২৬/১১ মুম্বাই জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। শনিবার হামলার অষ্টম বর্ষে দক্ষিণ মুম্বাইয়ে মুম্বাই পুলিশের প্রধান কার্যালয় জিমখানাতে ফুলের শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি এইচ বিদ্যাসাগর রাও, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, মুম্বাইয়ের সাবেক পুলিশ কমিশনার জুলিও রিবেরিও এবং এম এন সিংসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন নিহত পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও।
পরে মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানান, ‘অনেকগুলি প্রাণ বাঁচাতে যারা নিজেদের প্রাণ দিয়েছিলেন সেইসব সাহসী পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্যালুট। আমরা তাদের জন্য গর্বিত, আমরা আমাদের রাজ্যকে সুরক্ষিত ও নিরাপদে রাখতে কঠোর লড়াই চালিয়ে যাব। পুলিশের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে আমরা পুলিশবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবো’।
হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুম্বাইয়ের রাস্তায় একটি শান্তি মিছিলে অংশ নেয় মিথিবাই কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী এই মিছিলে হাজির ছিলেন।
মুম্বাইয়ের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জায়গাতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হায়দ্রাবাদে সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল জাতীয় পুলিশ একাডেমিতে নিহতদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি।
ট্যুইট করে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু-ও। তিনি বলেন, দেশ কখনও সেই সব পুলিশদের ভুলবে না।
ন্যাশনাল সেন্টার ফল পারফরমিং আর্টস্ (এনসিপিএ)-এর সহায়তায় পাবলিক কনর্সান ফর গর্ভনেন্স ট্রাস্ট (পিসিজিটি) নামে একটি এনজিও মুম্বাইয়ের জামসেদ ভাবা থিয়েটার হলে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অন্যদিকে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মুম্বাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার অর্চনা কোচ্চর তার নতুন কিছু কালেকশন নিয়ে একটি প্রদর্শনীতে হাজির থাকবেন।
তাজ হোটেল এবং হোটেল ট্রাইডেন্টেও ওই জঙ্গি হামলায় নিহত কর্মী এবং অতিথিদের স্মরণে একটি ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আট বছর আগের সেই দিন যাতে আর ফিরে না আসে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে মুম্বাইজুড়ে ব্যবস্থ করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল, দ্য ট্রাইডেন্ট হোটেল, নরিমান পয়েন্ট, ছত্রপতি শিবাজি রেল টার্মিনালসহ একাধিক জায়গায় বন্দুকধারী পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি আরব সাগরের সমুদ্র উপকূলেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে হানা দিয়ে হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈবার সদস্যরা। মুম্বাইয়ের তাজমহল হোটেল, হোটেল ওবেরয় ট্রাইডেন্টসহ আটটি জায়গায় হামলা চালায় কাসভসহ দশজন পাকিস্তানি জঙ্গি। ওই সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন বিদেশিসহ নিহত হয় ১৬৬ জন ভারতীয়, আহত হয়েছিলেন ৩০৪ জন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ