ভারতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংখ্যালঘুরা। কিছুদিন আগেই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু তার নিজের দেশেই যে বিপন্ন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। সম্প্রতি সামনে এসেছে সেরকমই একটি ঘটনা।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের খাইরপুর জেলার কুম্ব এলাকায় হিন্দুদের একটি মন্দিরের উপর হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের বিগ্রহ এবং ধর্মগ্রন্থ গীতাসহ বেশ কিছু ধর্মীয় পুস্তক আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা। এরপর এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। যদিও ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাটি জানার পর অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
টুইট করে ইমরান বলেন, ‘কুম্বে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কুরআন বিরুদ্ধ। তাই সিন্ধ প্রশাসনকে অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। দুষ্কৃতীরা যাতে রেহাই না পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রাদেশিক প্রশাসনকে।’
মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের তরফে একটি প্রতিবাদ মিছিলও বের করা হয়।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাকিস্তান হিন্দু পরিষদের উপদেষ্টা রাজেশকুমার হর্দাসানি গত বুধবার সেদেশের হিন্দু মন্দিরগুলির নিরাপত্তার জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর