আচমকা দেখলে মনে হবে একটি ইলেকট্রিক কলকব্জা সংবলিত শামুক। তারপরই চোখের ভ্রম দূর হয়ে যায়। আসলে এটি একটি ইলেকট্রিক মোটর বাইক। এর নাম ইলেক্ট্রো ক্রুসিয়ার। এটি তৈরি করেছেন জোহ্যামার নামের একজন ইঞ্জিনিয়ার।
নর্থ-অস্ট্রিয়ান রোডস্টার মোটরসাইকেল কোম্পানি লিঞ্জ গত ফ্রেব্রুয়ারিতে একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইলেক্ট্রো ক্রুসিয়ারকে তুলে ধরেন। ইলেক্ট্রিক মোটর বাইকটি দেখতে কিছুটা অদ্ভুত হলেও এর নির্মাতা কোম্পানি জানান, এটি ভবিষ্যতের মডেল হিসেবে বাজারে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। এরমধ্যে গতানুগতিক ধারার কোন ছাপই নেই। স্পিড ইন্ডিকেটর, চার্জ ইন্ডিকেটর এবং আয়না প্যানেলটিও কিছুটা ব্যতিক্রম আকারে তৈরি করা হয়েছে। নির্মাতারা বলছেন, ব্যাটারি এবং নতুন ইউনিট সিস্টেমের পাশাপাশি এর গতিবেগ ঠিক রাখার জন্য একে এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
বাইকটির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এর ব্যাটারির দীর্ঘজীবিতা। ১২.৭ কিলোওয়াটের ব্যাটারির মূল ধারণ ক্ষমতা। জোহ্যামারের প্রথম সংস্করণ জিরো এস জেডএফ১১.৪টি একবার পূর্ণ চার্জের মাধ্যমে ২০০ কিলোমিটার বা ১২৪ মাইল ভ্রমণ করতে পারবে। সত্যিকার অর্থে একটি পেট্রোল দ্বারা চালিত মোটরবাইক ২০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে পারে না।ব্যাটারির গ্যারান্টেড সার্ভিস লাইফ হলো প্রায় ২০০০০০০ কিলোমিটার অর্থাৎ ১২৪০০০ মাইল।
জোহ্যামার তার এই ইলেক্ট্রিক মোটর বাইকে দুই সেট পা রাখার স্ট্যান্ড ব্যবহার করেছেন। তিনি মনে করেন, এতে করে ব্যবহারকারী অল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে একটি ব্যবহার করতে পারবেন আর লম্বা দূরত্বের ক্ষেত্রে আরামদায়কভাবে বাইক চালাতে ব্যবহারকারীর সুবিধা হবে। অতিরিক্ত যে পায়ের স্ট্যান্ডটি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে, তার সাথে নিয়ন্ত্রণের কোন সম্পর্ক নেই এটি শুধুমাত্র যাত্রীর আরামদায়ক ভ্রমণের জন্যই দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ গিজম্যাগ