শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

গাজার গুজব আর ঢাকার ঢাকঢোল ও দামামা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
গাজার গুজব আর ঢাকার ঢাকঢোল ও দামামা

সভ্যতা ও মানবতার চরম সংকট চলছে ফিলিস্তিনের গাজা ও গাজার আশপাশের এলাকায়। ফিলিস্তিনবাসীর প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে অকালমৃত্যুর শঙ্কায়। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী হঠাৎ করেই ইসরায়েলে বহুমুখী রকেট হামলা চালায় এবং সবাইকে চমকে দিয়ে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। হামাসের দাবি এই অনুপ্রবেশ ছিল আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের হামলা ও ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ। এ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে একই সঙ্গে মানবতার বিপর্যয় আর গুজবের বিস্তার ঘটছে সমান্তরাল গতিতে। এক্সের মতো নানাবিধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ঝড় তুলেছে এক একটি গুজব। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফরমেও যেন ভুয়া খবর এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। অতর্কিত আক্রমণের বিপরীতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ শুরুর মধ্য দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানায় এবং প্রতিআক্রমণ করে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ শহরটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে অবিরাম বোমা হামলা চালিয়েছে। এ হামলা থেকে বেসামরিক আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির এবং বাস্তুচ্যুতদের ঠাঁই দেওয়া হাজার বছরের পুরাণ গ্রিক অর্থোডক্স চার্চও বাদ যায়নি। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুসারে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইসরায়েল কমপক্ষে ৫৭৯১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ১৭ অক্টোবর রাতে ইসরায়েল আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ৪৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপর শুরু হয় পরস্পরবিরোধী দাবি ও পাল্টা দাবি। হামাস হাসপাতালে আঘাত করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েল দাবি করছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর ছোড়া রকেট ভুলবশত হাসপাতালে আঘাত হানে। ইসরায়েলের এ দাবিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সমর্থন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ব্যবহারকারী অগণিত মানুষ হামাস কর্তৃক হাসপাতালে ব্যর্থ বা ভুল রকেট আক্রমণের তথাকথিত ভিডিও নেট দুনিয়ায় প্রচার করে। তবে পরে প্রমাণিত হয়েছে, এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইসরায়েলিদের বেশির ভাগ ফুটেজ ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ধারণকৃত পুরনো ভিডিও থেকে নেওয়া। তদুপরি ফরিদা খান নামক একজন প্রতারক নিজেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক দাবি করে একটি জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এবং এই মর্মে বিভ্রান্তি ছড়ায় যে, আক্রমণটি হামাস যোদ্ধাদের ‘আয়াশ ২৫০’ রকেট দিয়ে করা হয়েছিল। স্বঘোষিত প্রতিবেদক ফরিদা খান এ হামলাটি প্রত্যক্ষ করেছেন দাবি করে বলেছেন, হামাসের কাছেও ক্ষেপণাস্ত্রটি হাসপাতালে আঘাত করার ভিডিও রয়েছে। পরে জানা যায়, অ্যাকাউন্টটি জাল ছিল এবং আল-জাজিরাতে এমন কোনো প্রতিবেদকও কোনো দিন ছিল না। আল-জাজিরা একটি সতর্কীকরণ বিবৃতি জারি করে জানায় যে, এই অ্যাকাউন্টটির সংবাদ পরিসেবার সঙ্গে আল-জাজিরার কোনো সংযোগ নেই। তারা এমন সংবাদ শেয়ার করার আগে সবাইকে তথ্য যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে।

হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শিশুদের অপহরণ এবং ইসরায়েলি মহিলাদের হত্যা বা ধর্ষণের বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা ইতোমধ্যে গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এসব প্রতিবেদন ও ফুটেজে দেখানো হয়েছে, হামাস যোদ্ধারা আর কখনো কোনো নারী, প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু বা উপাসকদের ক্ষতি করবে না বা পুরনো কিছু ধ্বংস করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। হামাস যোদ্ধারা ‘৪০টি ইসরায়েলি শিশুর শিরশ্ছেদ করেছে’ মর্মে অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তার বক্তব্যে পুনরাবৃত্তি করেন। পরে হোয়াইট হাউস তা প্রত্যাহার করে। ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে (এএ) জানায় যে, এমন হত্যাকাণ্ডের খবর নিশ্চিত করার মতো যথাযথ তথ্য বা প্রমাণ তাদের কাছে নেই। ‘হামাস যোদ্ধাদের মৃতদেহে পাওয়া গোপন নথি’ উদ্ধৃত করে ইসরায়েল অভিযোগ করে যে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে। তবে পরবর্তীতে প্রমাণ হয় যে, এ দাবিটিও সঠিক নয়। কারণ ৭ অক্টোবর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই ইসরায়েল মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। নেগেভ মরুভূমিতে একটি ইসরায়েলি সংগীত উৎসবে হামাসের হামলার একটি কথিত ভিডিও বেশ আলোড়ন তোলে। পরে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের ব্রুনো মার্স কনসার্টের একটি ভিডিও প্রকাশ করার পরে প্রমাণিত হয় যে, এই ভিডিও এমনভাবে নির্মিত যেন মনে হয় যে হামাস ইসরায়েলি সংগীত উৎসবে হামলা করেছে। ‘হামাস ফিলিস্তিনিদের দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে’ এমন প্রচারণাও গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত ফুটেজটি মূলত ২০১৩ সালের। এ ভিডিওতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ অংশে একটি মর্মান্তিক ঘটনা দেখানো হয়, যেখানে কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিলেন। এ ঘটনাটি হামাস বা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। গাজার পশ্চিমতীর, জেরুজালেম এবং বিশ্বের বাকি অংশেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের বিষয়ে যা কিছু দেখানো হয়, তা-ও পুরোপুরি সত্য নয়। আবার জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিরা ‘ইসরায়েলিদের নির্মমভাবে মারছে’ এমন দাবিগুলোও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ভিডিওগুলোতে দেখা যায় যে, উল্টো ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি কর্মীদের আক্রমণ করছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাও দাবি করা হয় যে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ‘বন্ধু রাষ্ট্র ইসরায়েল যে সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হচ্ছে’, তার নিন্দা করেছেন। বাস্তবে প্রেসিডেন্ট এ ধরনের বিবৃতি দেননি বিধায় এমন প্রচারণা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিন থেকে আগত উদ্বাস্তুদের তুরস্ক ঠাঁই দেবে বলে রব ওঠে। এমনও বলা হয়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ফাতিহ পোর্তকাল দাবি করেছেন যে, আঙ্কারা প্রায় ৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে তুরস্কে পুনর্বাসনের বিষয় বিবেচনা করছে। বাস্তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না এবং দাবিগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ছড়ানো তথ্য মোতাবেক তুরস্ক ‘শাকসবজি এবং ফল পাঠিয়ে’ ইসরায়েলকে সাহায্য করছে। বাস্তবে ইসরায়েলকে কোনো সরকারি সাহায্য প্রদান করেনি মর্মে তথ্য দিয়েছে তুরস্ক সরকার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিযুক্ত তুরস্কের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে ইসরায়েলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সামুদ্রিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য তাদের চুক্তির আলোকে ব্যবসা করছে, যা ইসরায়েলকে তুরস্কের সাহায্য হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ৫ লাখ ইসরায়েলি প্রতিবাদ করছে, এমন দাবিটিও মিথ্যা। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ফুটেজটি ৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিঠে বস্তা বহনকারী একটি গোষ্ঠীকে চিত্রিত করে দাবি করা হয়েছে যে, মিসরীয়রা গাজায় সাহায্য বিতরণ করছে। বাস্তবে এ দৃশ্য ছিল মিসর-লিবিয়া সীমান্তের, গাজার নয়। একইভাবে একটি আবাসিক এলাকায় বোমা মারার একটি ছবিতে ইসরায়েল সিরিয়ায় বোমা হামলা চালানোর মুহূর্তকে চিত্রিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও ছবিটি আসলে ইসরায়েল কর্তৃক গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণের, সিরিয়ার নয়।

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রেক্ষাপটে দেখানো হয় যে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ‘নির্মূল’ করার এমন নীতি অনুসরণ করছে, যা জার্মানির নাৎসিরা করেছিল ইহুদিদের বিরুদ্ধে। মূলত ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের অপরাধ করছে, যার সব কটিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনে ‘গণহত্যা’-এর সংজ্ঞার অধীনে পড়ে। জার্মানিদের দ্বারা হাজার হাজার ইহুদিদের উচ্ছেদ ও বিতাড়নের বিপরীতে ইসরায়েল ১৯৪৮ সাল থেকে জোরপূর্বক ৬৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে, নির্বিচারে গণহত্যা করেছে এবং তাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ করেছে। ইহুদিবাদের মতাদর্শ ‘বর্ণবাদ’-এর ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখে, যেমনটা হিটলার ইহুদিদের জার্মান জাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন। নাৎসিরা জার্মানিতে ইহুদি এবং অন্য সংখ্যালঘুদের ‘আন্টারমেনশ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, যার অর্থ ‘উপমানব’। তখন ইহুদি এবং অন্য সংখ্যালঘুদের প্রায়শই ‘কীটপতঙ্গ’ বা ‘ইঁদুর’ হিসেবে চিত্রিত করা হতো। দুঃখজনক হলেও সত্য সংঘর্ষ শুরু হওয়ার দুই দিন পরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ফিলিস্তিনিদের ‘হিউমান এনিম্যাল’ বা ‘মানব প্রাণী’ বলে অভিহিত করেন।

তুরস্কের সম্প্রচার বিভাগের পরিচালক ফাহরেতিন আলতুন ১৭ অক্টোবর মিডিয়া আউটলেট এবং সুশীল সমাজ সংস্থা-উভয়কেই গুজব ও জাল খবর মোকাবিলায় ‘সাধারণ উদ্যোগ’ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা মিডিয়া সংস্থাগুলোর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোকে ভুয়া খবর পাওয়ার আগ্রহ ও এসব খবরের সরবরাহ- উভয় দিককে মোকাবিলা করার জন্য অভিন্ন উদ্যোগ তৈরির আহ্বান জানাই। ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা অবশ্যই আমাদের সবার কর্তব্য এবং তা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আলতুন আরও বলেন, উত্তেজনা ও সংঘাতের সময়ে সাংবাদিক এবং মিডিয়া সংস্থার একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ রয়েছে। তাদের ‘সঠিক তথ্য প্রতিবেদন করতে হবে এবং সব ধরনের গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’ তিনি মনে করেন, ঐতিহ্যগত এবং সামাজিক মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত তথ্যের সত্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা কেবল সংবাদকর্মীদের কাজ নয়, এ কাজ সবার। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সংবাদের ভোক্তারা ‘প্রায়শই সঠিক এবং ভুয়া খবরের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।’ সঠিক খবর না জেনে নিজে বিভ্রান্তিতে থাকা এ যুগে দোষ বলে বিবেচ্য এবং যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিতে থাকে, তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে তাদেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে।

প্রিয় পাঠক, আপনারা এ পর্যন্ত যা কিছু জানলেন, তা তুরস্কের ‘দি আল সাবাহ’ এবং ফিলিস্তিনের ‘দি প্যালেস্টাইন ক্রনিকল’ নামের ইংরেজি পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা থেকে নেওয়া। এ ধরনের বহু সংবাদমাধ্যম প্রমাণ করে যে, যুদ্ধকালে বারুদ বা বোমার ধোঁয়ার চেয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি ছড়ায় গুজব, আর হারাতে থাকে সত্য। যুদ্ধ না বাধলেও বর্তমান বাংলাদেশ যেন গুজবের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশেই শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজার ঢাকঢোল বেজে ওঠার আগেই গুজবের ঢেউয়ের গর্জন কাঁপিয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। পূজায় অস্বাভাবিক কিছু ঘটবে বলে নিশ্চিত ছিলেন দেশের অনেকে। শুধু অপেক্ষা ছিল এ অস্বাভাবিক কিছু কি বিরোধীরা ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে না সরকার নিজেই ঘটিয়ে দায় চাপাবে বিরোধীদের ওপর, তা জানার। বাস্তবে তা ঘটেনি। এবার যুদ্ধ ছাড়াই দামামা বাজল ২৮ অক্টোবর নিয়ে। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০৬ সালের অক্টোবর মাস। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার তখন বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে না পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট তখন তুমুল আন্দোলন করছে। এমন প্রেক্ষাপটে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। ২৯ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল- দশজুড়ে নৈরাজ্য। ইত্তেফাকের খবর অনুযায়ী দেশজুড়ে সহিংসতায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। ২৯ অক্টোবরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। সেদিন অন্তত সাতজন মারা যান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তিন দিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। সেই বিষাদময় ঘটনার ১৩ বছর পর একই দিনে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কায় দেশ-বিদেশের রথী-মহারথীরাও। নব্বই দশকে রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যা চলাকালে রুয়ান্ডার রেডিও এবং টেলিভিশন হুতু জাতির বিপক্ষের তুতসিদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে প্রচার করত ‘তুতসি হলো তেলাপোকা। আমরা তোমাদের মেরে ফেলব।’ ১৯৮৩ সালে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের একটি কমিটিতে সাবেক ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল রাফায়েল ইতান বলেছিলেন যে, আরবরা ‘বোতলের মধ্যে মাতাল তেলাপোকার মতো’। এমন বক্তব্য রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। আসন্ন ২৮ অক্টোবর বা ৩ নভেম্বর নিয়ে যারা যারা প্রচার চালাচ্ছেন, তারা কি সেই ইতিহাস পড়ে দেখবেন একবার? জাতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের আসরে বলতে পারে না ‘খেলা হবে’। মাঠের বাইরে ‘খেলা হবে’ বলে কার কী লাভ? আমেরিকা ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় দুই বছর তিন মাস যুদ্ধ হয়েছিল। এক সময় সব ঝামেলা মিটিয়ে তাদের বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। ফ্রান্সের জনগণের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ফরাসি ভাস্কর ফ্রেডেরিক আগস্ট বার্থোল্ডি দ্বারা ডিজাইন করা ১৫১ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার তামার মূর্তি উপহার দেওয়া হয় আমেরিকার জনগণকে। আমেরিকার নিউইয়র্ক হারবারের লিবার্টি দ্বীপে স্থাপিত এ মূর্তিই হলো জগৎখ্যাত ‘দ্য স্ট্যাচু অব লিবার্টি’, যা সারা বিশ্বে স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিজয়ের প্রতীকও বটে। ২৮ অক্টোবর ১৮৮৬ সালে এ মূর্তিটি উদ্বোধন ও উৎসর্গ করা হয়েছিল। আজ ১৩৭ বছর পরে একই দিনে ২৮ অক্টোবরে ঢাকায়ও সব শঙ্কা দূর করে শান্তি, সমঝোতা ও গণতন্ত্রের বিজয় হোক- এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

email: [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

১৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৩১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৩৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

৪৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

৫৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি
ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু
শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা
টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু
নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন
কেরানীগঞ্জে ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু
৩১ দফার ভিত্তিতে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তোলা হবে: দুলু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল চীনের জনপ্রিয় পাহাড়ি মন্দির
পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল চীনের জনপ্রিয় পাহাড়ি মন্দির

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

২৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা