১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৩৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিপাড়ার কারিগররা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিপাড়ার কারিগররা

ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দর্জিপাড়ার কারিগররা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। দিন-রাত সেলাই মেশিনের শব্দে চারিদিক মুখরিত হয়ে।  দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না তারা। ঈদে সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট বড় সকলে নতুন কাপড় পরিধান করে থাকে। আর পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় শুরু করে দিয়েছেন অনেকে।

এদিকে জেলা শহরের অভিজাত নিউ মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট ও সাটু হল মার্কেট-এ ও বি ব্লকে ইয়োর চয়েস টেইলার্স, জননী লেডিস টেইলার্স, হুমা লেডিস টেইলার্সে গ্রাহকদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। স্বাভাবিক কারণেই উৎসব আসলেই বিপণীবিতানগুলোতে নারী-পুরুষের পদচারণা বাড়তে থাকে। তবে দর্জির দোকানগুলোতে তরুণী ও বিভিন্ন বয়সের নারীদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়।

নিউ মার্কেটে আসা ক্রেতারা জানান, ছেলেমেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী ভাল কাপড় কিনে পছন্দের পোশাক তৈরির জন্য দর্জির দোকানে আসা। কেউ পছন্দ করেন তৈরিকৃত পোশাক, আবার নিজ পছন্দের ডিজাইনে তৈরি করা পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকেই। এক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীদের আগ্রহই বেশি।

ক্লাব সুপার মার্কেটে আমেনা বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মুজিবুর রহমান জানান, ক্রেতারা কাপড় কিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে তাদের পছন্দের পোশাক বানাচ্ছেন।

এদিকে কয়েকটি দর্জি কারখানাতে অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ করে রাত অবধি ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করা যায়।

বিভিন্ন দর্জির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের অর্ডার নিতে ব্যস্ত রয়েছেন তারা। কেউ কেউ অর্ডার নিচ্ছেন, আবার অনেক দোকানে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারিগররা বলেন, তরুণ-তরুণীদের পোশাকের অর্ডার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তারা তাদের পছন্দের কাপড় ও ডিজাইনের সেলাইয়ের জন্য অর্ডার দিচ্ছে। এছাড়া অনেকে রেডিমেইড ক্রয় করে মানানসই করার জন্য নিয়ে আসছে।

নিউ মার্কেটের হুমা লেডিস টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী শাহিন আলী জানান, এবার রমজানের আগে থেকে কাজের চাপ বেড়ে গেছে। ফলে অর্ডার কম নেয়া হয়েছে। ডিজাইনের উপর নির্ভর করে মজুরি নেয়া হচ্ছে।

দাউদপুর রোডের বিসমিল্লাহ টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী বাবু জানান, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ফ্যাশন ডিজাইনের পোশাক বানানোর কারণে ক্রেতারা এখানে আসেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার ঈদে বাড়তি চাপ রয়েছে। তাই অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

এদিকে দর্জির দোকানে আসা কয়েকজন গ্রাহক জানান, কাপড়ের দাম বেড়েছে, তবে মজুরি খুব একটা বাড়েনি। 


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর