শ্রম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি তিন বছর পর পর মূল্যায়ন ও পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মজুরি না দিলে শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ, মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের জন্য আপৎকালীন তহবিল, ট্রেড ইউনিয়ন শর্ত শিথিল, স্থায়ী কাজের জন্য আউটসোর্সিং নিয়োগ বন্ধ, নারীশ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করা, স্থায়ী শ্রমিক কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সুপারিশ রয়েছে। সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতি প্রদান, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, কর্মক্ষেত্রে শ্রেণি-ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে ‘তুই-তুমি’ সম্বোধন বন্ধ করা, মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় মজুরি নির্ধারণ, কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, শ্রমিকদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য শ্রম আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, হয়রানি বন্ধের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় পেনশন স্কিমের অধীনে শ্রমিকবান্ধব পেনশন স্কিম চালুর পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকায় শ্রমিকদের জন্য কার্ডভিত্তিক রেশন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সব শ্রমিকের সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, শিশু-কিশোর ও জবরদস্তিমূলক শ্রম বন্ধ করা, চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান ও শ্রমিক আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের শহীদের স্বীকৃতি প্রদান, শ্রমসংক্রান্ত গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আলাদা বিভাগ গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে। ‘শ্রমজগতের রূপান্তর-রূপরেখা, শ্রমিক অধিকার, সুসমন্বিত শিল্প সম্পর্ক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ২৫টি সুপারিশ রয়েছে। প্রতিবেদন নিয়ে শ্রম সংস্কার কমিশনকে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যাতে এ নিয়ে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। কারণ এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। শ্রম সংস্কার কমিশনকে শ্রমসাধ্য, গবেষণালব্ধ এ প্রতিবেদন পেশের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের যৌক্তিক সুপারিশসমূহের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি। সরকার আগামী মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন করতে চায়। তার আগে প্রয়োজনে একটা শ্রম সম্মেলন আয়োজন করে, আলোচনার মাধ্যমে, শ্রমিকবান্ধব যুগান্তকারী শ্রমনীতি প্রণয়নে সব অংশীজনের ঐকমত্যে উপনীত হওয়া উচিত।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল