সোমবার সিরিয়ার এক মাদক পাচারকারীর শিরশ্ছেদ করেছে সৌদি আরব। এ নিয়ে দেশটিতে গত সাড়ে পাঁচ মাসে শততম মৃত্যুদণ্ডটি কার্যকর করা হল। এবছর শিরশ্ছেদের ঘটনায় রেকর্ড করেছে সৌদি সরকার।
গতবছর দেশটিতে ৮৭ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। এবার ছয় মাস না পেরোতেই এই সংখ্যা শতকের ঘর ছুঁয়েছে। অবশ্য দেশটিতে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রেকর্ড নয়।
১৯৯৫ সালে সৌদি কর্তৃপক্ষ ১৯২ জনের শিরশ্ছদ করেছিল। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার তারা সিরিয়ার নাগরিক ইসমায়েল আল তাওয়ামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
ওই ব্যক্তির কাছে বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ ঘোষিত অ্যাম্ফিটামিনবড়ি পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল সৌদি আদালত।
সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় জাওফ প্রদেশে তাকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। এছাড়া এক সৌদিকে হত্যার ঘটনায় তায়েফ প্রদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছেরামি আল খালদিকে।
সৌদি আরবে মাদক আর হত্যার অপরাধেই অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়ে থাকে। তবে বার্লিন ভিত্তিক সৌদি মানবাধিকার গোষ্ঠীর পরিচালক আলি আদুবিসি জানিয়েছে, অর্থনৈতিক কারণে দেশটিতে মাদক অপরাধ বেড়ে গেছে।
দরিদ্র শ্রেণীর লোকজনই এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। সৌদি আরবের এই অধিক সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
কেননা এই বিচারের নামে লোকজনের প্রাণনাশের এই বর্বেরোচিত পদ্ধতিটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ নিয়ে গোষ্ঠীগুলো তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বিশ্বের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী সেরা পাঁচটি দেশের শীর্ষে ছিল সৌদিআরব।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ জুন, ২০১৫/ নাবিল