শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

বিরোধী দলের আন্দোলন

মেজর আখতার (অব.)
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিরোধী দলের আন্দোলন

আন্দোলন বলতে সরকারের কর্মকাণ্ড বা খোদ সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি বা জনসমর্থন অর্জনের জন্য সরকারবিরোধী রাজনৈতিক পদক্ষেপকেই বুঝায়। সংবিধানের ৩৭ ধারা মতে জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে

শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে। তবে এর জন্য সরকার বা পুলিশের কাছ থেকে আলাদা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সরকার যদি কাউকে কোনো জনসভা করতে না দিতে চায় তাহলে সাময়িকভাবে জনসভা বা শোভাযাত্রা করা সর্বোচ্চ এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারে। তা ছাড়া কোনো সড়ক বা মহাসড়কে জনসভা বা শোভাযাত্রা কেউ করতে চাইলে স্থানীয় পুলিশকে পূর্ব থেকে অবহিত করে রাখতে হবে যাতে পুলিশ যানবাহন চলাচলে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করে রাখতে পারে। কিন্তু জনসভা বা শোভাযাত্রার জন্য পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই, তেমনি জনসভা বা শোভাযাত্রার কোনো অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতাও পুলিশের নেই। মনে রাখতে হবে সংবিধানের ৩৭ ধারা মতে একমাত্র সরকার আইনের দ্বারা জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। কাজেই সংবিধান জনসভা বা শোভাযাত্রার বাধা তিনটি শর্তে অর্থাৎ জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অথবা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে এবং যুক্তিসংগত কারণে ছাড়া দিতে পারে না এবং দিতে হলে তা আইনের মাধ্যমে দিতে হবে। পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে যে পুলিশ সরকার নয়। পুলিশ হলো আইন মোতাবেক গঠিত সরকারের একটি বাহিনী যার কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। সরকার বলতে বুঝায় সরকারের নির্বাহী বিভাগের অধীনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবালয়ের উপসহকারী সচিব পর্যন্ত নির্বাহী ধাপ। বাকি সব সরকারি প্রতিষ্ঠান কিন্তু সরকার নয়। বিরোধী দলগুলো এ আইনগত বিষয়টি আমলে না নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমতি নিয়ে জনসভা ও শোভাযাত্রা করতে গিয়ে পুলিশকে মহাপরাক্রমশালী একটি অশুভ শক্তিতে পরিণত করা হয়েছে যা ভাঙতে না পারলে রাজনীতি অনেক বেশি জটিল হয়ে যাবে এবং ক্ষমতাশালীরা নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে যাবে। কারণ পুলিশের হাতে আইন তুলে দেওয়া হয়েছে তথা গ্রেফতার করার ক্ষমতা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাদের আইনগত জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হয়নি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুলিশ সবসময় সরকারের ওপরে সরকার হিসেবে রাষ্ট্রে খবরধারী করে বেড়াবে। এটি ধ্রুব সত্য যে, এ সরকারই শেষ সরকার নয়। কিন্তু পুলিশ থেকে যাবে এবং সুষ্ঠু ধারা গড়ে না উঠলে সব সরকারেরই পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবে যা গণতন্ত্রের জন্য চিরস্থায়ী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

সংবিধানের ৩৮ ধারা জনগণকে জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার দিয়েছে। তবে তৎসঙ্গে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে- (১) নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে, (২) ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে, (৩) রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে এবং (৪) গঠন ও উদ্দেশ্য যদি সংবিধানের পরিপন্থি হয় তাহলে কোনো ব্যক্তির উক্তরূপ সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার কিংবা উহার সদস্য হইবার অধিকার থাকিবে না। রাজনৈতিক দল করার জন্য আলাদা কোনো বিধান সংবিধানে দেওয়া হয়নি। তবে ৩৮ ধারা মোতাবেক সব শর্ত পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো সমিতি বা সংঘ করার আলোকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদাভাবে নিবন্ধিত হতে হয়। কাজেই দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংবিধানের ৩৮ ধারা মাথায় রেখে তাদের সব কর্মকাণ্ড চালাতে হয়। যদি এ ধারার কোনো ব্যত্যয় সরকারবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দল করতে যায় তাহলে তাদের বিপাকে পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। তখন বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় সরকারকে অতিরিক্ত সুবিধা সৃষ্টি করে দেয়। সংবিধানের ৩৮ ধারাটি মাথায় না নিয়ে অথবা প্রকাশ্যে এর বিরুদ্ধে গিয়ে অতীতে যারাই রাজনীতি করতে গেছে তারা রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে পারেনি। এমনকি ক্ষমতাসীনরাও সংবিধানের ৩৮ ধারার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে শুধু ক্ষমতাচ্যুতই হয়নি, তারা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। কাজেই সফল রাজনীতি করতে হলে প্রতি পদে পদে খেয়াল রাখতে হবে ৩৮ ধারার শর্তগুলোকে যাতে কোনো অবস্থাতেই লঙ্ঘিত না হয়।

সংবিধানের ৩৯ এর (১) এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হয়েছে কিন্তু (২) এ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদানের সঙ্গে সঙ্গে বাক ও ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ভোগ করার ওপরে কতগুলো পূর্ব শর্ত আরোপ করে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এ শর্তগুলো উপেক্ষা করে তার স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় তাহলে তার ভোগান্তির মাশুলও তাকে ভোগ করতে হতে পারে। যদি কেউ অতি উৎসাহী হয়ে শর্তগুলোর প্রতি কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ না করে বাক ও ভাবপ্রকাশ এবং সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ভোগ করার রোমান্টিকতা দেখাতে যায় তাহলে সরকার বা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মধুর আচরণ না-ও মিলতে পারে! তবে প্রতিপক্ষ বা সরকার দুর্বল হলে ভিন্ন কথা।

সংবিধানের ৬৫ এর (১) ধারা মোতাবেক প্রতি পাঁচ বছরের জন্য ‘জাতীয় সংসদ’ নামে বাংলাদেশের সংসদ-প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার ওপরে সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন-ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে যে সংসদ আছে তার মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। সম্ভবত ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই এ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই মেয়াদ-অবসানের কারণে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদের নির্বাচন হতে হবে। অর্থাৎ সংবিধান মোতাবেক নভেম্বর ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি ২০২৪ সালের শেষ সপ্তাহের আগে নির্বাচন হতে হবে। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করানোর একমাত্র ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা সম্পর্কে সংবিধানের ১২৫ ধারা মোতাবেক এই সংবিধানে যাহাই বলা হউক না কেন সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বা প্রণীত বলিয়া বিবেচিত নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ, কিংবা অনুরূপ নির্বাচনী এলাকার জন্য আসন-বণ্টন সম্পর্কিত যে কোনো আইনের বৈধতা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না, সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনের দ্বারা বা অধীন বিধান-অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট এবং অনুরূপভাবে নির্ধারিত প্রণালিতে নির্বাচনি দরখাস্ত ব্যতীত সংসদের কোনো নির্বাচন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না এবং কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিস ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্র্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে না।

সংবিধানের ৭২ এর (১) উপধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সরকারি বিজ্ঞপ্তি-দ্বারা রাষ্ট্রপতি সংসদ ভঙ্গ করিতে পারেন। তা ছাড়া একই ধারার (৩) উপধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ আপনা আপনিই ভাঙিয়া যাইবে। কাজেই যে কোনো বিবেচনায় আগামী সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের আগে সাংবিধানিকভাবে সম্পন্ন হতে হবে।

সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন যা বর্তমানে যে অবস্থায় সে অবস্থাটাকেই সবাইকে মেনে চলতে হবে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- সবাই তথা সকল জনগণ, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে এবং ঘোষণা দিয়াছে যে যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারে এবং মানব জাতির প্রগতিশীল আশা-আকাক্সক্ষার সহিত সংগতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারে, সেই জন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান সবার পবিত্র কর্তব্য। বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত তাই সংবিধানের সকল বিধি-বিধান হুবহু মানিয়া চলিতে বাংলাদেশের জনগণ প্রস্তাবনা অনুযায়ী অঙ্গীকারবদ্ধ।

সংবিধান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় যে এর কোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না। সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা ১৪২ অনুচ্ছেদের (ক) উপঅনুচ্ছেদে খুবই স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও সংসদের আইন-দ্বারা এই সংবিধানের কোনো বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবে। তবে এর জন্য দুটি সুস্পষ্ট শর্ত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে প্রথমটি হলো “অনুরূপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোনো বিলের সম্পূর্ণ শিরোনামায় এই সংবিধানের কোনো বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্টরূপে উল্লেখ না থাকিলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা যাইবে না” এবং দ্বিতীয়টি হলো “সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোনো বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না।” তার মানে সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় বর্তমান সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সরকার তা করতে যাবে কেন? হয়তো বিরোধী দল আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে পারলে জনগণের চরম অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে সরকার বাধ্য হতে পারে। আর যদি বিরোধী দল তাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধান পরিবর্তন করতে চায় তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরকে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে ক্ষমতায় যেতে হবে।

নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নেই বলে সচতেন মানুষ মনে করে। লংমার্চ বা মহাযাত্রা করে ক্ষমতা পরিবর্তন সম্ভব যদি বিদেশি কোনো শক্তি প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনের অবসান কীভাবে হয়েছিল তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয় তাহলে বিদেশি হস্তক্ষেপে কীভাবে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয় তার একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। লিবিয়ার বিদ্রোহ শুরু হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তথাকথিত তিউনিসিয়া এবং মিসরে সফল বিদ্রোহ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১১১০ কি.মি উত্তরে বেনগাজি শহরে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং দ্রুত তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং গাদ্দাফির ৪২ বছরের শাসনের অবসান দাবি করছিল। তথাকথিত প্রতিবাদের জবাব দিতে গাদ্দাফি বল প্রয়োগে উৎসাহিত হন। তিনি লিবিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বিদ্রোহ দমনের নির্দেশ দেন। এর ফলে রক্তপাত এবং প্রাণহানি ঘটে, যা তার শাসনের বিরোধিতাকে আরও উসকে দেয়। তারপরে গাদ্দাফির বাহিনী বিদ্রোহ দমন করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লিবিয়ায় মানবিক সংকট নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। মার্চ ২০১১ সালে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৭৩ নম্বর রেজুলিউশন পাস করে, লিবিয়ার ওপর একটি নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ‘সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটো দেশগুলোর একটি জোট নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করে দেয়। এ সুযোগে এবং আন্তর্জাতিক বিমান হামলার সাহায্যে গাদ্দাফিবিরোধী বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীকে কোণঠাসা করতে সামর্থ্য হয়। তারা রাজধানী ত্রিপোলিসহ লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অঞ্চল দখল করে নেয়। ২০১১ সালের অক্টোবরে, গাদ্দাফির নিজ শহর সির্তে ছিল তার শাসনের শেষ প্রধান দুর্গ। ন্যাটোর সহায়তায় গাদ্দাফি বিরোধী বাহিনী শেষ পর্যন্ত সেই শহরটিও দখল করে নেয়। যুদ্ধে বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার পর গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যু তার শাসনের সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হয়। গাদ্দাফির পতনের পর, লিবিয়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের একটি নারকীয় সময়ে প্রবেশ করে। বিভিন্ন গোষ্ঠী ক্ষমতা এবং প্রভাবের জন্য তখন লড়াই শুরু করে। ফলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে যা এখনো বিদ্যমান।

এটা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় ক্ষমতার শূন্যতা এবং বিভিন্ন দল এবং মিলিশিয়া প্রভাব বিস্তারের সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একটি স্থিতিশীল ও ঐক্যবদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিবিয়া ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি জটিল এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। গাদ্দাফির শাসন আমলে উন্নত ও সমৃদ্ধ লিবিয়া এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। লিবিয়াতে গণতন্ত্র এখনো অধরাই রয়ে গেছে। তবে জনগণ এখন মনে করে গাদ্দাফিই তাদের জন্য ভালো ছিল। তবে এরকম কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে হলে লাখ লাখ মানুষের জীবনহানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারি নির্বাচনের জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে। রাজপথে রক্তাক্ত আন্দোলন করে তা অর্জন করা কখনোই সম্ভব হবে না। জানি না বিশ্ব রাজনীতির চাল কী হবে। তবে যা-ই হোক জনগণ ভালো করেই জানে তা জনগণের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। জাতি প্রধানমন্ত্রীর দিকে একাগ্রচিত্তে তাকিয়ে আছে। বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্র কাজ না করলে নির্বাচন যথাসময়েই হবে। তবে সমস্যার সমাধান আনবে না। বরং দীর্ঘায়িত করবে। সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে তাই প্রধানমন্ত্রীকেই এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমে যাবেন। জনগণ প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে। জয় হবে জনগণের।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে কি জানালেন জয়শঙ্কর
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে কি জানালেন জয়শঙ্কর

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টরন্টোয় শিরীন চৌধুরীর ‘পরান যাহা চায়’ সঙ্গীত সন্ধ্যা
টরন্টোয় শিরীন চৌধুরীর ‘পরান যাহা চায়’ সঙ্গীত সন্ধ্যা

১ মিনিট আগে | পরবাস

ফেনীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত
ফেনীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে ফেনসিডিলসহ আটক ৩
মুন্সীগঞ্জে ফেনসিডিলসহ আটক ৩

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খুলনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্পেইন
খুলনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা ক্যাম্পেইন

১৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জুবিনের জন্মদিনে স্ত্রী গরিমার আবেগঘন বার্তা
জুবিনের জন্মদিনে স্ত্রী গরিমার আবেগঘন বার্তা

১৭ মিনিট আগে | শোবিজ

সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র ঘোষণা ট্রাম্পের
সৌদিকে ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র ঘোষণা ট্রাম্পের

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ব্যানফ ফেস্টিভালে' এভারেস্টজয়ী নিশাতকে নিয়ে তথ্যচিত্র
'ব্যানফ ফেস্টিভালে' এভারেস্টজয়ী নিশাতকে নিয়ে তথ্যচিত্র

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

প্রাচীনকালে চাঁদে তুষারপাত হতো ধারণা বিজ্ঞানীদের
প্রাচীনকালে চাঁদে তুষারপাত হতো ধারণা বিজ্ঞানীদের

২৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসি ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ৬০ স্টল
ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ৬০ স্টল

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসা আবেদন নিয়ে জার্মান দূতাবাসের সতর্কবার্তা
ভিসা আবেদন নিয়ে জার্মান দূতাবাসের সতর্কবার্তা

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কাউখালীতে নাশকতার অভিযোগে আটক ৫
কাউখালীতে নাশকতার অভিযোগে আটক ৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন
কুমিল্লায় ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিডনি দান ও ৫৬ বার রক্ত দেওয়া সেই মুন্না আজ মৃত্যুর মুখে
কিডনি দান ও ৫৬ বার রক্ত দেওয়া সেই মুন্না আজ মৃত্যুর মুখে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মঙ্গলগ্রহে অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার
মঙ্গলগ্রহে অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি
ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর
জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন
সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন