আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় প্রভুভক্ত অন্তত ৫৫ জন রাজরক্ষীকে মেরে দেশটির রাজা চার্লস ওয়েসলি মুমবেরেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রক্ষীদের পাল্টা গুলিতে ১৪ জন পুলিশ কর্মীও নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষে বহু আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
উগান্ডা ও গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর সীমান্ত সংলগ্ন প্রান্তিক অঞ্চল ওয়েনজুরুরু। সেখানকার উপজাতি রাজপরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের সংঘর্ষ চলে আসছিল। রবিবার সেই সংঘর্ষ প্রবল আকার ধারণ করে। খবর সংবাদসংস্থা এএফপি'র।
এএফপি জানায়, টহলদারী পুলিশের ওপর গ্রেনেড ছুঁড়ে প্রথমে হামলা করে ওয়েনজুরুরু রাজা চার্লস ওয়েসলি মুমবেরে অনুগত রক্ষীরা। এতে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই পক্ষের তীব্র গুলি বিনিময়ে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয় কাসেসে শহরের বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়রি মুসেভেনি সরাসরি উপজাতি রাজা চালর্সকে ফোন করেন। রক্ষীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মানেননি ওয়েনজুরুরু রাজা। ফলে সংঘর্ষ চরম আকার নেয়। রাজবাড়ি ঘিরে নেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হয়।
অন্যদিকে সেনা সাজিয়ে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নেন উপজাতি রাজা। রবিবার দিনভর দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবরে আন্দোলিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুনিয়া। শেষপর্যন্ত বন্দি করা হয়েছে ওয়েনজুরুরু রাজাকে।
উগান্ডার ওয়েনজুরুরু পর্বতমালা থেকে রাজত্বের নাম হয়েছে। প্রতিবেশী গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংস্কৃতির মিল রয়েছে। সেই সূত্রে উগান্ডা সরকারের সঙ্গে বৈরি মনোভাব নিয়ে চলে ওয়েনজুরুরু উপজাতি রাজপরিবার। ১৯৭৯ সালে উগান্ডার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ইদি আমিন ক্ষমতাচ্যুত হন। তারপর ওয়েনজুরুরু রাজপরিবার নতুন করে মাথাচাড়া দেয়। কয়েক দশক ধরেই সরকারের সঙ্গে তাদের গেরিলা যুদ্ধ চলছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দারা সীমান্ত পার করে কঙ্গোর বাসিন্দা হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-৫