যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ১৬ বছরের এক বালক ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। বাড়ি থেকে পালানোর পর ছোট্ট এ বালক যা করেছে তা অবিশ্বাস্য। ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোস বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেড়া ডিঙিয়ে লুকিয়ে সে উঠে পড়ে একটি বিমানের চাকা বসানোর জায়গায় [হুইল ওয়েল]। ঘটনাটি আজকের।
হাওয়াই এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৫ বিমানটি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে হাওয়াই যাচ্ছিল। ছেলেটিও তখন বিমানের হুইল ওয়েলে লুকিয়ে ভ্রমণ করছিল। বলে রাখা দরকার, বিমানটি তখন ৩৮,০০০ ফিট উপর দিয়ে যাচ্ছিল। এত উপরে তাপমাত্রা খুবই কম হয় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি থাকে। এতসব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছেলেটি একটি পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সাড়ে ৫ ঘণ্টার ফ্লাইটে বেশির ভাগ সময়ই সে অজ্ঞান ছিল। কিন্তু বিমানটি যখন হাওয়াইয়ের মাওই বিমানবন্দরে নামে তখন তাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।
চাকায় লুকিয়ে ছেলেটির সম্পূর্ণ অক্ষত বেঁচে যাওয়ার এ ঘটনাকে ব্যতিক্রম ও অলেৌকিক বলে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কপাল গুণে ছেলেটি বেঁচে আছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই'র মুখপাত্র টম সিমন। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সে সম্পূর্ণ অক্ষত আছে বলেও জানিয়েছেন সিমন। সিমন জানান, বেড়া ডিঙিয়ে ছেলেটির ফ্লাইটটিতে উঠার ঘটনা সান জোস বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবিষয়ক ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়।
মাওই বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই ছেলেটি হুইল ওয়েল থেকে লাফিয়ে পড়ে এবং উদ্দেশ্যহীনভাবে এদিক-ওদিক হাঁটতে থাকে। তখন নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করে। এরপর কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় এফবিআই'র সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
হাওয়াই এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র আলিসন ক্রলি বলেন, ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে পৌঁছার পর এয়ারলাইন্সের লোকেরা ছেলেটিকে হুইল ওয়েলের র্যাম্পে [ঢালু জায়গা] দেখতে পায়। তখন তারা ত্বরিত নিরাপত্তা সদস্যদের তা অবহিত করেন।
ছেলেটির সুস্থতাই এখন তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব বলে জানান ক্রলি।