রাশিয়ার সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করেছে পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে। রাশিয়া দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের বিমান ও পদাতিক বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার চেষ্টা করছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু বিমানঘাঁটির সামরিক অবকাঠামো অচল হয়ে গেছে। রুশ বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের অন্তত সাতজন নাগরিক নিহত হয়েছেন। খবর পার্সটুডের।
এক বিবৃতি রাশিয়া বলেছে, কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে পুতিনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার পদাতিক বাহিনী ট্যাংকসহ রাশিয়ার ভারী সামরিক যানবাহন নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে। এছাড়া, ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দিয়েও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঢোকার কথা জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
রুশ অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জাতির উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছেন। তিনি আবেগপূর্ণ ভাষণে হামলার বন্ধের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইউক্রেন আত্মরক্ষা করবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। তিনি জানান, রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে, রাশিয়ার স্পুৎনিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের আকাশ থেকে দুটি এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান ভুপাতিত করেছে রুশ সেনারা। এর বিপরীতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করছে- তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি গেরিলা নিয়ন্ত্রিত এলাকার কাছে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেরহিই শাপটাল্লার বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক