শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

বিরোধী দলের আন্দোলন

মেজর আখতার (অব.)
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিরোধী দলের আন্দোলন

আন্দোলন বলতে সরকারের কর্মকাণ্ড বা খোদ সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি বা জনসমর্থন অর্জনের জন্য সরকারবিরোধী রাজনৈতিক পদক্ষেপকেই বুঝায়। সংবিধানের ৩৭ ধারা মতে জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে

শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। তবে এর জন্য সরকার বা পুলিশের কাছ থেকে আলাদা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সরকার যদি কাউকে কোনো জনসভা করতে না দিতে চায় তাহলে সাময়িকভাবে জনসভা বা শোভাযাত্রা করা সর্বোচ্চ এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারে। তা ছাড়া কোনো সড়ক বা মহাসড়কে জনসভা বা শোভাযাত্রা কেউ করতে চাইলে স্থানীয় পুলিশকে পূর্ব থেকে অবহিত করে রাখতে হবে যাতে পুলিশ যানবাহন চলাচলে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করে রাখতে পারে। কিন্তু জনসভা বা শোভাযাত্রার জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই, তেমনি জনসভা বা শোভাযাত্রার কোনো অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতাও পুলিশের নেই। মনে রাখতে হবে সংবিধানের ৩৭ ধারা মতে একমাত্র সরকার আইনের দ্বারা জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। কাজেই সংবিধান জনসভা বা শোভাযাত্রার বাধা তিনটি শর্তে অর্থাৎ জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অথবা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে এবং যুক্তিসংগত কারণে ছাড়া দিতে পারে না এবং দিতে হলে তা আইনের মাধ্যমে দিতে হবে। পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে যে পুলিশ সরকার নয়। পুলিশ হলো আইন মোতাবেক গঠিত সরকারের একটি বাহিনী যার কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। সরকার বলতে বুঝায় সরকারের নির্বাহী বিভাগের অধীনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবালয়ের উপসহকারী সচিব পর্যন্ত নির্বাহী ধাপ। বাকি সব সরকারি প্রতিষ্ঠান কিন্তু সরকার নয়। বিরোধী দলগুলো এ আইনগত বিষয়টি আমলে না নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমতি নিয়ে জনসভা ও শোভাযাত্রা করতে গিয়ে পুলিশকে মহাপরাক্রমশালী একটি অশুভ শক্তিতে পরিণত করা হয়েছে যা ভাঙতে না পারলে রাজনীতি অনেক বেশি জটিল হয়ে যাবে এবং ক্ষমতাশালীরা নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে যাবে। কারণ পুলিশের হাতে আইন তুলে দেওয়া হয়েছে তথা গ্রেফতার করার ক্ষমতা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাদের আইনগত জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হয়নি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুলিশ সবসময় সরকারের ওপরে সরকার হিসেবে রাষ্ট্রে খবরধারী করে বেড়াবে। এটি ধ্রুব সত্য যে, এ সরকারই শেষ সরকার নয়। কিন্তু পুলিশ থেকে যাবে এবং সুষ্ঠু ধারা গড়ে না উঠলে সব সরকারেরই পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবে যা গণতন্ত্রের জন্য চিরস্থায়ী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

সংবিধানের ৩৮ ধারা জনগণকে জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার দিয়েছে। তবে তৎসঙ্গে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে- (১) নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে, (২) ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, (৩) রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে এবং (৪) গঠন ও উদ্দেশ্য যদি সংবিধানের পরিপন্থি হয় তাহলে কোনো ব্যক্তির উক্তরূপ সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার কিংবা উহার সদস্য হইবার অধিকার থাকিবে না। রাজনৈতিক দল করার জন্য আলাদা কোনো বিধান সংবিধানে দেওয়া হয়নি। তবে ৩৮ ধারা মোতাবেক সব শর্ত পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো সমিতি বা সংঘ করার আলোকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদাভাবে নিবন্ধিত হতে হয়। কাজেই দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংবিধানের ৩৮ ধারা মাথায় রেখে তাদের সব কর্মকাণ্ড চালাতে হয়। যদি এ ধারার কোনো ব্যত্যয় সরকারবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল করতে যায় তাহলে তাদের বিপাকে পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তখন বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় সরকারকে অতিরিক্ত সুবিধা সৃষ্টি করে দেয়। সংবিধানের ৩৮ ধারাটি মাথায় না নিয়ে অথবা প্রকাশ্যে এর বিরুদ্ধে গিয়ে অতীতে যারাই রাজনীতি করতে গেছে তারা রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে পারেনি। এমনকি ক্ষমতাসীনরাও সংবিধানের ৩৮ ধারার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শুধু ক্ষমতাচ্যুতই হয়নি, তারা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। কাজেই সফল রাজনীতি করতে হলে প্রতি পদে পদে খেয়াল রাখতে হবে ৩৮ ধারার শর্তগুলোকে যাতে কোনো অবস্থাতেই লঙ্ঘিত না হয়।

সংবিধানের ৩৯ এর (১) এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হয়েছে কিন্তু (২) এ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদানের সঙ্গে সঙ্গে বাক ও ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ভোগ করার ওপরে কতগুলো পূর্ব শর্ত আরোপ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এ শর্তগুলো উপেক্ষা করে তার স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় তাহলে তার ভোগান্তির মাশুলও তাকে ভোগ করতে হতে পারে। যদি কেউ অতি উৎসাহী হয়ে শর্তগুলোর প্রতি কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ না করে বাক ও ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ভোগ করার রোমান্টিকতা দেখাতে যায় তাহলে সরকার বা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মধুর আচরণ না-ও মিলতে পারে! তবে প্রতিপক্ষ বা সরকার দুর্বল হলে ভিন্ন কথা।

সংবিধানের ৬৫ এর (১) ধারা মোতাবেক প্রতি পাঁচ বছরের জন্য ‘জাতীয় সংসদ’ নামে বাংলাদেশের সংসদ-প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার ওপরে সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন-ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে যে সংসদ আছে তার মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। সম্ভবত ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই এ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই মেয়াদ-অবসানের কারণে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদের নির্বাচন হতে হবে। অর্থাৎ সংবিধান মোতাবেক নভেম্বর ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি ২০২৪ সালের শেষ সপ্তাহের আগে নির্বাচন হতে হবে। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করানোর একমাত্র ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা সম্পর্কে সংবিধানের ১২৫ ধারা মোতাবেক এই সংবিধানে যাহাই বলা হউক না কেন সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বা প্রণীত বলিয়া বিবেচিত নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ, কিংবা অনুরূপ নির্বাচনী এলাকার জন্য আসন-বণ্টন সম্পর্কিত যে কোনো আইনের বৈধতা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না, সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনের দ্বারা বা অধীন বিধান-অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট এবং অনুরূপভাবে নির্ধারিত প্রণালিতে নির্বাচনি দরখাস্ত ব্যতীত সংসদের কোনো নির্বাচন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না এবং কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিস ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্র্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে না।

সংবিধানের ৭২ এর (১) উপধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সরকারি বিজ্ঞপ্তি-দ্বারা রাষ্ট্রপতি সংসদ ভঙ্গ করিতে পারেন। তা ছাড়া একই ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ আপনা আপনিই ভাঙিয়া যাইবে। কাজেই যে কোনো বিবেচনায় আগামী সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের আগে সাংবিধানিকভাবে সম্পন্ন হতে হবে।

সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন যা বর্তমানে যে অবস্থায় সে অবস্থাটাকেই সবাইকে মেনে চলতে হবে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- সবাই তথা সকল জনগণ, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে এবং ঘোষণা দিয়াছে যে যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারে এবং মানব জাতির প্রগতিশীল আশা-আকাক্সক্ষার সহিত সংগতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারে, সেই জন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান সবার পবিত্র কর্তব্য। বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত তাই সংবিধানের সকল বিধি-বিধান হুবহু মানিয়া চলিতে বাংলাদেশের জনগণ প্রস্তাবনা অনুযায়ী অঙ্গীকারবদ্ধ।

সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে এর কোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না। সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা ১৪২ অনুচ্ছেদের (ক) উপঅনুচ্ছেদে খুবই স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও সংসদের আইন-দ্বারা এই সংবিধানের কোনো বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবে। তবে এর জন্য দুটি সুস্পষ্ট শর্ত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে প্রথমটি হলো “অনুরূপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোনো বিলের সম্পূর্ণ শিরোনামায় এই সংবিধানের কোনো বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্টরূপে উল্লেখ না থাকিলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা যাইবে না” এবং দ্বিতীয়টি হলো “সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোনো বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না।” তার মানে সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় বর্তমান সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সরকার তা করতে যাবে কেন? হয়তো বিরোধী দল আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে পারলে জনগণের চরম অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে সরকার বাধ্য হতে পারে। আর যদি বিরোধী দল তাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধান পরিবর্তন করতে চায় তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরকে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে ক্ষমতায় যেতে হবে।

নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নেই বলে সচতেন মানুষ মনে করে। লংমার্চ বা মহাযাত্রা করে ক্ষমতা পরিবর্তন সম্ভব যদি বিদেশি কোনো শক্তি প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনের অবসান কীভাবে হয়েছিল তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয় তাহলে বিদেশি হস্তক্ষেপে কীভাবে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয় তার একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। লিবিয়ার বিদ্রোহ শুরু হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তথাকথিত তিউনিসিয়া এবং মিসরে সফল বিদ্রোহ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১১১০ কি.মি উত্তরে বেনগাজি শহরে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং দ্রুত তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের অবসান দাবি করছিল। তথাকথিত প্রতিবাদের জবাব দিতে গাদ্দাফি বল প্রয়োগে উৎসাহিত হন। তিনি লিবিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বিদ্রোহ দমনের নির্দেশ দেন। এর ফলে রক্তপাত এবং প্রাণহানি ঘটে, যা তার শাসনের বিরোধিতাকে আরও উসকে দেয়। তারপরে গাদ্দাফির বাহিনী বিদ্রোহ দমন করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লিবিয়ায় মানবিক সংকট নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। মার্চ ২০১১ সালে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৭৩ নম্বর রেজুলিউশন পাস করে, লিবিয়ার ওপর একটি নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ‘সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটো দেশগুলোর একটি জোট নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করে দেয়। এ সুযোগে এবং আন্তর্জাতিক বিমান হামলার সাহায্যে গাদ্দাফিবিরোধী বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীকে কোণঠাসা করতে সামর্থ্য হয়। তারা রাজধানী ত্রিপোলিসহ লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অঞ্চল দখল করে নেয়। ২০১১ সালের অক্টোবরে, গাদ্দাফির নিজ শহর সির্তে ছিল তার শাসনের শেষ প্রধান দুর্গ। ন্যাটোর সহায়তায় গাদ্দাফি বিরোধী বাহিনী শেষ পর্যন্ত সেই শহরটিও দখল করে নেয়। যুদ্ধে বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার পর গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যু তার শাসনের সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হয়। গাদ্দাফির পতনের পর, লিবিয়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের একটি নারকীয় সময়ে প্রবেশ করে। বিভিন্ন গোষ্ঠী ক্ষমতা এবং প্রভাবের জন্য তখন লড়াই শুরু করে। ফলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে যা এখনো বিদ্যমান।

এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় ক্ষমতার শূন্যতা এবং বিভিন্ন দল এবং মিলিশিয়া প্রভাব বিস্তারের সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একটি স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিবিয়া ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি জটিল এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গাদ্দাফির শাসন আমলে উন্নত ও সমৃদ্ধ লিবিয়া এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। লিবিয়াতে গণতন্ত্র এখনো অধরাই রয়ে গেছে। তবে জনগণ এখন মনে করে গাদ্দাফিই তাদের জন্য ভালো ছিল। তবে এরকম কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে হলে লাখ লাখ মানুষের জীবনহানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারি নির্বাচনের জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে। রাজপথে রক্তাক্ত আন্দোলন করে তা অর্জন করা কখনোই সম্ভব হবে না। জানি না বিশ্ব রাজনীতির চাল কী হবে। তবে যা-ই হোক জনগণ ভালো করেই জানে তা জনগণের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। জাতি প্রধানমন্ত্রীর দিকে একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে আছে। বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্র কাজ না করলে নির্বাচন যথাসময়েই হবে। তবে সমস্যার সমাধান আনবে না। বরং দীর্ঘায়িত করবে। সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে তাই প্রধানমন্ত্রীকেই এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে যাবেন। জনগণ প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে। জয় হবে জনগণের।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

এই বিভাগের আরও খবর
ঋণ পুনঃ তফসিল
ঋণ পুনঃ তফসিল
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

১১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক
বিএনপির প্রার্থী হতে চান তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের
নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা বিমানের

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি
সীমানা নিয়ে আদালতের দিকে তাকিয়ে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্ভোগ
দুর্ভোগ

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম