আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সেই চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। এখন দরকার দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটা রাজনৈতিক সরকার। কারণ দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা সবকিছু নির্ভর করছে এটার ওপর। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মহাকালের মহানায়ক শহীদ জিয়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ৬৪০ পৃষ্ঠার নতুন সংকলিত গ্রন্থটিতে মোট ১৩টি অধ্যায় আছে। একটি অধ্যায়ে ‘আমার বাবা’ শীর্ষক তারেক রহমানের লেখা রয়েছে। বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ্ চৌধুরী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর পাভেল প্রমুখ। সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে। এ দেশে যত ভালো কাজ হয়েছে সব বিএনপির হাত ধরেই। অন্তর্বর্তী সরকার অল্প সময়ের মধ্যে অন্তত কিছু সংস্কারের কাজ শেষ করতে পেরেছে। এটা প্রয়োজন ছিল। সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের এই পরিবর্তন আনা দরকার ছিল।
তিনি বলেন, ইউটিউব ও ফেসবুকে বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা লেখা হয়। ভিলেন বানাতে চায়। তাদের বলি, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তার মাজার পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আল্লাহ যাকে পাঠিয়েছেন মানুষের কল্যাণের জন্য- তাকে কি এত সহজেই ছুড়ে ফেলা যায়? কখনো যায় না। মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান স্বাধীনতার পতাকা, দেশের মানুষের অধিকারের পতাকা, গণতন্ত্রের পতাকা, উন্নয়নের পতাকা হাত উঁচু করে তুলে ধরেছেন। আমরা তার নেতৃত্বে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করব এবং গণতন্ত্রকে আরও উজ্জীবিত করব, ইনশাল্লাহ। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখার সম্পর্কে দলটির মহাসচিব বলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা, মেয়েদের লেখাপড়া, চাকরি দেওয়া, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা সবই তো বিএনপির করা। অথচ এমনভাবে কথা বলা হয় যে বিএনপি একটা ‘ভিলেন’।