মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের আশ্রয় দিতে অন্য রাষ্ট্রগুলিরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি। তিনি বলেছেন মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তার দেশ রাখাইন সীমান্ত বন্ধ করেনি। অন্য রাষ্ট্রগুলিরও উচিত এই উপজাতি জনগোষ্ঠীদের আশ্রয় দেওয়া।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে একাত্তরের যুদ্ধে বাংলাদেশিদের ওপর পাক বাহিনীর বর্বরতার কাহিনী সম্বলিত তথ্যচিত্র ‘জার্নি টু জাস্টিস’ এর প্রদশর্নীর ফাঁকে এই মন্তব্য করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার। তিনি বলেন ‘আমরা আমাদের সীমান্ত বন্ধ করিনি। আমরা কিছু রোহিঙ্গাদের অবশ্যই আশ্রয় দিয়েছি কিন্তু আরও অনেক রাষ্ট্র আছে যাদের এগিয়ে এসে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়া উচিত। আমি দেখেছি যে চীন, ভারত, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য রাষ্ট্রেও বেশ কিছু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে’।
উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের ফলে শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এই সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
আলি জানান, ‘মিয়ানমারে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গার বাস, স্বাভাবিকভাবেই মিয়ানমার সরকারকেই এই সমস্যা মেটাতে হবে। সেদেশের ২১টি উপজাতির মতো রোহিঙ্গাদেরও সমান অধিকার দেওয়া উচিত’।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ