আমরা অন্য প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি না বলেই হয়ত মনে করি তাদের অনুভূতি নেই। তবে অবাক করা ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। গৃহহীন এক ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে দেখতে না পাওয়া পর্যন্ত টানা আট দিন হাসপাতালের পার্কিং লটে অপেক্ষা করেছে তার পোষা কুকুর সেকো।
পাসো ফান্দোর লাউরি দ্য কস্তার মুখে আঘাত লাগলে তিনি হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন তার মুখে টিউমার রয়েছে। যা অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সারাতে হবে। দ্রুত না সারালে টিউমারের উপস্থিতিতে ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি শনাক্ত করে পুরোপুরি অপসারণ করলে সেরে উঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
অস্ত্রোপচারের জন্য যে সময়ে দ্য কস্তা হাসপাতালে ছিলেন, সে সময় কুকুরটি হাসপাতালের গাড়ি রাখার জায়গায় এমনভাবে বসেছিল যেন সে আশা করছে তার মালিক দ্রুতই ফিরে আসবে।
'মালিকের সঙ্গে দেখা করতে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলেও সাক্ষাৎ মেলেনি' স্থানীয় সংবাদপত্রে এভাবেই শিরোনাম হয়েছিল সেকো। অস্ত্রোপচারের জন্য দ্য কস্তার হাসপাতালবাসের সময় ঘণ্টা থেকে দিন, দিন থেকে সপ্তাহে গড়ায়।
এদিকে একান্ত নিকটজন ও বন্ধুর মতো তার অপেক্ষায় থাকে সেকো। অপেক্ষায় থাকা সেকোকে হাসপাতালের কর্মীরা পানি ও খাবারও দিতে শুরু করে। পাক্কা আট দিন অপেক্ষা করেই মালিকের সঙ্গে পুনর্মিলন হয়ছিল সেকোর।
সেকোর মালিক তখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি, যখন তাদের কয়েক মিনিটের জন্য দেখা হয়। কুকুরটি লাফ দিয়ে কোলে উঠে দ্য কস্তার শরীরের ঘ্রাণ নিতে থাকে। আর ঘন ঘন লেজ নাড়াতে থাকে। হয়ত মালিকের দর্শন লাভ অবিশ্বাস্য ঠেকছিল সেকোর। কুকুরটি দ্য কস্তার কোলে বসে তার মুখ লেহন করে দিচ্ছিল আর উন্মত্ত হয়ে লেজ নাড়াচ্ছিল। বিশ্বস্ত এই সঙ্গীর ভালোবাসার প্রতিক্রিয়ায় ব্যান্ডেজ নিয়েও মুখে হাসে ফোটে দ্য কস্তার।