চলতি সপ্তাহে সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশের অভ্যন্তরে বাইডেনের এই সফর নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচনার জবাবে বাইডেন এই সফরের পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরেছেন।
শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টে এক মতামতধর্মী কলামে বাইডেন লেখেন, মধ্যপ্রাচ্য সফর যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী এবং নিরাপদ করবে। এই সফরে মানবাধিকার অন্যতম এজেন্ডা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জো বাইডেন বলেন, তেলসমৃদ্ধ আরব দেশগুলোর সঙ্গে তিনি সম্পর্কচ্ছেদ চান না বরং পুনর্বিন্যাস চান।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জো বাইডেন আগামী ১৩ থেকে ১৬ জুলাই মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন। তিনি ইসরায়েল এবং ইহুদি দখলকৃত পশ্চিম তীরেও সফর করবেন।
ঐতিহাসিক এই সফর নিয়ে বাইডেন বলেন, আমাদেরকে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে হবে, চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আমাদেরকে ভালো অবস্থানে রাখতে হবে এবং বিশ্বের বৃহত্তর স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করতে হবে।
বাইডেন বলেন, যেসব দেশ এসবে প্রভাব রাখতে পারে তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি সম্পৃক্ত হতে হবে। সৌদি আরব তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, শুক্রবার আমি যখন সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব তখন আমার লক্ষ্য হবে, পারস্পারিক স্বার্থ এবং দায়িত্বের আলোকে কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা। সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে আমেরিকার সত্যিকার মূল্যবোধ তুলে ধরা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইডেনের সৌদি আরব সফরের মূল লক্ষ্য হলো- আরব দেশটিকে অধিক পরিমাণে তেল উৎপাদনে রাজি করানো। কারণ, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফলে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
তুরস্কের সৌদি কনস্যুলটে সাংবাদিক জামাল খাসোগী হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের সরাসরি যুক্ত থাকার গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশের পর জো বাইডেন যুবরাজের ওপর ক্ষুব্ধ হন। কিন্তু রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে বাইডেন এক প্রকার বাধ্য হয়েই সৌদি আরব সফর করছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাইডেনের বক্তব্য, মানবাধিকার নিয়ে তার দর্শন স্পষ্ট এবং চিরস্থায়ী। তিনি বলেন, আমি যখন বিদেশে সফর করি তখন মৌলিক স্বাধীনতা আমার এজেন্ডায় থাকে। এই সফরেও সেটা থাকবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুর