‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ প্রবচন সুপ্রাচীন। বিষয়টা সমাজে অপচর্চার বাজে নজিরে পরিণত হয়েছে। দিন যায়, সরকার বদলায়, স্বৈরাচারের পতন হয়- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়- কিন্তু মামলাবিতর্ক কমে না। বড়ই দুর্ভাগ্য জাতির। নিরপরাধ ব্যক্তিদের জড়িয়ে মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একটা মামলায় শয়ে শয়ে মানুষকে আসামি করা হচ্ছে। এসব মামলা ঘিরে গড়ে উঠছে চাঁদাবাজ চক্র। চাঁদা না দিলেই আসামি হিসেবে জড়ানো হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীর সঙ্গে কুমতলবে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিরীহ-নিরপরাধ ব্যক্তিদের নাম। বাদীরা এজাহারে উল্লিখিত অধিকাংশ মানুষকে চেনেনই না। এতে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে জুলাই-আগস্টের রোমহর্ষক ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলো। এসব মামলা প্রশ্নবিদ্ধ হলে বা গুরুত্ব হারালে তার সুযোগ নেবে স্বৈরাচারের দোসররা। এসব ঘটনায় লাগাম টানতে না পারায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে। খোদ আইজিপি খেদের সঙ্গে স্বীকার করেছেন, মামলা মিথ্যা না, তবে আসামির সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া বন্ধ করতে পারছি না। এটা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হয়তো কোনো অপরাধ করেছে পাঁচ-দশজন, কিন্তু মামলার আসামি করা হচ্ছে তিন-চার শ লোককে। তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। টার্গেট করা হচ্ছে বড় বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতানোর পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে এ দুরাচার-দুবর্ৃৃত্তায়নের অবসান হওয়া চাই। যে সাম্য, ন্যায্যতা, দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনে পথে নেমেছিল দেশের আপামর জনসাধারণ, তার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধার। মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় মানুষের সেই মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শান্তি-স্বস্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে- সমাজ, ব্যবসাবাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। অসৎ চক্র লেবাস পাল্টে আজও অশুভ কলকাঠি নেড়ে চলেছে। এটা কিছুতেই চলতে পারে না। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আজও যদি সমাজে, ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ নিশ্চিত না হয়, তা হলে আর কবে হবে? রাজনৈতিক দুষ্টচক্রের দৌরাত্ম্যমুক্ত পরিবেশে কাজ করার এমন সুযোগ বারবার আসবে না।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ জুন)
- ‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা
- বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ
- কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত
- উখিয়ায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলিতে একজন নিহত
- কুষ্টিয়ায় র্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার
- কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি
- ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প
- অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে আগামী বছর
- কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের
- আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি ১৩ হাজার টাকায়
- রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা গ্রেফতার
- লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে দেশ : আমীর খসরু
- বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল
- ইসরায়েলে হামলায় আরেকটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান
- নাটোরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ আটক ১৪
- বাংলাদেশে ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে ইইউ
- ইরান অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না বলে একমত জোট : ন্যাটো প্রধান
- নেতানিয়াহুকে ‘হাঁটু গেড়ে না বসানো’ পর্যন্ত হামলা চলবে: ইরান
- ইরানের বিষয়ে এখনও কূটনীতিতে আগ্রহী ট্রাম্প: হোয়াইট হাউস
এখনো মামলাবাণিজ্য
শিষ্টের পালন নিশ্চিত করুন
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

আকাশ প্রতিরক্ষায় ইরানের ভরাডুবি: রাশিয়ার যে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার খেসারত
১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম