ভারতের গুরুগ্রামের গোটা সরকারি হাসপাতাল যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের আলোতেই জন্ম হল একটি শিশুর৷ কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার নয়, এই অসাধ্য সাধন করলেন কয়েকজন কর্তব্যরত নার্স৷ এই নার্সেরা শেষ অবধি পর্যন্ত হাল ছাড়তে নারাজ ছিলেন৷
গুরুগ্রামের কবিতা কুমার রবিবার ভর্তি হন সেখানকার সরকারি হাসপাতালটিতে৷ তখন থেকেই হাসপাতালে লোডশেডিং চলছিল৷ মোমের আলোতেই কাজ করছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা৷ মাঝরাতে যখন কবিতার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়, ততক্ষণে তাও শেষ হয়ে গিয়েছে৷ এদিকে তখন কোনও ডাক্তারও হাসপাতালে নেই৷
তবে ভাগ্যের উপর কবিতাকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়নি হসপিটালের নার্সরা৷ তাই তারা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের আলোতেই শুরু করেন কবিতার প্রসব করানোর প্রক্রিয়া৷ ২৫ মিনিট পর পুত্র সন্তানের জন্ম দেন কবিতা৷ মা ও ছেলে দু’জনের শারীরিক অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে৷
বলিউড সুপার ডুপার হিট ছবি‘থ্রি ইডিয়টস’র ইডিয়টসরা ছিল না বটে, তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ‘আল ইজ ওয়েল’ই হয়েছে৷ তাইতো হাসপাতালের নার্সদের ‘দেবী’র তকমা দিয়েছেন কবিতার স্বামী কপিল৷
বিডি-প্রতিদিন/৭ অক্টবর, ২০১৬/তাফসীর
