আন্তর্জাতিক ত্রাণের পথে বাধা দেবেন না। ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীকে এই সুরেই নির্দেশ দিলেন দেশটির স্বঘোষিত অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো।
আন্তর্জাতিক সাহায্য এসে পৌঁছানোর আগেই মঙ্গলবার কলম্বিয়া সীমান্তের একটি সেতু বন্ধ করে দিয়েছিল দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর অনুগত সেনাবাহিনী। এরপরই গুয়াইদো জানান, এই সাহায্য বিতরণ করা না হলে অন্তত ৩ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি হবেন।
সেনাবাহিনীর উদ্দেশে গুয়াইদোর বার্তা, ‘‘প্রয়োজনীয় ত্রাণ আসতে দিন। আপনাদের পরিবার, বোন, মা, স্ত্রী সবারই এই সাহায্যের প্রয়োজন।’’
গত বুধবার ভেনেজুয়েলা এবং কলম্বিয়ার মাঝামাঝি তিয়েনদিতাস সেতুর কাছে পথ আটকে দেয় সেনা কনভয়। বিষয়টি নিয়ে গুয়াইদো বলেন, ‘‘শাসক দল অবাস্তব কথাবার্তা বলছে। জনকল্যাণের কথাও ভুলে গিয়েছে। যে কোনো পথে ত্রাণ আমাদের দিতেই হবে।’’
তার দাবি, ‘‘শাসক জানে না, ওদের কী করা উচিত। আমাদের কাছে খবর আছে, ওরা ত্রাণ চুরি করবে। তা না হলে ঢুকতে দেবে না। আর ঢুকতে দিলে চুরি করবেই।’’
আন্তর্জাতিক ত্রাণের অনুরোধ জানিয়েছিলেন গুয়াইদোই। মাদুরো সরকার জানায়, তারা ত্রাণ নেবে না। মাদুরোর মতে, ত্রাণ আসলে ভেনেজুয়েলায় বিদেশি শক্তির আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
এদিকে, মঙ্গলবার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন বক্তৃতাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মাদুরোর উপরে চাপ বাড়িয়ে বলেন, ‘‘আমরা ভেনেজুয়েলার মানুষের স্বাধীনতার লড়াইয়ে পাশে আছি।’’ গুয়াইদোকে স্বীকৃতি তিনি আগেই দিয়েছেন। তার পরে আরও ৪০টিরও বেশি দেশ এই নেতার পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর