চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। সে তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে জাপান। জাপানের বর্তমান আইন ব্যবস্থা অনুযায়ী, তারা চাইলেই কোনো দেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অভিযোগে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল জাপান। জাতিসংঘে আনা প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া তারা এটি করেছিল।
কিন্তু উইঘুরদের ওপর নিপীড়নে এখনো কোনো নিষেধাজ্ঞামূলক আইন বা প্রস্তুাব করেনি জাতিসংঘ। তাছাড়া চীন জাতিসংঘের ৫ স্থায়ী সদস্যের হওয়ার এমন প্রস্তাবের কথা চিন্তা করাই অকল্পনীয় ব্যাপার। চীন কখনই এমন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবে না।
মার্চে অস্ট্রেলিয়ার গ্লোবাল পলিসি ইন্সটিটিউট এক প্রতিবেদনে জানায়, ৮২টি স্বনামধন্য গ্লোবাল ব্রান্ডের মধ্যে ১১টি জাপানি কোম্পানিও রয়েছে যারা সেসব কারখানার ওপর নির্ভর করে যেখানে উইঘুরদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ্য করা হয়। তবে জাপানের বেশ কিছু কোম্পানি বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তারাও এটাও জানিয়েছে, উইঘুরদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ্য করার প্রমাণ পেলে তারা কারখানাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে।
জাপানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের বিদ্যমান আইনে চীনে উইঘুরদের নিপীড়ন বন্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য নতুন আইন প্রণয়ন কিংবা সংস্কার করতে হবে। এমন একটি বিল সংসদে উপস্থাপনের কথাও ভাবছেন দেশটির কয়েকজন আইনপ্রণেতা। তবে এমন বিল পাশেও নানা বাধা অতিক্রম করতে হবে। আর সেটি পাশ হলেও সেটির আলোকে অন্য দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নির্ধারণও কঠিন হবে।
জানা গেছে, চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম আছে এমন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলছে জাপান সরকার। সেখানে নিয়মবিরুদ্ধ কিছু আছে কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: নিক্কিই এশিয়া
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা