বুধবার, ১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জের কাজ মিশন এক্সট্রিম

ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জের কাজ মিশন এক্সট্রিম
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ। দুই বাংলাতেই দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন। তার বেশ কিছু ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

‘ঢাকা অ্যাটাক’র পর অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী ছবি ‘মিশন এক্সট্রিম’-এ যুক্ত হয়েছেন। সিক্যুয়েল ছবিতে কাজ করার কারণ কী?

প্রত্যেকটা কাজ আমার যে বিশ্বাসের জায়গা থেকে করি সেটা হলো, একটা ভালো কাজ হবে। দর্শকের ভালো লাগবে, ইন্ডাস্ট্রিটা এগিয়ে যাবে। এই ছবিটাও সেই বিশ্বাস থেকেই করা। সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের এই ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে মনে হয়েছে আমি আসলে ভুল করিনি। ছবি শুরু করার আগে যে ধরনের প্রস্তুতি দরকার হয়, মনে হয় সেটা নিয়েই কাজটা শুরু করতে পেরেছি। এ ছবিটা আমার সিনেমার ক্যারিয়ারের শুরুটা অনেকটা মসৃণ করে দেবে।

 

ফিজিক্যাল ট্রান্সফরমেশনের জন্যও তো অনেক পরিশ্রম করেছেন। প্রায় ৯ মাস ধরে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন...

‘মিশন এক্সট্রিম’ আমার করা সবচেয়ে ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জের একটা কাজ। কঠিন রুটিনের মধ্য দিয়ে নিজের শারীরিক গঠনে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমাদের এখানে হয়তো এর আগে এভাবে কাজ হয়নি। আর যে চরিত্রটি করেছি এর কোনো রেফারেন্স ছিল না। জিরো গ্রাউন্ড থেকে ক্যারেকটার ডেভেলপ করতে হয়েছে। আমি যে সামনে থেকে দেখব এ ধরনের ফিজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন কেউ করেছে আমাদের এখানে, সেটাও নেই। কারণ আমরা এভাবে ফিজিক্যাল লেবার দিয়ে অভ্যস্ত না। গ্রুমিং ও শুটিংয়ের জন্যও দীর্ঘ সময় দিয়েছি।

 

অনেক গোপনীয়তার মধ্যে ‘মিশন এক্সট্রিম’র শুটিং চলেছে। কিছু গোপন চমক বলবেন কী?

এই সিনেমাটিতে অসংখ্য নতুন কিছু বিষয় চেষ্টা করেছি। সিনেমা আমার কাছে ঈদের নতুন জামার মতো। সব কিছু আগেই যদি বলে দিই তাহলে তার আমেজটা আর থাকে না, তাই না?

 

সহশিল্পীরা কতটুকু সহযোগিতাপরায়ণ?

পুরো ইউনিট নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছে। তবে একটা কথা বিশেষভাবে বলব, আমার ক্যারিয়ারে এত লম্বা আর্টিস্টের লিস্টে কখনো কাজ করা হয়নি। সবাই খুবই কো-অপারেটিভ ছিল।

 

ছবিটির কিছু শুটিং বাকি রয়েছে শুনেছি। বাকি শুটিং কোথায় হবে?

টানা শুটিং হয়েছে, একটু বাকি রয়েছে। বাকিটা মধ্যপ্রাচ্যে হবে।

 

‘সাপলুডু’ ছবিটির ফাস্টলুক দর্শক প্রশংসিত হয়েছে। ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?

আমি প্রচ- উচ্চাকাক্সক্ষা নিয়ে কাজ করি না। ডিরেক্টর যেভাবে চান, চেষ্টা করি সেভাবে করার। সিনেমা হলো সন্তানের মতো। সবাই চায় তার সন্তানকে দেখে সবাই গর্ব করুক। তাই সবসময় চেষ্টা করি যেন আমার কাজটি বেস্ট হয়। ভবিষ্যতে দোদুল ভাইয়ের এই ছবিটি দর্শক কীভাবে নেবে তা মুনি-ঋষি ছাড়া কেউই বলতে পারবেন না। ফার্স্টলুক দর্শকদের ভালো লেগেছে বলে আমার ভালো লাগছে। আমরা দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার জন্য কাজ করি। একটি ভালো ছবি নির্মাণ করতে আমাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। যখন প্রশংসা পাই, তখন নিজের কষ্টটা সার্থক হয়েছে মনে হয়। 

 

বাংলাদেশি যুবকরূপে ‘আহা রে’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এবার দিল্লির ‘হ্যাবিট্যাট চলচ্চিত্র উৎসব’-এ প্রিমিয়ার হবে। ছবিটি আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

দুই ধর্মের মানুষের ভালোবাসার গল্প উঠে এসেছে, যা আবর্তিত হয়েছে খাবারকে ঘিরে। ছবিটি ১৭ ও ২৬ মে এই উৎসবে দেখানো হবে। এটি অবশ্যই আমার নিকট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কলকাতার একক প্রযোজনায় এটি আমার প্রথম চলচ্চিত্র। এটি নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করেছি।

 

দুই দেশের কাজের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়?

এ বিষয় নিয়ে তেমন কিছুই বলতে চাইছি না। তরে প্রযুক্তি, দক্ষতা আর ডেডিকেশন অনেক বেশি ইমপর্টেন্ট।

সর্বশেষ খবর