাদুজ্জামান খান, মোশাররফ হোসেন আকন্দ ও হাফেজ হাবিবুর রহমান তারা এ মর্মে আপত্তি করেন যে, এর ফলে সংসদ সদস্যরা দলের বশংবদে পরিণত হবেন। আবদুল মুক্তাকীম চৌধুরী সুপারিশ করেন, যদি কোনো সদস্য তার দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করেন তখন কেবল তার সদস্য পদ বাতিল হবে।

৪. শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষানীতি : শিক্ষাব্যবস্থা ও পদ্ধতি কেমন হবে এ প্রশ্ন তুললেন অধ্যাপক খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ইংরেজ আমল থেকে উ™ূ¢ত এবং যা এ দেশকে কলোনি করে রাখার উদ্দেশে তদানীন্তন ব্রিটিশ শাসকদের মস্তিষ্ক উদ্ভাবিত। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষানীতির একটা মৌলিক রূপায়ণের প্রয়োজন আছে। কমিটি একমত হলেন। একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা, বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান, সমাজের প্রয়োজনের সঙ্গে শিক্ষাকে সংগতিপূর্ণ করা, যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। খন্দকার মোশতাক আহমেদ প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি মক্তব, মাদরাসা থাকবে না? তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, যে কোনো নাগরিক ধর্ম পালন, ধর্ম অবলম্বন, ধর্ম প্রচার করতে পারবে, এমনকি ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা অধিকার থাকবে।

৫. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট : আওয়ামী লীগের হাফেজ হাবিবুর রহমান প্রস্তাব রাখেন- ৬০ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষ থাকা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনুপাতে এক কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট জনস্বার্থবিরোধী আইন যাতে না করতে পারে সে জন্য চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকা প্রয়োজন। জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ একটি একক (ইউনিটারি) স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশ ফেডারেল পদ্ধতির নয়।

৬. নির্বাচনকালীন সরকার : সুরঞ্জিত সেন প্রস্তাব রাখেন, গণপরিষদ ভেঙে গেলে মন্ত্রিপরিষদ ভেঙে দেওয়া উচিত। তিনি প্রস্তাব করেন, এ সংবিধান প্রবর্তনের তারিখ থেকে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে যাবে এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতা-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি মনোনয়ন করে তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা নিযুক্ত করবেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা ব্রিটিশ মডেল অনুসরণ করছি অর্থাৎ সংসদ ভেঙে যাবে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। কেবল রাজপ্রাসাদের নির্দেশে তিনি রুটিন ওয়ার্ক চালিয়ে যাবেন।

৭. বিচার বিভাগ : পাকিস্তান আমলে বিশেষ করে আইয়ুব খানের আমলে একব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা অর্পিত ছিল। বাংলাদেশ সংবিধানে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন করা হবে এটা ছিল নির্বাচনের অঙ্গীকার। খসড়া সংবিধানে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির জেলা জজসহ অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুর, বেতন-ভাতা ইত্যাদির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর সুপারিশ করবেন।

৮. ন্যায়পাল : ড. কামাল হোসেন সংবিধানে ন্যায়পাল পদের প্রস্তাব করেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আগামীতে পার্লামেন্ট হাউসের যারা সদস্য হবেন সেই সদস্যবৃন্দ দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থা ও এ সম্পর্কিত বিষয়ে অবগত হবেন। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ন্যায়পালকে এমন ক্ষমতা দেওয়া দরকার যাতে তারা পার্লামেন্টে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে মতামত রাখতে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, সংবিধানে সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালকে কোনো মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের যে কোনো কাজ সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতাসহ যেরূপ ক্ষমতা কিংবা যেরূপ দায়িত্ব প্রদান করবেন, ন্যায়পাল সেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।

৯. প্রধানমন্ত্রী : রাষ্ট্রপতি- সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান। তাকে শো-বয় করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘অলৌকিক ক্ষমতা’ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এ অবস্থায় আসাদুজ্জামান খান প্রস্তাব করেন, রাষ্ট্রপতি আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিদেশনীতিসহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় বিবেচনার জন্য পেশ করতে পারবেন।

১০. কমিটির মিটিং-কত দিন কীভাবে : ১৭ এপ্রিল থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত কমিটির ১৩টি ও মে মাসের ১০-২৫ তারিখ পর্যন্ত ১৬টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৯টি বৈঠকে প্রতিটি খসড়া বিধান নিয়ে আলোচনা এবং বিভিন্ন দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করা হয়। ১৯৭২ এর মে মাসের ২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, খসড়া বিধানাবলি নিয়ে সদস্যরা যেসব সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তার ভিত্তিতে সংবিধানের একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রস্তুত করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রস্তুত করা হয় এবং জুনের ৩ তারিখ কমিটি বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হয়। কমিটির এ খসড়াটি দফাওয়ারি পর্যালোচনা করে জুনের ১০ তারিখ কমিটি কর্তৃক খসড়া সংবিধান প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়। এরপর খসড়া সংবিধানের আইনগত খসড়া রচনাকারীদের এবং বাংলা ভাষার পন্ডিতদের নিয়ে পরীক্ষা করানো হয় এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমার্জিত খসড়া সংবিধানের একটি পার্ট আগস্টের ১০ তারিখ কমিটি বৈঠকে উপস্থিত করা হয়। আগস্টের ১০ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ এবং সেপ্টেম্বরের ৯ থেকে অক্টোবরের ১১ তারিখ পর্যন্ত কমিটি পুনরায় এ পাঠের পর্যালোচনা করেন। কোনো কোনো বিষয়ে কমিটির ছয়জন সদস্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মত সমর্থন করেননি এবং মতানৈক্যমূলক মন্তব্য সংযোজন করার অভিপ্রায় জ্ঞাপন করেন। এ ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন আওয়ামী লীগ ও ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আওয়ামী লীগের ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল প্রস্তাব করেন, তফসিলি সম্প্রদায় ও উপজাতিদের শিক্ষাসংক্রান্ত অর্থনৈতিক বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থাক্রমে দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। চূড়ান্তরূপে গ্রহণ করার জন্য কমিটি এ বিষয়ে মতানৈক্যমূলক মন্তব্য সংযোজনসহ একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করে ও খসড়াটি বাংলাদেশ গণপরিষদে পেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। খন্দকার মোশতাক কমিটির সংরক্ষিত অনুচ্ছেদগুলো পূর্ণাঙ্গ গণপরিষদে আলোচনার প্রস্তাব করেন। কমিটি ৭৪টি বৈঠক ও ৩০০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে। ১২ জনের উপস্থিতিতে ফোরাম হতো।

খসড়া সংবিধান রচনাকালে যেসব প্রস্তাব কমিটির সভায় উপস্থাপিত হয়েছিল সেসব বিষয়ে অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া পূর্ণাঙ্গ গণপরিষদে আলোচিত হয়। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে পারি, চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতিভিত্তিক সংবিধানে প্রতিটি অনুচ্ছেদে, বর্ণে, শব্দে ও ভাষায় বর্ণিত; যা ছিল গণআকাক্সক্ষার প্রতিফলন। 

                লেখক : ’৭২ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য-শিল্প প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য-শিল্প প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

এই মাত্র | বাণিজ্য

‘আরব আমিরাত নয়, পিএসএল হোক বাংলাদেশে’—বাসিত আলীর পরামর্শ
‘আরব আমিরাত নয়, পিএসএল হোক বাংলাদেশে’—বাসিত আলীর পরামর্শ

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আওয়ামী লীগ দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল: মঞ্জু
আওয়ামী লীগ দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল: মঞ্জু

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম’
‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম’

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
সোনা মসজিদ সীমান্তে এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজারহাটে চর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত
রাজারহাটে চর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, সন্তান আহত
ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, সন্তান আহত

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা
মুন্সিগঞ্জে লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ে ধরা পড়লো আহত নীলগাই
পঞ্চগড়ে ধরা পড়লো আহত নীলগাই

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন
গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচন

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাস্তা যেন ধান-খড় শুকানোর চাতাল!
রাস্তা যেন ধান-খড় শুকানোর চাতাল!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত
কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করায় হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করায় হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পঞ্চগড়ে জামায়াতের শোকরানা মিছিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পঞ্চগড়ে জামায়াতের শোকরানা মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোসলে নেমে কিশোরের মৃত্যু
গোসলে নেমে কিশোরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার
কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী
বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট দূর করার আহ্বান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট দূর করার আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
গাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ড্রেন নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট ভবন ধ্বসের শংকা
ড্রেন নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত টিনসেট ভবন ধ্বসের শংকা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুমারখালীতে কিশোরের লাশ উদ্ধার
কুমারখালীতে কিশোরের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা