শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

বিরোধী দলের আন্দোলন

মেজর আখতার (অব.)
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিরোধী দলের আন্দোলন

আন্দোলন বলতে সরকারের কর্মকাণ্ড বা খোদ সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি বা জনসমর্থন অর্জনের জন্য সরকারবিরোধী রাজনৈতিক পদক্ষেপকেই বুঝায়। সংবিধানের ৩৭ ধারা মতে জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে

শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। তবে এর জন্য সরকার বা পুলিশের কাছ থেকে আলাদা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সরকার যদি কাউকে কোনো জনসভা করতে না দিতে চায় তাহলে সাময়িকভাবে জনসভা বা শোভাযাত্রা করা সর্বোচ্চ এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারে। তা ছাড়া কোনো সড়ক বা মহাসড়কে জনসভা বা শোভাযাত্রা কেউ করতে চাইলে স্থানীয় পুলিশকে পূর্ব থেকে অবহিত করে রাখতে হবে যাতে পুলিশ যানবাহন চলাচলে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করে রাখতে পারে। কিন্তু জনসভা বা শোভাযাত্রার জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই, তেমনি জনসভা বা শোভাযাত্রার কোনো অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতাও পুলিশের নেই। মনে রাখতে হবে সংবিধানের ৩৭ ধারা মতে একমাত্র সরকার আইনের দ্বারা জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। কাজেই সংবিধান জনসভা বা শোভাযাত্রার বাধা তিনটি শর্তে অর্থাৎ জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অথবা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে এবং যুক্তিসংগত কারণে ছাড়া দিতে পারে না এবং দিতে হলে তা আইনের মাধ্যমে দিতে হবে। পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে যে পুলিশ সরকার নয়। পুলিশ হলো আইন মোতাবেক গঠিত সরকারের একটি বাহিনী যার কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। সরকার বলতে বুঝায় সরকারের নির্বাহী বিভাগের অধীনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবালয়ের উপসহকারী সচিব পর্যন্ত নির্বাহী ধাপ। বাকি সব সরকারি প্রতিষ্ঠান কিন্তু সরকার নয়। বিরোধী দলগুলো এ আইনগত বিষয়টি আমলে না নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমতি নিয়ে জনসভা ও শোভাযাত্রা করতে গিয়ে পুলিশকে মহাপরাক্রমশালী একটি অশুভ শক্তিতে পরিণত করা হয়েছে যা ভাঙতে না পারলে রাজনীতি অনেক বেশি জটিল হয়ে যাবে এবং ক্ষমতাশালীরা নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে যাবে। কারণ পুলিশের হাতে আইন তুলে দেওয়া হয়েছে তথা গ্রেফতার করার ক্ষমতা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাদের আইনগত জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হয়নি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুলিশ সবসময় সরকারের ওপরে সরকার হিসেবে রাষ্ট্রে খবরধারী করে বেড়াবে। এটি ধ্রুব সত্য যে, এ সরকারই শেষ সরকার নয়। কিন্তু পুলিশ থেকে যাবে এবং সুষ্ঠু ধারা গড়ে না উঠলে সব সরকারেরই পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবে যা গণতন্ত্রের জন্য চিরস্থায়ী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

সংবিধানের ৩৮ ধারা জনগণকে জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার দিয়েছে। তবে তৎসঙ্গে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে- (১) নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে, (২) ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, (৩) রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে এবং (৪) গঠন ও উদ্দেশ্য যদি সংবিধানের পরিপন্থি হয় তাহলে কোনো ব্যক্তির উক্তরূপ সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার কিংবা উহার সদস্য হইবার অধিকার থাকিবে না। রাজনৈতিক দল করার জন্য আলাদা কোনো বিধান সংবিধানে দেওয়া হয়নি। তবে ৩৮ ধারা মোতাবেক সব শর্ত পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো সমিতি বা সংঘ করার আলোকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদাভাবে নিবন্ধিত হতে হয়। কাজেই দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংবিধানের ৩৮ ধারা মাথায় রেখে তাদের সব কর্মকাণ্ড চালাতে হয়। যদি এ ধারার কোনো ব্যত্যয় সরকারবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল করতে যায় তাহলে তাদের বিপাকে পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তখন বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় সরকারকে অতিরিক্ত সুবিধা সৃষ্টি করে দেয়। সংবিধানের ৩৮ ধারাটি মাথায় না নিয়ে অথবা প্রকাশ্যে এর বিরুদ্ধে গিয়ে অতীতে যারাই রাজনীতি করতে গেছে তারা রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে পারেনি। এমনকি ক্ষমতাসীনরাও সংবিধানের ৩৮ ধারার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শুধু ক্ষমতাচ্যুতই হয়নি, তারা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। কাজেই সফল রাজনীতি করতে হলে প্রতি পদে পদে খেয়াল রাখতে হবে ৩৮ ধারার শর্তগুলোকে যাতে কোনো অবস্থাতেই লঙ্ঘিত না হয়।

সংবিধানের ৩৯ এর (১) এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হয়েছে কিন্তু (২) এ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদানের সঙ্গে সঙ্গে বাক ও ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ভোগ করার ওপরে কতগুলো পূর্ব শর্ত আরোপ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এ শর্তগুলো উপেক্ষা করে তার স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় তাহলে তার ভোগান্তির মাশুলও তাকে ভোগ করতে হতে পারে। যদি কেউ অতি উৎসাহী হয়ে শর্তগুলোর প্রতি কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ না করে বাক ও ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ভোগ করার রোমান্টিকতা দেখাতে যায় তাহলে সরকার বা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মধুর আচরণ না-ও মিলতে পারে! তবে প্রতিপক্ষ বা সরকার দুর্বল হলে ভিন্ন কথা।

সংবিধানের ৬৫ এর (১) ধারা মোতাবেক প্রতি পাঁচ বছরের জন্য ‘জাতীয় সংসদ’ নামে বাংলাদেশের সংসদ-প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার ওপরে সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন-ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে যে সংসদ আছে তার মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। সম্ভবত ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই এ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই মেয়াদ-অবসানের কারণে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদের নির্বাচন হতে হবে। অর্থাৎ সংবিধান মোতাবেক নভেম্বর ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি ২০২৪ সালের শেষ সপ্তাহের আগে নির্বাচন হতে হবে। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করানোর একমাত্র ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা সম্পর্কে সংবিধানের ১২৫ ধারা মোতাবেক এই সংবিধানে যাহাই বলা হউক না কেন সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বা প্রণীত বলিয়া বিবেচিত নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ, কিংবা অনুরূপ নির্বাচনী এলাকার জন্য আসন-বণ্টন সম্পর্কিত যে কোনো আইনের বৈধতা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না, সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনের দ্বারা বা অধীন বিধান-অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট এবং অনুরূপভাবে নির্ধারিত প্রণালিতে নির্বাচনি দরখাস্ত ব্যতীত সংসদের কোনো নির্বাচন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না এবং কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিস ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্র্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে না।

সংবিধানের ৭২ এর (১) উপধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সরকারি বিজ্ঞপ্তি-দ্বারা রাষ্ট্রপতি সংসদ ভঙ্গ করিতে পারেন। তা ছাড়া একই ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ আপনা আপনিই ভাঙিয়া যাইবে। কাজেই যে কোনো বিবেচনায় আগামী সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের আগে সাংবিধানিকভাবে সম্পন্ন হতে হবে।

সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন যা বর্তমানে যে অবস্থায় সে অবস্থাটাকেই সবাইকে মেনে চলতে হবে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- সবাই তথা সকল জনগণ, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে এবং ঘোষণা দিয়াছে যে যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারে এবং মানব জাতির প্রগতিশীল আশা-আকাক্সক্ষার সহিত সংগতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারে, সেই জন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান সবার পবিত্র কর্তব্য। বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত তাই সংবিধানের সকল বিধি-বিধান হুবহু মানিয়া চলিতে বাংলাদেশের জনগণ প্রস্তাবনা অনুযায়ী অঙ্গীকারবদ্ধ।

সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে এর কোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না। সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা ১৪২ অনুচ্ছেদের (ক) উপঅনুচ্ছেদে খুবই স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও সংসদের আইন-দ্বারা এই সংবিধানের কোনো বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবে। তবে এর জন্য দুটি সুস্পষ্ট শর্ত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে প্রথমটি হলো “অনুরূপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোনো বিলের সম্পূর্ণ শিরোনামায় এই সংবিধানের কোনো বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্টরূপে উল্লেখ না থাকিলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা যাইবে না” এবং দ্বিতীয়টি হলো “সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোনো বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না।” তার মানে সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় বর্তমান সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সরকার তা করতে যাবে কেন? হয়তো বিরোধী দল আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে পারলে জনগণের চরম অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে সরকার বাধ্য হতে পারে। আর যদি বিরোধী দল তাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধান পরিবর্তন করতে চায় তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরকে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে ক্ষমতায় যেতে হবে।

নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নেই বলে সচতেন মানুষ মনে করে। লংমার্চ বা মহাযাত্রা করে ক্ষমতা পরিবর্তন সম্ভব যদি বিদেশি কোনো শক্তি প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনের অবসান কীভাবে হয়েছিল তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয় তাহলে বিদেশি হস্তক্ষেপে কীভাবে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয় তার একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। লিবিয়ার বিদ্রোহ শুরু হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তথাকথিত তিউনিসিয়া এবং মিসরে সফল বিদ্রোহ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১১১০ কি.মি উত্তরে বেনগাজি শহরে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং দ্রুত তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের অবসান দাবি করছিল। তথাকথিত প্রতিবাদের জবাব দিতে গাদ্দাফি বল প্রয়োগে উৎসাহিত হন। তিনি লিবিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বিদ্রোহ দমনের নির্দেশ দেন। এর ফলে রক্তপাত এবং প্রাণহানি ঘটে, যা তার শাসনের বিরোধিতাকে আরও উসকে দেয়। তারপরে গাদ্দাফির বাহিনী বিদ্রোহ দমন করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লিবিয়ায় মানবিক সংকট নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। মার্চ ২০১১ সালে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৭৩ নম্বর রেজুলিউশন পাস করে, লিবিয়ার ওপর একটি নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ‘সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটো দেশগুলোর একটি জোট নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করে দেয়। এ সুযোগে এবং আন্তর্জাতিক বিমান হামলার সাহায্যে গাদ্দাফিবিরোধী বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীকে কোণঠাসা করতে সামর্থ্য হয়। তারা রাজধানী ত্রিপোলিসহ লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অঞ্চল দখল করে নেয়। ২০১১ সালের অক্টোবরে, গাদ্দাফির নিজ শহর সির্তে ছিল তার শাসনের শেষ প্রধান দুর্গ। ন্যাটোর সহায়তায় গাদ্দাফি বিরোধী বাহিনী শেষ পর্যন্ত সেই শহরটিও দখল করে নেয়। যুদ্ধে বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার পর গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যু তার শাসনের সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হয়। গাদ্দাফির পতনের পর, লিবিয়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের একটি নারকীয় সময়ে প্রবেশ করে। বিভিন্ন গোষ্ঠী ক্ষমতা এবং প্রভাবের জন্য তখন লড়াই শুরু করে। ফলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে যা এখনো বিদ্যমান।

এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় ক্ষমতার শূন্যতা এবং বিভিন্ন দল এবং মিলিশিয়া প্রভাব বিস্তারের সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একটি স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিবিয়া ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি জটিল এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গাদ্দাফির শাসন আমলে উন্নত ও সমৃদ্ধ লিবিয়া এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। লিবিয়াতে গণতন্ত্র এখনো অধরাই রয়ে গেছে। তবে জনগণ এখন মনে করে গাদ্দাফিই তাদের জন্য ভালো ছিল। তবে এরকম কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে হলে লাখ লাখ মানুষের জীবনহানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারি নির্বাচনের জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে। রাজপথে রক্তাক্ত আন্দোলন করে তা অর্জন করা কখনোই সম্ভব হবে না। জানি না বিশ্ব রাজনীতির চাল কী হবে। তবে যা-ই হোক জনগণ ভালো করেই জানে তা জনগণের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। জাতি প্রধানমন্ত্রীর দিকে একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে আছে। বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্র কাজ না করলে নির্বাচন যথাসময়েই হবে। তবে সমস্যার সমাধান আনবে না। বরং দীর্ঘায়িত করবে। সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে তাই প্রধানমন্ত্রীকেই এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে যাবেন। জনগণ প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে। জয় হবে জনগণের।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর
সংস্কারের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি রিজভীর

এই মাত্র | রাজনীতি

৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
৪ নদীবন্দরে সতর্কতা, দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

১ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্য দিবালোকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রয়লার  ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা
ব্রয়লার ১৬৫–১৭০, মাছেই স্বস্তি খুঁজছেন ক্রেতারা

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা
বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের
গায়ানাকে গুঁড়িয়ে ৮ রানে জয় রংপুরের

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা
রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমতে পারে তাপমাত্রা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার
সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত খান এই ৭টি খাবার

২৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ
এসএসসি: লক্ষ্মীপুরে পাসের হার ৬৬.১৫ শতাংশ

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ইরান ভ্রমণে না যেতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু
রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পিকআপ চালকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী
ব্রহ্মপূত্রের ওপর চীন বাঁধ নয় ‘ওয়াটার বোমা’ তৈরি করছে : অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি
সৌদি থেকে ফিরেছেন ৮২ হাজার ৪১৬ হাজি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
গাজা যুদ্ধ থেকে ফিরে আরেক ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব
মৃত্যুর পর মা-বাবার হক যেভাবে আদায় করব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে
ঢাকা যেভাবে মসজিদের শহর হয়ে ওঠে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব
খুলাফায়ে রাশেদা পরবর্তী মুসলিম বিশ্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে
বাণিজ্য সম্পর্কের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দিকই স্পর্শ করা হয়েছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার পণ্যে ৩৫% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা
কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় পুষ্টি সহায়তা নিতে আসা শিশুদের ওপর হামলা, নিহত ১৫
গাজায় পুষ্টি সহায়তা নিতে আসা শিশুদের ওপর হামলা, নিহত ১৫

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে ৫শ' পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
সাভারে ৫শ' পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এসএসসি: চাঁদপুরে পাসের হার ৫৫.৮৫ শতাংশ
এসএসসি: চাঁদপুরে পাসের হার ৫৫.৮৫ শতাংশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ ও আগামীকাল কাস্টম হাউজ খোলা
আজ ও আগামীকাল কাস্টম হাউজ খোলা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!
ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন
পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল
ভিকারুননিসায় কমেছে জিপিএ-৫, বেড়েছে ফেল

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ
মতিঝিল আইডিয়ালে পাসের হার ৯৭.৯৫ শতাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি
ফাইনালে দুই তারকাকে ছাড়াই নামবে পিএসজি

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী
১৩৪ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা
রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৬৩, এগিয়ে মেয়েরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস
৯৮৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন
‘আপনি এত সুন্দর ইংরেজি শিখলেন কোথায়?’— লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্পের প্রশ্ন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু
হাসিনাকে দিয়েই বিচার শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই

সম্পাদকীয়

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা