নতুন কি করছেন?
নতুন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা চলছে। জাদুশিল্পে নতুন কিছু না করতে পারলে দর্শক গ্রহণ করবে না।
শো কেমন চলছে?
আগামী মাসে আমেরিকায় শো করার কথা চলছে।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন।
বিজ্ঞাপনচিত্রে আমি খুব একটা কাজ করি না। এবারের ভাবনা পছন্দ হয়েছে। পাশাপাশি আমাকে আমার মতো করে উপস্থাপন করা হয়েছে। যদি ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয়, তাহলে কোনো বাধাই কাউকে আটকে রাখতে পারে না। এটাই বিষয় ছিল।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কি কাজ করছেন?
আমরা বিভিন্ন জায়গায় শিশুশ্রম, জন্মনিবন্ধন, বাল্য বিয়ে, শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধ, মাতৃস্বাস্থ্য, এইডস এবং বস্তির শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ে প্রচার, জনসচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করেছি।
আপনি নিজে কার জাদু পছন্দ করেন?
বিশ্বের অনেক জাদুকরের জাদু আমি দেখেছি। তার মধ্যে অনেকেই আবার আমার বন্ধু। এদের মধ্যে ডেভিড কপারফিল্ড, গ্যারি কার্টস, জেফ ম্যাকব্রাইট ও ইউজিন বার্গার অতুলনীয়।
জাদুশিল্পে আমরা কি পিছিয়ে আছি?
আমার কাছে কিন্তু তা মনে হয় না। আমাদের দেশে জাদুর ইতিহাস কিন্তু অনেক বছর আগে থেকে। এক সময় গ্রামীণমেলা, রাস্তায় রাস্তায় জাদু প্রদর্শর্নী করা হতো। ওটাই কিন্তু আমাদের জাদুশিল্পের শুরু। আর বাংলাদেশে আমি প্রথম অডিটরিয়াম কিংবা শুধু জাদু প্রদর্শনীর জন্য শো করা শুরু করি। আজ আমি জাদু নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে ঘুরে এসেছি। আমার কাছে মনে হয়, জাদুশিল্পে আমরা পিছিয়ে নেই।
জাদুশিল্পী হয়ে বাঁশি বাজানোর প্রতি আকর্ষণ কেন?
আমার বাবা ভালো একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন। তাই আমারও কিন্তু অাঁকাঅাঁকির আকর্ষণটা অনেক। আবার ছোটবেলায় গ্রামের মেলায় বাঁশি দেখে এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বেদেদের বাঁশি বাজানো দেখে আমার আগ্রহ জন্মায় বাঁশি বাজানোর প্রতি।
আর জাদুর প্রতি মোহটা সৃষ্টি হয় কি করে?
কারও জাদু দেখে নয়, কেবল বই পড়েই জাদুর প্রতি মোহাবিষ্ট হই আমি। ছোটবেলা থেকেই জাদুর প্রতি অন্যরকম একটা টান অনুভব করতাম।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানের সঙ্গে এক হকি ম্যাচে বাংলাদেশ ১৭ গোলে হেরে যায়। এভাবে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হেরে যাওয়াটা মেনে নিতে পারিনি। এরপর শপথ নেই, যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে সম্মানের আসনে বসাতেই হবে। সেই থেকেই আমার জাদুর চর্চা শুরু।
আপনার একটি বিশাল সংগ্রহশালা আছে।
আমার সংগ্রহশালার অধিকাংশই বই। কিছু দুর্লভ বইও রয়েছে, যার প্রকাশ বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া আমার সংগ্রহশালার আরেক বড় অংশজুড়ে আছে প্রচুর ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, ডিভিডি এবং সিডি। এর অধিকাংশই ক্লাসিক কিংবা ক্লাসিক্যাল। এখানে আরও আছে কয়েকশ' দেশি-বিদেশি বাঁশি। এর মধ্যে নিজে আবিষ্কার করা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার একটি বাঁশিও রয়েছে। পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া এই বাঁশির নাম রেখেছেন 'জুয়েল বাঁশি'। এখানে সবচেয়ে বড় সংগ্রহ জাদুর সরঞ্জাম।
জাদু নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
ভবিষ্যতে একটি ম্যাজিক একাডেমি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। এখন আমি এ ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ষ আলী আফতাব