পবন কুমার (৪০)। পেশায় ছিলেন ট্রাক চালক। গোপনে একাধিক বিয়ে করেছিলেন তিনি। একটি-দুটি নয়, সাতটি বিয়ে করেছিলেন পবন। কোনও স্ত্রীই একে অপরকে চিনতেন না। কিন্তু সবাইকে ম্যানেজ করে চলতে চলতে বেঁচে থাকার আগ্রহটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
এক পর্যায়ে সংসারের অশান্তি আর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন পবন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর টাইমস নাউ’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রবিবার সবার অজান্তে বিষপান করেন পবন। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্ত্রী। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান পবন। তারপর শুরু হয় বিপত্তি। একের পর এক নারী এসে পবনকে নিজের স্বামী বলে দাবি করতে থাকেন।
এক বা দুজন নয়, সাত নারী নিজেকে পবনের স্ত্রী বলে দাবি করেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, পরিবার নিয়ে হরিদ্বারের রবিদাস বস্তি এলাকায় থাকতেন পবন। গত রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর স্বামীকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্ত্রী। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় পবনের।
এরপর পবনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মর্গে। কিন্তু মর্গ থেকে লাশটি বের করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময় বাধে বিপত্তি।
হঠাৎ একে একে সাত নারী এসে পবনকে তাদের স্বামী বলে দাবি করতে থাকেন।
বিষয়টি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
তবে পবনের কোনও স্ত্রীই জানতেন না যে পবন কুমারের সঙ্গে অন্য নারীর বিয়ে হয়েছিল। একে অপরকে চেনেন না বলেও তারা জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম