কিছুদিন আগে ভারতীয় অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তের নগ্ন সেলফি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে মিডিয়ায়। এবার ফাঁস হলো রাধিকা অভিনীত কয়েক সেকেন্ডের একটি নগ্ন দৃশ্য। দৃশ্যটি অনুরাগ কাশ্যাপ পরিচালিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অংশ।
রবিবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওই দৃশ্যটি। এভাবে দৃশ্যটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভীষণ ক্ষুব্ধ এই নির্মাতা। তিনি বিষয়টি নিয়ে মুম্বাই পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন। ২০ মিনিট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটির পরিচালক অনুরাগ কাশ্যাপ জানান, সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি এই চলচ্চিত্রে অংশ নিয়ে রাধিকা তার সাহস এবং প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন।
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এ ব্যাপারে অনুরাগ বলেন, 'আমার গল্পটি একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এবং এটা খুবই শক্তিশালী একটি চলচ্চিত্র। এটি তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল কারণ, অল্প সময়ের জন্য এই সিনেমার একটি দৃশ্যে অভিনেত্রীকে কাপড় ওঠাতে হয় এবং তার নিম্নাঙ্গ প্রদর্শন করতে হয়। এই সিনেমার জন্য আংশিক নগ্নতার দৃশ্যটি সত্যিই জরুরি ছিল। দৃশ্যটি যাতে যৌন আবেদনময় না দেখায়, সেজন্য আমাদের অনেক সময় লেগেছে এর শুটিং-এ। দৃশ্যটি কোনোভাবেই যৌন উত্তেজক ছিল না এবং আমরা সেটা নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন- তার সবই করেছি।'
তিনি বলেন, 'রাধিকা আপ্টে নিজে এই দৃশ্য নিয়ে গর্বিত ছিলেন। কিন্তু আপনি যখন কোনো কারণ ছাড়াই এরকম একটি ভিডিও ছেড়ে দেবেন, লোকে অবশ্যই এটা নিয়ে হাসাহাসি করবে। আপনি একজন নির্মাতা হিসেবে এক পা এগোনোর চেষ্টা করবেন তো, অন্যরা আপনাকে পাঁচ কদম পেছনে ঠেলে দেবে। তিনি (রাধিকা আপ্টে) এখানে নিজেকে অসহায় মনে করছেন এবং এর জন্য নিজেকেই দায়ী মনে হচ্ছে আমার।'
অনুরাগ আরও বলেন, 'এরকম একটি দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য কাউকে খুঁজে বের করাটা মোটেও সহজ ছিল না। স্পর্শকাতর এই দৃশ্যের জন্য আমাদের শুটিং ক্রুর সবাই ছিলেন নারী। এবং পোস্ট প্রোডাকশনের প্রতিটি ধাপে নারীরা ছিলেন। পোস্ট প্রোডাকশনের প্রতিটি ধাপে দৃশ্যটি পাঠানোর আগে হয় এটিকে খালি রাখা হতো, অথবা দৃশ্যটিকে আবছা করে দেওয়া হতো। আর তাই অনেকে জানতেনই না যে, এরকম একটি দৃশ্য চলচ্চিত্রটিতে আছে। সবদিক দেখে শুনে একমাস আগে ফিল্মটি নিউ ইয়র্কে পাঠানো হয়। আর এখন হঠাৎ করে কোত্থেকে যেন এই দৃশ্যটি ফাঁস হয়ে গেল।'
অনুরাগ জানান, এরমধ্যেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার অংশ। একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা তৈরি করতে এই প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের নির্মাতারা। এটি কেবল আন্তর্জাতিক বাজারেই মুক্তির কথা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ