দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর শখ আছে? শখ আছে বরফের ঘরে রাত কাটানোর? কিংবা আরামদায়ক শয্যায় শুয়ে আকাশের তারা খসা দেখার? তুষারপাত দেখার? আছে সে সুযোগ। পৃথিবীর এমন কিছু হোটেল আছে যা আপনার মনের বাসনা পূর্ণ করতে পারে। আজ তেমন কিছু হোটেলের খোঁজ দিচ্ছি-
জামাইকার কেভ রিসর্ট
সমুদ্রের গায়ে প্রাকৃতিক চুনাপাথরের গুহায় তৈরি এই হোটেল৷ গুহা হোটেল৷ গুহায় বসে নীল সমুদ্র দেখার শখ খাকলে, তা যেমন পূরণ হবে তেমনই বিলাসিতার কোনও অভাব হবে না৷ ডাইনিং হল, স্পা, রিসর্ট, অত্যাধুনিক সমস্ত ব্যবস্হাই আছে এখানে৷ আর সবচেয়ে সুন্দর হল গুহার ছাদে সুমদ্র দেখতে দেখতে ক্যান্ডেল নাইট ডিনার৷
ফিনল্যান্ডের কাকসল্যাটিন্যান
ঘরের মধ্যে নরম বিছানা, ফায়ার প্লেসের উষ্ণতা৷ সেই বিছানায় ততোধিক নরম কম্বল মুড়ি দিয়ে বরফ ঢাকা প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা করতে 'গ্লাস ইগলু' রয়েছে এখানে৷ রয়েছে একদম আসল 'ইগলু'ও৷ বাইরের উষ্ণতা -৪০ ডিগ্রি হলেও, বরফের ঘরের তাপমাত্র থাকবে -৩ ডিগ্রি৷ থাকবে নরম-গরম কম্বল থেকে বিলাসের সমস্ত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা৷ আর যদি নিজেকে রাজকন্যা বা রাজপুত্র ভেবে কয়েকটা রাত কাটাতে চান, এখানে আছে রাজকীয় ঘরের রাজকীয় সজ্জাও৷
কানাডার হোটেল ডি গ্ল্যান্স
বরফে তৈরি হোটেলটির পরতে পরতে কারুকাজ৷ বরফ কেটে তৈরি এমন শিল্প তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো৷ বরফের প্যালেসে রাজকীয় শয্যা৷ খাওয়ার ঘর, বাথরুম৷ বিলাস ও বিনোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা৷ প্রত্যেক বছর শীতে নতুন করে খোলে হোটেলটি৷ বদলে যায় বরফের চোখ ধাঁধানো কারুকাজ৷
চিলির ম্যাজিক মাউনটেন লজ
চিলির গভীর জঙ্গলের মধ্যে রূপকথার বাড়ির মতো এই হোটেলটি৷ ছোট্ট একটা পাহাড়ি দুর্গের মতো৷ হোটেলের মাথা থেকে নেমে আসছে ঝর্নার স্রোত৷ আর ভিতর থেকে মনে হয় যেন একটা বিশাল গাছের গুঁড়ি৷
পসিডন আন্ডার সি রিসর্ট, ফিজি
জলের নীচের সৌন্দর্য্য, রঙিন মাছের খেলা দেখা যাবে ঘরে শুয়ে৷ না অ্যাকুরিয়ামে নয়৷ আসলে ফিজির এই হোটেলটি সাবমেরিনের কনেসেপ্টে তৈরি৷ যাতে জলের তলার সমস্ত দৃশ্যই ধরা পড়ে৷ স্পা, সেণ্টার, সুইমিং পুল, কনফারেন্স হল, ডাইনিং, বিনোদন ও আরামের সব ব্যবস্থাই মজুত এখানে৷
বিডি-প্রতিদিন/১৭ আগস্ট, ২০১৫/ এস আহমেদ