শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

গাজার গুজব আর ঢাকার ঢাকঢোল ও দামামা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
গাজার গুজব আর ঢাকার ঢাকঢোল ও দামামা

সভ্যতা ও মানবতার চরম সংকট চলছে ফিলিস্তিনের গাজা ও গাজার আশপাশের এলাকায়। ফিলিস্তিনবাসীর প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে অকালমৃত্যুর শঙ্কায়। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী হঠাৎ করেই ইসরায়েলে বহুমুখী রকেট হামলা চালায় এবং সবাইকে চমকে দিয়ে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। হামাসের দাবি এই অনুপ্রবেশ ছিল আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের হামলা ও ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ। এ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে একই সঙ্গে মানবতার বিপর্যয় আর গুজবের বিস্তার ঘটছে সমান্তরাল গতিতে। এক্সের মতো নানাবিধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ঝড় তুলেছে এক একটি গুজব। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফরমেও যেন ভুয়া খবর এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। অতর্কিত আক্রমণের বিপরীতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ শুরুর মধ্য দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানায় এবং প্রতিআক্রমণ করে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ শহরটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে অবিরাম বোমা হামলা চালিয়েছে। এ হামলা থেকে বেসামরিক আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির এবং বাস্তুচ্যুতদের ঠাঁই দেওয়া হাজার বছরের পুরাণ গ্রিক অর্থোডক্স চার্চও বাদ যায়নি। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুসারে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইসরায়েল কমপক্ষে ৫৭৯১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ১৭ অক্টোবর রাতে ইসরায়েল আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ৪৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপর শুরু হয় পরস্পরবিরোধী দাবি ও পাল্টা দাবি। হামাস হাসপাতালে আঘাত করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েল দাবি করছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর ছোড়া রকেট ভুলবশত হাসপাতালে আঘাত হানে। ইসরায়েলের এ দাবিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সমর্থন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ব্যবহারকারী অগণিত মানুষ হামাস কর্তৃক হাসপাতালে ব্যর্থ বা ভুল রকেট আক্রমণের তথাকথিত ভিডিও নেট দুনিয়ায় প্রচার করে। তবে পরে প্রমাণিত হয়েছে, এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইসরায়েলিদের বেশির ভাগ ফুটেজ ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ধারণকৃত পুরনো ভিডিও থেকে নেওয়া। তদুপরি ফরিদা খান নামক একজন প্রতারক নিজেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক দাবি করে একটি জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এবং এই মর্মে বিভ্রান্তি ছড়ায় যে, আক্রমণটি হামাস যোদ্ধাদের ‘আয়াশ ২৫০’ রকেট দিয়ে করা হয়েছিল। স্বঘোষিত প্রতিবেদক ফরিদা খান এ হামলাটি প্রত্যক্ষ করেছেন দাবি করে বলেছেন, হামাসের কাছেও ক্ষেপণাস্ত্রটি হাসপাতালে আঘাত করার ভিডিও রয়েছে। পরে জানা যায়, অ্যাকাউন্টটি জাল ছিল এবং আল-জাজিরাতে এমন কোনো প্রতিবেদকও কোনো দিন ছিল না। আল-জাজিরা একটি সতর্কীকরণ বিবৃতি জারি করে জানায় যে, এই অ্যাকাউন্টটির সংবাদ পরিসেবার সঙ্গে আল-জাজিরার কোনো সংযোগ নেই। তারা এমন সংবাদ শেয়ার করার আগে সবাইকে তথ্য যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে।

হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শিশুদের অপহরণ এবং ইসরায়েলি মহিলাদের হত্যা বা ধর্ষণের বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা ইতোমধ্যে গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এসব প্রতিবেদন ও ফুটেজে দেখানো হয়েছে, হামাস যোদ্ধারা আর কখনো কোনো নারী, প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু বা উপাসকদের ক্ষতি করবে না বা পুরনো কিছু ধ্বংস করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। হামাস যোদ্ধারা ‘৪০টি ইসরায়েলি শিশুর শিরশ্ছেদ করেছে’ মর্মে অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তার বক্তব্যে পুনরাবৃত্তি করেন। পরে হোয়াইট হাউস তা প্রত্যাহার করে। ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে (এএ) জানায় যে, এমন হত্যাকাণ্ডের খবর নিশ্চিত করার মতো যথাযথ তথ্য বা প্রমাণ তাদের কাছে নেই। ‘হামাস যোদ্ধাদের মৃতদেহে পাওয়া গোপন নথি’ উদ্ধৃত করে ইসরায়েল অভিযোগ করে যে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে। তবে পরবর্তীতে প্রমাণ হয় যে, এ দাবিটিও সঠিক নয়। কারণ ৭ অক্টোবর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই ইসরায়েল মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। নেগেভ মরুভূমিতে একটি ইসরায়েলি সংগীত উৎসবে হামাসের হামলার একটি কথিত ভিডিও বেশ আলোড়ন তোলে। পরে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের ব্রুনো মার্স কনসার্টের একটি ভিডিও প্রকাশ করার পরে প্রমাণিত হয় যে, এই ভিডিও এমনভাবে নির্মিত যেন মনে হয় যে হামাস ইসরায়েলি সংগীত উৎসবে হামলা করেছে। ‘হামাস ফিলিস্তিনিদের দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে’ এমন প্রচারণাও গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত ফুটেজটি মূলত ২০১৩ সালের। এ ভিডিওতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ অংশে একটি মর্মান্তিক ঘটনা দেখানো হয়, যেখানে কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিলেন। এ ঘটনাটি হামাস বা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। গাজার পশ্চিমতীর, জেরুজালেম এবং বিশ্বের বাকি অংশেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের বিষয়ে যা কিছু দেখানো হয়, তা-ও পুরোপুরি সত্য নয়। আবার জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিরা ‘ইসরায়েলিদের নির্মমভাবে মারছে’ এমন দাবিগুলোও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ভিডিওগুলোতে দেখা যায় যে, উল্টো ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি কর্মীদের আক্রমণ করছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাও দাবি করা হয় যে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ‘বন্ধু রাষ্ট্র ইসরায়েল যে সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হচ্ছে’, তার নিন্দা করেছেন। বাস্তবে প্রেসিডেন্ট এ ধরনের বিবৃতি দেননি বিধায় এমন প্রচারণা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিন থেকে আগত উদ্বাস্তুদের তুরস্ক ঠাঁই দেবে বলে রব ওঠে। এমনও বলা হয়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ফাতিহ পোর্তকাল দাবি করেছেন যে, আঙ্কারা প্রায় ৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে তুরস্কে পুনর্বাসনের বিষয় বিবেচনা করছে। বাস্তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না এবং দাবিগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ছড়ানো তথ্য মোতাবেক তুরস্ক ‘শাকসবজি এবং ফল পাঠিয়ে’ ইসরায়েলকে সাহায্য করছে। বাস্তবে ইসরায়েলকে কোনো সরকারি সাহায্য প্রদান করেনি মর্মে তথ্য দিয়েছে তুরস্ক সরকার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিযুক্ত তুরস্কের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে ইসরায়েলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সামুদ্রিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য তাদের চুক্তির আলোকে ব্যবসা করছে, যা ইসরায়েলকে তুরস্কের সাহায্য হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ৫ লাখ ইসরায়েলি প্রতিবাদ করছে, এমন দাবিটিও মিথ্যা। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ফুটেজটি ৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিঠে বস্তা বহনকারী একটি গোষ্ঠীকে চিত্রিত করে দাবি করা হয়েছে যে, মিসরীয়রা গাজায় সাহায্য বিতরণ করছে। বাস্তবে এ দৃশ্য ছিল মিসর-লিবিয়া সীমান্তের, গাজার নয়। একইভাবে একটি আবাসিক এলাকায় বোমা মারার একটি ছবিতে ইসরায়েল সিরিয়ায় বোমা হামলা চালানোর মুহূর্তকে চিত্রিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও ছবিটি আসলে ইসরায়েল কর্তৃক গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণের, সিরিয়ার নয়।

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রেক্ষাপটে দেখানো হয় যে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ‘নির্মূল’ করার এমন নীতি অনুসরণ করছে, যা জার্মানির নাৎসিরা করেছিল ইহুদিদের বিরুদ্ধে। মূলত ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের অপরাধ করছে, যার সব কটিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনে ‘গণহত্যা’-এর সংজ্ঞার অধীনে পড়ে। জার্মানিদের দ্বারা হাজার হাজার ইহুদিদের উচ্ছেদ ও বিতাড়নের বিপরীতে ইসরায়েল ১৯৪৮ সাল থেকে জোরপূর্বক ৬৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে, নির্বিচারে গণহত্যা করেছে এবং তাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ করেছে। ইহুদিবাদের মতাদর্শ ‘বর্ণবাদ’-এর ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখে, যেমনটা হিটলার ইহুদিদের জার্মান জাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন। নাৎসিরা জার্মানিতে ইহুদি এবং অন্য সংখ্যালঘুদের ‘আন্টারমেনশ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, যার অর্থ ‘উপমানব’। তখন ইহুদি এবং অন্য সংখ্যালঘুদের প্রায়শই ‘কীটপতঙ্গ’ বা ‘ইঁদুর’ হিসেবে চিত্রিত করা হতো। দুঃখজনক হলেও সত্য সংঘর্ষ শুরু হওয়ার দুই দিন পরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ফিলিস্তিনিদের ‘হিউমান এনিম্যাল’ বা ‘মানব প্রাণী’ বলে অভিহিত করেন।

তুরস্কের সম্প্রচার বিভাগের পরিচালক ফাহরেতিন আলতুন ১৭ অক্টোবর মিডিয়া আউটলেট এবং সুশীল সমাজ সংস্থা-উভয়কেই গুজব ও জাল খবর মোকাবিলায় ‘সাধারণ উদ্যোগ’ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা মিডিয়া সংস্থাগুলোর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোকে ভুয়া খবর পাওয়ার আগ্রহ ও এসব খবরের সরবরাহ- উভয় দিককে মোকাবিলা করার জন্য অভিন্ন উদ্যোগ তৈরির আহ্বান জানাই। ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা অবশ্যই আমাদের সবার কর্তব্য এবং তা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আলতুন আরও বলেন, উত্তেজনা ও সংঘাতের সময়ে সাংবাদিক এবং মিডিয়া সংস্থার একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ রয়েছে। তাদের ‘সঠিক তথ্য প্রতিবেদন করতে হবে এবং সব ধরনের গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’ তিনি মনে করেন, ঐতিহ্যগত এবং সামাজিক মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত তথ্যের সত্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা কেবল সংবাদকর্মীদের কাজ নয়, এ কাজ সবার। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সংবাদের ভোক্তারা ‘প্রায়শই সঠিক এবং ভুয়া খবরের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।’ সঠিক খবর না জেনে নিজে বিভ্রান্তিতে থাকা এ যুগে দোষ বলে বিবেচ্য এবং যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিতে থাকে, তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে তাদেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে।

প্রিয় পাঠক, আপনারা এ পর্যন্ত যা কিছু জানলেন, তা তুরস্কের ‘দি আল সাবাহ’ এবং ফিলিস্তিনের ‘দি প্যালেস্টাইন ক্রনিকল’ নামের ইংরেজি পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা থেকে নেওয়া। এ ধরনের বহু সংবাদমাধ্যম প্রমাণ করে যে, যুদ্ধকালে বারুদ বা বোমার ধোঁয়ার চেয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি ছড়ায় গুজব, আর হারাতে থাকে সত্য। যুদ্ধ না বাধলেও বর্তমান বাংলাদেশ যেন গুজবের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশেই শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজার ঢাকঢোল বেজে ওঠার আগেই গুজবের ঢেউয়ের গর্জন কাঁপিয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। পূজায় অস্বাভাবিক কিছু ঘটবে বলে নিশ্চিত ছিলেন দেশের অনেকে। শুধু অপেক্ষা ছিল এ অস্বাভাবিক কিছু কি বিরোধীরা ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে না সরকার নিজেই ঘটিয়ে দায় চাপাবে বিরোধীদের ওপর, তা জানার। বাস্তবে তা ঘটেনি। এবার যুদ্ধ ছাড়াই দামামা বাজল ২৮ অক্টোবর নিয়ে। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০৬ সালের অক্টোবর মাস। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার তখন বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে না পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট তখন তুমুল আন্দোলন করছে। এমন প্রেক্ষাপটে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। ২৯ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল- দশজুড়ে নৈরাজ্য। ইত্তেফাকের খবর অনুযায়ী দেশজুড়ে সহিংসতায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। ২৯ অক্টোবরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। সেদিন অন্তত সাতজন মারা যান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তিন দিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। সেই বিষাদময় ঘটনার ১৩ বছর পর একই দিনে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কায় দেশ-বিদেশের রথী-মহারথীরাও। নব্বই দশকে রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যা চলাকালে রুয়ান্ডার রেডিও এবং টেলিভিশন হুতু জাতির বিপক্ষের তুতসিদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে প্রচার করত ‘তুতসি হলো তেলাপোকা। আমরা তোমাদের মেরে ফেলব।’ ১৯৮৩ সালে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের একটি কমিটিতে সাবেক ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল রাফায়েল ইতান বলেছিলেন যে, আরবরা ‘বোতলের মধ্যে মাতাল তেলাপোকার মতো’। এমন বক্তব্য রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। আসন্ন ২৮ অক্টোবর বা ৩ নভেম্বর নিয়ে যারা যারা প্রচার চালাচ্ছেন, তারা কি সেই ইতিহাস পড়ে দেখবেন একবার? জাতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের আসরে বলতে পারে না ‘খেলা হবে’। মাঠের বাইরে ‘খেলা হবে’ বলে কার কী লাভ? আমেরিকা ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় দুই বছর তিন মাস যুদ্ধ হয়েছিল। এক সময় সব ঝামেলা মিটিয়ে তাদের বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। ফ্রান্সের জনগণের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ফরাসি ভাস্কর ফ্রেডেরিক আগস্ট বার্থোল্ডি দ্বারা ডিজাইন করা ১৫১ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার তামার মূর্তি উপহার দেওয়া হয় আমেরিকার জনগণকে। আমেরিকার নিউইয়র্ক হারবারের লিবার্টি দ্বীপে স্থাপিত এ মূর্তিই হলো জগৎখ্যাত ‘দ্য স্ট্যাচু অব লিবার্টি’, যা সারা বিশ্বে স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিজয়ের প্রতীকও বটে। ২৮ অক্টোবর ১৮৮৬ সালে এ মূর্তিটি উদ্বোধন ও উৎসর্গ করা হয়েছিল। আজ ১৩৭ বছর পরে একই দিনে ২৮ অক্টোবরে ঢাকায়ও সব শঙ্কা দূর করে শান্তি, সমঝোতা ও গণতন্ত্রের বিজয় হোক- এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

email: [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন

এই মাত্র | অর্থনীতি

এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা
এয়ার ইন্ডিয়ায় দুর্ঘটনা, বোয়িং-হানিওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের

৭ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত

৯ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিএনপি নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে : তারেক রহমান
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিএনপি নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে : তারেক রহমান

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত
নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন
ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন

৫৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব
রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ
চাঁদপুর কবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়
কাজের ফাঁকে ঘুম আসে? জানুন মুক্তির উপায়

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন
নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত
রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে বজ্রবৃষ্টির আভাস
সারাদেশে বজ্রবৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল
প্রাণের স্পন্দনে জেগে উঠুক দেশের ফুটবল

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ইসলামী রাজনীতির প্রধান উৎস আল-কোরআন
ইসলামী রাজনীতির প্রধান উৎস আল-কোরআন

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা
সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
চার দফা দাবিতে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই
ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চাই

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা