শিরোনাম
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

এ কে খন্দকারকে আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না : সফিউল্লাহ

এ কে খন্দকারকে আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না : সফিউল্লাহ

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর উত্তম মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকারকে এখন আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন। তার মতে, এ কে খন্দকার ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। যিনি মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস রচনা করতে পারেন তিনি আর মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারেন না।
জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় গতকাল কে এম সফিউল্লাহ এমন মন্তব্য করেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকরের দাবিতে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান আবু ওসমান চৌধুরী, ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ। এ কে খন্দকারকে উদ্দেশ করে সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ‘‘শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন এটা কখনো শুনিনি। উনি কীভাবে জানলেন? আমার জীবদ্দশায় কখনো ‘জয় পাকিস্তান’ শুনিনি।’’
সফিউল্লাহ বলেন, এ কে খন্দকার বলেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের নাকি কোনো রাজনৈতিক প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় বলেছেন, ২৫ মার্চের রাতে ফার্মগেটে পাকিস্তানি বাহিনী বাধার সম্মুখীন হয়। তিনি বলেন, ‘এ কে খন্দকার স্বাধীনতা যুদ্ধে যাননি। তিনি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় যান। আমরা যুদ্ধে গেছি মার্চ মাসে। আর উনি গেলেন মে মাসে। গিয়ে সোজা উঠলেন হেডকোয়ার্টারে। বাকি সময় তিনি সেখানেই ছিলেন। তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন? আবার ইতিহাস বিকৃতি করে বই লিখেছেন। এখন তাকে আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।’ আবু ওসমান চৌধুরী বলেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি করেন তাদের প্রতিরোধ করতে তরুণ প্রজš§কে সঠিক ইতিহাস শেখাতে হবে। হারুন হাবীব বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে আর আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। বর্তমান অবস্থায় কারও আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।

সর্বশেষ খবর