'পিকে' ছবির পোস্টারে আমির খানের আমির খানের নগ্নতা নিয়ে সারাভারতে সোরগোল থেমে নেই। কিন্তু যিনি ওই পোস্টারে শুধু সেকেলে রেডিও দিয়ে লজ্জা ঢেকে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই আমির মনে করেন পোস্টারটি মোটেও অভদ্র নয়। আর এটা পুরোপুরি অশ্লীলতার আওতায়ও পড়ে না। পিকের পরিচালক রাজকুমার হিরানিকে নিয়ে ২৫ আগস্ট আদালতে এসব যুক্তি দাঁড় করান আমির খান।
আমির ও হিরানি জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠান ফিল্ম পাবলিসিটি স্ক্রিনিং কমিটি পোস্টারটি প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে। তার আগে নিশ্চয়ই নারী বা অন্য কারও ভাবমূর্তিতে আঘাত করবে কি-না সেটা খুব ভালোভাবেই বিবেচনা করা হয়েছে। এই অনুমোদন পাওয়ার পরও মামলার রোষে পড়া আইন বহির্ভূত। তাই এই মামলা এখনই খারিজ করে দেওয়া উচিৎ বলে দাবি করেন আমির ও হিরানি।
হেমন্ত পাতিল নামে এক সমাজকর্মী আমিরের এই পোস্টার নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। তার দাবি, ছবি থেকে এমন আপত্তিকর দৃশ্য তুলে না নেওয়া পর্যন্ত যেন ছবিটি মুক্তি না দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আমির ও হিরানি বলেন, ‘আমাদের ছবির কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। কিছু দৃশ্যধারণ এখনও বাকি আছে। তাই সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের পরীক্ষা করে দেখার প্রশ্ন উঠছে কেনো?’
তারা আরও বলেন, কিছুদিন আগেই এই একই মামলা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছিলো। আর এবারও এটি খারিজ করে দেওয়া উচিৎ। এরপর দেওয়ানি আদালতের বিচারক এমএস শর্মা এমন যুক্তিতর্ক দেখে পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করেন ২৭ আগস্ট।