টালিগঞ্জের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জির 'বিয়ের ফাঁদে' পড়ছেন কে? পাত্র হিসেবে ইতিমধ্যে আমাদের ফেরদৌস পিঁড়িতে বসে পড়েছেন। আর পাত্রী? এপার আর ওপার বাংলা মিলিয়ে পাত্রী হবেন দুজন। ওপার বাংলার রাইমা সেনও ছাদনা তলায় এসে গেছেন। মানে পাত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে গেছেন। কিন্তু এপার বাংলার পাত্রী হিসেবে কেউই এখনো বাসুদার মন ভেজাতে পারেননি।
কলকাতা আর ঢাকার যৌথ আয়োজনের এই চলচ্চিত্রে আমাদের প্রযোজক হলেন নায়ক ফেরদৌস। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কে হচ্ছেন বাসুদা এবং আপনার ঢাকার নায়িকা। কিন্তু রহস্যের ঝাঁপি এখনই খুলতে নারাজ তিনি। বললেন, বিষয়টি বাসুদার একান্তই নিজের ব্যাপার। আমি কিছুই জানি না। কায়দা করে এড়িয়ে গেলেন তিনি। তাতে কি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এ চলচ্চিত্রের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রকে খুঁজে বের করা হলো। আপন পরিচয় গোপনের শর্তে হালকা করে ঝাঁপির ঢাকনা সরালেন তিনি। বললেন, অনেক নায়িকার ছবি বাসুদার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাকা জহুরি বাসুদা চোখের পলকে তিনজনের ছবি পছন্দের ফাইলে ফিতাবন্দী করেছেন। তিনজনকেই সমানভাবে মনে ধরায় কাকে ফেরদৌসের পাশের পিঁড়িতে বসাবেন তাই নিয়ে এখন তিনি ভেবে দিশাহারা। বাসুদার মন জয় করা এ সৌভাগ্যবতীরা হলেন, জয়া, তিশা ও মিম। সূত্রটি বলছে, সময় বেশি গড়াবে না। ক্যারেক্টারের অঙ্ক কষে শীঘ্রই বাসুদা জানান দেবেন বিয়ের ফাঁদে পড়ছেন কে? কারণ ছবির গল্প তারই হাতে গড়া।
ফেরদৌস জানান, তার প্রথম প্রযোজিত ছবি 'এক কাপ চা' এখন সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে।
ঈদের পর ছবিটি মুক্তি দিয়ে শুরু করবেন 'বিয়ের ফাঁদে' ছবির কাজ। তাই বাসুদার হাতেও পাত্রী নির্বাচনের জন্য থাকছে অঢেল সময়। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত জয়া, তিশা নাকি মিম, কে পড়ছেন বাসুদার বিয়ের ফাঁদে।