শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ আপডেট:

গাজার গুজব আর ঢাকার ঢাকঢোল ও দামামা

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
গাজার গুজব আর ঢাকার ঢাকঢোল ও দামামা

সভ্যতা ও মানবতার চরম সংকট চলছে ফিলিস্তিনের গাজা ও গাজার আশপাশের এলাকায়। ফিলিস্তিনবাসীর প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে অকালমৃত্যুর শঙ্কায়। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী হঠাৎ করেই ইসরায়েলে বহুমুখী রকেট হামলা চালায় এবং সবাইকে চমকে দিয়ে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। হামাসের দাবি এই অনুপ্রবেশ ছিল আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলিদের হামলা ও ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ। এ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে একই সঙ্গে মানবতার বিপর্যয় আর গুজবের বিস্তার ঘটছে সমান্তরাল গতিতে। এক্সের মতো নানাবিধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ঝড় তুলেছে এক একটি গুজব। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফরমেও যেন ভুয়া খবর এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। অতর্কিত আক্রমণের বিপরীতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ শুরুর মধ্য দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানায় এবং প্রতিআক্রমণ করে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে অবরুদ্ধ শহরটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে অবিরাম বোমা হামলা চালিয়েছে। এ হামলা থেকে বেসামরিক আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির এবং বাস্তুচ্যুতদের ঠাঁই দেওয়া হাজার বছরের পুরাণ গ্রিক অর্থোডক্স চার্চও বাদ যায়নি। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুসারে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইসরায়েল কমপক্ষে ৫৭৯১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ১৭ অক্টোবর রাতে ইসরায়েল আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ৪৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপর শুরু হয় পরস্পরবিরোধী দাবি ও পাল্টা দাবি। হামাস হাসপাতালে আঘাত করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েল দাবি করছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর ছোড়া রকেট ভুলবশত হাসপাতালে আঘাত হানে। ইসরায়েলের এ দাবিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সমর্থন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ব্যবহারকারী অগণিত মানুষ হামাস কর্তৃক হাসপাতালে ব্যর্থ বা ভুল রকেট আক্রমণের তথাকথিত ভিডিও নেট দুনিয়ায় প্রচার করে। তবে পরে প্রমাণিত হয়েছে, এক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইসরায়েলিদের বেশির ভাগ ফুটেজ ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ধারণকৃত পুরনো ভিডিও থেকে নেওয়া। তদুপরি ফরিদা খান নামক একজন প্রতারক নিজেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক দাবি করে একটি জাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এবং এই মর্মে বিভ্রান্তি ছড়ায় যে, আক্রমণটি হামাস যোদ্ধাদের ‘আয়াশ ২৫০’ রকেট দিয়ে করা হয়েছিল। স্বঘোষিত প্রতিবেদক ফরিদা খান এ হামলাটি প্রত্যক্ষ করেছেন দাবি করে বলেছেন, হামাসের কাছেও ক্ষেপণাস্ত্রটি হাসপাতালে আঘাত করার ভিডিও রয়েছে। পরে জানা যায়, অ্যাকাউন্টটি জাল ছিল এবং আল-জাজিরাতে এমন কোনো প্রতিবেদকও কোনো দিন ছিল না। আল-জাজিরা একটি সতর্কীকরণ বিবৃতি জারি করে জানায় যে, এই অ্যাকাউন্টটির সংবাদ পরিসেবার সঙ্গে আল-জাজিরার কোনো সংযোগ নেই। তারা এমন সংবাদ শেয়ার করার আগে সবাইকে তথ্য যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে।

হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শিশুদের অপহরণ এবং ইসরায়েলি মহিলাদের হত্যা বা ধর্ষণের বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা ইতোমধ্যে গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এসব প্রতিবেদন ও ফুটেজে দেখানো হয়েছে, হামাস যোদ্ধারা আর কখনো কোনো নারী, প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু বা উপাসকদের ক্ষতি করবে না বা পুরনো কিছু ধ্বংস করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। হামাস যোদ্ধারা ‘৪০টি ইসরায়েলি শিশুর শিরশ্ছেদ করেছে’ মর্মে অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তার বক্তব্যে পুনরাবৃত্তি করেন। পরে হোয়াইট হাউস তা প্রত্যাহার করে। ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে (এএ) জানায় যে, এমন হত্যাকাণ্ডের খবর নিশ্চিত করার মতো যথাযথ তথ্য বা প্রমাণ তাদের কাছে নেই। ‘হামাস যোদ্ধাদের মৃতদেহে পাওয়া গোপন নথি’ উদ্ধৃত করে ইসরায়েল অভিযোগ করে যে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে। তবে পরবর্তীতে প্রমাণ হয় যে, এ দাবিটিও সঠিক নয়। কারণ ৭ অক্টোবর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই ইসরায়েল মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। নেগেভ মরুভূমিতে একটি ইসরায়েলি সংগীত উৎসবে হামাসের হামলার একটি কথিত ভিডিও বেশ আলোড়ন তোলে। পরে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের ব্রুনো মার্স কনসার্টের একটি ভিডিও প্রকাশ করার পরে প্রমাণিত হয় যে, এই ভিডিও এমনভাবে নির্মিত যেন মনে হয় যে হামাস ইসরায়েলি সংগীত উৎসবে হামলা করেছে। ‘হামাস ফিলিস্তিনিদের দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে’ এমন প্রচারণাও গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত ফুটেজটি মূলত ২০১৩ সালের। এ ভিডিওতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ অংশে একটি মর্মান্তিক ঘটনা দেখানো হয়, যেখানে কমপক্ষে ৪১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছিলেন। এ ঘটনাটি হামাস বা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। গাজার পশ্চিমতীর, জেরুজালেম এবং বিশ্বের বাকি অংশেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের বিষয়ে যা কিছু দেখানো হয়, তা-ও পুরোপুরি সত্য নয়। আবার জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকায় ফিলিস্তিনিরা ‘ইসরায়েলিদের নির্মমভাবে মারছে’ এমন দাবিগুলোও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ভিডিওগুলোতে দেখা যায় যে, উল্টো ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি কর্মীদের আক্রমণ করছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটাও দাবি করা হয় যে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ‘বন্ধু রাষ্ট্র ইসরায়েল যে সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হচ্ছে’, তার নিন্দা করেছেন। বাস্তবে প্রেসিডেন্ট এ ধরনের বিবৃতি দেননি বিধায় এমন প্রচারণা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিন থেকে আগত উদ্বাস্তুদের তুরস্ক ঠাঁই দেবে বলে রব ওঠে। এমনও বলা হয়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ফাতিহ পোর্তকাল দাবি করেছেন যে, আঙ্কারা প্রায় ৫ লাখ ফিলিস্তিনিকে তুরস্কে পুনর্বাসনের বিষয় বিবেচনা করছে। বাস্তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কোনো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না এবং দাবিগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ছড়ানো তথ্য মোতাবেক তুরস্ক ‘শাকসবজি এবং ফল পাঠিয়ে’ ইসরায়েলকে সাহায্য করছে। বাস্তবে ইসরায়েলকে কোনো সরকারি সাহায্য প্রদান করেনি মর্মে তথ্য দিয়েছে তুরস্ক সরকার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিযুক্ত তুরস্কের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে ইসরায়েলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সামুদ্রিক বাণিজ্য পরিচালনার জন্য তাদের চুক্তির আলোকে ব্যবসা করছে, যা ইসরায়েলকে তুরস্কের সাহায্য হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ৫ লাখ ইসরায়েলি প্রতিবাদ করছে, এমন দাবিটিও মিথ্যা। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ফুটেজটি ৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিঠে বস্তা বহনকারী একটি গোষ্ঠীকে চিত্রিত করে দাবি করা হয়েছে যে, মিসরীয়রা গাজায় সাহায্য বিতরণ করছে। বাস্তবে এ দৃশ্য ছিল মিসর-লিবিয়া সীমান্তের, গাজার নয়। একইভাবে একটি আবাসিক এলাকায় বোমা মারার একটি ছবিতে ইসরায়েল সিরিয়ায় বোমা হামলা চালানোর মুহূর্তকে চিত্রিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও ছবিটি আসলে ইসরায়েল কর্তৃক গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণের, সিরিয়ার নয়।

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রেক্ষাপটে দেখানো হয় যে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ‘নির্মূল’ করার এমন নীতি অনুসরণ করছে, যা জার্মানির নাৎসিরা করেছিল ইহুদিদের বিরুদ্ধে। মূলত ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের অপরাধ করছে, যার সব কটিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশনে ‘গণহত্যা’-এর সংজ্ঞার অধীনে পড়ে। জার্মানিদের দ্বারা হাজার হাজার ইহুদিদের উচ্ছেদ ও বিতাড়নের বিপরীতে ইসরায়েল ১৯৪৮ সাল থেকে জোরপূর্বক ৬৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে, নির্বিচারে গণহত্যা করেছে এবং তাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ করেছে। ইহুদিবাদের মতাদর্শ ‘বর্ণবাদ’-এর ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখে, যেমনটা হিটলার ইহুদিদের জার্মান জাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন। নাৎসিরা জার্মানিতে ইহুদি এবং অন্য সংখ্যালঘুদের ‘আন্টারমেনশ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, যার অর্থ ‘উপমানব’। তখন ইহুদি এবং অন্য সংখ্যালঘুদের প্রায়শই ‘কীটপতঙ্গ’ বা ‘ইঁদুর’ হিসেবে চিত্রিত করা হতো। দুঃখজনক হলেও সত্য সংঘর্ষ শুরু হওয়ার দুই দিন পরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ফিলিস্তিনিদের ‘হিউমান এনিম্যাল’ বা ‘মানব প্রাণী’ বলে অভিহিত করেন।

তুরস্কের সম্প্রচার বিভাগের পরিচালক ফাহরেতিন আলতুন ১৭ অক্টোবর মিডিয়া আউটলেট এবং সুশীল সমাজ সংস্থা-উভয়কেই গুজব ও জাল খবর মোকাবিলায় ‘সাধারণ উদ্যোগ’ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা মিডিয়া সংস্থাগুলোর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোকে ভুয়া খবর পাওয়ার আগ্রহ ও এসব খবরের সরবরাহ- উভয় দিককে মোকাবিলা করার জন্য অভিন্ন উদ্যোগ তৈরির আহ্বান জানাই। ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা অবশ্যই আমাদের সবার কর্তব্য এবং তা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আলতুন আরও বলেন, উত্তেজনা ও সংঘাতের সময়ে সাংবাদিক এবং মিডিয়া সংস্থার একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ রয়েছে। তাদের ‘সঠিক তথ্য প্রতিবেদন করতে হবে এবং সব ধরনের গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’ তিনি মনে করেন, ঐতিহ্যগত এবং সামাজিক মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত তথ্যের সত্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা কেবল সংবাদকর্মীদের কাজ নয়, এ কাজ সবার। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সংবাদের ভোক্তারা ‘প্রায়শই সঠিক এবং ভুয়া খবরের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।’ সঠিক খবর না জেনে নিজে বিভ্রান্তিতে থাকা এ যুগে দোষ বলে বিবেচ্য এবং যারা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিতে থাকে, তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে তাদেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে।

প্রিয় পাঠক, আপনারা এ পর্যন্ত যা কিছু জানলেন, তা তুরস্কের ‘দি আল সাবাহ’ এবং ফিলিস্তিনের ‘দি প্যালেস্টাইন ক্রনিকল’ নামের ইংরেজি পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা থেকে নেওয়া। এ ধরনের বহু সংবাদমাধ্যম প্রমাণ করে যে, যুদ্ধকালে বারুদ বা বোমার ধোঁয়ার চেয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি ছড়ায় গুজব, আর হারাতে থাকে সত্য। যুদ্ধ না বাধলেও বর্তমান বাংলাদেশ যেন গুজবের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশেই শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজার ঢাকঢোল বেজে ওঠার আগেই গুজবের ঢেউয়ের গর্জন কাঁপিয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। পূজায় অস্বাভাবিক কিছু ঘটবে বলে নিশ্চিত ছিলেন দেশের অনেকে। শুধু অপেক্ষা ছিল এ অস্বাভাবিক কিছু কি বিরোধীরা ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে না সরকার নিজেই ঘটিয়ে দায় চাপাবে বিরোধীদের ওপর, তা জানার। বাস্তবে তা ঘটেনি। এবার যুদ্ধ ছাড়াই দামামা বাজল ২৮ অক্টোবর নিয়ে। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০০৬ সালের অক্টোবর মাস। বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার তখন বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে না পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট তখন তুমুল আন্দোলন করছে। এমন প্রেক্ষাপটে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। ২৯ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল- দশজুড়ে নৈরাজ্য। ইত্তেফাকের খবর অনুযায়ী দেশজুড়ে সহিংসতায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। ২৯ অক্টোবরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। সেদিন অন্তত সাতজন মারা যান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তিন দিনের রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। সেই বিষাদময় ঘটনার ১৩ বছর পর একই দিনে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে শঙ্কায় দেশ-বিদেশের রথী-মহারথীরাও। নব্বই দশকে রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যা চলাকালে রুয়ান্ডার রেডিও এবং টেলিভিশন হুতু জাতির বিপক্ষের তুতসিদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে প্রচার করত ‘তুতসি হলো তেলাপোকা। আমরা তোমাদের মেরে ফেলব।’ ১৯৮৩ সালে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের একটি কমিটিতে সাবেক ইসরায়েলি সেনাপ্রধান জেনারেল রাফায়েল ইতান বলেছিলেন যে, আরবরা ‘বোতলের মধ্যে মাতাল তেলাপোকার মতো’। এমন বক্তব্য রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। আসন্ন ২৮ অক্টোবর বা ৩ নভেম্বর নিয়ে যারা যারা প্রচার চালাচ্ছেন, তারা কি সেই ইতিহাস পড়ে দেখবেন একবার? জাতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের আসরে বলতে পারে না ‘খেলা হবে’। মাঠের বাইরে ‘খেলা হবে’ বলে কার কী লাভ? আমেরিকা ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় দুই বছর তিন মাস যুদ্ধ হয়েছিল। এক সময় সব ঝামেলা মিটিয়ে তাদের বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। ফ্রান্সের জনগণের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ফরাসি ভাস্কর ফ্রেডেরিক আগস্ট বার্থোল্ডি দ্বারা ডিজাইন করা ১৫১ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার তামার মূর্তি উপহার দেওয়া হয় আমেরিকার জনগণকে। আমেরিকার নিউইয়র্ক হারবারের লিবার্টি দ্বীপে স্থাপিত এ মূর্তিই হলো জগৎখ্যাত ‘দ্য স্ট্যাচু অব লিবার্টি’, যা সারা বিশ্বে স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিজয়ের প্রতীকও বটে। ২৮ অক্টোবর ১৮৮৬ সালে এ মূর্তিটি উদ্বোধন ও উৎসর্গ করা হয়েছিল। আজ ১৩৭ বছর পরে একই দিনে ২৮ অক্টোবরে ঢাকায়ও সব শঙ্কা দূর করে শান্তি, সমঝোতা ও গণতন্ত্রের বিজয় হোক- এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

email: [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির
অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন পর্যন্ত এনআইডি সংশোধন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইসির
নির্বাচন পর্যন্ত এনআইডি সংশোধন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইসির

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ
ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক
মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

৪৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

৪৯ মিনিট আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

৫১ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে