অবশেষে সাতেই থমকে গেছে সাত পাকের বাঁধন। সপ্তমবার বিয়ে করে জেলে যেতে হয়েছে মালদহের সুশান্ত তালুকদারকে। এর আগেই তাঁর ভাগ্যে জুটেছে বেধড়ক মারধর। শুধু সুশান্তই নয়, তাঁর মা ও ঘটককেও গ্রেফতার করেছে ওল্ড মালদহের পুলিশ।
এর আগে ছয় ছয়টি বিয়ে। বৃহস্পতিবার ছিল সাত নম্বর বিয়ে। সেই বিয়ে শেষে নতুন জামাই শ্বশুরবাড়ির সামনে ঘোরাফেরা করছিল। তখনই বিপত্তি। এক অটোচালক চিনে ফেলেন মালদহের মনসকাম পল্লীর বাসিন্দা সুশান্ত তালুকদারকে। তিনিই সকলকে জানান সুশান্তর কীর্তি। ব্যস, আর যায় কোথায়। সকলে মিলে নতুন জামাইকে দিল আদরের ধোলাই। শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেড়িয়ে পড়ে সত্যিটা। পণের লোভেই ফি বছর একটা করে বিয়ে করত সুশান্ত। শুরু হয় গণপ্রহার। পরে ওল্ড মালদহ থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত সুশান্ত তালুকদারকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে সুশান্ত'র মা শিখা তালুকদার এবং ঘটক দুলাল ভট্টাচার্যকেও গ্রেফতার করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ মে, ২০১৫/ রোকেয়া।