দল অর্থাৎ রিপাবলিকান পার্টির বক্তব্য গণতান্ত্রিক রায়ে পরাজয় এলে ক্ষমতা ছাড়তে হবেই। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান পাল্টানোর বার্তা নেই।
রবিবার ফক্স নিউজের সঙ্গে আরেক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রশ্ন ছিল, ২০২০ নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কি-না।
ট্রাম্প জানান, আমি এক্ষুণি হ্যাঁ বলছি না। এর পরেই প্রেসিডেন্টের মন্তব্য নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
বিবিসি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সবার মনে একই প্রশ্ন, নভেম্বরের ৩ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে ট্রাম্প হেরে গেলে আদৌ ফলাফল মেনে নেবেন? এবং ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবেন? তবে ট্রাম্প সরাসরি হ্যাঁ না বলায় জটিলতা বাড়ছেই।
তার বক্তৃতা, নির্বাচন হবে ডাকযোগে ভোটারদের কাছে ব্যালট পাঠিয়ে। এতে ব্যাপক জালিয়াতির আশঙ্কায় জনমত সঠিক নির্ণয় হবে না। এই ফলাফল মানব না। দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব।
বিবিসি, ফক্স নিউজ, ওয়াশিংটন পোস্টসহ প্রথম সারির আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের অবস্থান অনড় থাকলে গণতন্ত্রের কালো দিন দেখবেন মার্কিন নাগরিকরা। যা দেশটির ইতিহাসে আগে হয়নি। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বিশ্বে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সংক্রমণ এড়াতে ডাক যোগে ভোট দান করাতে চায় নির্বাচন বিভাগ। এখানেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আপত্তি। তিনি ভোট কেন্দ্রে ভোট দানের পক্ষপাতি। দাবি করছেন ডাক যোগে ভোট জাল হবে। সেই ফল মানব না।
অন্যদিকে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, উদ্বিগ্ন বোধ করছি। ট্রাম্প হয়তো ভোটে হারলেও হোয়াইট হাউস ছাড়তে অস্বীকার করবেন।
তবে বাইডেনের হুঁশিয়ারি, সে রকম কিছু যদি ঘটে তাহলে তিনি নিশ্চিত যে সেনা বাহিনী এসে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেবে। বাইডেনের মন্তব্য মার্কিন জনজীবনে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারে থাকা রিপাবলিকান পার্টি জানায় ফলাফল যাই হোক মেনে নেওয়া হবেই।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন