ভারতীয় রাজনীতিতে বড় বড় নামগুলো প্রায়ই নানা ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে যায়। কেউ কৌশলে বেঁচে যান। আর যার ভাগ্য খারাপ তাকে পড়তে হয় ঝামেলায়। কেউ কেউ আবার পদত্যাগে বাধ্য হন। নানা সময় ভারতীয় রাজনীতিবিদরা সেক্স স্ক্যান্ডালেও জড়িয়েছেন। যার কারণে ভারতের পুরো রাজনীতিই টালমাটাল হয়ে পড়েছিল।
বাবুলাল নাগর
২০১৩ সালে এক নারী রাজস্থানের প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন। সরকারি চাকরি দেয়ার কথা বলে তা সঙ্গে শ্লীলতাহানি করেন বাবুলাল। পরে এরই জের ধরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
রাঘবজি লক্ষ্মী সাভালা
মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন তারই বাড়ির পরিচারিকা। এরপর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
গোপাল কান্ডা
হরিয়ানার এ সাংসদের বিরুদ্ধে এক বিমানবালা যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে আত্মহত্যা করেছিলেন। সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসায় গোপাল কান্ডাকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করা হয়।
এন ডি তিওয়ারি
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এন ডি তিওয়ারি। ২০০৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল থাকাকালীন তিনি সেক্স স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি পদ থেকে সরে যান।
মাহিপাল মদেরনা
২০১১ সালে রাজস্থান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ভবানী দেবী সেক্স স্ক্যান্ডালে তার নাম জড়িয়েছিল। অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর নারী নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তার স্বামী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও অপহরণের অভিযোগ তোলেন।
পি কে কুনহালিকুট্টি
১৯৯৭ সালে কেরালা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কুনহালিকুট্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কোজিকোডের একটি আইসক্রিম পার্লারে জোর করে যৌনকর্মের ব্যবসা চালাতেন তিনি। তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
অমরমণি ত্রিপাঠি
মধুমিতা শুক্লা নামে এক কবিকে হত্যার অপরাধে তাকে জেলে পাঠানো হয়। তখন ত্রিপাঠি উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী। অভিযোগ মধুমিতা গর্ভবতী ছিলেন। ত্রিপাঠির সন্তানের মা হতে চলেছিলেন তিনি। গর্ভপাত করতে রাজি না হওয়ায় মধুমিতাকে খুন করা হয়।
সুরেশ রাম
স্বাধীনতা সংগ্রামী জগজীবন রামের ছেলে সুরেশ রাম। ১৯৭৮ সালে তিনি সেক্স স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়েন। এক নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য নামের এক ম্যাগাজিনেও ছাপা হয় সেই ছবি। সেই ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন ভারতের বর্তমান নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মানেকা গান্ধি।
বিডি প্রতিদিন/২৭ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা