একেবারে ফিল্মি কায়দায় পুলিশের পোশাক পরে জেল ভেঙে এক জঙ্গিসহ ৬ বন্দিকে নিয়ে চম্পট দিল দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত নাভা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এদিন সকালে পুলিশের ছদ্মবেশধারী ১০ বন্দুকধারী নাভা হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা চালায়। এদের সঙ্গে ছিল হাতকড়াবন্দি এক কয়েদি। কারাগারের গেটে এসে জেলের নিরাপত্তা কর্মীদের গেট খুলতে বলে। এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা জেলের গেট খুলতেই গুলি চালাতে শুরু করে হামলাকারীরা। তাদের ঠেকাতে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি জেলের নিরাপত্তা কর্মীরা। শেষে এক জঙ্গিসহ ৬ বন্দিকে নিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। ওই বন্দিদের মধ্যে হরমিন্দার সিং মিন্টু নামে এক খালিস্তানি জঙ্গিও রয়েছেন। খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের প্রধান এই মিন্টু নব্বইয়ের দশকে পাঞ্জাবে একাধিক। তাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে ২০১৪ সালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিন্টোকে আটক করে পাঞ্জাব পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে ৬ থেকে ৮ জন বন্দুকধারী পুলিশের পোশাক পরে চারটি গাড়িতে করে এসে কারাগারের সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপরই এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে তারা। হঠাৎ করে গোলাগুলিতে গোটা কারাগারে হইচই পড়ে যায়। এর মধ্যেই হামলাকারীরা জেল থেকে ওই ৬ বন্দিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের বিশ্বাস হামলাকারীরা হরিয়ানার দিকে পালিয়ে গেছে। এই ঘটনার পরই পাঞ্জাব সংলগ্ন হরিয়ানা, রাজস্থান রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের অতিরিক্ত ডিজিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল। ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথঠর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার বিস্তারিত জানতে জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কর্তব্যে গাফিলতির কারণে ইতিমধ্যেই জেলের সুপার ও ডেপুটি সুপারকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর।
পাতিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি এ এস চহল জানান, ‘এদিন সকাল ৮.৩০ থেকে ৯ টার মধ্যে কয়েকজন বন্দুকধারী এসে জেল ভেঙে বন্দিদের নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ২৫-৩০ বন্দুকের খালি শেল পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের প্রত্যেকে পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিলেন’।