মাঝ আকাশে দিব্যি উড়ছিল ডেলটা এয়ারলাইনসের বিমানটি। হঠাৎই ঘটল বিপত্তি। অনেকটা হেড অফিসের বড়বাবু গোছের মনোভাব নিয়ে কিল-ঘুঁষি ছুড়ে হামলা চালালেন বিমানকর্মীদের ওপর। অনেকক্ষণ ধরেই ওই ব্যক্তি চেষ্টা করছিলেন বিমানের জানলা দরজা দিয়ে উঁকি মেরে কিছু দেখার। হঠাৎ এর কিছু পরেই বিমানের আপৎকালীন দরজাটি খুলতে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেন বিমানকর্মীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বোয়িং-৭৬৭ বিমানটিতে এই ঘটনা ঘটে। জোসেফ হুডেক নামে ওই অভিযুক্ত কেন হঠাৎ এই কাজ করলেন, তার ব্যাখ্যা কিন্তু মিলছে না। সব বিমানকর্মীরা মিলেও এই ব্যক্তিকে আটকে রাখতে পারছিলেন না। শেষে তাকে থামাতে এক বিমানকর্মী জোসেফের মাথায় একটি ওয়াইনের বোতল ভাঙেন। বিমানে আরও ২০০ জন যাত্রী ছিলেন। সিয়াটেলের টাকোমা বিমানবন্দর থেকে বিকেল পাঁচটা নাগাদ ছাড়ে বিমানটি। সাধারণ যাত্রীর মতোই বিমানে ওঠেন জোসেফ। একটি বিয়ারেরও অর্ডার দেন তিনি। তেইশ বছর বয়সি জোসেফ ডেলটা এয়ারলাইনসের কোন কর্মীর আত্মীয় বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ তার কাছে সেই মর্মেই বোর্ডিং পাস ছিল।
ভ্যানকুভার দ্বীপের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি বাথরুমে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা আপৎকালীন দরজার সামনে চলে আসেন তিনি। দরজা ধরে রীতিমতো টানাটানি শুরু করেন। ছুটে আসেন দু'জন বিমানকর্মী। তাদের ঠেলে ফেলে দিতে চান জোসেফ। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। অন্যান্য যাত্রীদের সাহায্য চান বিমানকর্মীরা। খবর যায় পাইলটের কাছেও। একজন বিমানকর্মীর ওপর কার্যত চড়াও হয়ে তার মুখে ঘুসি মারতে থাকেন জোসেফ। বাধ্য হয়েই তাকে থামাতে জোসেফের মাথায় ওয়াইনের বোতল ভাঙেন আরেক বিমানকর্মী। জোসেফকে থামাতে বিমানকর্মীদের সাহায্য করেন অন্যান্য যাত্রীরাও। কিছু পরে তাঁকে আটকানো যায়। গুরুতর আহত ওই বিমানকর্মীকে অবহরণের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মুখে গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার