করোনা মহামারীর মধ্যে দেশে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব। এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এবার ডেঙ্গুর ডেন থ্রি সেরোটাইপে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তাই জ্বর এলে অবহেলা না করে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু টেস্ট করাতে হবে। এদিকে, রাজধানী ঢাকায় সম্প্রতি ডেঙ্গু অনেকটাই প্রকট আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। রোগী ও রোগীর পরিবারসহ সবাই ভয়েই বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছেন। সব রোগীকেই যে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন আছে তা নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়িতে রেখেও ডেঙ্গুর চিকিৎসা সম্ভব। ডেঙ্গু হয়েছে কি না তা আগে সুনিশ্চিত হতে হবে। জ্বর আসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে NS1 টেস্ট করতে হবে। যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে তবে CBC টেস্ট করে প্লাটিলেট কাউন্ট দেখতে হবে। ৭২ ঘণ্টা পরে NS1 কখনো পজিটিভ আসে না। তাই অনেকে ভাবছেন যে, রিপোর্ট ভুল এলো। বিষয় হলো ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ঘঝ১ নেগেটিভ হয়ে যায়। তাই তখন IgG, IgM টেস্টসহ CBC করাতে হবে। ডেঙ্গুজ্বর হলে এবার প্লাটিলেট কমে যাওয়া ছাড়াও রক্তচাপ কমে গিয়ে রোগী শকে চলে যাচ্ছে। কারও কারও ক্ষেত্রে হেমোরেজও হচ্ছে। আবার কারও ক্ষেত্রে প্লাটিলেট কাউন্ট কমলেও তা সহনীয় পর্যায়ে থাকছে। ডেঙ্গুজ্বরের কোনো ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিবায়োটিক নেই। তাই প্রচলিত চিকিৎসা হলো জ্বর ও ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল আর ফ্লুইড ব্যালেন্স করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা। ডেঙ্গু রোগীর খাদ্য ও পুষ্টির প্রতিও রাখতে হবে বিশেষ নজর- * যারা হাসপাতালে থাকবেন তাদের IV fluid এর পাশাপাশি মুখে তরল খাবার দিয়ে total fluid ব্যালেন্স করতে হবে। * অপর পক্ষে যারা বাসায় আছেন তাদের পানিসহ অন্যান্য তরল মিলে ৩ লিটার সারা দিনে total fluid অর্থাৎ মুখে খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। * তাড়াছা জ্বরে ক্যালোরি চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেশি করে দিতে হবে। এ সময় মুখে রুচিও থাকে না। তাই এমন খাবার দিতে হবে যা অল্প খেলেও চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। যেমন- ভাতের পরিবর্তে খিচুড়ি, পায়েস, ফিরনি বা পুডিং দেওয়া যেতে পারে। ফলে একটা খাবার থেকেই সব উপাদান পাওয়া যাবে। * মুখে ফলের রস, ডাবের পানি, স্যুপ ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে হবে। * যদি জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া ও বমি হয়ে থাকে তবে শাক-সবজি, ডাল, দুধ ও দুধে তৈরি খাবার বাদ দিতে হবে। এ অবস্থায় ডাবের পানি, মুরগির স্যুপ, চালের স্যুপ বা ভাতের মাড়, আপেলের জুস খুব ভালো কাজ করে। * মূল খাবার হিসেবে ভাত বা জাউয়ের সঙ্গে কাঁচকলার ঝোল দিলে রোগী উপকৃত হবে। * মাছ বা মাংস বন্ধ না করে সহজপাচ্য মাছ যেমন- শিং, শোল, পাবদা ইত্যাদি লোফাইবার মাছ বা মুরগির তরকারি দেওয়া ভালো। * গায়ে কোনো Rash থাকলে সাধারণ এলার্জিক খাবার যেমন- গরুর মাংস, হাঁসের ডিম, চিংড়ি মাছ, ইলিশ ও বেগুন ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। * পেঁপে পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। এতে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান পাওয়া যায় যা শরীর ব্যথা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা না করিয়ে লতাপাতা দিয়ে চিকিৎসা ঝুঁঁকিপূর্ণ বা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে অবহেলা না করে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি খাদ্য সম্পর্কে সচেতন হোন।
শিরোনাম
- বিদেশি ঋণ ছাড়ালো ১১২ বিলিয়ন ডলার
- ড্রোন পরীক্ষা তদারকিতে এআই তৈরির নির্দেশ কিম জং উনের
- ট্রাম্পকে বহনকারী হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি, জরুরি অবতরণ
- রাশফোর্ডের জোড়া গোলে উড়ন্ত শুরু বার্সেলোনার
- ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি আজ
- পশ্চিম তীর-জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর হামলায় ২ ইসরায়েলি নিহত
- গাজায় নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, এ নিয়ে ৬ বার
- রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
- রাশিয়া থেকে এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত পেল ইউক্রেন
- বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা
- ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
- জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
- বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
- রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
- নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
- সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
ডেঙ্গু রোগীর খাদ্য ব্যবস্থাপনা
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর