রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

রাজধানী থেকে বিচ্ছিন্ন ১১ জেলা

রাজধানী থেকে বিচ্ছিন্ন ১১ জেলা

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১১ জেলার পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর মধ্যে সাতক্ষীরার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এখন আইনের শাসন থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন। প্রতিদিনই সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে এসব জেলায়। এর বাইরে স্পর্শকাতর অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লা ও সিলেটের কিছু এলাকা। জামায়াতকে অনেক জেলায় সরাসরি সহায়তা করছে বিএনপি কর্মীরা। যে কারণে প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতি। আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, কছু জেলায় রাস্তা কেটে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে আন্দোলনকারীরা। এমনকি সেতু থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ। অনেক স্থানে খুলে নেওয়া হয়েছে বেইলি ব্রিজের পাটাতন। কোথাও কেটে ফেলে রাখা হচ্ছে ডালাপালাসহ আস্ত গাছ। হুমকির মুখে রেল যোগাযোগও। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চেষ্টা চালাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু এখনো তা করতে সক্ষম হয়নি তারা। সূত্র মতে, এসব জেলায় সরকারি দল সোচ্চার নয়। অনেক এলাকায় মন্ত্রী-এমপিরা নিজেরাই ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। হামলা হয়েছে অনেক মন্ত্রী-এমপির গ্রামের বাড়ি ও শহরে অবস্থিত তাদের ব্যক্তিগত অফিসে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। সর্বশেষ চট্টগ্রামে গতকাল রাতে শাহ আমানত বিমানবন্দরের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সাতক্ষীরা : শুক্রবার দিবাগত রাতে সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। তারা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ মোট ১০ বাড়িতে হামলা, লুটপাট, পেট্রল ও গানপাউডার দিয়ে অগি্নসংযোগ চালিয়েছে। এর আগে রাতে তারা জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার পরপরই তাণ্ডব চালিয়ে আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় কলারোয়া আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান ও যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান জজ মিঞাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। প্রতাপনগরের নিহত আজিজ ও ইউপি সদস্য আয়ুব আলীর বাড়িতে জামায়াত-শিবিরের ৩০-৪০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তারা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে সব কটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। একই সময় সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা এলাকা থেকে রিয়াদ হোসেন নামের এক স্কুলছাত্রের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসব ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এদিকে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারে গতকাল দুপুরে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির যৌথ একটি দল অভিযান চালায় আগরদাঁড়ী এলাকায়। এ সময় শহরের তুফান কোম্পানি মোড়ে শিবির কর্মীরা ৮-১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এদিকে রাত ১০টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকী বাজারে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মারুফ বিল্লাহর মালিকানাধীন মুদি দোকান ও পার্শ্ববর্তী মিন্টুর চায়ের দোকানে ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ ছাড়া সদরের পরানদাহ গ্রামের আড়ুয়াখালী বাজারে ক্ষীতিশ বাছাড়ের মুদি দোকানে অগি্নসংযোগ করেছে তারা। আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ওই বাজারের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চন্দন দেবনাথ, তরুণ কুমার ও গোবিন্দ ব্যানার্জিসহ সাতটি সংখ্যালঘু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান ও কম্পিউটারের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
পাবনা : হরতালের সমর্থনে গতকাল মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। কোথাও কোথাও দেখা গেছে ডালপালাসহ আস্ত গাছ কেটে সড়কে ফেলে রাখতে। দুপুর থেকেই পাবনা-ঢাকা মহসড়কের রাজাপুর, জালালপুর, বাঙ্গাবাড়িয়া, পুষ্পাড়া, মধুপুর এবং পাবনা-রাজশাহী মহাসড়কের মুলাডুলি, দাশুড়িয়া ও পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের নতুনহাট, রূপপুর, চাঁদ আলীর মোড়ে অবরোধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জামায়াত-শিবির কর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ফিরে আসে পুলিশ। শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পুলিশ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তিন দিন ধরে গাড়ি নামানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভয় তো আছেই।
বগুড়া : কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর ব্যারিকেড দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। বগুড়া-ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার মহীপুর থেকে মোকামতলা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে, বিদ্যুতের পোল ফেলে অবরোধ করে। এ ছাড়া বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থানের মাঝিপাড়া নামক স্থানে প্রায় ৫০ ফুট রাস্তা কেটে গর্ত করে। সাবগ্রামের কাছে রেললাইনের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছ কেটে ফেলে রাখে ও কাহালু উপজেলার কানড়া এলাকায় স্লিপার উপড়ে ফেলে। এসব ঘটনায় বগুড়ার সঙ্গে অন্য ১১ জেলায় সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকে। এদিকে হরতালের পক্ষে গতকাল মিছিল করেছে জামায়াত-শিবির। মিছিল শেষে সমাবেশ থেকে পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে গতকাল গাছ অপসারণ করা হলে যানচলাচল শুরু হয়। এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুর রহমান দুলুর ফুলদীঘির বাসভবনে অগ্নিসংযোগ এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনের ওয়ার্ড অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। 
চট্টগ্রাম : শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিমানবন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীরা সন্দেহভাজন একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি কার পার্কিংয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর বিমানবন্দর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর ই আলম জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি কার পার্কিংয়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে সাহাবউদ্দিন (২৫) নামে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এক কর্মচারীকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের একাধিক স্থানে সড়ক কেটে ও গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখায় গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্যদিকে অবরোধে পলাশবাড়ীতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় ৮ কিমি এলাকায় শতাধিক কেটে ফেলা গাছ রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে ফেলায় ২৯ ঘণ্টা পর রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে বেলা ১১টায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে তা শুরু হলেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্র্যাক এলাকায় ৮-১০টি গাড়িতে ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। 
নওগাঁ : কাদের মোল্লার রায় কার্যকরের ঘোষণা আসার পর ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কজুড়ে জামায়াত-শিবির কর্মীরা রাস্তায় গাছ কেটে ও ব্রিজের গার্ডার তুলে অবরোধ সৃষ্টি করে। এ কারণে কোনো যানবাহনই চলাচল করতে পারছে না। চার দিন ধরে আসতে পারছে না পত্রিকাবাহী গাড়িও।
নাটোর : বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের অন্তত ৫০ কিলোমিটারজুড়ে ফেলে রাখা গাছ ও গুঁড়ি ফেলে রাখে জামায়াত-শিবির। এতে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় অন্যান্য জেলার সঙ্গে। তবে গতকাল তা অপসারণ করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথের লাগানো মহাসড়কের দুই পাশের গাছ কেটে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছিল। জেলার সিংড়া, বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীকোল, বনপাড়া, ধানাইদহ, নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের রাজ্জাক মোড়, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের আহম্মেদপুর বাসস্ট্যান্ড, দাইড়পাড়া, লালপুর সদর, বাগাতিপাড়া ও গুরুদাসপুরের নয়াবাজারসহ জেলার প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়।
দিনাজপুর : ১০ ডিসেম্বর থেকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ, দিনাজপুর-চিরিরবন্দর-পার্বতীপুর, দিনাজপুর-বীরগঞ্জ, দিনাজপুর-দশমাইল-সৈয়দপুর মহাসড়কের ভূষিরবন্দর থেকে রানীরবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিমি এলাকা, ২৫ মাইল, কবিরাজ হাট, ঘোড়াঘাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তার উভয় পাশের গাছ কেটে ব্যারিকেড দেয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এর ফলে এসব মহাসড়কে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা কেটে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করায় এ অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে ১২ ডিসেম্বর রাতে চিরিরবন্দরের রানীরবন্দর, ভুষিরবন্দর, শেফালীর বাজার ও বিন্যাকুড়িহাটে বিভিন্ন বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার পর ওইসব এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে গতকাল স্থানীয় মানুষের সহায়তায় পুলিশ সড়কগুলো যানচলাচলের উপযোগী করে।
জয়পুরহাট : জামায়াত-শিবির কর্মীদের নাশকতা ও অবরোধের কারণে জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ সাত দিন বন্ধ ছিল। জয়পুরহাট-ঢাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলায় ঢাকা থেকে কোনো পত্রিকা বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার পৌঁছায়নি। এদিকে জযপুরহাট-পাহাড়পুরের তেঁতুলতলীতে ব্রিজের সঙ্গের রাস্তা কেটে দেওয়ায় এবং হিলি-জয়পুরহাট বাইপাস সড়কের একটি ব্রিজের পাটাতন ভেঙে ফেলায় হিলি থেকে আমদানিকৃত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনী থানা ভবন লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। ককটেলটি বিস্ফোরিত হলেও হতহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 
কুমিল্লা : মহানগরীর চকবাজার, লাকসাম রোডের সালাউদ্দিন মোড় ও রামঘাটলায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে শিবির কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাকসাম রোডের সালাহউদ্দিন মোড় থেকে একটি লাঠি মিছিল বের করে শিবির কর্মীরা। মিছিলটিকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অন্তত ১৫-২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় মিছিলকারীরা।
রংপুর : গাছ কেটে সড়কে বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বুধবার থেকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়কের পাশের শত শত গাছ কেটে ১৫ কিলোমিটার রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে জামায়াত-শিবির। তিন দিন পর গতকাল তা অপসারণ করা হলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে চালক ও যাত্রীদের আতঙ্ক কাটেনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : শনিবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্যামপুর ও বিনোদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় প্রায় ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়েছে। এদিকে রাত ৭টার দিকে আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের কয়েক স্থানে কেটে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে হরতাল সমর্থনকারীরা।

সর্বশেষ খবর