সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আমেজে ভাসছে দেশ। এরই মধ্যে প্রার্থীরা শেষ করেছে তাদের প্রচারণা। আজ ভোট প্রদানের দিন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ নির্বাচন নিয়ে আনন্দের কমতি নেই শোবিজ তারকাদেরও। নিজ নিজ এলাকায় ভোট দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। তারকারা কে কোথায় ভোট দেবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে নিম্নে তা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
নায়করাজ রাজ্জাক
ভোট নাগরিক অধিকার। প্রত্যেকেরই উচিত ভোট প্রদানে অংশগ্রহণ করা। আমি সবসময়ই ব্যস্ততার মাঝেও ভোট প্রদানের চেষ্টা করি। এবার দায়িত্বটা আরও বেড়ে গেছে। কারণ অনেক বছর পর মেয়র নির্বাচনের সুযোগ এসেছে। গুলশান মডেল হাইস্কুলে বাপ্পারাজ বাপ্পি, সম্রাট ও লক্ষ্মীকে নিয়ে ভোট দিতে যাব। ভোট দিতে যেতে পারছি এটা ভেবেই খুব আনন্দ লাগছে।
সুচন্দা
ভোটের দিনটি ঈদের মতো উৎসবমুখর মনে হয়। ভোট প্রদান থেকে পারতপক্ষে বিরত থাকি না। অনেক দিন পর একজন নগরপিতা নির্বাচন করব। যিনি আমাদের সুখ-দুঃখের সাথী হবেন। তারা নগরবাসীর চাওয়া-পাওয়া পূরণ করবেন। তাই সকাল সকাল ভোট দিতে চলে যাব। বাসার কাছেই ইস্কাটন গার্ডেন স্কুলে আমার ভোটকেন্দ্র।
সুবীর নন্দী
আমি দক্ষিণের ভোটার। ভোট দেওয়া একটি নাগরিক অধিকার। এ অধিকার থেকে আমি নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই না। সকাল বেলা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে যাব। এ শহরটাকে নাগরিকের বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন- আশা করি এবারের নগরপিতা তা পূরণ করবেন।
আজিজুল হাকীম
আমি উত্তরের ভোটার। নির্বাচনের আমেজে আছি। এ শহর একজন যোগ্য নগরপিতা উপহার পাবে আজ। অন্য সবার মতো আমিও অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ভোট দিতে যাব। আশা করব, সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আমরা একজন ভালো নগরপিতা পাব। আমাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা দূর হবে।
শাকিব খান
শুটিং বা যে কোনো ব্যস্ততাই থাকুক ভোট কখনো মিস করি না। কারণ ভোট প্রদান হচ্ছে নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য। গুলশান মডেল হাইস্কুলে সকালেই ভোট দিতে চলে যাব। আজ কোনো শুটিং নেই। তার ওপর নির্বাচনের দিন। বেশ উৎসবের আমেজে আছি। দীর্ঘদিন পর একজন নগরপিতা নির্বাচন করব।
মৌসুমী
প্রায় একযুগ পর সিটি মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকায়। খুব আনন্দ লাগছে। কখনো ভোট প্রদান মিস করি না।
আপনজনদেরও ভোট দিতে উৎসাহিত করি। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে উত্তরা হাইস্কুলে সকালে আমি, ওমর সানী ও ইরিন ভোট দিতে যাব। ফিরে এসে ভুনা-খিচুড়ি ও গরুর মাংস রান্না করব।
ওমর সানী
ভোট এলে আনন্দিত হই সত্যি। পরে যখন প্রার্থীরা কথা রাখেন না তখন কষ্ট পাই। আশা করছি, এবার তেমনটি হবে না। কারণ প্রায় সবাই যোগ্যপ্রার্থী। তাই আগামীতে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ঢাকা শহরের প্রত্যাশায় আছি। সবাই মিলে সকাল সকাল উত্তরা হাইস্কুলে ভোট দিতে চলে যাব।
শাবনূর
আজ মহোৎসবের দিন। দীর্ঘদিন পর একজন নগরপিতা নির্বাচন করার সুযোগ পেলাম। আমার সৌভাগ্য এখন দেশে আছি। তাই অনিককে নিয়ে ইস্কাটন গার্ডেন স্কুলে ভোট দিতে যাব। আশা করছি, যিনি নগরপিতা নির্বাচিত হবেন তিনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।
অপু বিশ্বাস
আমি ভোটার হয়েছি বেশি দিন হয়নি। এখন পর্যন্ত যতবার নির্বাচন হয়েছে ভোট দিয়েছি। আমি একা নই, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাই। এবারও তাই করব। গুলশান মডেল হাইস্কুলে সকালেই চলে যাব। আজ কোনো শুটিং বা অন্য কোনো কাজ নেই। বাসায় ফিরে মজার সব খাবার রান্না ও ভোটের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করব।
এসআই টুটুল
আমি উত্তরের ভোটার। আজ সময় মতো পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে যাব। দীর্ঘদিন পর একজন নগরপিতা নির্বাচন করব। আমি নগরপিতার কাছে আশা করি, তিনি যেমনি করে তার সন্তানকে আগলে রাখেন, তেমনি করে আমাদেরও আগলে রাখবেন। শহরটিকে বসবাসযোগ্য করে তুলবেন।